যথা সময়ে বিদেশী সহযোগিতা গ্রহন করলে জীবন্ত উদ্ধার হত অনেকে, স্বজনেরা ফিরে পেত তাদের স্বজনদের জীবিত অথবা মৃত বা অবিকৃত লাশ।
লিখেছেন লিখেছেন এখলাস মাহেমাদ িসকদার ০২ মে, ২০১৩, ১১:১৬:৩১ রাত
সাভার ভবন ধসের ঘটনা আন্তর্জতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে অনেক দেশ আমাদের সাহায্য করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কিন্ত সরকার তা প্রত্যাখান করার কারনে অনেক জীবিত উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও উপযুক্ত যন্ত্রপাতির অভাবে সম্ভব হয়নি।
শাহিনার মত জীবন্ত একটি প্রাণকে উদ্ধার করতে পারেনি আমাদের উদ্ধার টিম। আমি আমাদের উদ্ধার বাহিনীদের খাট করার জন্য কথাটি বলছিনা। বরং আমি তাদের আবেগ দেখে নিজেও আবেগ আপ্লুত হয়েছি। উদ্ধার অভিযানে তাদের আন্তরিকতার বিন্দু মাত্রও এুটি ছিলনা।
প্রশ্ন শুধু একটি, কেন এই সরকার বিদেশী সহযোগিতা গ্রহন করলনা। নিজেদের অপর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা আছে জেনেও কেন সরকার এই ভুল করল। আজ শ্রমিকদের স্বজনের কান্নায় সভারের আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। গগণ বিদারী আহাজারী দেখে পাষনের চোখেও অশ্রু ঝরে। ছোট্ট শিশুরা এসেছে তাদের মা অথবা বাবার লাশের খোঁজে সরকার কি দিতে পারবে তাদের লাশ তাদের হাতে । ষাট অথবা আঁশির উর্ধ বয়সের পিতা এসেছে তার সন্তানের লাশের খোজে। সরকার কি দিতে পারবে অবিকৃত লাশ। শাহিনার ছোট্ট শিশুকে নিয়ে এসেছিল তার মায়ের কাছে ফিরে দেওয়ার জন্য শাহিনাকে কি জীবন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কেন হলনা এর জবাব কি সরকার দিতে পারবে। কখনো না।
সরকারদলীয় লোকের কারনে ঘটেছিল এই দুর্যোগ। তাই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি এই হত্যা কান্ডকে আড়াল করার জন্য কান্ডজ্ঞানহীণ বক্তব্য দিতে দিধা করে নাই। আমাদের প্রধান মন্ত্রিও প্রথম অবস্থায় ভিন্ন্ সুরে কথা বলেছিল। রিমান্ডে গার্মেন্টস মালিকদের দেয়া তথ্যানুযায়ী সভারের রানা প্লাজায় উপস্থিতি ছিল ৪০০০জন। লাশ ও জীবিত উদ্ধার হিসাব করলে প্রায় ৩০০০জন হয় তাহলে কি আমরা ধরে নেব বাকী একহাজার লাশ এখনো রানাপ্লাজায় আটকা পড়ে আছে। যদি তাই হয় এই সরকারের উচিত সভারের এইঘটানর দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করা।
বিষয়: বিবিধ
১৪১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন