আমাদের পলাশীর ইতিহাস নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এ ইতিহাস পরতে গিয়ে শুধু সিরাজের পরাজয় নয় বরং
লিখেছেন লিখেছেন সাদেকুর রহমান সোহাগ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ১০:৫৪:৩৪ রাত
Brooks Adams তার The law of Civilization and Decay নামক গ্রন্থে বলেন,
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে বাংলার লুন্ঠিত সম্পদ্গুলো আসা শুরু করে আর সত্ত্বর এর ফল প্রকাশ পেতে শুরু করে। এত বড় বিরাট শিল্পবিপ্লব যার প্রভাব পৃথিবীর প্রত্যন্ত কোণে কোণে অনুভূত হচ্ছে, সৃষ্টি হত না যদি না পলাশীর যুদ্ধ সংগঠিত না হত। কেননা ভারতবর্ষের সম্পদই এই শিল্পবিপ্লব সৃষ্টির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছিল।
দ্বিতীয়ত, ভারতবর্ষ থেকে সম্পদের পাহাড় যখন লন্ডনে এসে আছড়ে পড়তে শুরু করল এবং পুজি বৃদ্ধি পেল তখন আবিষ্কার উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এক বিরাট প্রতিযোগীতা শুরু হল।
তৃতীয়ত, পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে টাকা-পয়সা দ্বারা আজ পর্যন্ত এত বেশী মুনাফা অর্জিত হয়নি। যতটা হয়েছে লুন্ঠিত ভারতীয় সপদ দ্বারা। কেননা পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের কোন প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল না।
[Ref: মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কি হারাল; পৃষ্ঠাঃ ১৮৬]
আমার মতঃ আমাদের পলাশীর ইতিহাস নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এ ইতিহাস পরতে গিয়ে শুধু সিরাজের পরাজয় নয় বরং এটা বিশ্ব সভ্যতায় যে বিরাট পট পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল সে বিষয়গুলো জানতে হবে। মুসলিম বিশ্বের ভুমিগুলো হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার সূচনা যে পলাশীর যুদ্ধ এবং লন্ডনের উত্থানের শুরুও যে পলাশীর যুদ্ধ এটা অবশ্যই আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে এবং ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১১১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন