আমাদের প্রধান মন্ত্রী আবার ক্ষমতা চায়

লিখেছেন লিখেছেন আরিফ ১২ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:৪৯:০৪ রাত





Hot Cook ^Happy^ Rolling Eyes ^Happy^ Cheer MOney Eyes ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ভাড়া চারদলীয় জোট শাসনামলের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এ দুই মহানগরীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার প্রতি কিলোমিটার ভাড়া বাসে ১ টাকা ৬০ পয়সা ও মিনিবাসে ১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। যদিও পরিবহন শ্রমিকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি আদায় করছেন। এ নিয়ে প্রায়ই পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের বচসা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। পক্ষান্তরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বাস ৮০ পয়সা ও মিনিবাসে ৮৩ পয়সা ভাড়া ছিল। একই সঙ্গে বিএনপির সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে স্বল্পদূরত্বে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ১ টাকা, যা বর্তমানে ৫ ও ৭ টাকা আদায়ের বিধান করে দিয়েছে সরকার। সিটিং সার্ভিস বাসগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার লঙ্ঘন কঠোরভাবে বন্ধ করার কথাও বলা হয়েছিল সেখানে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ইতিহাসে ওয়াদা পূরণের নজির নেই বললেই চলে। সেটা আবারও সত্য প্রমাণিত হলো গত চার বছরে।

আইনের শাসন কীভাবে ভেঙে পড়েছে, সেটা এখন আর ব্যাখ্যা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বরং আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ কোথায় আছে, সেটাই খুঁজে দেখার বিষয়। প্রশাসনের কেন্দ্র সচিবালয় থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসন বা থানা পুলিশের কাজেও আইন মেনে চলার ঘটনা ব্যতিক্রম হয়ে উঠেছে গত চার বছরে। দুর্নীতি, দলীয়করণ আর বিশৃঙ্খলার দাপটে সবাই যেন কুঁকড়ে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অপহরণ, গুম, গুপ্তহত্যার হিড়িক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অব্যাহত ‘ক্রসফায়ারের’ মতো গুম-গুপ্তহত্যার সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। গত চার বছরে বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ দেড়শতাধিক ব্যক্তির গুম-গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এসব ঘটনার বেশিরভাগেরই হদিস বের করতে পারেনি আইন রক্ষাকারী কোনো সংস্থা। সর্বশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় অপহরণের পর গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন রাজধানীর বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মজুমদার।

রফিকুলকে তার শ্বশুরবাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা থেকে র্যাব পরিচয়ে জোর করে ধরে নিয়ে যায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা। তারা র্যাব লেখা সাদা মাইক্রোবাসে এসে দেয়াল টপকে ঘরে ঢুকে রফিকুলকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেয়ায় তার আত্মীয় নারী-পুরুষদের মারপিটও করে। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি একই ধরনের গাড়িতে কয়েকজন লোক এসে তার ভায়রা ও ড্রাইভারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ঝিনাইদহ র্যাব অফিসে যোগাযোগ করতে বলে। রাত ২টায় তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও তার আগেই কুমারখালী থানা থেকে রফিকুলের শাশুড়িকে মোবাইল ফোনে লাশ পাওয়ার খবর দেয়া হয়। অপহরণের দুই ঘণ্টা পর ২০ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা এলাকার একটি পেঁয়াজের ক্ষেতে হাতকড়া পরা অবস্থায় রফিকুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। হাতকড়ায় ইংরেজিতে ‘পুলিশ’ লেখা ছিল, এটা প্রত্যক্ষদর্শীদের মতো পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে সবাই দেখেছে। রফিকুলকে ধরে নিয়ে আসার অভিযোগ অস্বীকার করলেও অন্য দু’জনকে ধরে আনার কথা স্বীকার করেছে র্যাব কর্তৃপক্ষ। এ থেকে দু’য়ে দু’য়ে চার মিলিয়ে নেয়া কঠিন নয় মোটেই। আর পুলিশের কথাও ভাবনার বিষয়। হাতকড়া প্রসঙ্গে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মন্তব্য, বাজারে ‘পুলিশ’ লেখা হাতকড়া কিনতে পাওয়া যায়, যা সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতে পারে। এ সবকিছুই আওয়ামী আইনের শাসনের প্রকৃষ্ট উদাহরণই বটে!

খুন হওয়া রফিকুল ইসলাম ছিলেন রাজধানীর ৫৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব। জনপ্রিয় রফিক ঢাকা সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণাও শুরু করেছিলেন। এর আগে ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি একই ওয়ার্ডের তত্কালীন কমিশনার বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের হাতে অপহৃত হন। এযাবত্ তার কোনো খোঁজ দিতে পারেনি কেউ। এ নিয়ে সরকারের প্রভাবশালীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেই দায় সেরেছেন। গুম হওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী সম্বন্ধেও একই পুনরাবৃত্তি দেখতে হয়েছে দেশবাসীকে। দেশজুড়ে খুন, গুপ্তহত্যা আর গুমের ঘটনা বিচারে এটা স্পষ্ট যে, এসবের প্রধান টার্গেট সরকারবিরোধী দল ও মতের লোকজনই। ফলে এসব ঘটনার পেছনে ক্ষমতাসীনদের হাত থাকা স্বাভাবিক মনে করলে কাউকে দোষ দেয়া যাবে না।

সরকার শুধু আইনের শাসনকে কবরেই পাঠায়নি, চার বছরে জননিরাপত্তাও দেশ থেকে উধাও হয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কিশোরী ফেলানী হত্যার দু’বছরে যেমন এ নিয়ে দেয়া কোনো প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি, তেমনি নিজ বেডরুমে খুন হওয়া সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার তদন্তের অগ্রগতিও দেখা যায়নি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও সমানতালে অব্যাহত রয়েছে। আর র্যাব পুলিশের নির্যাতনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সরকার কর্তৃক এভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ধর্ষণকারীদের বেপরোয়া হতে কতটা মদত জুগিয়েছে, সেটা দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণশেষে খুনের ঘটনা থেকেই বোঝা যায়। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে যাই অঙ্গীকার করুক না কেন বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসন বলতে কিছু আর অবশিষ্ট নেই, সেটা জোর দিয়েই বলা যায়।জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার স্ত্রী মিসেস সানোয়ারা জাহানসহ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২০ পর্দানশিন নারীর বোরকা খুলে নেয়া হয়েছে। গতকাল বোরকা ছাড়াই তাদের আদালতে আনা হয়। ২০ জনের অধিকাংশকেই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে বিস্ময়করভাবে পরবর্তী তারিখ ধার্য করে ২৩ জানুয়ারি। আটকদের মধ্যে বৃদ্ধা, অসুস্থ ও পরীক্ষার্থী রয়েছেন। আইনজীবীরা বলছেন, ৫৪ ধারায় আটকদের কোনো অভিযোগ ছাড়া এতদিন আটকে রাখা ও তারিখ ধার্য করা নজিরবিহীন ঘটনা।

জানা যায়, ৫৪ ধারায় আটক মিসেস সানোয়ারা জাহানসহ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২০ নেত্রীকে গতকাল ধার্য তারিখে মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। ২০ জনের অধিকাংশকেই কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পর্দানশিন নারীদের কাউকেই বোরকা পরতে দেয়নি পুলিশ। কাশিমপুর থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাদের পুরনো ঢাকায় মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাদের দীর্ঘক্ষণ হাজতখানায় রাখার পর পুনরায় কাশিমপুরেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু তাদের কাউকেই বোরকা পরতে দেয়া হয়নি। যারা সব সময় পর্দা মেনে চলেন, বোরকা পরেন, তাদেরকে এই প্রথমবারের মতো বোরকা ছাড়াই পুরুষ মানুষের সামনে আসতে হলো। সর্বদা পর্দায় অভ্যস্ত নারীরা এভাবে বোরকা ছাড়া আদালতে আসায় অস্বস্তিতে ছিলেন।

পুলিশের সময় আবেদন ছাড়াই আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে আগামী ২৩ জানুয়ারি শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করে। এর আগে তারা রমনা থানায় দু’দিনের পুলিশি রিমান্ডে ছিলেন। সেখানেও তাদেরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয় এবং মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

গ্রেফতার করাদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী নুরজাহান, সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউসী, ইডেন কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী জাহানারা ইসলাম, ফারহানা মিতু, মাস্টার্স প্রথম পর্বের ছাত্রী মারজানা আক্তার, এমবিবিএসের ছাত্রী সুমাইয়া মুবাশ্বেরা তামান্না। এর মধ্যে অনেকেরই লিখিত পরীক্ষা শেষে ভাইভা পরীক্ষা রয়েছে। আইনজীবীরা এ বিষয়গুলোতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক বলেন, ৫৪ ধারায় আটকদের কোনো অভিযোগ ছাড়া এতদিন আটকে রাখা এবং নতুন করে তারিখ ধার্য করা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে তাদের দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু রিমান্ডে কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। মামলা করার মতো পুলিশ কোনো উপাদান পেলে এরই মধ্যে মামলা হয়ে যেত। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদের আটকে রাখার জন্য ৫৪ ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু হয়রানি করার জন্যই তাদের আটকে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৫৪ ধারায় কাউকে গ্রেফতার করলে ৪৮ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখার নিয়ম নেই। কিন্তু তাদেরকে এরই মধ্যে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, ১৭ ডিসেম্বর তাদের আটক করা হয়। পরদিন আদালতে হাজির করে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করা হলো। তিনি উল্লেখ করেন, এভাবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে দিনের পর দিন আটকে রাখা আইনের শাসনের পরিপন্থী।

কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ২১ নারীকে গ্রেফতার করে রমনা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর কোনোপ্রকার অভিযোগ দাঁড় করাতে না পেরে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। মহানগর হাকিম তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে আদালত ২০ জনের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ছাত্রী সংস্থার কর্মী হাবিবা নাসরিন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় আদালত তাকে রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। ওইদিন আদালত তার জামিন দেয়নি। তবে গত রোববার তার জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

তাসনীম আলম জেলে : এদিকে তেজগাঁও থানার একটি মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক মো. তাসনীম আলমকে গতকাল জেলে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে থাকাকালে তাকে বাইরে থেকে খাবার দিতে দেয়া হয়নি। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর র্যাবের হাতে আটকের পর উত্তরা থানার একটি জিডিতে ৩ দিনের রিমান্ড ভোগ করেন তিনি। আমাদরে প্রধান মন্ত্রী আবার কেন ক্ষমতা চাইনে, কি উনার কি আরও কিছু বাকি আছে না আরও অনেককে গুম করা বাকি না আরও আনেক নারী বোরকা কেড়ে নেওয়া, বিশ্ব জি মত আরও অনেক মায়ের কোল খালি করা বাকি না শেয়ারা বাজারের আরও টাকা চুরি করা বাকি না হলমার্ককের মত আরও অনেক ব্যংক খালি করা বাকি , এখন কি উনার ছেলেকে টাকা দেওয় শেষ হয় নাই । উনি কিভাবে খালেদা জিয়ার ছেলেকে চোর বলেন উনার নিজের ছেলেও তো চোর , উনি যদি বলেন মিথ্যা তাহলে জয়ের বউ কেন জয়কে তালাক এবং কেন বল আমি চোরের সাথে সংসার করবোনা , উনি যদি দেশে প্রেমিক হন হলে ৪ বছরে ৫ বার তেলের দাম সহ আরও অনেক কিছুর দাম বাড়ানো হল । উনার যদি এত মনবল থাকে তালে নিরপক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দিক জনগন কি তাকে চায় তার একটা প্রমান হোক । এত কিছুর পরেও আমাদের প্রধান মন্ত্রী আবার ক্ষমতা চায় কিভাবে ?????????

বিষয়: বিবিধ

১০২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File