কলাম লেখক ও পিএইচডিতে গবেষণারত জার্মানি সবুজ মিয়ার কাছে খোলা চিঠি

লিখেছেন লিখেছেন নিব্রাস ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:০৮:১৯ সকাল

জনাব আসসালামুআলাইকুম। হে জ্ঞানের সাগর আমি এক মূর্খ আপনার দরবারে দু'একটি কথা বলতে চাই।এতক্ষেণে আপনি নিশ্চয় বাংলাদেশের (মানুষ যদি হয়) ১৬০০০০০০০(ষোল কোটি) মানুষের কাছ থেকে ১৫৯৯৯৯৯৯৯ ( পনের কোটি নিরানব্বই লক্ষ নিরানব্বই হাজার নয় শত নিরানব্বই টি ) প্রশংসাপত্র পেয়েছেন, আমাদের সময়ে প্রকাশিত আপনার সুন্দর চমৎকার কলাম টি প্রকাশ করার জন্য। শুধু একটি মাত্র অর্থাৎ আমার পত্রটি পেলেন একটু সমালোচনামূলক। আশা করি আপনি যদি চিন্তা চেতনায় পূর্ণ বাকশালীতে আসক্ত না হয়ে থাকেন তা হলে পুরোপুরি মন খারাপ করবেন না।

কিন্তু বশ্বাস হচ্ছে না, হবেই বা কি করে বলুন, যেখানে আপনার পক্ষে হুয়াক্কা

হুয়া হাজার-হাজার সংবাদিকরা লাইন ধরে আপনার কোরাস গাইতেছে তার পরও আপনার মন ভরছেনা শুধ এক জন মাহমুদুর রহমান কে নছিয়ত করতেছেন এ যেন আপনার পিতার বাকশালেরই পদধ্বনি। আপনার পিতা চারটি সংবাদপত্র ছাড়া সবগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। হয় তুমি আমার পক্ষে বলবা না হয় তুমি বন্ধ। এক মাহমুদুর রহমান কে কি আপনার শত শিয়ালের রা এর চেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে করেন? তাইতো আল্লহ বলেছেন

তুমি যদি মোমেণ হও তবে আমি তোমাকে তুমি একজন হলেও দশ জনের উপর বিজয় দান করব। আজ বুঝা যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ মাহমুদুর রহমান সত্যের পথে আছেন। আপনি প্রথম অবতারণা করেছেন আমার দেশ এর স্কাইপ এর সংলাপ এর সাথে বৃটেন এর ফোন আডিপাতার প্রসঙ্গ টানলেন, হা মাহমুদুর রহমান যদি নিজামুল হক নাসিমের কোন বান্ধবীর সাথের সংলাপ প্রকাশ করতেন তখন আপনি এই যুক্তি দিলে মাননসই হত কিন্তু এখানে রাষ্ট্রের একটি বিচার কার্যক্রম তা ছাড়া নাসিম সাহেব কে যখন ইকনোমিষ্ট পত্রিকার পক্ষ থেকে জিজ্ঞাস করল আপনি কি এ বিষয়ে ..... তখন উনি উত্তর দিলেন বিচার কার্য নিয়ে নিজের স্ত্রির সাথেও আলাপ হয়না.....। আর উনি যে কি ধরনের মিথ্যার আশ্রয় নিলেন তাই প্রকাশ পেল স্কাইপ সংলাপের মাধ্যমে। অথচ এর

মধ্যে আপনি কি উদাহরণ দিলেন.....। কিসের ভিতর কি? পান্তাভাতে ঘি! এই সব উদাহরণ ফিট করে আপনার ঐ কিছু শাহাবাগী মুরিদদের কে আশস্ত করতে পারবেন বাংলাদেশের মানুষকে নয়। জনাব আপনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, মেজর জলিল, মেজর জিয়া এদের কে নিয়ে বলতে চান তো? আপনাদের মতের মিল না হলেই, সে মুক্তিযোদ্ধা হলেও রাজাকার! আপনাদের সাথে হুয়াক্কা হুয়া করলে সে জামালপুর শরীষা বাড়ির রাজাকার নুরু মিয়া হোক আর ফরিদপুরের রাজাকার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোক আর কচুয়ার রাজাকার ম খা হোক সে হবে বীর বীর বীর বীর মুক্তিযোদ্ধা! হায়রে দুনিয়া হায়রে দুনিয়া এগুলো দিয়ে কি শেয়ারবাজার লুন্ঠনকারীদেরকে বাঁচানো যাবে? এভাবে পদ্মায় পিলার খাদকদের কে- কি আড়াল করা যাবে? আমার জন্ম ১৯৭৮ এ- মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস বণনা করে। কেউ কেউ বলে আওয়ামী লোকেরা মুক্তিযুদ্ধ করেনি তার ইন্ডিয়ায় গিয়ে রাতের বেলায় হোটেলে হোটেলে সুন্ধর সুন্ধর রমণিদের নিয়ে ইয়ে করেছে আর মাঝে মাঝে দিনের বেলায় ইন্দিরা গান্দির কাছে গিয়ে একটু চাপাবাজি করেছে, বিএনপি'র মুক্তিযোদ্ধারা অশ্র নিয়ে সন্মুখ ভাগে তথা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে তখন ভাবি মুক্তিযুদ্ধ আমোদফুর্তি হয় কি করে? বিশ্বাস কি করব ভেবে পাচ্ছি না কিন্তু যখন শাহবাগের আন্দোলন কে আওয়ামী লোকেরা বলে এটি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ তখন আর বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় না পুরো মিলে যাচ্ছে তার সাথে এর কারণ তখন তারা যা করেছে এখতো তাদের চিন্তা ধারার সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে। কারণ এখানেও রাতে ..... আর দিনে একটু চাপাবাজি.....। তাইতো বলি এটিও দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ! এভাবে কি কুইক রেন্টাল এর আত্নসাতকৃত টাকার

পাহাড়ের কথা জনগণকে ভুলিয়ে রাখা যাবে? হলমার্কের টাকার কাহিনির কথা মানুষের স্মৃতি থেকে বিস্মৃত হয়ে যাবে? জনাব আপনি বললেন শাহবাগের আন্দোলন দেশ-দেশান্তর ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও এর শাখা প্রশাখা বিস্তৃত হচ্ছে? তার পরই প্রশ্ন করলেন মাহমুদুর রহমান যেহেতু এটি বুঝছে না সুতরাং সে কিভাবে বালাদেশের রাজনীতি করবে? একই প্রশ্ন যদি উল্টোভাবে আপনার প্রতি করা হয় তবে? ..... হে জ্ঞানের আধার জনাব সারা বাংলাদেশের গণজাগরণ মঞ্চের দেখেছেন কি অবস্থা হচ্চে? শাহাবাগে সি সি ক্যামেরা, র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা, সময় সময় বিজিবি একটু অপেক্ষা করুণ কয়দিন পরে কি ভাবে কাপড় তুলে থুথু মারে দেখবেন। এক্ষণি আমাকে হয়ত আপনার বাকশালী চিন্তার গ্রন্থি থেকে তুই রাজাকার, তুই রাজাকার বলে আত্নচিৎকারে দিক বিদিক ছুটোছুটি করছেন। না স্যার বাস্তবতাকে মেনে নিন। যে ভাবেই বিচার বিশ্লেষন করুন না কেন, শুধু আপনারদের শত শত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জোরে কিংবা আপনাদের গলাবাজির মাধ্যমে মনে করেছেন সারা বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে রেখেছেন? বাংলাদেশের মানুষ শিক্ষায় আপনার মত বিশাল সমুদ্রের অধিকারী না হয়ে আমার মত মুর্খ হলেও একে বারে যে বুঝে না তা কিন্তু নয়। কারণ মনে রাখবেন অল্প কিছু মানুষকে আল্প কিছু সময় বোকা বানিয়ে রাখা যায় কিন্তু সকল মানুষেকে সবসময় বোকাবানিয়ে রাখা যায় না। বাস্তবতাকে মানুন স্যার কথায় কথা ৭১ সাল কে টেনে ৭১ সালের চেতনাকে ভুলন্ঠিত করছেন আপনারাই। আর আল্প কিছু দিনের মধ্যেই ইনশাল্লাহ আপনাদের শত শত মিডিয়ার যেই রা সেটা ইনশাল্লাহ ধূলোয় মিশে মাহমুদুর রহমানের একটি মিডিয়ার কথাই সত্য বলে ছেরাগের মত টিম টিম করে আলোকিত করতে থাকবে দেশকে। আর আপনাদের হাজার লক্ষ পাওয়ারের হ্যালোজেন ইন্ডিয়ান লাইট গুলো ঠপাস করে যখন ইনশাল্লাহ চূর্ণবিচুর্ণ হয়ে যাবে, তখন কি ৭১ পরাজিত হয়ে যাবে? ভাবেন কি করে? মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সোল এজেন্টে আপনারাই? পাকিস্তানের সাথে একটি ক্রিকেট ম্যাচে জিতলেই ৭১এর চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জয়লাভ করেছে এ সব কথা বলার কোন মানে হয়? আমার দেশের একটি ক্রিকেট ম্যাচের জেতার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? আর আরেকটিতে হেরে গেলে? আবশ্য যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে ইন্ডিয়ান হোটেলে বসে তাদের নিকট মুক্তিযুদ্ধ আজ এক খেলায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু এভাবে কত দিন? মনে রাখবেন স্যার পুলিশের আইজি বলতে পারেনা শিবির সন্ত্রাসি কারণ সে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে পারেন কারণ উনি রাজনৈতিক ব্যক্তি। এভাবে দলীয়করণ করলে দেশ টিকবে? অবশ্য আপনাদের নিকট যুক্তির তো আর অভাব নেই? বাস্তবতা শুনুন শত শত মিডিয়া, হাজার সাংবাদিক, পুলিশ অফিসাররা যে ভাবে শিবির কে সন্ত্রাসী হিসাবে উপস্থাপন করছে তাতে তো তাদের এতদিন টিক টিকিও পাওয়া যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু আসলে কি তাই? তাই বলি বাস্তবাতাকে মেনে নিন

দেখবেন দেশ উপকৃত হবে। আজ শিবির কে মোকাবেলা করুণ আদর্শ দিয়ে তা হলে হাজার হাজার তরুণ শিবির না করে ছাত্রলীগ করবে। আর যদি বাকশালী চিন্তা থেকে মনে করেন শিবিরের ছেলেরা মূর্খ তা হলে তাদেরকে আরো শক্তিশালী করলেন। যদি মনে করেন তারা টাকার জন্য করছে শিবির, এভাবে বছরকে বছর বলে আত্নতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারেন কিন্তু দিন দিন আপনারাই তাদেরকে আরো শক্তিশালী হতে সুযোগ করে দি্চেছন। তাই তাদের দলে কেন তরুণ ছেলেরা যোগ দিচ্ছে তা সঠিক ভাবে অনুসন্ধানের মাধ্যমে দেখুন তখন বুঝতে পারবেন একই সাথে প্রতিকারও ঠিক মত করতে পারবেন। অন্যথায় মিথ্য দিয়ে নিজেরাই আজ হয়ত শাহবাগ, কাল হয়ত টিকাটুলি, পরশু হয়ত যাত্রাবাড়ি, তারপরদিন হয়ত রায়ের বাগ শুধু হুয়াক্কা হুয়া কোয়া হুয়া করবেন তবে লাভ হবে না দেখনু আর কয়টা বছর ইনশাল্লাহ।দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় জাতীর পিতা আল্লাহ হাফেজ- ফি আমানিল্লাহ্

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File