বাল্য বিবাহ ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন ইক্লিপ্স ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৪:১৬:৩৭ বিকাল
মাঝে মাঝে মনে হয় বাঙালিদের ফতোয়া দেয়ার সিস্টেম নিষিদ্ধ করে সরকার ভালোই করেছে। কারণ বাঙালিরা ফতোয়ার অপব্যবহার করে। কোন দিন না যেন শুনতে হয় ''মহানবী(সাঃ) এগারোটা বিয়ে করেছেন তাই পুরুষের এগারোটা বিয়ে করা সুন্নত।'' আমি নিশ্চিত কোন না কোন দিন তারা এমন ফতোয়াও দিয়ে বসবেন। কারণ ইতোমধ্যে এমন ফতোয়া শুনা হয়ে গেছে মহানবী(সাঃ) সাত বছরের আয়েশা(রাঃ) কে বিয়ে করেছে তাই এই বয়সী মেয়েদের বিয়ে করা সুন্নত! আমার সহজ সরল একটা প্রশ্ন মহানবী(সাঃ) তো এগারোটা বিয়ে করেছিলেন কিন্তু তিনি তো এগারোটা বিয়ে করা সুন্নত ঘোষণা করেন নি। বরং একজন পুরুষের চারটা পর্যন্ত বিয়ের সীমারেখা বেঁধে দিয়েছেন। তাহলে কেন আয়েশা(রাঃ) এর বয়সী মেয়েদের বিয়ে করা সুন্নত হবে! আর আয়েশা(রাঃ) এর স্বামী দুকলম বুখারী পাঠ করা ছলিমুদ্দিন বা তিন কলম মুসলিম পাঠ করা কলিমুদ্দিন ছিলেন না। তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সকল আদর্শের আদর্শ , সকল যুগের মহামানবদের উপর যার শ্রেষ্ঠত্ব, সকল নবী রাসুলের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ হযরত মুহাম্মদ( সাঃ)। তার পক্ষে যেভাবে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছিল আর কারো পক্ষে তা সম্ভব হবে কি? আমি নিশ্চিত সবাই একবাক্যে মেনে নিবেন হবে না। তাহলে কেন বিয়ের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক কথাগুলো সমাজের উপর চাপিয়ে দিতে চান?
আমরা কথায় কথায় বলি আয়েশা(রাঃ) '' সব থেকে বেশি বিশুদ্ধ হাদিস বর্ণনা করা নারী।'' লক্ষ করুন এই যে বলি ''সব থেকে বেশি বিশুদ্ধ হাদিস'বর্ণনা করা নারী'' এই ''সব থেকে বেশি'' এর জন্য প্রিয়নবী শিশু আয়েশা(রাঃ) কে তার সহধর্মিণী করেছিলেন যেন আয়েশা(রাঃ) এর মত একজন মেধাবী নারী নবীর সংস্পর্শে থেকে নবীর শিক্ষা গ্রহণ করে তা জানাতে পারেন বিশ্ববাসীকে। মহানবী(সাঃ) এর এই এগারোটা বিয়ে এবং শিশু আয়েশা(রাঃ) কে বিয়ে সব কিছু ছিল ইসলাম প্রচারের জন্য। আর একবার ভেবে দেখুন যেই নারীরা মহানবী(সাঃ) এর সহধর্মিণী হয়েছিলেন তারা কতখানি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন। তারা জগতের শ্রেষ্ঠ মানুষকে পেয়েছিলেন তাদের স্বামী হিসেবে যার সাথে অন্য কারো তুলনা চলে না। এ জন্য আয়েশা(রাঃ) মহানবী(সাঃ) এর ইন্তেকালের পর যুবতি থাকা শর্তেও আর কোন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নি। কারণ এমন মর্যাদা সম্পূর্ণ পুরুষ এই পৃথিবীতে কেবল একজনই এসে ছিলেন। আর কেউ কোন দিন আসবেনও না।
যারা মহানবী(সাঃ) বিয়ের হিস্ট্রি বলে ১২-১৩ বছরের মেয়েদের বিয়েকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেন তারা আসলে নিজের অজান্তেই মহানবী(সাঃ)কে আরো দশটা সমাজের সাধারণ লোকের কাতারে ফেলে দেন(নাউযুবিল্লাহ)। আর ভুল ঠিক সেখানেই হয়। সেখান থেকেই সমাজের অসংগতিগুলোর উৎপত্তি। আর এছাড়া মেয়ে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই সাংসারিক হয়। THE FEMALE BRAIN বইটাতে লেখা আছে ''একটা মেয়ে শিশু ছোট বেলায় তার খেলার জিনিস দিয়ে যখন ঘর বানাতে চেষ্টা করে একটা ছেলে শিশু চেষ্টা করে সেই ঘর ভেঙে রকেট বানাতে।'' মেয়েদের এই জাতীয় বিহেভিয়ার দেখে অনেকে ভেবে ফেলেন মেয়েটা হয়ত বিয়ের উপযুক্ত হয়ে গেছে। আর এই ভাবনা থেকে আমাদের দেশে এখনো বাল্য বিয়েগুলো হয়। আপনি হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখবেন হাসপাতালে যত ভেসিকো ভেজাইনাল ফিস্টুলার(vesico vaginal fistula) রোগী তাদের সবার খুব অল্প বয়সে বাচ্চা হওয়ার হিস্ট্রি এবং পর পর কয়েকটা বাচ্চা হবার হিস্ট্রি। তাদের ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে কারণ পেলভিক বোন পুরোপুরি গঠন হওয়ার আগেই তারা গর্ভধারণ করেছেন এবং পেলভিক অর্গান দুর্বল হয়ে তাদের এই অবস্থা। এমন কি সারভাইকাল ক্যান্সারের একটা কারণ হল আর্লি মেরেজ। আর আগেকার যুগে কার যুগে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার এমনিতেই বেশি ছিল আর্লি মেরেজের জন্য। এখন আমার দাদী ১২ বছরের বয়সে বিয়েতে কোন রকম ক্ষতিগ্রস্থ হন নাই তাই আমি যদি এই থিওরী প্রডিউস করি কারোরই কিছু হবে না এটা নিঃসন্দেহে ভুল থিওরী হবে।
তাই বিয়ে সম্পর্কে আমার মতামত হল বিয়েটা ১৬ বা ১৮ যে বয়সেই হোক না কেন এতে সন্তানের মতামতটা খুব জরুরী। কেননা কোন কোন ছেলে মেয়ে ১৬/১৮ তেই বিয়ের জন্য পাগল হয়ে যায় আর কারো কারো মতামত আরেকটু দেরিতে কেরিয়ার গুছিয়ে এবং নিজেকে গুছিয়ে তারপরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসা। এটা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাস্বাধীন হওয়া উচিত। তবে শারীরিক গঠন সম্পূর্ণের জন্য অপেক্ষা অবশ্যই করা উচিত। আমাদের দেশের দেশে বেশির ভাগ মেয়ে এনিমিয়াতে ভুগে। এটা তার জন্য এবং তার সন্তানের জন্য বিশাল স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এই জাতীয় ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই সবার বিয়ের পিড়িতে বসা উচিত।
বিষয়: বিবিধ
৪৪৪৫ বার পঠিত, ৬৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ঃ ইহা ফান পোষ্ট না।
আমার মতে ১৬ তে রাইট দিয়ে দেয়া উচিৎ সবার জন্য, আনফিটদের জোরও করা হবে না য়াবার ফিটদের উপর অত্যাচারও করা হবে না।
এক গবেষণা সকল দেশের মানুষের ক্ষেত্রে নাও খাটতে পারে। এখন আমাদের দেশের জন্য যে গবেষণা তা সোমালিয়ার মানুষদের জন্য খাটবে না এটাই স্বাভাবিক।
এখন যেই সব ছেলে মেয়ের ক্ষেত্রে ব্যভিচারের ভয় আছে আর তারা যদি ১৬ তে বিয়ে করতে ইচ্ছুক হয় তাদের দিয়ে ই দেয়া উচিত। না দিলে তারা এমনিতেও পালিয়ে বিয়ে করছে।
খুব সুন্দর বলেছেন।আমারও তাই মনে হয় ১৬ বা ১৮ উন্নতির সিঁড়ি দিবে না। আগে উন্নত করা প্রয়োজন মানসিকতা।
আসল সমস্যা অজ্ঞতায়-
দ্বীনের সঠিক জ্ঞান ও দায়িত্বসচেতনতা শিখানো বাদ দিয়ে আইন করাতে ব্যস্ত সমাজ ও রাষ্ট্র!
এসব মোটেও ঠিক নয়!
প্রত্যেকটি কেইস আলাদাভাবে বিবেচনার দাবী রাখে- ঢালাও কোনকিছুই সুফল আনতে পারেনা!
আর তাই ইসলাম এটিকে উন্মুক্ত রেখেছে!
যদি কোন আল্লাহতায়ালার চেয়ে বেশী মানবদরদী হতে চেষ্টা করে তবে সেটি যে শয়তানের চক্রান্তে তা ঈমানদার মাত্রেই বোঝা উচিত!
তা আসুন, পরিবারের সকলকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান ও দায়িত্বসচেতনতা শিখানোর কাজটা পারিবারিকভাবেই করাকে আন্দোলনে পরিণত করি!
ডাক্তারআপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান সময় দিয়ে লেখার জন্য, জাযাকিল্লাহ খাইর
{অ.ট.-
ইসলাম ধর্মেও তো আইন আছে। ইসলামী আইন।
আর আল্লাহ পাক মানুষকে বিবেক দিয়েছেন। তাকে ঠিক ভুল পার্থক্য করতে শিখিয়েছেন। ছোট ছোট শিশুদের শৈশব কেঁড়ে নিয়ে তাদের এমন কোন কিছুতে ঠেলে দেয়া নিশ্চয় ঠিক না যা তারা বুঝেই না। এটা তাদের উপর অত্যাচারের সামিল। নিশ্চিয়ই এমন অত্যাচার হলে কিয়ামতের দিন আমাদের তার হিসাবও দিতে হবে।
আর ঢালাও ভাবে সীমা বেঁধে দেয়ার দরকার এই জন্য পড়ে যে আমাদের সমাজে এখনো স্বাক্ষরতার হারই ১০০% হয়নি। আর সত্যি বলতে কি এই সব আইনও গ্রামগঞ্জে অনেকেই মানেন না। তাই সীমা রেখা বেঁধে দিয়েও লাভ হয় না।
ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক
শিক্ষা এবং সাক্ষরতা এক জিনিস নয়! নিরক্ষর ব্যক্তিও দ্বীনী ও নৈতিক শিক্ষার অতি উচ্ছ স্তরে পৌঁছুতে পারেন- তার অসংখ্য উদাহরণ আমাদের সমাজে তো আছেই, সবচে বড় উদাহরণ সাহাবায়ে কিরাম রাঃঅনহুম
আমি সাক্ষরতার চেয়ে শিক্ষাকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করি!
আর মানুষের গড়া আইন তো মাকড়সার জাল-
ডানাওয়ালা পাখিরা তা অনায়াসেই ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়,
কিন্তু ছোট পতঙ্গরা তাতে আটকা পড়ে প্রাণ হারায়
ক্ষমতাধরেরা আইন-ই পাল্টিয়ে নেয় নিজেদের সুবিধার জন্য-
আর দুর্বলকে বেঁধে রাখতে নিত্যনতুন আইন বানায়-
কিন্তু রহমানুর রহীম সকল বান্দার জন্য ন্যায়সংগত যে আইন দিয়েছেন- সেটা বদলানোর সাহস শুধু অবাধ্যরাই করতে পারে!
ন্যায়বিচারের নিশ্চিত করা হলে এতসব আইন করার প্রয়োজনই হবেনা!
যে শিশু/কন্যা/নারী অনিচ্ছায় বা জুলুমের কারণে বিয়েতে বাধ্য হওয়ার অবস্থার সম্মুখীন হবে তার জন্য ন্যায়বিচারের আবেদনই যথেষ্ট হবে!
আল্লাহতায়ালাই জানেন তেমন দিন কবে আসবে
ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য।
যারা মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ব্যক্তিগত জীবনের এই বিষয়গুলোকে নিজ জীবনে ইমপ্লিমেন্ট করতে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেয় এবং পরোক্ষভাবে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর চরিত্রে কালিমা লেপনের চেষ্টা চালায়-এদেরকে শয়তানের এজেন্ট বলা যেতে পাড়ে। এরা মুসলিমের বেশে মুনাফুক ব্যতিত আর কেহ নয়। এরা নিজেদের নফসের পক্ষে যেগুলো আরামদায়ক সেগুলো মানার জন্য উদ্গ্রীব হয়। তাই এরা খাবার পড়ে মিষ্টি খাওয়া সুন্নত মানে, কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)যে কত ক্ষুধায় কাতর থেকেছেন, পেটে পাথর বেধেছেন-সেগুলো বেমালুম ভুলে যায়; রাতের পর রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পরেছেন, পা ফুলে গেছে-সেদিকে লক্ষ্য করবে না। এরাই এই অল্পবয়সী মেয়েদেরকে ভোগ করার বিকৃত মানসিকতায় নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জীবনকে সামনে নিয়ে আসবে। আর একটা কথা, প্রকৃতিগতভাবে আরবের মানুষ আর আমাদের দেশের মানূষের ভিতরে অনেক পার্থক্য, একজন আরব মহিলা বা পুরুষের পাশে আমাদের সাধারণ বাঙ্গালী দাড়ালে ব্যবধান টুকু বোঝা যায়। আর ১৪০০ বছর আগের ইসলামের অভ্যুদয়ের সময়ের যে প্রেক্ষাপটে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে ১৩ টি বিয়ে করতে হয়েছিল, তা আপনি সুন্দরভাবেই তুলে ধরেছেন। এজন্যও অনেক ধন্যবাদ।
আপনার লিখাটি ভালো লেগেছে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অসংখ্য ধন্যবাদ বস্তু নিষ্ঠ মন্তব্যের জন্য। আসলে পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাবে অনেকের দূরদৃষ্টি বিকশিত হয়নি। আমাদের ভাবনাগুলো এখনো কয়েকশত বছর পিছিয়ে আছে। আমরা এখনো অনেক সরল সমীকরণে সব কিছু চিন্তা করি। আর সেখানেই হয় বিপত্তি।
কিন্তু বর্তমান পরিবেশে তো দেখা যায় অল্প বয়সি ছেলে-মেয়েদের মধ্যেই যেীন ইচ্ছার সৃষ্টি হয়। এটি সামাজিক পরিবেশের ও নৈতিকতার অধঃপতন এর কারনেই হচ্ছে। বিয়ের বয়স ১৬ করাতে মনে হয় বিশেষ কোন সমস্যা হবেনা।
বাল্যবিবাহ ও প্রজনন স্বাস্থ্য জনিত দিকগুলো তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ ।
জাযাকিল্লাহ খায়ের
ঈদের শুভেচ্ছা
অসাধারণ সুন্দর পোস্ট তা স্টিকি করায় ই বুঝা যায়। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
ঈদ মোবারক.......।
ঈদমোবারাক
ঈদ মোবারক।
ঈদমোবারক।
এমন দাবি কোন নারী পেত্নী করে না কেন সেটা আমার জানা নেই। আপনার ভুত জগতের কারো সাথে পরিচয় থাকলে তাকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন প্লিজ। আমি দুঃখিত যে আমি ঐ জগতের কাউকে চিনি না।
আর ডাক্তার বা জ্ঞানীরা ১৬/১৮ এর আগে প্রেম বা লিভটুগেদার নয় এমন দাবি করে না আপনাকে কে বলল? আমি তো দেখি প্রতিবাদ তারাই বেশি করে। কেননা এসবের পরিনাম থেকে রেহাই পেতে তাদের কাছেই আসা লাগে।
আর সত্যি বলতে কি জ্ঞানী পরিবারের ছেলে মেয়েরা কখনো ব্যভিচারের দিকে পা বাড়ায় না। কারণ তাদের পারিবারিক বন্ধন এত দৃঢ় থাকে যে তাদের বাহিরের বন্ধুর সাথে ঘনিষ্টতার দরকার হয় না। এসবের দিকে ঐ সব পরিবারের মেয়েরা পা বাড়ায় যারা ছোটবেলা থেকে শুনে আসে ,''মেয়ে তুমি জন্ম নিয়েছো কেবল পরের বাড়ির বঊ হওয়ার জন্য। জামাই বাড়িই তোমার আপন নিবাস,বাপের বাড়ি নয়।'' মেয়েরাও তাই মানসিকতায় পর হয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা যে ইন্সিডেন্সগুলো ঘটায় সেটা ছোটবেলা থেকে তাদের উপর নিগ্রহের ফল। ছেলেদের ক্ষেত্রেও বাবা মায়ের থেকে দূরত্ব এবং নৈতিক শিক্ষার অভাব দায়ী।
এই মন্তব্যটি কি আপনার ?
ঈদ মোবারক।
আর ''বিয়ে'' ব্যাপারটা যেন দুই জন দম্পতির জন্য অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদ হয় সে জন্যই ১৬/১৮ এর সীমারেখা বেঁধে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। কারণ বিয়ের মানে শুধুমাত্র শারীরিক আকাঙ্ক্ষাপূর্ণ নয়, আরো অনেক দায়িত্ব।
আর অনেক সীমারেখা তো আল্লাহ পাকই মানব দেহ গঠনের সময় টেনেছেন। মানব দেহের হাড়গুলোও গঠন হওয়ার একেকটা সীমারেখা বেঁধে দেয়া হয়েছে। ঠিক ঐ বয়সে গিয়ে ই হাড়গুলোর ফিউশন হয়। এর আগেও না পরেও না। মানব দেহের পুরো বৃদ্ধিটাই সীমারেখার মধ্যে। সেখানে আমাদের দেশের মত গরীব দেশ যেখানে প্রায় ৯০% মেয়ে এনিমিয়াতে ভুগে সেখানে যদি কোন নিয়ম ছাড়া ছেড়ে দেয়া হয় সেখানে পরবর্তী প্রজন্ম কেমন হবে ভেবে নিন। ব্যাপারটা যদি এমন হয় ''মা মরে মরুক, সন্তান মরে মরুক, সব মরে টরে যতটুকু অবশিষ্ট থাকতে ততটুকুই সম্পদ'' তাহলে আমার কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ।
শিশুদের শৈশব কেঁড়ে না নিয়ে ঐ শৈশবে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দানের মাধ্যমে যদি জীবনের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত করা যায় সেটার থেকে বেস্ট আর কিছু হতে পারে না। জীবন সমাজ সুন্দর হোক এই প্রত্যাশা।
ঈদ মোবারাক।
ঈদের শুভেচ্ছা
বছরের মেয়েকে বিয়ে করবে ৩০ বছরের যুবক, ভাল কথা, ছেলের বয়স যখন ৪০ হবে মেয়ের হবে ২৬, তার মানে ছেলে যখন যৌবনের পড়ন্ত বেলায়, মেতে তখন ভরা যৌবনে পদার্পন করবে। মেয়ে চাইবে বেশি বেশি , পড়ন্ত যৌবনে ছেলের পক্ষে যুবতীর চাওয়া ঠিক ঠিক পূরন করা সম্ভব কি? সম্ভব না, যদি তাই হয়, তাহলে যে ভয়ে বেশি বয়সি মেয়েদের বিয়ে করতে চায়না, বালিকার পরিণত বয়সে বিপথগামী হওয়ার সম্বাবনা আরো বেশি থাকবে।
আর আল্লাহর রাসূল তার করে যাওয়া বলে যাওয়া সব কিছুকে সুন্নত বলে ঘোষণা করে যান নি। তাই বলে যা কিছুতে সুন্নত ঘোষণা করেন নি, সেসব আমরা সুন্নত থেকে বাদ দেইনা। যদি তাই হয়, তাহলে আয়েশা রাঃ কে অল্প বয়সে বিয়ে করা কেন উম্মতের জন্য সুন্তত হসেবে পরিগণিত হবেনা? জানাবেন। আর কেনইবা আমাদের প্রিয় নবী এতো টুকুন বয়সী আয়েশা রাঃ কে বিয়ে করতে গেলেন, তিনিত পারতেন অপেক্ষা করতে। কি এমন জরুরী হয়ে পড়ল। রাসুলের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই, তবু বর্তমান প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে মাথায় প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খায়, কেন বাল্যো বিয়ে ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিলেন? নিষিদ্ধ করলে কি ভাল হতনা? যদি নিষেধ নাই করে থাকে তবে কেও যদি তার মেয়ের ইজ্জত আব্রুর হেফাজতের জন্য অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দেন তাতে আমরা কেন প্রশ্ন তুল্ব? আমার কথা গুলো বিরুদ্ধাচারণ মনে হতে পারে, কিন্তু বিরুদ্ধারণ নয়, প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে উত্তর পাওয়ার আকুলতা।
ধন্যবাদ ।
তারপর গুরুত্বপূর্ণ কথা হল শরিয়াহ অর্থাৎ কোরআন ও সুন্নাহর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা অবস্থায় অন্য কোন কিছু এর বিপরীতে আসলে সেটা বাতিল, বাতিল এবং বাতিল।
রসুলুল্লাহ সঃ সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বলে উনিই কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন, ইনসাফ করতে পারবেন আর কেউ কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করতে পারবেননা কিংবা একাধিক বিয়ে করতে পারবেননা এর রেফারেন্স আপনি কুরআন হাদিস থেকে দিন, মুসলিমের জীবন বিধান আপনার মানবীয় যুক্তি এবং সাইন্সের কিছু জ্ঞানের ইউনিভার্সাল প্রয়োগের মত দুঃসাহস দেখানোর উদ্দেশ্য আশা করি আপনার নেই।লোকজন ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে আর আপনিও তো আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল যা অনুমোদন করেছেন সেটার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে দিলেন যে “বয়স বেশিই হতে হবে”- কিছু ফ্যাক্টের উপর নির্ভর করে যা সবার উপর প্রযোজ্য নয়।
জগতশ্রেষ্ঠ মানুষের স্ত্রী ছিলেন বলেই যে আয়েশা রাঃ এর বিয়ে হয়নি ব্যাপারটা শুধু এটা না, নবীরা মারা গেলে তাদের স্ত্রীদের কখনই অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়না।
আর আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে রসুলুল্লাহ সঃ এমন এক দ্বীন প্রচার ও প্রয়োগ করে দেখিয়ে গেছেন যেটা যেটা আসলে আমরা মানতে পারবোনা! এজন্য উনিই শুধু বহুবিবাহ কিংবা মাইনর বিয়ে করতে পারবেন ওনার উম্মতের আর কেউ নয়?
কোন রিসনিং না দেখিয়ে কোরআন বা সুন্নাহ থেকে দলিল-প্রমান দেখিয়ে কথা বলবেন আশা করি।
“ al-Athram narrated that Qudaamah ibn Maz’oon married the daughter of az-Zubayr when she began to menstruate, and something was said to him. He said: If I die, the daughter of az-Zubayr will inherit from me, and if I live, she will be my wife. And ‘Ali gave his daughter Umm Kalthoom in marriage when she was a minor to ‘Umar ibn al-Khattaab (may Allah be pleased with him).”
উম্মে কুলসুম ছিলেন একজন মাইনর যার বিয়ে হয়েছিলো উমার রাঃ এর মত পঞ্চাশেরও বেশি বয়সের একজন মানুষের সাথে। সিরাহ পড়লে এরকম উদাহরণ আরও পাবেন।
“তাই বিয়ে সম্পর্কে আমার মতামত হল বিয়েটা ১৬ বা ১৮ যে বয়সেই হোক না কেন এতে সন্তানের মতামতটা খুব জরুরী। ”...
আপনার আমার মতামতের ইসলামে কোন দাম নেই যদি ইসলাম তা অনুমোদন না করে।
There is nothing in sharee‘ah to stipulate a particular age of marriage for the man or woman. The scholars are unanimously agreed that marriage of a minor girl is permissible if her father gives her in marriage to someone who is compatible.
