ইচ্ছে ঘুড়ি
লিখেছেন লিখেছেন নোমান সাইফুল্লাহ ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:২৫:২৯ রাত
একই সাথে মানুষ ইচ্ছাকে তৈরী করে আবার ভেঙ্গে ফেলে। ইচ্ছা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। বেঁচে থাকার জন্য ইচ্ছার প্রয়োজন। ইচ্ছার অধরা রূপকে বলি 'স্বপ্ন'। স্বপ্নের সাথে ঘুমের কোন সম্পর্ক নেই। স্বপ্ন সবসময় জাগ্রত চৈতন্যে ইচ্ছার রূপক পৃথিবী নির্মাণ করে।
ইচ্ছের স্বাধীনতা আছে ব্যাপক সীমাহীন কোন সীমান্তে দিগন্তে ইচ্ছেকে আগলে রাখা যায় না। এই স্বাধীনতা মানুষকে মানুষের পরিচয়ে পরিচিত করে। ইচ্ছের ফলশ্রুতিতে যা-ই ঘটুক এর দায়ভার সব সময় মানুষের উপর বর্তায়।
নিজের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে ইচ্ছেকে প্রকৃতির কাছে সমর্পিত করাও এক ধরণের স্বাধীনতা। ইচ্ছে শেষ পর্যন্ত এক ধরনের শূণ্যতা কারণ ইচ্ছের ভেতর মানুষ নিজেকে রূপান্তরিত করে। ইচ্ছে করতে হবে তাই মানুষ সব সময় ইচ্ছে প্রকাশ করে। এই প্রকাশ করাই হচ্ছে তার বেঁচে থাকার অবলম্বন।
কখনও অপরিচিত কোন দৃশ্য বা কোন মুখছবি দেখে মনে হয় কোথায় যেন দেখা হয়েছিল! আধো ঘুম ইন্দ্রজালিক পৃথিবীতে অচেনা কোন এক বিকেলে হারিয়ে যাওয়া, অচেনা কোন মায়াবী সন্ধ্যা, আলুথালু সকালে কুয়াশায় ভেজা প্রকৃতি দেখে মনে হয়েছিল কোথাও যেন আগে এমন ছবি দেখা হয়েছিল! কোথায় কোন পৃথিবীতে দেখেছিলাম! সেটা কি আত্মার সম্মিলত মহাজাগতিক পৃথিবী....অথবা ইচ্ছেরা স্বাধীন ভাবে আমাকে একা ফেলে রেখে হেঁটে বেড়ায় মহা-প্রকৃতির মাঝে প্রকৃতি হয়ে?
ইচ্ছেরা সব সময় অপূর্ণই থাকে। কখনও এমন হয় যে, কোন কিছুই ভাললাগেনা। বিপুল অপূর্ণতা ঘোরা ফেরা করে। আসলে পূর্ণতা বা অপূর্ণতা নয় মানুষ নিজেই নিজের মাঝে ইচ্ছার শূণ্যতাকে অনুভব করে। ভাল না-লাগাটা ভাললাগাকে বা প্রাপ্তিকে উপলব্ধি বা উদযাপনের বহিঃপ্রকাশ।
ইচ্ছের ঘুড়ি কখনও নাটাই বিহীন উড়তে পারে না
নীল দিগন্তে ঘুড়ি ডানা মেলতে হলে
একটি নাটাই এর প্রয়োজন হবে
সেই তুমি অনন্ত কাল থেকে
আমার নাটাই সুতো বেঁধে রেখেছ নিবিড় মমতায়
যখন আমি উড়তে-উড়তে আধাঁরের শেষ প্রান্ত স্পর্শ করি
তখন পেছনে তোমার নাটাইয়ে টান-টান পিছুটান অনূভব করি...
বিষয়: বিবিধ
৪৩৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন