Good Luckগল্পঃ খুনসুটির মায়াজাল

লিখেছেন লিখেছেন ইক্লিপ্স ২৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:৩০:২৪ বিকাল



হাসপাতালে সব থেকে আলাদা এই রুমটা। সারি করে মোট দশটা বিছানা পাতা। প্রায় প্রতিদিনই একেকটা বিছানা খালি হচ্ছে। একেকজন মানুষ মরে গিয়ে শুন্য করে দিয়ে যাচ্ছে বিছানাগুলো। আবার কয়েক ঘন্টার মধ্যের সেই বিছানা দখল করে নিচ্ছে আরেকজন। সেও মরে যাচ্ছে। ভাগ্য ভালো হলে দু একজন কেবল বেঁচে উঠছে। এই ঘরটার নাম বাবলী রেখেছে মৃত্যুপুরী। প্রতিদিনই কোন না কোন আগুনে পুড়া মানুষ তার কাবাবের মত ঝলসানো শরীর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। বেশির ভাগই মারা যাচ্ছে।

এই রুমে বাবলি আছে আজ প্রায় এক সপ্তাহ হল। নিত্যদিন স্মৃতিতে যোগ হচ্ছে ভয়াবহ কোন স্মৃতি। তবুও দাঁতে দাঁত চিপে সব সহ্য করে যাচ্ছে। কিছু সময় থাকে মানুষকে অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়। এটিও সেই অগ্নি পরীক্ষার সময়। গত সপ্তাহে তার মা বেগম নুর জাহান আগুণে পুড়ে ঝলসে গেছে। ডাক্তার জানিয়েছে তার শরীরের সাইত্রিশ পারসেন্ট পুড়ে গেছে। এমন রোগীরা বেশির ভাগ সময় বাঁচে না। এ কথা শুনে সে আর তার বড় ভাই বাবলা খাম্বার মত খুঁটি গেড়ে দাঁড়িয়েছে তার মায়ের পাশে। যে যাই বলুক তারা তাদের কর্তব্য পালন করে যাবে। মায়ের সেবায় কোন কমতি রাখা চলবে না। মাকে সারিয়ে তুলতে হবে।

গত এক সপ্তাহ রাতে ঘুমায়নি বাবলি। দিনেও খুব একটা ঘুমানোর সুযোগ পায় না। গতকাল একটু চোখ বুজেছিল এমন সময় শোনে ডাক্তারের কন্ঠ,'' এই রোগীর ডায়াবেটিস আছে। সিস্টার জলদি ইনসুলিনের ব্যবস্থা করো।'' বাবলি লাফ দিয়ে উঠে বলেছে ,''না না আমার আম্মার ডায়েবেটিস কখনোই ছিল না। এখন হবে কেমন করে?''

ডাক্তার কন্ঠে বিরক্তি নিয়ে বলে,'' আপনার আম্মার ডায়াবেটিস আমি বানায় দেইনি মেডাম। এটা রিপোর্টে এসেছে।''

বাবলির সব ঘুমে উবে গেছে। সে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে দেখে রিপোর্টে কুঁড়ি উঠে আছে। সে আবার প্রতিবাদ করে ,''আমার আম্মার ব্লাড সুগার এত না ডাক্তার। এই রিপোর্ট ভুল।''

সে ফোন করে তার ভাই বাবলাকে ডাকে,'' বাবলা এসে আবার আম্মার ডায়াবেটিসটা চেক করে নিয়া আয়।'' বাবলা গিয়ে চেক করিয়ে আনে। বাবলি আর বাবলা পিঠেপিঠি ভাই বোন। বাবলা বয়স চল্লিশ আর বাবলির আটত্রিশ। প্রায় এক বয়সী হওয়াতে বাবলি তাকে নাম ধরেই ডাকে।

বাবলা গিয়ে পরীক্ষা আবার করিয়ে আনে। এবার রিপোর্ট ঠিক এসেছে। তার আম্মার ডায়াবেটিস নেই। প্রথম রিপোর্ট অন্য কারো রিপোর্টের সাথে গুলিয়ে গিয়েছিল।

হাসপাতালে রোজ এমন কোন না কোন ঘটনা ঘটেই চলেছে। সে আর তার ভাই বাবলা অনবরত ছুটোছুটির করে সমস্যাগুলোর সমাধান করছে। ঘর সংসার ফেলে বাবলা বলা যায় হাসপাতালেই পড়ে আছে। তবুও রোজ তিনবার তাকে বাড়ি যেতে টিফিনবাটিতে করে খাবার জন্য। এর মধ্যে কয়েকবার তার স্ত্রী হনুফার সাথে তার ঝগড়া হয়ে গিয়েছে। সকাল দুপুর রুটি বানাতে পারলেও রাতে বানাতে বিরক্ত সে। গতকাল বাবলার মুখের উপর বলে দিয়েছে ,''দোকান থেইকা পাউরুটি কিন্না নিয়া যাও। আমার কোমড়ে ব্যাথা। রুটি বেলতে পারুম না।''

বাবলাও সমান তেজে বলেছে,''আমার মা মৃত্যু শয্যায় আর তুমি কয়টা রুটি বানায় দিতে পারবা না? তুমি মানুষ না। অমানুষ! ''

স্বামীর ধমক খেয়ে হনুফা ককিয়ে বলেছে,'' তোমার মায়ের ঘরে গেলে তার বিছানাতে পর্যন্ত আমার ছেলেটারে উঠতে পর্যন্ত দেয় না। সেইদিন পোলাটা দৌড়ায় উইঠা পড়ল বইলা তারে গাইল পারল ছুত আলা বুড়ি।''

বাবলা আর কথা বাড়ায় না। এখন ঝগড়ার করার সময় তার হাতে নেই। আর এগুলো তাদের বাড়ির নিত্যদিনকার ঘটনা। তার মা নূর জাহান বেগমের ছুঁচি বায়ু রোগ আছে। তিনি তার বিছানায় কারো উঠা পছন্দ করেন না। এমন কি নিজের ছেলে মেয়ে নাতীদেরও না। অথচ বাবলার ছেলে দুটো সুযোগ পেলেই লাফ দিয়ে যেয়ে দাদীর বিছানায় গিয়ে উঠে বসে। আর বৃদ্ধা চিল্লাপাল্লা শুরু করেন। এ নিয়ে হনুফাও মনে মনে ফুসতে ফুসতে থাকে। মাঝে মাঝে উত্তরও দিয়ে দেয় ,'' একটু বিছানায় উঠছে তো কি হইছে? ছোট মানুষ বোঝে বইলাই তো উঠে। যদি বুঝতো ওদের দাদী এমন তাইলে জীবনেও উঠতো না।''

আর ওমনি শ্বাশুড়ি বউয়ে মুখ কালাকালি,কথা বন্ধ দুদিন। তারপর আবার নিজেরাই কথা বলবে। তিন দিনের বেশি কারো সাথে কথা বন্ধ করে থাকা ঠিক না।

বাবলি আজ সাত বছর হয় মায়ের সাথে থাকে। স্বামী ভাগ্য তার হয়নি। বিয়ের দুবছরের মাথায় স্বামী রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে। তারপর তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে এসেছে বাবার বাড়ি। স্বামীর মায়ায় আর দ্বিতীয় বিয়ের দিকে পা বাড়ায়নি। এ নিয়েও নূর জাহান বেগমের চিন্তার কমতি নেই। মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য পীড়া দিতে গিয়ে অহেতুক কথায় মেয়ের সাথেও বেঁধে যায় ঝগড়া। এভাবেই পারিবারিক খুনসুটিতে চলে তাদের সংসার।

বাবলার খাবার নিয়ে হাসপাতালে পৌছাতে পৌছাতে রাত দশটা বেজে যায়। বাবলি দুধের সাথে রুটি ভিজিয়ে মাকে খাওয়াতে গেলে তিনি ফিরিয়ে দিয়ে তীক্ষ্ণভাবে লক্ষ্য করেন মেয়ের হাতের দিকে ,''কিরে বাবলি হাত ঠিকমত ধুইছিস তো?

-জ্বী আম্মা ধুইছি।

-কয়বার ধুইছিস?

-আম্মা পাঁচ বার ধুইছি। দুইবার ডেটল আর স্যাভলন দিয়ে, তিন বার সাবান দিয়ে।

-সত্যি ধুইছিস? নাকি মিথ্যা বলিস আমার সাথে?

-আম্মা আপনার এত সন্দেহ করা স্বভাব বাদ দেন তো।

মেকি রাগ করার ভান করে বাবলি। তবে মনে মনে খুশিও হয়। তার মা বোধয় কিছুটা সুস্থ হয়েছে। এখন আবার আগের মত সন্দেহ করা শুরু করেছে। এই কদিন তো একদম লাশের মত প্রতিক্রিয়াহীন ছিল। আগে বাসায় খাওয়ার আগে সে পাঁচ বার হাত ধৌত করতো। বাবলি এতবার ধৌত করতে চাইতো না বলে সে তার হাতের রান্না করা খাবার খেতে চাইতো না। বাসায় এই স্বভাব নিয়ে বিরক্ত হলেও এখন বাবলি স্বস্তি বোধ করছে।

কিন্তু তার স্বস্তি বেশিক্ষণ টিকলো না। রাত বারোটার দিকে হঠাৎ তার মায়ের শ্বাস কষ্ট উঠেছে। এ সময় ডাক্তার বা নার্স কেউ নেই। বাবলিই দৌড়ে গিয়ে পাশের রুম অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসে। তার মায়ের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এই বুঝি মারা যাবে! আর এত রাতে মারা গেলে লাশ নিয়ে কি করবে সে ভেবে অস্থির। বাবলাও সাথে নেই। আজ সারাদিন অনেক খেটেছে সে। রাতে মায়ের অবস্থা একটু ভালো দেখে বাসায় ঘুমাতে গেছে। আর আজ রাতেই এই অবস্থা!

হঠাৎ পাশের কেবিন থেকে কান্নার সুর ভেসে আসে। ওখানে কেউ একজন মারা গেছে। বাবলি দরজা ভিড়িয়ে দেয়। কান্নার শব্দ যেন এই রুমে না আসে। আসলে তার মা ভয় পেয়ে যাবে। তখন আবার শুরু হবে নতুন মসিবত। এমনিতেই রাতের হাসপাতালকে গোরস্থানের মত মনে হয় বাবলির কাছে। সাধারণ কাজগুলো করতে গেলেও কেমন যেন একটা ভয় চেপে ধরে।

সারা রাত এক ফোটা ঘুমাতে পারে না বাবলি। সকালে দিকে তার মায়ের অবস্থা একটু ভালো হলে চোখ লেগে আসে তার। চেয়ারের হেলান দিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে সে। এমন সময় পাশের বেডে শুরু হয় আরেক মহিলার আহাজারি। তার ছেলে মারা গেছে। ওয়ার্ডবয় নার্সরা জলদি লাশ সরিয়ে নিয়ে ঐ বেডে আরেকজন পোড়া রোগীকে এনে শোয়ায়। বাবলি তার মায়ের দিকে তাকায়। বিঘোর ঘুমে মগ্ন তিনি। তাকে ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে।

ঘন্টা দুয়েক পর ঘুম থেকে উঠে নুর জাহান বেগম জিজ্ঞাসা করেন -''কিরে বাবলি পাশের বেডের ছেলেটা কই? আমি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখলাম ও মারা গেছে। ওর মা কান্নাকাটি করতেছে।''

-কি বলেন আম্মা? ওতো সুস্থ হয়ে গেছে। ওর মা ওরে বাড়ি নিয়ে গেছে।

-আমারে মিথ্যা কথা কইস না বাবলি। নুর জাহানের কন্ঠে অবিশ্বাস।

- আমি মিথ্যা কথা বলি? আপনি নার্সদের জিজ্ঞাসা করেন।

নার্সরাও তাকে একই কথা বলল। ছেলেটা সুস্থ হয়ে গেছে। তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রোগীদের সাথে এমন অভিনয়ে তারা অভ্যস্থ।

প্রায় দুমাস অক্লান্ত খাটুনির পর মাকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি নিয়ে যায় বাবলা বাবলি। আবারো মান অভিমান হাসি খুশি, ক্ষনিকের দুঃখ খুনসুটিতে মেতে উঠে তাদের পরিবার। আর এভাবেই ভালোবাসা আর মায়ায় জড়িয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে ভালোবাসার বন্ধনগুলি। আর মানুষ হয়ে পড়ে খুনসুটির মায়া জালে আবদ্ধ।

বিষয়: বিবিধ

১৯৫২ বার পঠিত, ৫৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

287602
২৪ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
231340
ইক্লিপ্স লিখেছেন : রেডিমেড জবাবের ব্যবস্থা নেই কেন! Crying Crying
287603
২৪ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৫
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আসলেই এভাবেই ভালোবাসা আর মায়ায় জড়িয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে ভালোবাসার বন্ধনগুলি।
অনেক ভালো লাগলো।
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
231343
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ধন্যবাদ প্রিয়ন্তী আপু। আপনার অনুপ্রেরনা ভালো লাগল।
287604
২৪ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৫
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : অনেক সাবলীল ভাবে গল্প বলতে পারেন আপনি। ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
231344
ইক্লিপ্স লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে অনুভুতি রেখে যাবার জন্য।
287608
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৫
ফখরুল লিখেছেন : ভাল লেগেছে, মনে হচ্ছে জীবন থেকে নেওয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। Rose Rose
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
231345
ইক্লিপ্স লিখেছেন : সত্যি জীবন থেকে নেয়া।

অজস্র শুভেচ্ছা রইল।
287609
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩
ভিশু লিখেছেন : খুব ভাল্লাগ্লো। বাব্লাটা কোত্তো ভালো দেক্সেন? বাব্লিটাও। কিন্তু আরেকটা বিয়ে করলে কি হয়?
এবারো ২১-এ আপনার ১টা বই বের করুন্না ইকিদি, প্লিজ।
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
231346
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ভালুবাসার টানে মনে হয় আরেকটা বিয়ে করে নাই।বাব্লিই ভালো জানে!Worried

আর ২১ এ কি হবে ১৪ তে বুঝতে পারছি নাDon't Tell Anyone
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫২
231347
ভিশু লিখেছেন : বইমেলার কথা বুঝিয়েছি... Rolling Eyes Happy
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
231349
ইক্লিপ্স লিখেছেন : বুচ্চি তো Talk to the hand Talk to the hand
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০০
231350
ভিশু লিখেছেন : ওহ! তাহলে কবে কি হচ্চে, হতে যাচ্চে...জানাইয়েন কিন্তু...দুয়া করতে হবে না? Sad
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
231353
ইক্লিপ্স লিখেছেন : দুয়া করতে থাকুন। হবে ইনশাআল্লাহ Don't Tell Anyone
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৩
231355
ভিশু লিখেছেন : Broken Heart আচ্ছা... Praying Praying Praying
Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone
287626
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এভাবেই খুনসুটিতে ভরে থাকুক বাবলিদের জীবন....
ইকি আপুও এমন টুনখুসি সরি খুনসুটি করে নাকি?
Smug ????
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
231356
ইক্লিপ্স লিখেছেন : এই সব কিছু নিয়েই মানুষের জীবন<:-P
287638
২৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৯
ক্ষনিকের যাত্রী লিখেছেন : খুনসুটির গল্প বেশ ভালো লাগলো। Happy Thumbs Up Thumbs Up
২৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪৭
231399
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
287670
২৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : "অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ন ফ্রনট" উপন্যাসেও এই ধরনের একটা মৃত্যুঘর এর ঘটনা ছিল। একজন যেখান থেকে বেঁচে ফিরেছিল। মানুষ বেঁচে থাকে মানুষের জন্যই

গতিশিল মর্মস্পর্শি গল্পটির জন্য ধন্যবাদ।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০১
231820
ইক্লিপ্স লিখেছেন : প্রিয়জনরা পাশে দাড়ালে মানুষ অনেক কঠিন মুহূর্তও গুলো জয় করে আসতে পারে। এটিই এসব গল্পের মর্মকথা।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
287672
২৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৩
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : প্রতিদিনই কোন না কোন আগুনে পুড়া মানুষ তার কাবাবের মত ঝলসানো শরীর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে।***
পুড়া মানুষের দেহ কাবাবের সাথে তুলনা করায় এখন থেকে কাবাব খেতে বিব্রোতবোধ করবো...গল্পটি ভাবিয়েছে অনেকক্ষন... পিলাচ পিলাচ পিলাচ
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪১
232126
ইক্লিপ্স লিখেছেন : হুম Crying Crying Crying

শুভেচ্ছা জানবেন
১০
287674
২৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : বার্ণ ইউনিটের এইসব এক্সটেন্সিভ ড্রেসিং কি আপনারা করেন , নাকি মেল ডক্টররা করে ? নাকি ওয়ার্ড বয়রাই ভরসা?

সামন্ত স্যারের সৈন্য সামন্ত কি ঠিক ঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হচ্ছে ?
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
232127
ইক্লিপ্স লিখেছেন : আমরা ছোট মানুষ। এত ভয়াবহ কাজ এখনো করতে হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ। আর সামন্ত স্যারকে চিনতে পারলাম না।
১১
287690
২৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৯
ফেরারী মন লিখেছেন : আর এভাবেই ভালোবাসা আর মায়ায় জড়িয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে ভালোবাসার বন্ধনগুলি। আর মানুষ হয়ে পড়ে খুনসুটির মায়া জালে আবদ্ধ।

ভালো লাগলো খালাম্মা। Tongue
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
232128
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ধন্যবাদ মামী Talk to the hand Talk to the hand
১২
287726
২৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৫৫
শেখের পোলা লিখেছেন : একটু ভয় সামান্য দুশ্চিন্তা, কিছু খুনসুটি আর ছুঁচি বাইয়ের জয় নিয়ে বেশ ভাল লাগল৷ ধন্যবাদ৷
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
232129
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ Good Luck
১৩
287751
২৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০৬
সত্যের ডাক লিখেছেন : ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৫
232130
ইক্লিপ্স লিখেছেন : আপনাকেও Good Luck Good Luck
১৪
287772
২৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : সবালিল সোজাসাপটা বর্ননায় চমৎকার একটা গল্প পড়লাম...ভালো লাগা রেখে গেলাম।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৬
232131
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অনেকদিন পর আমার ব্লগে আসলেন! শুভেচ্ছা রইল।
১৫
287815
২৫ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : জানুয়ারি-ফ্রেবুয়ারিতে হাসপাতালে কাটানো দিনগুলোর কথা মনে হতেই শিউরে উঠি।.........
চমৎকার প্রেজেন্টেশন, সরাসারি হার্ট টার্চং।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
232134
ইক্লিপ্স লিখেছেন : হাসপাতালে ছিলেন! শুনে খারাপ লাগল। নিয়মিত স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন কেমন। ভালো থাকুন।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৯
232204
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আমি ছিলাম না। আব্বু এডমিটেড ছিলো। তার সাথে আমাকেও থাকতে হতো।
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৮
232489
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ওনার জন্য দোয়া রইল।
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
232493
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আব্বুর মাগফিরাতের জন্য দুআ করবেন। উনি এখন আল্লাহর কাছে রয়েছেন।
আমার আব্বু........
১৬
287915
২৫ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
আবু ফারিহা লিখেছেন : ভালো লাগলো অাপু বাস্তবতার ছোঁয়া মিশ্রিত ছোট্র গল্পটি।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
232136
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আবু ফারিহা ভাইয়া
১৭
287997
২৫ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩২
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : খুব সুন্দর লিখা ,পড়ে ভালো লাগলো
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
232137
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
১৮
288136
২৬ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৪১
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : কটা অতি সত্য কথা বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ। একজনের রিপোর্ট দিয়ে অন্য জনের ট্টিটমেন্ট করা। বাংলাদেশে এই রকম হরহামেশা হয়। আচ্ছা ডাক্তারেরা কি আর একটু কেয়ারফুল হতে পারে না? একটা মানুষের জীবন মরন নিয়ে ওদের আর একটু সিরিয়াস হওয়া উচিত।
আমার একবার হসপিটাল থাকতে হয়েছিল এখানে একটা অপারেশনের জন্য। নার্সকে কে ঔষুধ খাওয়ানোর সময় দেখতাম আমার হাতে বাঁধা আইডি কার্ডের সাথে আমার নাম,D.O.B মিলি্যে দেখছে, আবার সাথে সাথে আমাকে আ্যস্ক করছে আমার ডিটেইলস। শুধুমাএ কনর্ফাম হওয়ার জন্য যে, ঔষুধটা সঠিক রোগীখে খাওয়ানো হচ্ছে কিনা। অথচ ঐ নার্স কয়েক ঘন্টা আগে ও আমাকে ঔষুধ দিয়েছিলো।
আশা করছি ডাঃ হাতুড়ে একজন সত্যিকার মানব প্রেমিক পেশাদার ডাক্তার হবেন।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫২
232138
ইক্লিপ্স লিখেছেন : রিপোর্টের ভুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার করে। ডাক্তাররা না। আর রাজনীতির জন্য অনেক অযোগ্য লোক আজকাল তো সব জায়গাতেই যাচ্ছে! কি আর করা!Crying Crying
১৯
288156
২৬ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৩
জোনাকি লিখেছেন : আপনার গল্প লেখার হাত ভালো।মাশাল্লাহ।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৩
232139
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ধন্যবাদ জোনাক পোকা।
২০
288625
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫০
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনার হাত আরো সুপ্রসারিত হোক এই দোয়া!
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৮
232490
ইক্লিপ্স লিখেছেন : এইভাবে দোয়ায় সাথে রাখুন।
২১
288676
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৩৯
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এমন সন্তান আল্লাহ সবাইকে দিন Praying
লেখিকাকে আল্লাহ লেখায় বারাকাহ দিন Praying
Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৯
232491
ইক্লিপ্স লিখেছেন : সব সময় দোয়া করবেন আপু
২২
293779
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২৯
নিশা৩ লিখেছেন : হাসপাতালেও এত সতর্ক থাকতে হয় নিজেদের! এটা অত্যন্ত দু:খজনক। ধন্যবাদ গল্পের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
২৯ মে ২০১৬ রাত ০২:৩২
307340
ইক্লিপ্স লিখেছেন : <:-P <:-P
২৩
304189
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:১৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার গল্পগুলো খুবই দারুন। ভাল লাগল
২৯ মে ২০১৬ রাত ০২:৩২
307339
ইক্লিপ্স লিখেছেন : Winking) Winking) Good Luck
৩১ মে ২০১৬ সকাল ১০:২০
307444
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এতকাল পর !!!!
২৪
353944
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এক বোনের মন্তব্য, "ভাইয়া, আমার কাছে মনে হয়, এই ব্লগটা এখন অর্ধ মৃত"। তিনি যথার্থই বলেছেন, আপনাদের সম্মিলিত অনুস্পস্থিতি বিডিটুডের ভবিষ্যৎ নিয়ে পাঠকদের খুব ভাবাচ্ছে। আগের সেই সরগরম অবস্থা এখন আর নেই, এ আসেনা, ও আসেনা, সে আসেনা, তাই আমারও আসতে ভালো লাগে না, অতঃপর নিরুত্তাপ... এমন প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ।
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
২৯ মে ২০১৬ রাত ০২:৩১
307338
ইক্লিপ্স লিখেছেন : Good Luck ) Good Luck ;Winking Don't Tell Anyone <:-P Applause

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File