With regard to an adult woman, it is not stipulated that her father should give her in marriage; rather any guardian may give her in marriage.
http://islamqa.info/en/177280
রেফারেন্স গুলো আশা করি পড়বেন
আর একটা কথা মনে করিয়ে দিই ““And let those who oppose the Messengers (Muhammad SAW) commandment (i.e. his Sunnah legal ways, orders, acts of worship, statements, etc.) (among the sects) beware, lest some Fitnah (disbelief, trials, afflictions, earthquakes, killing, overpowered by a tyrant, etc.) befall them or a painful torment be inflicted on them”
[an-Noor 24:63].”
আর রাসুল(সাঃ) যে দ্বীন প্রচার করে গেছেন তা নিয়ে কিছু মানুষ নিজের মনের কুপ্রব্রিত্তির জন্য সম্পূর্ণ নিজের মত করে সাজিয়ে নিয়েছে তার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। আর আমি কোথাও বলিনি কেউ বুড়ো বয়সে কচি মেয়ে বিয়ে করতে পারবে না। অবশ্যই পারবে এবং তা পরিনাম কি হচ্ছে তার দৃষ্টান্তও আমাদের সামনে আছে।
আর রাসুলরা মারা গেলে তাদের স্ত্রীরা অন্য কোথাও বিয়ে করেননি সেটাও রাসুলের মর্যাদা এবং ভালোবাসার জন্য।আর বিয়ের আগে ছেলে মেয়েদের মতামত নেয়ার অনুমোদনের বিষয়টা আমার নিজের অনুমোদন না, এটাও ইসলামের অনুমোদন। ধন্যবাদ।
১।"তাহলে কেন আয়েশা(রাঃ) এর বয়সী মেয়েদের বিয়ে করা সুন্নত হবে!
২।শারীরিক গঠন সম্পূর্ণের জন্য অপেক্ষা অবশ্যই করা উচিত।
রসুলুল্লাহ সঃ এর হাদিস এবং সাহাবীদের আচার থেকে কি তাই প্রমাণিত হয় ? কতিপয় কুলাঙ্গারের অপকর্ম বন্ধ করতে সুন্নাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কি ঠিক?
'' রাসুল (সাঃ) এর সম্বন্ধে বলা হয় তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ) কে আয়েশার ৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। অথচ আমি অনুসন্ধান করে দেখতে পেলাম রাসূল (সাঃ) এর সাথে বিয়ের সময় হযরত আয়শা (রাঃ) র বয়স মাত্র ৬ বছর ছিল এটা মস্তবড় এক ঐতিহাসিক ভ্রান্তি।
সহীহ বুখারী, মুসলিম সহ অনেক হাদীস গ্রন্থে হযরত আয়েশা (রাঃ) র বয়স নিয়ে যে রেফারেন্স এসেছে তা হাইসাম (বা হিসাম) বিন উরওয়াহ কর্তক বর্নিত একটি হাদিসেরই উৎস এবং এটা সম্বন্ধে সংশয় প্রকাশ করবার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো হাদীসের কোন বিষয়বা রাসুল (সাঃ) এর জীনযাপন পদ্ধতি কোনভাবেই আল কোরআনের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারেনা। কাজেই বিবাহযোগ্য বয়সের বিষয়ে আল কোরআনের যে নির্দেশ, এই ঘটনা তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাহলে? উত্তর একটাই, এই হাদীসটা সঠিক নয়, সঠিক হতেই পারেনা।
যা হোক, এবারে আসি ঐতিহাসিক সত্যগুলো নিয়েঃ
রাসুল (সাঃ) এর সাথে আয়েশা (রাঃ) র বিয়ে হয় ৩য় হিজরী সনের সাওয়াল মাসে যা ইংরেজী ৬২৩-৬২৪ সাল।
যদিও বলা হয় হযরত আয়েশা (রাঃ)র জন্ম ৬১৪ খৃষ্টাব্দে কিন্তু সহীহ বুখারীতে এসেছে আল কোরআনের ৫৪ তম অধ্যায় নাজিল কালে আয়েশা (রাঃ) একজন কিশোরী (Jariyah) বয়স্কা ছিলেন। উল্লেখ্য ৫৪তম উক্ত অধ্যায় নাযিল হয় ৬১২ খৃষ্টাব্দের দিকে। সে হিসাবে হযরত আয়েশার বয়স তখন ১০ বছর হলেও ৬২৩-৬২৪ খৃষ্টাব্দ সালে তাঁর বয়স কোনভাবেই ২০ বছরের নিচে নয়।
(Sahih Bukhari, kitabu'l-tafsir, Arabic, Bab Qaulihi Bal al-sa`atu Maw`iduhum wa'l-sa`atu adha' wa amarr)
অধিকাংশ বর্ণনাকারির মতে হযরত আয়েশা (রাঃ) বদরের যুদ্ধ (৬২৪ খৃষ্টাব্দে) ও ওহুদের যুদ্ধে (৬২৫ খৃষ্টাব্দে) অংশগ্রহন করেছেন। উল্লেখ্য যে রাসুল (সাঃ) এর বাহিনীতে ১৫ বছর এর কম বয়স্ক কেউ গ্রহনযোগ্য ছিলনা এবং তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং সেসময় যে হযরত আয়েশার বয়স ৬ বা ৯ ছিলনা তা বলাই বাহুল্য।
A narrative regarding Ayesha's participation in the battle of `Uhud is given in Bukhari, (Kitabu'l-jihad wa'l-siyar, Arabic, Bab Ghazwi'l-nisa' wa qitalihinna ma`a'lrijal; that all boys under 15 were sent back is given in Bukhari, Kitabu'l-maghazi, Bab ghazwati'l-khandaq wa hiya'l-ahza'b, Arabic).
