শিরোনামহীন
লিখেছেন লিখেছেন ইক্লিপ্স ০৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৪৯:৫৬ রাত
একটু একটু করে রাত বাড়ে। ঘন আধাঁরটা আরো ঘনীভূত হয় এই শুন্যতা জুড়ে। ঝিঁ ঝিঁ পোকারাও হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছে রাতের উষ্ষ বুকে। ভাবি কবে শীতল হবে এই অশান্ত দুটি চোখ?
ওরা কি যেন এক উত্তর খুঁজে ফেরে। উত্তর খোঁজে রাতের কাছে, কখনো আবার প্রশ্ন করে শুন্যতা কে। বলো তো ধরিত্রী যখন হয় শান্ত এমন কি সর্বশান্ত, কেন শীতল হয় না আমার দুটি চোখ? ওরা কেন গর্জন করে, ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়ে আমার হৃদয় জুড়ে? কেন ছল ছল হয়ে বার বার বলে আমি তো আর কোন দিন ঐ চোখে রাখবো না দুটি চোখ। আমি তো আর কোন দিন ঐ বুকে ভালোবেসে রাখবো না মাথা! এ জগতে নাকি সবই অভিনয়।
ভালোবাসা? সে তো ছলনাময়ীদের হাতের নাটাই। যেভাবে খুশি উড়াবে, নাঁচাবে যেভাবে খুশি। আর সে নেঁচে যাবে তা থৈ থৈ। ঠিক রাস্তা পাশের নোংরা ডোবার মত। যার কোন গভীরতা নেই। আছে কেবলই নোংরা জল!
বিষয়: বিবিধ
৯৬০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শিরোনামহীন লিখেছেন লিখেছেন ইক্লিপ্স ০৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৪৯:৫৬ রাত
এতকাল পর
আমরা ভালবাসা মানে আজ বুঝি: একটু বয়স হলেই পাশ্চাত্যের অনুকরনে গার্ল ফ্রেন্ড বয় ফ্রেন্ড জুটানো, ভালবাসার নাম দিয়ে অবিবাহিত নারী পুরুষের মাঝে জেনা,ব্যভিচারের সম্পর্ক তৈরী করা- এটাই হল ভালবাসা। এটাকে ভালবাসা বলেনা, বলে শয়তানের ধোঁকা। ডাক্তারি ভাষায় বললে: you are not in love, you are hormonal. ভালবাসা এমন এক অনুভব বা রিলেশন যা আল্লাহ প্রদত্ত মহান নেয়ামত যা মুখের কথায় বা গায়ের জোড়ে কোন মানুষের পক্ষে আদৌ সম্ভব না তৈরী করা।
কুরআনে আল্লাহ জানাচ্ছেন, আল্লাহই মা বাবার মনে সন্তানের প্রতি মায়া-মমতা-ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন।
ভাবুন তো, আপনার বাবা মায়ের কিসের ঠেকা পরেছে যে আপনার হাজারটা খারাপ ব্যবহার পাবার পরেও আপনার জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করার? আপনার হাজারটা আবদার পুরণ করার?? আপনার পেছনে ব্যয় করে কি লাভ? ভবিষ্যৎে বৃদ্ধ বয়সে আপনি যে তাদের দেখাশুনা করবেন, তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে? এই টাকা ব্যাংকে ফেলে রাখলেও প্রতি মাসে বড় অংকের এমাউন্ট তারা মুনাফা পেতেন। সেই মুনাফার টাকায় গাড়ি, বাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ আরো কত শখ পুরণ করতে পারতেন!! কিন্তু তারা সেটা না করে পুরোই লস প্রজেক্ট আপনার পেছনে ব্যয় করছেন। এটা কি বোকামি না? আর এই বোকামিটাই হল ভালবাসা যা আল্লাহ প্রদত্ত টান। মুখের কথায় এসব প্রতিষ্ঠা করা যায়না। গায়ের জোড়ে বা মুখের কথায় আপনার মত আনাড়ির জন্য কেউ একটা টাকাও ব্যয় করবেনা। রাস্তায় ফকিরগুলো যখন দুই টাকার জন্য হাত পাতে, আপনি কয়জনকে দান করেন? এজন্যই ইসলাম এসব মুখের জোড়ে বানানো প্রেমের ভালবাসায় বিশ্বাস করেনা, বলে, বিয়ের কথা কারণ হাজবেন্ড ওয়াইফের মাঝে ভালবাসা আল্লাহই সৃষ্টি করে দেন, তার জন্য ৫ বছর প্রেম করে ভালবাসা জন্মানো লাগেনা, চরিত্রকে বিসর্জন দিতে হয়না। ভাই বোন, মা বাবা, মামা, ফুফু, চাচা, খালা, দাদা, দাদি, নানা নানি এই সম্পর্কগুলো মাথায় আসলেই আমাদের মনে একটা জিনিস কাজ করে তা হল,তাদের প্রতি ভালবাসা এটা মানুষ সৃষ্টি করতে পারেনা এসব আল্লাহ প্রদত্ত কাউকে মা ডাকলেই তার জন্য মায়ের প্রতি মানুষের স্বভাবজাত যে ভালবাসা, মায়া, মমতা থাকে তা এসে যায়না কারণ মানুষ ভালবাসার সৃষ্টিকর্তা নয়। একজন নারী ও একজন পুরুষ যখন আল্লাহকে খুশি করার জন্য বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং আল্লাহকে খুশি করার জন্য তার সঙ্গীটির প্রতি তার অর্পিত খোদায়ী দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন তখন পরস্পরের মাঝে আল্লাহই ভালবাসা নামক আবেগটি প্রদান করেন।
এটা আমার একটা ব্লগ পোস্টের মাঝের কিছু অংশ কপি পেস্ট করলাম ইদানিং লিখালিখি করতে আলসেমি লাগে। হাহা
মন্তব্য করতে লগইন করুন