ইস্তাম্বুলের ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট

লিখেছেন লিখেছেন নোমান খান ২৬ অক্টোবর, ২০১৭, ০২:১২:০৫ রাত

তুরস্কের বর্তমান একে পার্টি ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে। নতুন রাস্তা তৈরী, ব্রীজ, টানেল, হাইস্পিড রেল, লাইট রেল, ট্রামলাইন, আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন এর জন্য প্রচুর ইনভেষ্ট করা হয়। এই প্রজক্টেগুলো সফলতার সাথে সম্পন্ন হওয়ায় সাধারণ জনগণ এর সুফল পাচ্ছে।

তবে তুরস্ক ভ্রমণে আমাকে সবচাইতে বেশী আকর্ষিত করেছে তাদের ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা। খুব সহজে, অল্প খরচে, অল্প সময়ে, এবং আরামে নৌপথে এক শহর থেকে আরেক শহরে চলাচল করা যায়।

২১শে অক্টোবর ২০১৭ পরিবার সহ ইস্তাম্বুল থেকে বুরসা শহরের দিকে রওনা দেই। ওটোমান সাম্রাজ্যের প্রথম রাজধানী হলো বুরসা। ইস্তাম্বুল এর Eminönü ফেরীঘাট থেকে Bursa Deniz Otobüsleri (BUDO) এর ফেরীবোট বা সী-বাস এ চরে বুরসা যাওয়া হয় মাত্র ২ঘন্টায়। প্রতিটি প্যাসেঞ্জারের জন্য সীট নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। সী-বাসে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেট রয়েছে, নিচের তলায় খাবার দোকান রয়েছে।





২৩শে অক্টোবর ইস্তাম্বুল থেকে ফেরার ফ্লাইট হচ্ছে দুপুর ১টায়। চেক-ইন এর জন্য ১১টার মধ্যে পৌছঁতে হবে এয়ারপোর্টে। ট্যাক্সিতে খুব সহজে এয়ারপোর্টে পৌছাঁনোর সুযোগ থাকলেও, দেশটি আরেকটু দেখার আশায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এ চড়ার উদ্যোগ নেই। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করে এয়ারপোর্টে যেতে ফেরীতে উঠতে হলো। Eminönü ফেরীঘাট থেকে Kadıköy তে ফেরীতে করে যাতায়াত করতে হয়েছিল। মাত্র ২০ মিনিটে আরামে ও সহজেই ইস্তাম্বুলের ইউরোপ অংশ থেকে এশীয় অংশে যাতায়াত করা যায় নৌপথে।





ইস্তাম্বুলে ২৮টির মতো সরকারী ফেরী রয়েছে এবং ৩৪টি ফেরীঘাট রয়েছে ইস্তাম্বুল থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের জন্য। ২৮টি সরকারী ফেরী ছাড়াও প্রায় ১০০ এর অধিক ফেরী বা sea bus রয়েছে নৌপথে চলাচলের জন্য। প্রতিদিন প্রায় ৩০০,০০০ (৩ লক্ষ) মানুষ ফেরী বা sea bus ব্যবহার করে যাতায়াতের জন্য। শুধুমাত্র The Istanbul Deniz Otobusleri (IDO) নামক বেসরকারী ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর sea bus এ করে ২০১৪ সালে ৪৭ মিলিয়ন যাত্রী নৌপথে যাতায়াত করেছে। তুরস্কের ফেরীঘাটগুলোর একটা বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রতিটি ফেরীঘাটের পাশেই বাস টার্মিনাল বা মেট্রোরেল বা ট্রামলাইন রয়েছে, যার কারণে যাত্রীরা খুব সহজেই ফেরী থেকে নেমে অন্যান্য যানবাহনে উঠে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে।



নদীমাতৃক দেশ বলে পরিচিত বাংলাদেশে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর। যেমন ধরুণ সদরঘাট থেকে গাবতলী, মিরপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আশুলিয়া, খুব সহজেই ওয়াটার বাসের মাধ্যমে নৌপথ চালু হতে পারে। এতে অন্যান্য ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার উপর চাপ কমবে এবং সহজেই ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাতায়াত করা সম্ভব হবে।

বিষয়: বিবিধ

৮৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File