অধিকাংশ ইতিহাসবিদ মতে হযরত আয়েশার বোন আসমা ছিলেন তাঁর চেয়ে দশ বছরের বড়। ইতিহাস থেকে জানা যায় আসমা ৭৩ হিজরী সনে যখন মৃত্যুবরণ করেন তাঁর বয়স ছিল ১০০ বছর। সে হিসাবে ১লা হিজরীতে তাঁর বয়স হয় ২৭ বছর। তাহলে সে হিসেবে হযরত আয়েশার বয়স যে তখন ১৭ র কম ছিলনা তা বোঝা যায়। তাহলে ৬২৩-৬২৪ খৃষ্টাব্দ তাঁর বয়স ১৮/১৯ বছর।
(For Asma being 10 years older than Ayesha, see A`la'ma'l-nubala', Al-Zahabi, Vol 2, Pg 289, Arabic, Mu'assasatu'l-risalah, Beirut, 1992. Ibn Kathir confirms this fact, [Asma] was elder to her sister [Ayesha] by ten years" (Al-Bidayah wa'l-nihayah, Ibn Kathir, Vol 8, Pg 371, Arabic, Dar al-fikr al-`arabi, Al-jizah, 1933). For Asma being 100 years old, see Al-Bidayah wa'l-nihayah, Ibn Kathir, Vol 8, Pg 372, Arabic, Dar al-fikr al-`arabi, Al-jizah, 1933). Ibn Hajar al-Asqalani also has the same information: "She [Asma (ra)] lived a hundred years and died in 73 or 74 AH." Taqribu'l-tehzib, Ibn Hajar Al-Asqalani, Pg 654, Arabic, Bab fi'l-nisa', al-harfu'l-alif, Lucknow).
প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আল তাবারী র বই থেকে পাওয়া যায় হযরত আবু বকর (রাঃ) র চার সন্তান ছিলেন যাঁরা সকলেই ইসলামপূর্ব যুগে জন্মগ্রহন করেন। (ইসলামপূর্ব যুগ ৬১০ খৃষ্টাব্দ শেষ হয়)। তাহলে নিশ্চয়ই হযরত আয়েশা (রাঃ) র জন্ম ৬১০ খৃষ্টাব্দ এর পূর্বে। সে হিসাবেও তিনি বিবাহের সময় ৬/৯ বছর বয়স্কা ছিলেন না।
Tarikhu'l-umam wa'l-mamlu'k, Al-Tabari, Vol 4, Pg 50, Arabic, Dara'l-fikr, Beirut, 1979).
আরেক প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ইবনে হাইসাম থেকে জানা যায় হযরত আয়েশা (রাঃ) হযরত উমর ইবন আল খাত্তাব (রাঃ) এর বেশ আগে ইসলাম গ্রহন করেন। (উমর ইবন আল খাত্তাব (রাঃ) ৬১৬ খৃষ্টাব্দে ইসলাম গ্রহন করেন)। আবার হযরত আবু বকর (রাঃ) ইসলাম গ্রহন করেন ৬১০ খৃষ্টাব্দে। সুতরাং হযরত আয়েশা (রাঃ) ও ৬১০ এর কাছাকাছি সময়েই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। তার অর্থ আবারো দাঁড়ায় যে তিনি ৬১০ খৃষ্টাব্দের আগেই জন্মগ্রহন করেছিলেন এবং কোন ধর্ম গ্রহন করবার নূন্যতম বয়স (৬/৭ হলেও) তাঁর ছিল। তাহলে ৬২৩-৬২৪ সালে তার বয়স প্রায় ১৮-২০ হয়।
(Al-Sirah al-Nabawiyyah, Ibn Hisham, vol 1, Pg 227 – 234 and 295, Arabic, Maktabah al-Riyadh al-hadithah, Al-Riyadh)
হাম্বলি মাযহাবের ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন বিবি খাদিযাহ (রাঃ) র মৃত্যুর পরে (৬২০ খৃষ্টাব্দ) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্য খাউলাহ নামের একজন ২টা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন। যার মধ্যে হযরত আয়েশার (রাঃ) র কথা উল্লেখ করবার সময় একজন পূর্ণবয়স্ক যুবতী হিসেবেই উল্লেখ করেন কোন ছোট্ট শিশু হিসেবে নয়।
(Musnad, Ahmad ibn Hanbal, Vol 6, Pg 210, Arabic, Dar Ihya al-turath al-`arabi, Beirut).
আবার ইবনে হাযর আল আসকালানি র মতে হযরত ফাতেমা (রাঃ) আয়েশা (রাঃ) র থেকে ৫ বছর বড় ছিলেন। আর ফাতেম (রাঃ) র জন্মের সময় রাসুল (সাঃ) এর বয়স ছিল ৩৫ বছর। সে হিসেবে আয়েষা (রাঃ) র জন্মের সময় মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স ৪০ হবার কথা। আর তাঁদের বিয়ের সময় আয়েশা (রাঃ) ৬/৯ না বরং ১৪-১৫ বছর বয়স হবার কথা।
(Al-isabah fi tamyizi'l-sahabah, Ibn Hajar al-Asqalani, Vol 4, Pg 377, Arabic, Maktabatu'l-Riyadh al-haditha, al-Riyadh,1978)
ওপরের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে বিয়ের সময় যে ৬/৯ বছরের শিশু ছিলেননা সেটাই দেখানো। আর কোন হাদীস যদি আল কোরআনের নির্দেশনার সাথে অসামন্জস্যপূর্ণ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেই হাদীসের ওপর ভরসা রাখা যুক্তিযুক্ত না। তা সে বুখারী মুসলিম বা সমস্ত সিহাহ সিত্তাহতেই থাকুকনা কেন। আর এই বৈপরিত্য ধরবার জন্য নিজেদের বিবেককেও ব্যাবহার করা উচিত সকল মুসলমানের।''
কেন একথা বলছি, কারণ, হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। আর রসুল (সা) থেকে প্রমানিত সহীহ হাদীসকে কোন যুক্তি দিয়ে অস্বীকার করা অসম্ভব। বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনা করা প্রত্যেকটি হাদীস সহীহ তাতে সন্দেহ করা মানে ফিতনায় পতিত হতে হবে। হাদীস সহীহ সনদে প্রমানিত হলে তা মানতে হবে। সেটা যুক্তি দিয়ে বাদ দেয়া যাবে না।
আপনি আয়েশা (রা) এর বয়স সম্মন্ধ্যে জানতে এই লিংটা পড়ুন। Age of the Mother of the Believers ‘Aa’ishah (may Allah be pleased with her) when the Prophet (blessings and peace of Allah be upon him) married her আর যেকোন যায়গাথেকে কপি করার আগে ভালো করে দেখবেন যে, কি কপি করছেন?
