শোকের মাঝে কাঁদালেন দেশবাসীকে, কাঁদলেন উদ্ধার কর্মীরা আর চলে গেলেন না ফেরার দেশে শাহিনা ।

লিখেছেন লিখেছেন এখলাস মাহেমাদ িসকদার ২৯ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:৪১:৩৭ সকাল



সাভারের রানা প্লাজার মর্মান্তিক বানিজ্যিক ভবন ধসের ঘটনার নিহত প্রায় চার শতাধিক, লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে তাতে কোন সন্দেহ নাই। এত লোকের হত্যা কান্ড দেখে দেশবাসী শোকাহত ও ক্ষুদ্ধ। বাংলাদেশ তথা প্রবাসে যারা আছেন সবার চোখ দেশের টিভি চ্যানেলের দিকে। উদ্ধার কাজে এগিয়ে এসেছেন দেশের সকল স্তরের মানুষ সহযোগিতা হাত বাড়িয়েছেন দেশের অনেক হাসপাতাল ।

প্রতিটি লাশ দেখে চোখের পানি ফেলেছেন এদেশের অনেক মানুষ। শোকে মর্মাহত মানুষের ভীড় ছিল ভবনের চারিদিকে। কোন লোক জীবিত উদ্ধার হলে সকলের চোখে মুখে হাসির ঝলক দেখা যায়। সর্বশেষ গত কাল যখন উদ্ধারে নিয়োজিত বাহিনীরা শাহিনা নামক এক মহিলাকে জীবিত উদ্ধারে মারিয়া হয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তখন দেশবাসীর চোখ উদ্ধার কর্মী বা বাহিনীর দিকে এইবুঝি শাহিনা জীবিত ফিরবে। আর উদ্ধার কাজের সমন্বয়ক সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা প্রাইমারী উদ্ধার কাজ শেষ করার জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ করতেছে। তা সত্বেও উদ্ধার বাহিনীর প্রাণপন চেষ্টার ক্রটি ছিলনা।

শাহিনার চোখে মুখে হাসির ঝলক উদ্ধার হওয়ার পর দেখে করবে তার একমাত্র ছোট্ট ছেলেটির সাথে দেখে হবে আবার স্বজনদের সাথে ফিরে পেতে যাচ্ছেন দ্বিতীয় জীবন। ২০ ঘন্টার স্বাসরোদ্ধকর উদ্ধার অভিযানের প্রায় সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে উদ্ধারে নিয়োজিত সবার চোখে মুখে আনন্দের জোয়ার । সাংবাদিকরা বার বার রিপোর্ট করেতেছে ১০মিনিট পরে উদ্ধার হতে যাচ্ছে শাহিনা একটু পরেই আপনার দেখবেন মৃত্যুঞ্জয়ী শাহিনাকে।

কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সর্বশেষ একটি লোহার রড কেটে শাহিনাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য গ্রন্ডার মেশিন চালু করা মাত্র বিকট শব্দে আগুন লেগে গেল সুড়ঙ্গে অর্ধদগ্ধ গয়ে বেরিয়ে আসলেন উদ্ধারে নিয়োজতি সকলে রেখে আসলেন তাদের অক্লান্ত পরিশ্রেমের ভিকটিক শাহিনাকে। ধুলিষ্যৎ হয়ে গেলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষ করা সকলের আশা। কান্নাকাটি করে বেড়িয়ে আসলেন উদ্ধার নিয়োজিত সকলে । তাদের কান্না দেখে কাঁদলেন ভবনের চারিদিখে অপেক্ষমান সকলে কাঁদলেন টিভি সেটের সামনে বসে থাকা দেশবাসী।

বিষয়: বিবিধ

১৩৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File