প্রহরগুলো অপেক্ষার

লিখেছেন লিখেছেন শুকনোপাতা ২০ জুন, ২০১৩, ০২:১০:১৩ দুপুর



মনটা আজ কেন জানি খুব চাইছে,আকাশটা মেঘলা হোক,খুব কালো হয়ে যাক। আর কাল সারাটা দিন টিপটিপ বৃষ্টি পড়ুক,অনবরত। কাল কোথাও বের হবে না বলে ঠিক করলো নাবিলা। সারাটা দিন বাসায়ই থাকবে,মোবাইলটাও বন্ধ করে রাখবে,যাতে কারো ফোন ধরতে না হয়। কেন জানি দমটা বন্ধ হয়ে আসে মনে হয়,চারপাশটাকে অনেক বেশিই অসহ্য লাগে আজকাল! একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি রাস্তার দিকে। কতো রকমের মানুষের যাতায়াত এই গলির রাস্তাটা দিয়ে,কতো রকমের কাজে ব্যাস্ত সবাই... এক লোককে দেখল,মোবাইলে কথা বলতে বলতে যাচ্ছে,হঠাত উপর থেকে কেউ পানি ফেলেছে!বেচারা ভিজে সারা!! আবার দেখলো,পাশের বাসার কেউ চারতলা থেকে নিচে তরকারী ওয়ালা চাচার সাথে চেঁচিয়ে দরদাম করছে!এতো জোরে কিভাবে চেঁচায় মহিলা?!উফ! ওদিকে মাছ ওয়ালা ডেকে যাচ্ছে আর আশে-পাশে উপরের দিকে তাকাচ্ছে,যদি কাস্টমার মিলে যায়!

-কি এতো ভাবিসরে?নে ধর,পেয়ারা খা!

ফুপির কথায় মাথা ঘুরিয়ে তাকালো,ফুপি দাঁড়িয়ে আছে,হাতে পেয়ারার বাটি,

-ইচ্ছে করছে না ফুপি!আচ্ছা,রেখে যান,খাবো পরে!

-সে কিরে?এ সময় সারাক্ষন শুধু এটা-ওটা খেতে ইচ্ছে করে সবার আর তুই যে কি?কিছুই খেতে চাস না!এভাবে থাকলে হবে?

নাবিলা বাইরে তাকিয়ে রইল,কিছু বলল না। ফুপি ওর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে একটা নিঃশ্বাস ফেলে চলে গেলেন।

কিছুক্ষন আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারল না,ওর বড় বড় চোখ দু'টোতে পানি জমতে শুরু করলো। নাবিলা বড় করে নিঃশ্বাস নিলো কয়েকবার,যেনো কান্না আটকানো যায়,কাজ হলো,কান্নার বেগটা আস্তে আস্তে কমে এলো। শুধু শুধু এভাবে কাঁদার কোন মানেই নেই। বাইরের কষ্ট সবাইকে বুঝানো গেলেও মনের কষ্ট বুঝানো যায় না!

দুপুরে খেতে বসে মা জিজ্ঞেস করলেন,

-কাল কি অফিস আছে তোর?

-হুম

-কাল তো শনিবার,না গেলে হবে না?

নাবিলা কিছু বলল না। ছোট ভাই নাবিল বলল,

-কাল মনে হয়,আপু দুলাভাইয়ের সাথে দেখা করতে যাবে! তাই না?

নাবিলা কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল,

-এখনো ঠিক করিনি,গত সপ্তাহেই তো দেখা করে আসলাম

মা তরকারী প্লেটে দিতে দিতে বললেন,

-কিন্তু কাল তো যাওয়া দরকার,তাই না?ছেলেটা আশায় থাকবে

-আশায় থাকবে আমিও জানি,কিন্তু এক সপ্তাহে এতোগুলো টাকা খরচ করলে মাস চলবো কি দিয়ে?জানোই তো,প্রতিবার দেখা করতে গেলে হাজার ১৫০০ এর মতো টাকা গচ্চা দিতে হয়।

মা আর কিছু বললেন না,কিন্তু দীর্ঘশ্বাসটাও গোপন করতে পারলেন না। কথা গুলো বলে নাবিলাও চুপ হয়ে গেলো,নিজের কন্ঠস্বরটাকে নিজের কাছে কেমন যেনো স্বার্থপর ঠেকলো!আসলেই কি সে স্বার্থপরের মতো ভাবছে?কিন্তু কি করবে সে? মাথার উপর সংসার চালানোর দায়িত্বটা আসার পর থেকে তো সে আর কিছু নিজের জন্য ভাবতে পারছে না,মাস শেষে বাড়ি ভাড়া,বাজার খরচ,ছোট ভাইটার খরচ,মা আর নিজের ঔষধ তার উপর সামনে আরো বাড়বে খরচ,ওর একার পক্ষে এতোকিছু ম্যানেজ করা কি খুব সহজ? ওদিকে মাস্টার্সের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে,কিন্তু যেতে পারছে না,ক্লাস না করলে তো কিছু পড়তেও পারবে না ভালো করে... ভাবতে ভাবতে খাওয়া থামিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে থাকে। মা বুঝতে পারেন। তাঁরও বুকটা ভারী হয়ে আসে,মেয়েটার উপর জুলুম হয়ে যাচ্ছে,অথচ এমন হবার কথা কি ছিলো? কতো নিশ্চিন্তেই না তিনি ছিলেন মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে... আর এখন?বড় মেয়েগুলোও তো ভালোই আছে,শুধু এই মেয়েটার বেলায়ই এমন হয়ে গেলো! কি থেকে যে কি হয়ে গেলো,নিজের আর মেয়েটার জীবনটা এক ঝাটকায় সব কিছু একসাথেই এলোমেলো হয়ে গেলো!

মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে স্বান্তনা দিতে চেষ্টা করলেন,

-এতো চিন্তা করে না মা,খেয়ে নে,আল্লাহ আছেন তো,দেখিস সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ভেঙ্গে পড়তে নেই...

নাবিলা মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করে বলে,'হুম,ইনশাআল্লাহ,সব ঠিক হয়ে যাবে''

পরদিন লাঞ্চ আওয়ারে বক্স খুলে দেখে,মা ঘন করে টোমেটো আর পেয়াজ দিয়ে চিংড়ির দোঁপেয়াজা করে দিয়েছে,খুব সুন্দর সুঘ্রান বেড়িয়েছে। নাবিলা কিছুক্ষন সেটার দিকে তাকিয়ে থাকে! তরকারীর মধ্যে এই চিংড়ির দোঁপেয়াজা মাহিরের এর অসম্ভব প্রিয় ছিলো,রান্না করে টেবিলে রাখতে না রাখতেই সে ভাত না নিয়েই তরকারী খাওয়া শুরু করে দিতো,ওর খাওয়ার ভঙ্গি দেখলেই বুঝা যেতো,মানুষটার কতো প্রিয় তরকারীটা আর রান্নাটাও কতোটা সুস্বাদু হয়েছে। মাহিরের সেই হাসিমুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠে নাবিলার... কেমন আছে মানুষটা?কি খাচ্ছে এখন?!

বক্সটা একপাশে রেখে কপালে হাত দিয়ে বসে থাকে নাবিলা। খেতেও ইচ্ছে করছে না,ভালোও লাগছে না। হাত ব্যাগটা নিয়ে চেক করে দেখলো,২৭০০ এর মতো হবে টাকা আছে,মাসে এখনো ১৮দিন বাকী,আজকে যদি মাহিরের সাথে দেখা করতে যায়,তাহলে মাস শেষে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে!রোজ বাজারের খরচ,তার-নাবিলের যাতায়াত ভাড়া,মায়ের ঔষধের টাকা...অনেক টানটানি হবে,কি করবে তাহলে?? ভাবতে ভাবতে যাওয়ার চিন্তাটা বাদ দিয়ে বক্সটা টেনে নিলো খাবে বলে,কিন্তু আবারো মাহিরের মুখটা ভেসে উঠলো! নাহ...

অফিস থেকে ঘন্টা দু'য়েক আগে বের হলো নাবিলা। নাবিলকে ফোন দিয়ে আজিজের সামনে আসতে বলল। ঘুরে ঘুরে দরদাম করে,দু'টো টি-শার্ট কিনলো,নাবিল আসার পর শাহাবাগের মোড়ে এসে ফুলও কিনলো,তারপর কি মনে করে জানি,নিজের হাতে বেলী ফুলের মালা জড়ালো। একটা সিএনজি নিয়ে সোজা জেলগেটের সামনে যেয়ে নামল। ভাড়া মিটিয়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে রইল,কেমন জানি ক্লান্তি লাগছে...

প্রায় ৬মাসের বেশি হতে চলল,মাহির নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে সাজানো মামলায় বিনা দোষে জেল খাটছে,যে মানুষটা কখনো কাউকে রাগ করে গালি দেইনি,কারো উপকার ছাড়া অপকার করেনি,কারো সাতে-পাঁচে জড়ায়নি আজ সেই মানুষটাকেই বিনা দোষে জঘন্য মিথ্যা মামলায় জেলের ভেতর দিন কাটাতে হচ্ছে! জামিনের চেষ্টা করা হয়েছে কয়েকবার,নির্দোষ হবার উপযুক্ত সব প্রমানও আছে,কিন্তু মুখের আইন আর পুলিশের হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়া কি এতো সহজ?তাই টাকাই গেছে শুধু জামিন আর হয়নি। মাস চারেক আগে নাবিলার বাবা মারা গেছেন,এই কঠিন সময়ে মেয়ে মাথার উপর ছায়া হওয়ার বদলে আরো অকূল সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেছেন যেনো! একদিকে জামাই জেলে আরেকদিকে বাবা...অন্যদিকে নিজে ও প্রথবারের মতো প্রেগন্যান্ট।

চোখে-মুখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলো না যেনো,বড় ২বোন ভালোই আছেন,কিন্তু তাদের উপর কি আর ডিপেন্ড করা যা যায়?তাই বাধ্য হয়েই ঘরমুখী, চুপ-চাপ মেয়ে নাবিলা শুরু করেছে জীবন সংগ্রাম। কিন্তু এই বিশাল শহরে বেঁচে থাকার লড়াই করাটা অনেক বেশিই কঠিন,মুখে সান্তনা সবাই দিতে পারে,কিন্তু বেঁচে থাকার খোরাক যোগানোর কাজটা নিজেকেই করতে হয়। অনেক অনুরোধ করে,বাবার অফিসে চাকরীটা জুটিয়েছে নাবিলা, বাবা অনেক বছর ধরে ছিলেন এই অফিসে,হুঁট করে মারা গেলেন,তাই তারা বিবেচনা করে চাকরীটা দিয়েছে,বেতন খুব বেশি না,কিন্তু তবুও যা পায় তা দিয়ে ছোট ভাই-মাকে নিয়ে চলে যায়,ভালোভাবে একা একা একটা মেয়ের জন্য এই শহরে বেঁচে থাকাটা যে কতো কঠিন এখন ভালোভাবেই টের পাচ্ছে নাবিলা।

মাসের বেতন পেয়ে সব পাওনা মিটয়ে যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে যায়,তখনই মাহিরের মুখটা ভেসে উঠে চোখে,নিজের অনাগত সন্তানটার স্পন্দন শুনতে পায় ভেতরে ভেতরে... বুকটা হাহাকার করে উঠে,না চাইলেও রাতভর হয় জায়নামাযে না হয় বালিশে মুখগুঁজে কাঁদতে হয়। কি যে শূন্যতা ওর বুকের ভেতরটা কুঁড়ে খায় তা কাউকে বলে বুঝানো যায় না কখনো...

নাবিলের ডাকে ধ্যান ভাঙ্গে ওর। ভেতরের ফর্মালিটি শেষ করে,মাহিরের সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে কেন জানি কিছু আর বলতে পারে না নাবিলা!সালামের জবাবটা নিয়ে মাথা নিচু করে থাকে। মাহির মুচকী হেসে বলে,

-আমি ভেবেছিলাম তুমি হয়তো এ মাসে আর আসবে না! কেমন আছো?মন কি খুব বেশি খারাপ?

নাবিলা মাথা নিচু রেখেই কিছু না বলে ফুল-কার্ড গুলো ওর দিকে বাড়িয়ে দেয়,

-আজ আমাদের বিয়ের ২বছর পূর্ণ হলো!! মেনি মেনি হ্যাপি রিটার্নস ওফ দ্যা ডে... বলতে বলতে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে নাবিলার!

মাহির স্থির হয়ে থাকে কিছুক্ষন,কোন কথা বলতে পারে না! তারপর খানিকটা হাসা চেষ্টা করে বলে,

-সেম টু ইউ, আমি খুব্বই সরি,ভুলেই গিয়েছিলাম!! কিন্তু তুমি সেদিন যখন আসলে তখন বলে গেলেই পারতে,তাহলে তো আর আজ আবার কষ্ট করে টাকা খরচ করে আসতে হতো না!

নাবিলা মুখ তুলে তাকায় এবার,অশ্রু টলমল দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে। ওর সেই দৃষ্টি অনেক কথাই বলে,মাহির তা ঠিকই বুঝে,কিন্তু কিছু বলতে পারে না,শুধু বুঝাতে চেষ্টা করে একইভাবে। নাবিলা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

-আমি আসতে না চাইলেই কি হবে?টুকটুকি তো চায় ওর বাবাকে দেখতে... কি করবো?আসতেই হলো তাই!

মাহির মুখে হাসি ফুঁটিয়ে বলল,

-তাই??আমার টুকটুকিটা আমাকে এতো ভালোবাসে?যাক...মায়ের মতো অভিমান করেনি তাহলে!

নাবিলা রাগ-রাগ ভাব,আর ঠোঁটে হাসি নিয়ে তাকালো মাহিরের দিকে,

-তাই না?আমি অভিমান করি? আমি কিছু বুঝি না?

মাহির হাসল।

-অভিমান ছাড়া কি তোমাকে দেখতে ভালো লাগে বল?তুমি অভিমান না করলে আমি কিভাবে বুঝবো,যে তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো!

বলে একটু থেমে বলল,

-কিন্তু আমি জানি,যে নাবিলাকে আমি ৬মাস আগে রেখে এসেছিলাম আমার ছোট্ট সাজানো সংসারটাতে সেই নাবিলা এখন আর নেই,আমার সংসারটাও বদলে গেছে... নাবিলা এখন আর প্রাণখুলে হাসে না,অনবরত স্বপ্নও দেখে না,তাই না?

নাবিলা হাসার চেষ্টা করলো কিন্তু পারল না,হঠাত হাত থেকে বেলী ফুলের মালা খুলে মাহিরের হাতে দিলো, হাসিমুখে বলল,

-এটা আমাকে দাও,তোমার তরফ থেকে আজকের দিনে আমার সবচেয়ে প্রিয় উপহার হবে,বুঝলে?

মাহির খুব যত্ন করে মালাটা পড়িয়ে দিলো লাবন্যের হাতে,তারপর শক্ত করে হাতটা ধরে বলল,

-মন খারাপ করো না,দোয়া করো,যেনো খুব দ্রুত আল্লাহ কষ্টের দিন শেষ করে দেন,আমাদের নতুন অতিথি দুনিয়ায় আসার আগেই যেনো আমি তোমাদের পাশে আসতে পারি...

-হুম

-আর নিজের প্রতি খেয়াল রাখবে,একদম টেনশন করবে না,সব সময় হাসি-খুশী থাকবে,মা-ফুপিকে আমার সালাম দিও,দোয়া করতে বল,ওকে?

-হুম,তুমিও ভেবো না,আমরা ভালোই আছি আল্লাহর রহমতে।

-চাকরীটা কেমন?খুব প্রেশার মনে হয়? মাস্টার্সের ক্লাস তো মনে হয় করতে পারছো না্...

নাবিলা সাথে সাথে কিছু বলে না। মাহির এই অবস্থায় ওকে চাকরীতে জয়েন করার পারমিশন দিতে চায়নি,কিন্তু উপায়ও ছিলো না,মাহিরের বাবা-মা নেই,ভাই-বোনেরা নিজেদের মতো সেটেল,কখনো তাদের কাছে কিছু চায়নি,তবুও চেয়েছিলো নাবিলার বাবা চলে যাবার পর ভাইদের সাথে কথা বলবে,কিন্তু নাবিলা মানা করলো। নাবিলার বাবা মারা যাবার খবর শুনেও উনারা কেউ যখন আসতে পারেনি,কি দরকার আর তাদের কাছে ছোট হবার!

-তুমি মুক্ত হও এখান থেকে,তারপর সব কিছু আবারো শুরু করবো নতুন করে। ঠিক আছে?

মাহির আর কিছু বলল না। সন্ধ্যে হয়ে আসছে,চারপাশে আঁধার ঘনাচ্ছে,প্রতিবার যখনই নাবিলা দেখা করতে আসে,ফেরার সময় ওর খুব ইচ্ছে করে,মাহিরকে সাথে নিয়েই ফিরতে... জেলগেট থেকে বেরিয়ে নিজেকে সামলে রাখতে অনেক কষ্ট হয়,ইচ্ছে করে হাউমাউ করে কাঁদতে কিন্তু পারে না। চারপাশে তাকায়,একটা পরিবার দেখলো,বাচ্চাটা খুব কাঁদছে,ওর বাবাকে রেখে ও যাবে না তাই!মা টা বাচ্চাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে,কিন্তু নিজের চোখ থেকেই অশ্রু ঝরছে!

এমন কতশত,মানুষ এখানে বন্দী হয়ে আছে,কেউ দোষ না করেও দোষী,কেউ মিথ্যে মামলায় সাজা পাচ্ছে। কতো পরিবার এই মানুষ গুলোর উপর নির্ভরশীল ছিলো,আজ তাদেরকে এখানে রেখে হয়তো নাবিলার মতোই একা একা বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছে। নাবিলার মনটা শান্ত হয়ে আসে... সে তো একা না,এমন অবস্থায় আছে আরো হাজার হাজার মানুষ। এমন অনেক নাবিলার স্বামী,ঐ বাচ্চার বাবা এখানে আটকা পরে আছে,তারাও অপেক্ষার প্রহর গুনছে ওর মতোই।

রিকশায় বসে নাবিল বোনের মুখের দিকে তাকায়,ভেজা মুখটা দেখে ওর বুকটাও ভারী হয়ে আসে। কিছু বলে না,শুধু মনে মনে দোয়া করে,খুব দ্রুতই যেনো বোনটার মুখে হাসি ফুঁটে উঠে...

বিষয়: সাহিত্য

১৯৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File