রসুল (সা) কেন আয়েশা (রা)কে বিয়ে করেছিলেন তা জানতে এখানে দেখুন The reason why the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) married ‘Aa’ishah despite the age difference
আমাদের সাবধান হতে হবে আমরা কি বলছি সেটা বুঝতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দিন আমীন।
যাই হোক পোষ্টটি স্টিকি হওয়ার জন্য অভিনন্দন! তবে- একটা বিষয়- রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজ ইচ্ছায় নয়- বরং আল্লাহ’র ইচ্ছায় বিয়েগুলো করেছিলেন। আর বাল্য বিবাহ নিয়ে আরো কিছু বলার আছে। নিচে আমার ব্লগটা ভালো লাগবে। মতামতের আশায়-
অল্প বয়সে বিয়েঃ সমস্যা কোথায়?
অতচ হিশাম বিন উরওয়া, আয যুবাইর, আল আমাশ ছাড়াও হাদিসটি একাধিক সহিহ ইসনাদে বর্ণিত।
http://islamqa.info/en/124483
আপনি আহমাদ বিন হাম্বল,ইবনে কাসির, ইবনে হাজারের বই থেকে তথ্য নিচ্ছেন আর যুক্তি প্রমাণ দিয়ে বলছেন এই হাদিসটি অগ্রহণযোগ্য।
অতচ ইবনে হাম্বল, ইবনে কাসির, ইবনে হাজার কি সেরকম কিছু বলেছেন কখনো?
প্রমাণ দিন যে উনারা বলেছেন এই হাদিস অগ্রহণযোগ্য!
কস্মিঙ্কালেও পারবেন না, বিংশ শতাব্দীর ভারচুয়াল কাফির কুরানিস্টরা ছাড়া এরকম আপত্তি আর কেউ কখনো তোলেনি।
বুখারি মুসলিমের মত মুজতাহিদ আলিমদের কাছ থেকে ইল্ম না নিয়ে আজ গালে দাড়ি নেই মাথায় কাপড় নেই ইসলাম নিয়ে লজ্জিত পশ্চিমা হালুয়া রুটি খাওয়া প্রফেসর থেকে আজ হাদিস আর দ্বীনের ইল্ম নিচ্ছে মুসলিমের বাচ্চারা। ফাতওয়া শপিং করতে চাইলে যেটা চাই তাঁর পক্ষেই ফাতওয়া পাওয়া যায় আজ।
আল্লাহ্ আমাদের এই ফিতনা থেকে রক্ষা করুন।
আর প্লিজ আপনার সোর্স টা জানতে চাচ্ছি বা যে আরটীকেল/ লেখক থেকে আপনি উধ্রিতি দিচ্ছেন তাঁর লিঙ্কটা একটু দেন যাতে আমরাও পুরো লিখাটা পড়তে পারি।
বুখারী শরীফের একটা হাদিস ,
Volume 7, Book 62, Number 69:
Narrated Khansa bint Khidam Al-Ansariya:
that her father gave her in marriage when she was a matron and she disliked that marriage. So she went to Allah's Apostle and he declared that marriage invalid.
ছোটবেলার যেই বিয়ে এক মেয়ে বড় হয়ে না মেনে নিতে চাইলে ইনভেলিড হয়ে যায় তা দেয়ার গুরুত্ব কি বলুন?! আর আমাদের সমাজে একটা মেয়ের অবস্থা এমন হলে পরবর্তীতে তার কি অবস্থা হবে ভেবে দেখুন?
মেশকাত শরিফে আছে " ছেলে অথবা মেয়ে যখন পূর্ণ বয়সে উপনিত হয় এবং তাদের দ্বারা যদি গুনাহ হওার আশংকা থাকে তবে তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে দেয়া উচিত " এখন যদি পূর্ণ বয়স কত ব্জিজ্ঞাসা করা হয় আমি জানি আপনি বলবেন ৬-৭ বছর!
জাস্ট বিবেক দিয়ে ভাবুন এই বয়সী কোণ মেয়েকে যদি বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় সে কি জীবিত ঐ ঘর থেকে বের হবে? আজকের যুগে যখন ৩ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধাদেরও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় সেখানে একটা লোকের ঘরের ঐ মেয়ে কতটুকু নিরাপদ? এই জন্যই বলেছি আল্লাহর নবীর সাথে নরমাল মানুষদের তুলনা করবেন না।
বুখারী শরী্ফে আছে ,'' যেই মুসলিমের কথা ও কাজের দ্বারা অন্য মুসলিম নিরাপদ নয় সে প্রকৃত মুসলমান নয়।'' যাদের কথা ও কাজের দ্বারা ৫-৬ বছরের শিশুরাও নিরাপদ না তাদের থেকে অন্যরা কি নিরাপদ হবে বলুন? ঈনসাফের নামে শুধু বেঈনসাফই হবে। এই বেঈনসাফের বিরুদ্ধেই আমার অবস্থান। আর কথায় কথায় ''কাদের, মুরতাদ'' ট্যাগবাজদের জন্যও আল্লাহর নবীর হাদিস আছে। ওটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আপনাকে দিলাম। ধন্যবাদ।
আপনি সেটার উত্তর না দিয়ে আউট অফ কন্টেক্সটে গিয়ে বিয়েতে মেয়েদের আপত্তির প্রসঙ্গ টেনে আনলেন। রেফারেন্সটাও বললেন না।
কি আর করা! আসসালামুআলাইকুম।
এক শ্রেনির গোঁডাপন্তি আলেম সমাজ ইসলামকে লেমু বানিয়ে ফেলেছেন।লেমুর তিতাটাই এমন অব্যাস্ত হয়ে গেছেন যে ঐ তিতাটুকু আসল মনে করছেন।
