পুরানো ডায়েরির পাতা.. (আমার আমি)
লিখেছেন লিখেছেন শুকনোপাতা ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:২৪:২৪ রাত
অনেক দিন আগে পুরনো ডায়েরীর পাতায় লিখে রেখেছিলাম,
''অনুভূতি পরিমাপের অযোগ্য,কেউ পারেনা কারো অনুভূতি পরিমাপ করতে!আর তাই মেলেনা সবাই যা খুঁজে!'' কথাটা লেখার পরিপ্রেক্ষিত কি ছিলো ঠিক মনে পড়ছেনা,তবে ডায়েরীটা অনেকদিন পর হাতে নিয়ে খুলতেও লেখাটা চোখে পড়ল। পুরনো লেখা নতুন করেই আরেকবার চোখের সামনে ভেসে উঠলো,সাথে নিয়ে অনেক নতুন পুরনো অনুভূতি...অনেক কথা,চেনা-অচেনা অনেক স্মৃতি...
ডায়েরী নিয়ে সাহিত্যিকরা কম সাহিত্য রচনা করেননি,কম আবেগ জমিয়ে রেখননি ডায়েরীর পাতায়... পাতার ভাঁজে ভাঁজে জড়িয়ে রেখেছেন ছোট ছোট অনেক অভিমান,সুখ-দুঃখের সাতকাহন...
আমি সাধারন একজন মানুষ,তেমন কোন সাহিত্যিক নই,কিংবা লেখকও নই,তবে ডায়েরী আমার সঙ্গী আজো... সচরাচর নিজের অনুভূতি আমি লিখি না,কিংবা লিখতে চাই না,কেন চাইনা তার কোন এক কথায় উত্তর দিতে না পারলেও আজ ডায়েরির পুরনো পাতা একটা সুন্দর উত্তর দিয়ে দিয়েছে!
কারো অনুভূতি বুঝতে পারা জগতের অনেক কঠিন কাজের মধ্যে একটি!ভালোবাসা দিয়েই হোক,অথবা চিন্তা-দৃষ্টির সূক্ষতা দিয়েই হোক,এ কাজটা সচরাচর করা যায় না।
মন খারাপের সময় গুলোতে অনুভূতিরা আরো বেশি ঝড় তুলে যেনো... আর তাই সুখকে অনেক বেশি ভয় পাই!
বিয়ের সময় আজো অনেক পরিবার একটা কুসংস্কার মানে,আর সেটা হলো নতুন শাড়ির আঁচলের এক কোনা পুড়িয়ে দেয়া!এতে করে নাকি খারাপ দৃষ্টি বা কু-নজর থেকে নতুন বউ মুক্ত থাকে!!মানুষের খারাপ চিন্তা,খারাপ আক্রোশ থেকে বেঁচে থাকাটা কি এতোই সহজ?!!আমারতো তা মনে হয়না।
বুলেটের চেয়েও অনেক বেশি মানুষ বিদ্ধ হয় খারাপ কথা দিয়ে,কারো হিংসা দিয়ে,কারো সংকীর্ণ মনের ক্ষোভ দিয়ে। যা থেকে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন। একবার আহত হলে হাজারো মলম-পট্টি দিয়ে ঘা শুকানো যায়না।
সুখানুভূতি কে তাই বড় ভয় পাই... না জানি কতো বড় দুঃখের কান্না ঝরার সংকেত দেয় সে! কারো সুন্দর কথা গুলোকে তাই বড় ভয় পাই! না জানি কথার বুলেটে কখন সে ক্ষত তৈরী করে দেয় মনে! কারো উৎসাহ গুলোকে তাই বড় ভয় পাই,না জানি কখন ভুলের বুলেটে সে আহত করে দেয় আমায়...
পু্রানো লাল মলাটের ডায়েরিটা আজ অনেক বেশি আপন হয়ে আছে আমার পাশে...
বিষয়: সাহিত্য
১৩৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন