বহুমুখী সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

লিখেছেন লিখেছেন প্রখ্যাপন ০২ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫৭:৩০ রাত

বহুমুখী সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির


: [এক]

সমাজ, সভ্যতা বিনির্মাণের ভবিষ্যৎ কারিগর ছাত্রসমাজ। ছাত্রসমাজের আদর্শিক সৌন্দর্য, দেশপ্রেম ও মানবতাবোধ অর্জনের উপর নির্ভর করে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভাল-মন্দ। আদর্শিক, নৈতিক, মানবিক ও দেশপ্রমিক তরুণের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক বেশি। আবার বাস্তব সমস্যার ভিড়ে নিজেকে সত্য ও সুন্দরের পক্ষে জাতির জন্য তৈরি করে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে উৎসর্গ করাও চাট্টিখানি কথা নয়। ক্ষয়িষ্ণু পৃথিবীর ধ্বংস লীলায় দাঁড়িয়ে কোন আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা উপন্যাস বা সিনেমার বুলি আওড়ানো নয়। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব করতে বসলে নিরন্তর হতাশায় অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে হয়। পারস্পরিক বিশ্বাসের ফাটল, আদর্শচ্যুতি, দুর্নীতি ও সা¤্রাজ্যবাদের কষাঘাতে জাতি আজ হতভম্ব, বাকরুদ্ধ ও অচলপ্রায়।

স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা পথে ছাত্রসমাজ যখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই দেশপ্রেমিক, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির প্রত্যয়ে আপোষহীন, দৃঢ়চিত্তে ইসলামী ছাত্রশিবিরের পথ চলা শুরু হয়। ৩৬ বছরে ছাত্রশিবির এই জাতিকে অনেক সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। এই সংগঠন মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এক দল দেশপ্রেমিক কর্মনিষ্ঠ তরুণ তৈরিতে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে ছাত্রশিবিরের অপ্রতিরোধ্য এগিয়ে যাওয়া ইসলামবিদ্বেষী, পেশী নির্ভর অপশক্তি ও দেশদ্রোহীদের সহ্য হয়নি। তাই সর্বশক্তি দিয়ে এর অগ্রযাত্রাকে ধুলোয় মলিন করতে এমন কোন চক্রান্ত নেই যার আশ্রয় তারা গ্রহণ করেনি। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রহত্যা, নিপীড়ন; ক্যাম্পাস বন্ধ করে ছাত্রসমাজকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তারা এই অকুতোভয় সংগ্রামী কাফেলার পথচলা রক্ত পিচ্ছিল করেছে । এই সংগঠনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও মিডিয়া আগ্রাসন চালানো হয়েছে যৌথভাবে। রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বোচ্চ অপব্যবহার করে ছাত্রশিবিরকে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। নানামুখী প্রতিবন্ধকতার কারণে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির কাজ সত্যিই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

তারপরও দেশের সকল দুর্যোগে ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে পথ চলেছে। স্বেচ্ছাচারী ফ্যাসিস্ট শাসকদের শোষণ, অবিচার রুখে দিতে প্রতিবাদী হয়েছে। আর তাই ক্ষমতালোভী সরকার ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করতে রাষ্ট্রের সকল শক্তিকে ব্যবহার করেছে। বর্তমান আওয়ামী জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ছাত্রহত্যা, নির্যাতনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। ছাত্রশিবির এর প্রতিবাদ করতে গেলে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। হারাতে হয়েছে এ সংগঠনের অনেক তাজা প্রাণকে।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অন্তঃকোন্দলে ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যাকা-কে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান। এ সময় হাজার হাজার ছাত্রকে অন্যায়ভাবে মাসের পর মাস কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ছাত্রত্ব হারিয়ে শিক্ষাজীবনের ইতি টানতে হয়েছে জাতির ভবিষ্যৎ কা-ারীদের। সন্ত্রাসের তা-বে তটস্থ হয়ে দেশের সকল মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরার আর্তি জানালেও তার কোন প্রতিকার, সুরাহা জাতির ভাগ্যে জুটেনি। যার ফলে দিন-দুপুরে রাজপথে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ এর মতো বিশ্বজিৎসহ অসংখ্য বনি আদমকে খুনের শিকার হতে হয়েছে। এখনও কেউ জানে না-এর শেষ কোথায়। সবাই আজ নিরুপায়, নির্বাক স্বাধীন জাতি!

ইসলামের অনুসারীরা তাদের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে নিজেকে কায়েম রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। দুনিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসীদের এই প্রাণান্তকর লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের পথ থেকে যারা বি”্যুত তারা হয় শয়তানের গোলাম, নতুবা সহযোগী। এই লড়াইয়ে যারাই লিপ্ত হবে তাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষমাণ। ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সত্য-ন্যায়ের দুর্জয় কাফেলা হিসেবে এই লড়াইয়ে অবতীর্ণ। আল্লাহর রঙ্গে যুবসমাজকে রঙিন করার যে স্বপ্ন নিয়ে এ কাফেলার যাত্রা হয়েছিল, সে যাত্রা পদে পদে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে। এরপরও শাহাদাত, গুম, পঙ্গুত্ববরণ, নির্যাতন ও এক সাগর রক্ত পেরিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছাত্রশিবির মঞ্জিলের পানে ছুটে চলছে।

১৯৭৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দেশের সঙ্কট মুহূর্তে রেখেছে জোরালো সাড়া জাগানো ভূমিকা। মেধা ও বুদ্ধির বিকাশে সহায়ক ভূমিকার পাশাপাশি দেশের চলমান সঙ্কটপূর্ণ সময়ে এই সংগঠনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য ভূমিকার কারণে ছাত্রশিবিরকে নিয়ে দেশবাসী নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। এতে কেঁপে উঠেছে ইসলাম বিরোধী স্বৈরাচারীর প্রেতাত্মা। এ সংগঠনকে রাষ্ট্রীয় নানামুখী সন্ত্রাসের যাঁতাকলে পিষে নিস্তব্ধ করতে চলে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা দেলোয়ার হোসেনের ওপর।

মূলত কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার আন্দোলনকে দমাতে চেয়েছে। কিন্তু গ্রেফতারের পর আন্দোলন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রশিবির শুধু নেতৃবৃন্দের মুক্তি আন্দোলনকে তীব্র করে ক্ষান্ত হয়নি বরং স্বৈরশাসকের পিঞ্জির থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ফুঁসে উঠেছে। এ জন্য চরমমূল্যও দিতে হয়েছে সংগঠনের নেতাকর্মীদের। শাহাদাত, পঙ্গুত্ববরণ হয়েছে এ সংগঠনের নিত্য দিনের সঙ্গী। তবুও এক মুহূর্তও ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য থেকে টলানো যায়নি। বরং এসব ত্যাগ-তিতিক্ষা চলার পথের অদম্য শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। মানুষের ভালবাসা, সহযোগিতা ও আল্লাহর রহমত ছিল এ আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি। আল্লাহর উপর অস্থা, বিশ্বাস রেখে এ আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যদি তাদের যাত্রা মঞ্জিলের দিকেই অব্যাহত রাখতে পারে, বিজয় তাদের হবেই।

রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানের অন্যতম রক্ষাকবচ। সে রক্ষাকবচ যখন উল্টো নিরাপত্তাকে চরমভাবে লঙ্ঘন করে তখন নাগরিকের আশ্রয়স্থল বলতে কিছইু থাকে না। দেশের আগামী প্রজন্ম যদি প্রতিনিয়ত সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায় বেড়ে উঠে, তবে এই প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে? বিগত পাঁচটি বছর ছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের জন্য দুঃসহ যাতনার বছর। এই সময়ে এ কাফেলার লাখো তরুণকে হাজারো মামলায় আসামী করা হয়েছে। অনেক তরুণকে ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া করেছে পুলিশ প্রশাসন। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে করারুদ্ধ করা হয়েছে। রিমান্ডের নামে নির্মম নির্যাতন করে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে শতাধিক শিবির নেতাকর্মীকে। শিবির সন্দেহে গ্রেফতারকৃত অসংখ্য ছাত্রের জীবনেও নেমে এসেছে দুঃসহ কালো মেঘ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংঘটিত যে কোন ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের জড়িয়ে মামলা দায়ের, নির্যাতন ছিল পুলিশের নিয়মিত কর্মসূচি। আওয়ামী লীগ ও এর সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠন কর্তৃক খুন ও নির্যাতনের হয়ে থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে অপদস্ত হয়েছে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার। আমার জানা নেই- চলতি সরকারের আমলে বিরোধী দলের কোন অভিযোগ কোন থানা গ্রহণ করেছে কী না।

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের জনস্বার্থবিরোধী কর্মকা-ের প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। সে প্রতিবাদ মিছিলে যদি বিনাকারণে লাঠি চার্জ, টিয়ারশেল, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়, রাবার বুলেট ছুঁড়ে ও নির্বিচারে গুলী করে নাগরিকদের হত্যা করা হয় তাহলে গণতন্ত্রের ফাঁকা বুলি আওড়ানোকে নিরেট জঘন্য ভ-ামি ছাড়া আর কী বলা যায়? রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত কোন দলের নেতা-কর্মীদের থানায় অথবা জেল হাজতে নিয়ে চোখ তুলে নেয়া, পায়ে-হাতে গুলী করে পঙ্গু করে দেয়া ও গ্রেফতার বাণিজ্যের ভয়াবহতা আজ দেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিককে ভাবিয়ে তুলেছে। প্রশাসনের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ কারো জন্যই শুভ হতে পারে না।

পুলিশের কিছু কর্মকর্তার আচরণ দেখে মনে হয় তারা এ পেশায় না এসে রাজনীতি করলেই ভাল করতেন। যে কোন দেশের পুলিশ প্রশাসন অপরাধীদের দমন করতে চেষ্টা করে। তাহলে কি বলবেন ছাত্রশিবির অপরাধী ছাত্রসংগঠন? পুলিশ তো ভাল করেই জানে ছাত্রশিবির কোন অপরাধী সংগঠন নয়। এরপরও তাদের এ ধরনের নির্লজ্জ আক্রমণাত্মক ভূমিকার কারণ কী?

মূলত চারটি কারণে পুলিশ এ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। প্রথমত তারা রাজনৈতিক চাপে এ ধরনের আচরণ করে। দ্বিতীয়তঃ ক্ষমতাসীনদের খুশি করে নিজের আখের গোছানোর চেষ্টা। তৃতীয়ত নিজের রাজনৈতিক মনোবৃত্তি পূরণের জন্য প্রশাসনের ছদ্মাবরণে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। চতুর্থতঃ নতুন কোন শক্তি যাতে বেড়ে উঠতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। সা¤্রাজ্যবাদীদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলনকে দমনের অংশ হিসেবেই আজ পুলিশের এ মহড়া চলছে। বিনা দোষে দোষী সাব্যস্ত করে মামলা জুড়ে দিয়ে হয়রানি ও গ্রেফতার করাই এখন পুলিশ প্রসাশনের মূল দায়িত্ব। চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানী সৃষ্টিকারীদের দমনের প্রচেষ্টা বলতে গেলে শূন্যের কোঠায়। প্রশাসনের সাথে সন্ত্রাসী গডফাদারদের সুসম্পর্কেরও যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি দেশ ও জনগণের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। রাজনৈতিক দেউলিয়া হয়ে যারা বেপরোয়াভাবে পুলিশকে বিরোধী দল দমনের কাজে লাগাচ্ছে, তারা অপরিণামদর্শী। এর ফল কী হতে পারে, তা তারা ভাবেন না। এ কারণে সরকার পরিবর্তন হলেও পলিসির কোন পরিবর্তন হয় না। অধিকাংশ শাসকরা হয়ে উঠে বেপরোয়া। তারা ভুলে যায় তাদের নির্বাচনী ইসতিহার।

মানুষের আশ্রয়ের শেষ ভরসাস্থল হল আদালত। আদালতের প্রতি সকল নাগরিকের শ্রদ্ধা থাকা খুবই ন্যায়সংগত ও যৌক্তিক। কিন্তু সেই আদালত যখন অপরাধীদের পক্ষাবলম্বন অথবা নির্দোষ নাগরিককে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে, তখন কি এর প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ থাকতে পারে? বিগত পাঁচ বছরে ছাত্রশিবির নানাভাবে অবিচারের শিকার হয়েছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর রিমান্ড ছিল অনেকটা বাধ্যতামূলক। আর সেই রিমান্ডে শত শত শিবিরকর্মীকে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। এক সময় জানতাম আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধীদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আর এখন? রিমান্ড প্রতিটি মামলায় মঞ্জুর হয়। মনে হয় ছাত্রশিবির করাই তাদের অপরাধ। আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে কোন নাগরিকের রিমান্ড এর নিয়ম না থাকলেও শুধু ছাত্রশিবিরের সমর্থক হওয়ায় অনেক কিশোর-তরুণকেও দিনের পর দিন রিমান্ডের যাতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছে। জামিন পাওয়ার পর বিনা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট করা হয় অধিকাংশ নেতাকর্মীকে। অনেক সময়ই পুলিশ বাণিজ্য করার লক্ষ্যে এসব ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে। এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মানসিকভাবে পর্যুদস্ত করার জন্য অনিয়মই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সংগত কারণে প্রশ্ন জাগে, এমন গর্হিত কাজের পরেও যদি দেশের আইন-আদালতের কোন পদক্ষেপ না থাকে, তাহলে দেশে আইন-আদালত বলতে কিছু থাকা প্রয়োজন বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না । নিরুপায় হয়ে বলতে হয়- বর্তমানে আইন আদালত হল দুর্বল, নির্যাতিত ও নিরপরাধ মানুষের নির্যাতনশালা।

চলবে...............................

বিষয়: বিবিধ

১৫৯০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

158490
০৩ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৭
গেরিলা লিখেছেন : ছিবির ভাই যেভাবে রগ কাটে, আললাহ
158510
০৩ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৬

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7218

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> যমুনার চরে লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File