হাওয়ায় উড়া কিছু দৈনিককে মাটিতে লুটাল আমারদেশ পত্রিকা।
লিখেছেন লিখেছেন এখলাস মাহেমাদ িসকদার ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:২৫:৪৫ রাত
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চনিয়ে অতি উৎসাহী কিছু মিডিয়ার খবর শুনে মনে হত বাংলাদেশের পাইলট সেন্টার শাহবাগ। আলাদ্দিনের চেরাগের মত শু শু মন্ত্র হও বল্লেই হয়ে যাই।
আর সরকারের লেজুড় বৃত্তিকারী কিছু মিডিয়া পেশাদারিত্ব বিসর্জন দিয়ে সেই শাহবাগকে হাওয়াই উড়াতে লাগল যাদু মন্ত্রের মত। আরো বলতে হয় আমি একদিন দুপুরে শাহবাগ কাজের ফাকে গণজাগরণ মঞ্চ দেখার জন্য গেলাম ভরদুপুরে ১০-১২জন লোক হবে তাও অর্ধেক নোংরা সোংরা কাপড় পড়া আওলা বাওলা চুল আর কয়েকজনের পরনে ছিল লুঙ্গি। তাদের কন্ঠ থেকে আওয়াজ বের হচ্ছে না তারপর ও বলতেছে রাজাকারের ফাঁসি চাই দিতে হবে। কফিন আছে লাশ দিবি। একটি একটি শিবির ধর ধরে ধরে জবাইকর এই সমস্ত উস্কানীমূলক স্লোগান। আর অবাক হওয়ার বিষয় হল এই লোকগুলিকে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাঁচটি ক্যামরা লাইভ দেখাইতেছিল। কারণ শাহবাগের এই লোকগুলিই এই দেশের চালিকা শক্তি। তাদে মুখদিয়ে কখন কি যে বের হয় তা যদি কোন কারনে লাইভ দেখানো সম্ভব না হয় তাহলে জাতি চরম মিস করবে। উড়তে উড়তে ঢানা ভেঙ্গে পড়ে গেল থাবা বাবা।আর কিছু মিডিয়া তাকে নিয়ে উড়াল দিল ঘূর্ণি গতিতে।
দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধের প্রথম শহিদ উপাধি দিতে ভুলে নাই মিডিয়া ও জাগরণ মঞ্চ। প্রধান মন্ত্রিও থাবা বাবার বাড়ীতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে আসল কারন প্রথম শহীদ বলে কথা। কিন্তু বেরসিক দৈনিক আমার দেশ এক নিমিষেই উলট পালট করে দিল তাদের রাত দিনের পরিশ্রম। থাবা বাবার কীর্তি প্রকাশ করতে লাগল আর পিছু হটতে লাগল হাওয়াই উড়া দৈনিক গুলো । আস্তে আস্তে জাগরণ মঞ্চ হতে তাদের রিপোর্টের পরিধি ছোট হতে লাগল।
আর সত্য প্রকাশে আপোষহীন দৈনিক আমার দেশ বীরদর্পে প্রকাশ করতে লাগল আড়াল করে রাখা সত্য ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ। জুমার নামাজের পরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ফিকে করে দিল গণজাগরণ মঞ্চের ১৭দিনের তথাকথিত অর্জন। ক্ষুভে দুঃখে পুলিশ গুলি করে মারল প্রায় ডজন খানেক ধর্মপ্রাণ লোককে। গুলা পানিতে মাছ শিকার করে নিল বর্তমান সরকার। পাশ করে নিল বিতর্কতি কিছু আইন।
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন