নির্বাচনের জালভোটেরর তথ্য ফেসবুকে দেওয়ায় ষ্ট্যাম্পসই দিতে হলো্ সাবেক ছাত্রদল নেতাকে।

লিখেছেন লিখেছেন এখলাস মাহেমাদ িসকদার ১১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৩৯:৫৮ দুপুর



বান্দরবান জেলার আজিজনগরে নির্বাচনোত্তর একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারী সারাদেশে জালভোটের খবর বিভিন্ন প্রিন্টি ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার ফলো করে প্রচার করা হয়। এই চিত্র দুর্গম পাহাড়ী এলাকা বান্দারবন জেলার আজিজনগরেও দেখা যায়।

হামিদ কল্লোল আজিজনগরের বাসিন্ধা হওয়ায় তার চোখে ধরাপড়ে সচিত্র ভোট জালিয়তির নমূনা। যা নির্বাচনের পরে ফেসবুকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের জড়িয়ে স্টাটাস দেন সাবকে ছাত্রনেতা এবং জগন্নাথ বিশ্বববিদ্যালয়ের বাংলাবিভাগের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি হামিদ কল্লোল।

স্টাটাসটি ফেসবুকে শেয়ার হওয়ার ফলে বান্দরবান জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়।স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বিষয়টা জানতে পেরে তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা তথ্য যাছাই নাকরে ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়ার কারণে সাবকে ছত্রদল নেতাকে অপদস্থ করে।

পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দিতে চাইলে তিনি ফেসবুক থেকে জালভোট সংক্রান্ত ষ্ট্যাটাস গুলো রিমোভ করে দিতে বাধ্য হন। তখন তারা তাকে অপদস্ত, অপমান করার সাথে সাথে ষ্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর নেন।

এই ব্যাপারে ছাত্রদলনেতা হামিদ কল্লোলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন "নির্বাচনে লাগামহীন জালভোট এবং সেনাবাহিনীর হাতে জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে তথ্য দেওয়ায় আওয়ামীগ নেতাকর্মিরা এইঘটনা ঘটিয়েছে।এ ব্যাপারে লামা ও চকরিয়া উপজেলা এবং আজিজনগর সাংঘঠনিক উপজেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দরা বলেন "৫ই জানুয়ারী নির্বাচন নামের প্রহসন দেশের সবাই জানে।এই ঘটনায় প্রতিবাদী ভুমিকা রাখায় সাবেক ছাত্রদল নেতা হামিদ কল্লোলকে অপদস্থ, লান্ঞ্চিত এবং স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। এই ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৬৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

161327
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
হতভাগা লিখেছেন : প্রতিকূল সময়ে পাঙ্গা নেওয়া শ্রেষ্ঠ বোকামীর লক্ষণ
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৫
115638
এখলাস মাহেমাদ িসকদার লিখেছেন : জী হতভাগা ভাই প্রতিবাদীরা ওজানভাটী বুঝেনা, প্রবাদীরা ক্ষণজন্মা। অনুকূল-প্রতিকূল সব কূলেই তার না-ভাসাই এবং বিজয় তাদের হাতেই ধরা দেয়।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
115642
হতভাগা লিখেছেন : যুদ্ধের সময় যুদ্ধে না গিয়ে , হানাদারদের পরোক্ষ সমর্থন দিয়ে এখন মুক্ত দেশে অনেকেই বিশাল চেতনার আঁধার হয়ে গেছেন ।

মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে আমরা তাদেরই দ্বারস্থ হই । তারাও যেটা করে নাই তার স্বীকৃতি পেয়ে খুব মজাসে তাদের চেতনার ভান্ডার খুলে আমাদের বিনামূল্যে চেতনা শেখান ।

এরাই এখন দেশের সবচেয়ে মান্য ব্যক্তি ।

যোদ্ধা না হয়েও তারা বিজয়ী - এটা কি বাস্তব নয় ?
161343
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
এখলাস মাহেমাদ িসকদার লিখেছেন : হতভাগা ভাই ১০০% সত্য কথা বলেছেন। চেতনায় আচেতন হয়ে আছে দেশ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File