তাঁরা সরল পথ মনে করে গলির ভিতরে ঢুকে গেছেন নিজেদেরই অজান্তে। ওখানথেকে তাঁরা বাহির হতে পারছেন না। কেউ তাঁহাদেরকে ড়াকলে তাঁকেও ''কাফের, মুরতাদ'' ট্যাগ মেরে দিতেছেন। এই ধরনের গোঁড়ামীদের মাত্রাঅতিরিক্ত আত্ববিশ্বাস তাদের নিজেদের চাইতেও মুসলিম বিশ্বের বেশি ক্ষতি করতেছেন। আর এক ড়াক্তারকেও ওই ট্যাগএর শিকার করা হয়েছে ভারতের জাকির নায়ককে। তার অপরাদও কোরআনকে কেন এত গুরুত্তু দিতেছেন । মুসলীম দুনিয়ার সবাই একবাক্য একটা কথায় একমত তাহল কোরআন পরিপূর্ন এর মধ্য সব সমস্যার সামাধান আছে কিন্তু গলি ওয়ালারা এটা বিশ্বাস করেও অন্য কিতাবে সামাধান খুঁজে আগে।
যেমন চট্রগ্রামের বিবিরহাটের মাদ্রাসায় (যেখানে পাকিস্তান থেকে পির আমদানি করে পুঁজা করা হয়)আলেমেরা রাছুলকে মানুষ বলেই
মনে করেনা একটা হাদিসের উছিলা দিয়ে নুরমানুষ বলে ।অথচ কোরআনে তাঁহাকে মানুষদর হেদায়তের জন্য মানুষ করে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে । তাই মনে হয় আল্লাহ ইসলামের খেতমত করার জন্য ড়াক্তার বিজ্ঞানীদেরও পঁছন্দ করতেছেন যেমন জাকির নায়েক,মুরিস বুকাইলি ইত্যাদি।
আপনি ড়াক্তার হয়েও ইসলামের জন্য কলম ধরেছেন। সত্য তুলে আনছেন দোয়া করি আল্লাহ আপনার কলমের জোর বাড়িয়ে দিন।
আর আপনার মা-বাবার জন্য আনেক আনেক
দোয়া করছি আপনাকে সৎ শিক্ষায় শিক্ষিত
করে গড়ে তুলার জন্য।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
আমাদের মুসলিমদের মধ্যে অনেক বিভেদ। তাই সংখ্যায় ইহুদীদের চেয়ে হাজারগুণ বেশি হওয়ার পরও ইহুদীরা মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাতে পারে। এই মত পার্থক্যের বিভেদগুলো ঘুচে যাক এই প্রত্যাশা।
নিশ্চয়ই খুব পেরেশানীর একটা দিন গেল আপনার!!
নৈতিক শিক্ষার ব্যাপারটা সাক্ষরতা ছাড়াও হতে পারে - আমি সেটাই বলতে চেয়েছি
আপনার পোস্টের মূল বিষয় ও বক্তব্যের সাথে একমত
আপনি যে অনেক বিষয় স্কিপ করেছেন তা-ও বুঝি
একসময় আধাডাক্তার ছিলাম তো!!
চিকিতসাবিজ্ঞানের অনেক বিষয়ের সাথে জানা-শোনা আছে আমার, তবে অবশ্যই্ আপনাদের মত গভীর নয়!
আবারো ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
সারা দিন সত্যি পেরেসানিতে গেছে। দুপুরের পর থেকে অনেক মেহমান এসেছিলেন। তাদের নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। তবে সময়টা সুন্দর গেছে আলহামদুলিল্লাহ।
আর আমি জানি আপনি জ্ঞানি মানুষ। আপনাকে তো সেই এস বি থেকে চিনি। আপনিও যে একজন ডাক্তার সেটাও বুঝতে পারি। আমি তো আপনাদের কাছ থেকে শিখি। মাঝে মাঝে বিভিন্ন টপিক্স নিয়ে আলোচনায় আমাদের জানার পরিধি বাড়ে। আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক নিয়ত কবুল করুন। আবারো ঈদের শুভেচ্ছা
তবে আমি VVF এবং সার্ভাইক্যাল কার্সিনোমার ঐ কারণের সাথে সম্পূর্ণ একমত নই। ঐগুলা আগের স্টাডি বলে আমার মনে হয়। এখন সবাই অনেক না হলেও বেশ সচেতন। ধন্যবাদ...
'' বিয়ের বয়সটা ব্যাপকভাবে আপেক্ষিক। ওখানে নিয়ামক, প্রভাবক, ব্যতিক্রমের প্রকার ও রকম অসংখ্য।''
- আপেক্ষিক তবে এডাল্টদের জন্য। শিশুদের জন্য না। যেই সব শিশুরা বিয়ে কি বুঝেই না তাদের বিয়ে দিয়ে কি করবেন? আর ভিভিএফ , সারভাইকেল কারসিনোমার কথা বাদ দিন। এছাড়াও তো বহু ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। আর এগুলা সব বইতেই এক।increased risk
of dying, increased risk of premature
labour, complications during delivery, low birth-weight, and a higher chance that the
newborn will not survive । আপনি ডাক্তার মানুষ আপনি ভালো জানেন। আর আমাদের দেশের বুড়োদের কচি বিয়ে করারও শখ থাকে। অর্থ সামাজিক অবস্থার কথা ভেবে দেখুন। নারী শিক্ষার প্রসারেরও অনেক বাঁধা আসবে। সব পুরুষেরা বেগম রোকেয়ার হাসবেন্ডের মত হয় না। আর আজকালকার যুগে তো হয়ই না। এখনকার যুগে সেই বিশ্বাস আর কোথায় বেঁচে আছে বলুন! যাই হোক বিয়ের বয়স নিয়ে কোন ধর্মেই কোন লিমিট টানা নেই। তবে আল্লাহ পাক আমাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন। এটা বিবেক বুদ্ধি দিয়েই নির্ধারিত হলে ভালো। যাদের ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ভয় আছে তাদের বিয়ে দিয়ে দিতে পারে। যাই হোক যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। দিলে দিবে না দিলে নাই। আমি জাস্ট আমার ভাবনা জানাইসি। এখানেই আমার কর্তব্য শেষ। বেগম রোকেয়া বা মাদার টেরেসা কোনটাই হওয়ার ইচ্ছা আমার নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন