Good Luckগল্পঃ মৃদু সমীরণে ভেজা কল্পনায়

লিখেছেন লিখেছেন ইক্লিপ্স ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:১২:১৭ রাত



মাঝে মাঝে মনে হয় এ জগতে আমিই কেবল একমাত্র পরাজিত, আর সারা জগত জয়ী। এই ইট পাথরের শহরটা জয়ী, আশে পাশের মানুষগুলো জয়ী, জয়ী এই জনবহুল শহরের মাঝের এই একতলা বাড়িটা যেখানে আমি লজিং থাকি। সবাই যেন আঙুল তুলে আমাকে দেখায় ”ভি” চিহ্ন। আর আমি বোকার মত ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি। তাদের উপহাসে মাথা নিচু করে বেঁকে যাওয়া বাঁশের মত শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। এছাড়া আর কি বা আমার করার আছে? আমি তো আসলেই বোকা। নয়ত এভাবে কেউ ঠোকে আসে? দশহাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম একটা সেকেন্ডহেন্ড স্মার্ট ফোন কিনতে। আমার ভার্সিটির এক বন্ধুর দূরসম্পর্কের কাজিন বলেছে মেনেজ করে দিবে। ছেলেটার সাথে আমার আজই প্রথম পরিচয়। কথায় কথায় জানালো একটা ফোন বিক্রি করবে সে। এর বাজার দর ষাট হাজার টাকা। মাত্র ২ মাস হয়েছে কিনেছে। কিন্তু এখন জরুরী টাকার দরকার হওয়াতে অল্প দামে বেঁচে দিবে। আমি সুযোগটি লুফে নিলাম। এত ভালো ফোন কোন দিন আমার কেনার যোগ্যতা হবে না। ফোনটা ওজনে বেশ ভারী। দামি জিনিস, একটু ভারী তো হবেই। আমি টাকাটা ওর হাতে বুঝিয়ে দিয়ে ফোনটা পকেটে ভরে সোজা বাড়ির দিকে হাঁটা দিলাম। বলা যায় না পথে না আবার ছিনতাইকারী ধরে। সামান্য একটা ফোনের জন্য আজকাল রাস্তাঘাটে মানুষ খুন পর্যন্ত হয়।

বার বার পকেটে হাত দিয়ে ফোনটাকে ছুঁয়ে দেখছিলাম। আমার বহু শখের ফোন। কিন্তু বাড়িতে এসে ফোনে সিম লাগানো নিয়ে হল বিপত্তি। কিছুতেই ফোনের সিম লাগানোর অংশ খুলতে পারছিলাম না। ফোনটা নিয়ে গিলাম রওশন চাচার কাছে। ওনার বাড়িতেই আমি লজিং থাকি। তিনি ফোনটা দেখে খুশি হয়ে বললেন ,”বাবা শোভন ফোনটা খুব সুন্দর হয়েছে। টিউশনের টাকা দিয়ে কিনেছো বুঝি?” আমি মাথা ঝাঁকালাম। নতুন ফোন দেখে চাচী সালেহা বেগম আর শাওন এসে দাড়িয়েছে পাশে। অনেক কায়দা কসরতের পর চাচা ফোনের সিম লাগানো অংশ টেনে তুলে আনলেন। কিন্তু ফোনের ভিতরটা দেখে আমাদের সবার চোখ ছানাবড়া! ফোনের বাহিরের মোড়কটা চকচকে হলেও ভেতরে কেবল এক দলা মাটি। ফোনের মালিক আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। দামি ফোনের মোড়কের ভেতর মাটি ভরে নতুন ফোন বলে চালিয়ে দিয়েছে।

দুঃখে আমার হাত পা কাঁপছিল। কিছুতেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। চাচা আমার কাঁধে হাত রেখে মৃদু সান্ত্বনা দিয়ে চলে গেলেন। আমি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। দুঃখগুলো কেন যেন আমার বিশ্বাস হতে চায় না। জীবনে এত দুঃখ পেয়েছি তবুও না। অনেক সময় লাগে দুঃখকে মেনে নিতে। ছোটবেলায় বাবা যখন মারা গেলো তখনো বিশ্বাস হচ্ছিল না। চোখের সামনে বাবার লাশ দেখছিলাম তবুও মনে হচ্ছিল আমার বাবা মরেনি। বেঁচে আছে।

একদিন বাবা ঠিক ফিরে আসবে। আমি আমার সব কল্পনা, স্বপ্ন, ভাবনা সব কিছুতেই দেখতাম বাবা ফিরে এসেছে। কিন্তু বার বার হতাশ হয়েছি।

পরে যখন মায়ের স্নেহ ভালোবাসায় বাবাকে ভুলে যেতে থাকলাম, মেনে নিলাম বাবা আর কোন দিন আসবেন না, এখন এই মা ই আমার সব ঠিক তখন মা অন্যলোকের বধু নানা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন। আমার বয়স তখন মাত্র দশ বছর। আমি প্রায় রাতে স্বপ্নে দেখতাম মা এসেছে। এই মা কেবল আমারই মা। কোন অচেনা লোকের বধু নয়। আবারো বহুদিন চলল আমার মনকে বোঝানোর চেষ্টা। আমার মায়ের এখন অন্যখানে বিয়ে হয়েছে। সেখানে তার সন্তান হয়েছে। খুব সুখে শান্তিতেই আছে মা। তার আর এখন আমার কথা মনে পড়ে না। আমাকে আর তার প্রয়োজন নেই।

মাঝে মাঝে মা তার নতুন ছেলেকে নিয়ে আসতেন নানাবাড়িতে। আমি তখন দৌড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতাম। আমার স্মৃতিতে কেবল আমার আগের মা ই বেঁচে থাকুক যে আমার বাবার স্ত্রী। প্রতিবার মা যাবার আগে নানার হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে কেঁদে কেঁদে বলতেন শোভনকে কিছু কিনে দিও এই টাকা দিয়ে। আমি তো ওকে মায়ের স্নেহ দিতে পারলাম না।

আমি যখন ইন্টারে পড়ি তখন আমার নানা মারা যায়। এক দূরসম্পর্কে মামা আমাকে রওশন চাচার বাড়িতে আমাকে লজিং ঠিক করে দেন। তারা আমাকে থাকতে দিবে ,তিন বেলা খাওয়াবে আর মাসে একশত টাকা করে হাত খরচ দিবে। বিনিময়ে আমি তার দুই ছেলে-মেয়ে হিয়া এবং শাওনকে পড়াবো। হিয়া তখন ছিল ক্লাস এইটে আর শাওন ক্লাস ফোরে। তারপর থেকে পাঁচ বছর আমি ঐ বাড়িতে আছি। হিয়া আর শাওনকে পড়াচ্ছি আর সাথে নিজেরও পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভার্সিটিতে ভর্তির খরচ রওশন চাচাই আমাকে দিয়েছেন। শর্ত ছিল প্রতিমাসের বেতন থেকে খরচটা কেটে রাখবেন। কিন্তু চাচা আমার ভার্সিটিতে যাতায়াতের খরচের কথা ভেবে আর টাকাটার আমার কাছ থেকে কাটেন নি। আমি তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। যখন আপন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে তখন পর আপন হয়েছে। রওশন চাচার মধ্যবিত্ত পরিবার। তবুও তিনি আমার ভরণপোষণ করেছেন।

আমিও যত্নের সাথে তার দুই সন্তানকে পড়িয়েছি। ব্যস এতটুকুই ছিল পাঁচ বছর ওই বাড়িতে আমার কাজ। তারপর চাচী অবশ্য আমার কাজ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন। হিয়া বড় হয়েছে বলে আমাকে হিয়াকে পড়াতে বারণ করে দিয়েছেন। জুয়ান মাস্টার দিয়ে আর তার মেয়েকে পড়াতে চান না। হিয়াকেও আমার সামনে আসতে বারণ করে দিয়েছেন। বাড়ির ড্রয়িং রুমে আমার প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। ওখানে বসে হিয়া সহ বাড়ির লোকজন টিভি দেখে। আমি মাথা নিচু করে সাইড দিয়ে শাওনের রুমের চলে আসি।

শাওনের ছোট রুমটায় দু টো খাট পাতা। একটাতে আমি আর একটাতে শাওন ঘুমায়। এই ঘরেই কেটেছে আমার পাঁচটি বছর। কিন্তু এখনো মনে হয় সেদিন যেন এসেছি। সেদিনের হিয়া কবে কৈশোর পেরিয়ে যুবতি হয়ে উঠেছে বুঝতেই পারিনি। তবে কেন যেন মেয়েটাকে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার সব স্বপ্নে আজকাল ও আসে। দুপুরে খেতে বসলে খনিকের কল্পনায় চোখ মদির হয়ে উঠে। আমি কল্পনায় দেখি হিয়া আমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছে। এসে বলছে ,”মাছের টুকরোগুলো বিড়াল খেয়ে গেছে। তোমার জন্য লেজটুকুই আছে। তুমি মন খারাপ করো না যেন।” চাচীর কথার আওয়াজে বাস্তবে ফিরে আসি ,”আজ শুধু শুঁটকি মাছ আর ডাল দিয়েই খেতে হবে। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার। খাওয়ার পেছনে বিলাসিতা আমাদের মানায় না।” বলে চাচী ভেতরের ঘরের চলে যান। সেখান থেকে হিয়ার কন্ঠ ভেসে আসে,”মা বিরিয়ামী রান্না করেছিলে শোভন ভাইকে দিয়েছো?” চাচী ধমকের স্বরে বলেন ,”আস্তে বলো। বিরিয়ানী শুধু তোমাদের দুই ভাই বোনের জন্য রেঁধেছি। এত জনকে দিয়ে আমাদের পোষায় না।” চাচীর ধমকে হিয়া চুপ করে যায়। আর কথা বাড়ায় না। আমার মন এক অজানা ভালো লাগায় ভরে ওঠে। হিয়া আমাকে নিয়ে কত ভাবে!

হিয়ার সাথে কথা বলার জন্য একটা মোবাইল কিনব বলে টিউশনের টাকাগুলো পাই পাই করে জমিয়েছিলাম এক বছর ধরে। রোজ এক ঘন্টার পথ পায়ে হেটে গিয়েছি এক হাজার টাকা মাসিক বেতনের টিউশনের জন্যে। এক হাজার টাকা বিত্তবানদের কাছে হাতের ময়লা হলেও আমার মত পরের আশ্রয়ে বাঁচা যুবকের কাছে ছিল বিশাল অংক। কত স্বপ্ন বুনেছি এই মোবাইলকে ঘিরে। মোবাইল কিনে প্রথম ফোন দিবো হিয়াকে। নাহ ফোন দেয়াটা ঠিক হবে না। একটা মেসেজ পাঠাবো। কিন্তু কি লিখবো এই মেসেজে? ”হিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি।” না এটা লেখা ঠিক হবে না। কেমন যেন একটা ন্যাকামি ন্যাকামি ভাব আসে এতে। আমার হতদরিদ্রকে ন্যাকামিতে মানায় না। কি লিখবো এই ভেবে ভেবে আমার কেটে গেছে রাতের পর রাত। কিন্তু অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়। ফোনের ভেতর মাটি ঢুকিয়ে নকল ফোন বানিয়ে আমাকে গছিয়ে দিয়েছে!

কি তাজ্জব! এখন ঘুমের ঘোরে আমি স্বপ্নে দেখি ফোন বিক্রেতা ছেলেটা আবার ফিরে এসেছে। সে আমাকে একটা দামী ফোন দিয়েছে। আমি ওটা দিয়ে হিয়াকে ফোন করতে চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই তার নাম্বার মেলাতে পারছি না। আমি ঘুমের ঘোরে হ্যালো হ্যালো বলে হিয়ার নেটওয়ার্ক পেতে চেষ্টা করি। শাওনের ডাকে ঘুম ভাঙে। ইদানিং নাকি আমি ঘুমের ঘোরে আবল তাবল কথা বলি। এতে শাওনের ঘুমে ডিস্টার্ব হয়।

সপ্তাহখানেক পর চাচী আসেন আমার রুমে। পিরিচে গোটা দুয়েক রসগোল্লা। তিনি ওটা আমার দিকে বারিয়ে দিতে দিতে বলেন ,” তোমাকে একটা সুসংবাদ দিতে এসেছি গো বাবা। হিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, আমেরিকা থাকে। বিয়ের পর মেয়েকে ওখানে নিয়ে যাবে। ওখানে ওদের নিজেদের একটা বিশাল বাংলো আছে। মেয়েটা আমার পাঁচ আঙুলের কপাল নিয়ে জন্মেছে বাবা।” চাচী গাল ভরে হাসছেন।

হিয়ার বিয়ের দিন খুব সকালে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। হিয়াকে কিছুতেই আমি অন্যের বধু বেশে দেখতে চাই না। আমার চোখে সাজানো থাক সেই কৈশোরের হিয়া। শহর থেকে কিছুটা দূরে সবুজ মাঠে শুয়ে পার করে দেই সারাটা বিকেল। মধ্যরাতে হিয়ার বিয়ের পাঠ চুকিয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসি। শাওনের কাছে শুনি হিয়া বিয়ে আগে খুব কেঁদেছিল। শুনে আমার চোখও ভিজে উঠে। হিয়া কি আমার জন্য কেঁদেছিল? দূর বোকা হিয়া আমার জন্য কেন কাঁদবে! এত বছর বাবা মায়ের কাছে বড় হয়েছে তাদের জন্য কেঁদেছে। আমি শাওনের থেকে অশ্রুগুলোকে আড়াল করতে লাইট নিভিয়ে বিছানায় শুয়ে চোখ মুদি। কল্পনায় ভেসে উঠে হিয়া আমার জন্য কাঁদছে!

বিষয়: বিবিধ

২১৪৮ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

266661
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:৩০
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো Love Struck Love Struck
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৮
210561
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ধন্যবাদ।
266677
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : শোভনদের জীবনে সুখের মুহূর্তগুলো ধরা দেয়না সহজে তবু স্বপ্ন দেখে যেতে হয়।

অনেকদিন পর সুন্দর একটা গল্প নিয়ে হাজির হলেন Love Struckভাল লাগল ইকিদি Good Luck Rose
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
210562
ইক্লিপ্স লিখেছেন : শোভনদের জীবনে সুখের মুহূর্তগুলো ধরা দেয়না সহজে তবু স্বপ্ন দেখে যেতে হয়।
তবু তারা স্বপ্ন দেখে যায়। স্বপ্ন বাঁচার পাথেয়।

ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
266682
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:২৯
নূর আল আমিন লিখেছেন : গল্পটা অনেক ভালো লাক্সে তবে যদি এটা সত্যি হয় তাহলে বলবো শোভন একটা শিক্ষিত বলদ কেউ ফোন কিনতে কি সিম ছাড়া যায়?
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২০
210563
ইক্লিপ্স লিখেছেন : শোভনরা কেনে।

শুভেচ্ছা জানবেন।
266687
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:১৩
মামুন লিখেছেন : খুব কষ্ট লাগল গল্পের ছেলেটির জণ্য। আমাদের আশেপাশে এমন মানুষ অঢেল রয়েছে, যাদের স্বপ্নগুলি কাছে এসেও আসেনা- ধরি ধরি করেও ধরা দেয়না। আমার মনটা অনেক বিষন্ন হয়ে গেলো আপনার লেখা পড়ে। অনেক ভালো লিখেন আপনি। আপনাকে প্রিয়তে রাখলাম।
এরকম আরো অনেক লেখা পড়বার অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Rose Rose Rose Good Luck
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
210564
ইক্লিপ্স লিখেছেন : শুভেচ্ছা মামুন ভাইয়া,
সত্যি খুব কষ্টের স্বপ্ন যখন হাতের কাছে এসে ফসকে যায়। আর এমনটা শোভনদের জীবনে অহরহ ঘটে থাকে।
প্রিয়তে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং মনোযোগী পাঠের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
266710
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৩
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আহারে...মনটাই খারাপ হয়ে গেল Sad মাঝে মাঝে খুব শখ হয় গল্প লিখব Tongue কিন্তু আপনাদের এই চমৎকার এগুলো পড়লে মনের আশা মনেই জলাঞ্জলী দেই। Loser শুভেচ্ছা জানবেন Love Struck
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
210565
ইক্লিপ্স লিখেছেন : এত না ভেবে লিখে ফেলুন আপনার গল্প। খুব চমৎকার কিছু হবে আশা করি। অনেক শুভকামনা।
266743
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২৯
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : গ্রামাঞ্চলে এসব ঘটনা এখনো ঘটে...।
বেচারা শোভনের জন্য কষ্ট লাগে। কিন্তু এটাও সত্য, এই বয়সে এসবে জড়ালে ক্যারিয়ার শেষ!
আবার মেয়ের বাবা-মাতো চাইবেই মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত ছেলের কাছে বিয়ে দিতে। কে চায় বেকার ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে সারাজীবন টানতে?
আমি মনে করি ঐ মেয়ে ডাঙ্গর হওয়ার আগেই যদি শোভনের কাছে পড়ানো বন্ধ করতো অর্থাৎ পরিপূর্ণ পর্দা পালন করা হত তাহলে কোন সমস্যাই হতোনা। Happy
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
210566
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অনেক ভালো বলেছেন। Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor শুভেচ্ছা জানবেন। Good Luck
266790
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
egypt12 লিখেছেন : ফোনটি কেনা হয়নি এটাই ভালো হয়েছে...পরে শোভনকে নিমক হারাম উপাধি পেতে হত বা বড় মানের অস্তিত্ব বিনাশী অপমানের ও শাস্তির শিকার হতে হত।

হিয়ারা শোভনের জন্য নয়...শোভনের জন্য তারই মত কোন কিশোরী যুবতী হচ্ছে পৃথিবীর কোন এক কোনায়, যার সাথে ওর গলায় গলায় ভাব করতে কোন সমস্যা হবে না আর মিলবেও পারফেক্ট Rose
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
210567
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ফোনটি কেনা হয়নি এটাই ভালো হয়েছে...পরে শোভনকে নিমক হারাম উপাধি পেতে হত বা বড় মানের অস্তিত্ব বিনাশী অপমানের ও শাস্তির শিকার হতে হত।
-সত্যিই তাই হত। এমন টাই হয়। যেটাকে আমরা বলি বাস্তবতা!

হিয়ারা শোভনের জন্য নয়...শোভনের জন্য তারই মত কোন কিশোরী যুবতী হচ্ছে পৃথিবীর কোন এক কোনায়, যার সাথে ওর গলায় গলায় ভাব করতে কোন সমস্যা হবে না আর মিলবেও পারফেক্ট।
- হয়তবা। শোভনরা সুখে থাকুক এই প্রার্থনা।

শুভেচ্ছা জানবেন।
266798
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০২
ভিশু লিখেছেন : Rolling Eyes কল্পনা একটি জিনিস - ওটা আবার ভিজেও, ঝিরঝির করে বাতাসও লাগে?!?...Surprised Worried Day Dreaming খুব ভালো লাগ্লো ইক্লিমণি...Happy Good Luck Rose Bee বলুন তো ক্যান্নো...Angel আচ্ছা থাক, বলতে হবে নাহ...Don't Tell Anyone
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৮
210570
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ফাঁকি দেয়া তো কেউ আপনার কাছ থেকে শিখুক। শুধু শিরোনাম পড়ে মন্তব্য করেছেন তাই না? Frustrated Frustrated তাই ক্যান্নো ছ্যান্নো করছেন। Crying Crying
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
210603
ভিশু লিখেছেন : হা হা হা...ইউয়ার অ্যাবসলিউটলি কারেক্ট.. আউটস্ট্যান্ডিং ট্যালেন্ট ইক্লিটা... Loser SurprisedSmug Don't Tell Anyone
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৪
210604
ভিশু লিখেছেন : হা হা হা...ইউয়ার অ্যাবসলিউটলি কারেক্ট.. আউটস্ট্যান্ডিং ট্যালেন্ট ইক্লিটা... Loser SurprisedSmug Don't Tell Anyone
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১১
210877
ইক্লিপ্স লিখেছেন : পাম্পিং এ কমপেন্সেট হবে না Frustrated Frustrated Frustrated Frustrated
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
210990
ইমরান ভাই লিখেছেন : গল্পে কিন্তু "ভি" চিন্হ আছে ভি শু দা Tongue Tongue Rolling on the Floor Don't Tell Anyone
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
211012
ভিশু লিখেছেন : ঐটা তো ইমরান 'V'ai-এর 'ভি'-ও হইতে পারে...Angel
266802
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৯
লোকমান লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
210571
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ব্লগ আলারা রেডিমেড মন্তব্যের সুবিধা রাখলেও রেডিমেড জবাবের সুবিধা রাখেননি। তাই আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারলাম না। Yawn
১০
266813
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০২
পবিত্র লিখেছেন : কল্পনা কি অশ্রুতে ভিজে গেলো!? MOney Eyes ভালো লাগলো খুব। Happy Good Luck Good Luck
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
210572
ইক্লিপ্স লিখেছেন : জ্বী ভিজে গেল। বৃষ্টিতেও কল্পনা ভিজতে পারে। Angel শুভেচ্ছা জানবেন।
১১
266842
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৬
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হুম, ভালোই হয়েছে গল্প ...
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১২
210878
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ধন্যবাদ বুড়া।
১২
266930
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩১
হাকালুকি লিখেছেন : অনেকদিন পর
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১৩
210879
ইক্লিপ্স লিখেছেন : আরে সুমন ভাইয়া যে। আসলেই অনেকদিন পর। এস বি বন্ধের পর এখন আমার মত, আপনার মত অনেকেরই নিয়মিত ব্লগে আসা হয় না।
১৩
267014
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : কষ্টের গল্পগুলো সবসময়ই মন ছুঁয়ে যায়! সুন্দর গল্পটির জন্য আবারো ভালোলাগা রেখে গেলাম Love Struck Rose Music
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১৪
210880
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সাদিয়া আপু,

সুন্দর থাকুন।
১৪
267035
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:১৩
শেখের পোলা লিখেছেন : শোভণরা স্বপ্ন সম্বল করেই বেঁচে থাকে৷ ভাল লাগল৷ একেবারে বাস্তব বলেই মনে হয়৷
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১৯
210881
ইক্লিপ্স লিখেছেন : স্বপ্নই শোভনদের বেঁচে থাকার পাথেয়। আবার সেই স্বপ্নই ভেঙ্গে যায় অহরহ।

সুন্দর থাকুন।
১৫
267204
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
ইমরান ভাই লিখেছেন : আহহা ছেলেটার অনেক কস্ট Day Dreaming অনেক দিন পরে এসে কষ্ট দিলেন কেন ছেলেটাকে Sad এখন একটা সুখের গল্প চাই Loser Loser
Hurry Up Hurry Up থাকলাম Day Dreaming
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৪
211755
ইক্লিপ্স লিখেছেন : হুম চেষ্টা করব। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬
267232
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৩
আহ জীবন লিখেছেন : কুল ভাঙ্গা সর্বনাশা স্রোতের গল্প মনটা বিষণ্ণ করে দিল।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৪
211756
ইক্লিপ্স লিখেছেন : হুম Talk to the hand Talk to the hand Talk to the hand

সুন্দর থাকুন।
১৭
267235
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩০
আবু ফারিহা লিখেছেন : অনেক দিন পড়ে পড়লাম। ভালো লাগলো। তবে মোবাইলের ঘটনাটা বাস্তবের সাথে মিল আছে। সৌদি আরবে ইয়েমেনের লোকেরা এই প্রতারণা ঠিক এইভাবে মাটি ভর্তি করে মোবাইল বিক্রি করে থাকে। যারা কিনে তারা আপনার গল্পের মতো ধোকা খায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৬
211757
ইক্লিপ্স লিখেছেন : আপনাকেও অনেক দিন পরে দেখলাম। ইয়েমেনের ঘটনাটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমি এটা জানতাম না। সুন্দর থাকুন।
১৮
268070
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : লেখাটা যদি আপনার হয়ে থাকে তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি,প্রথম প্যারা পড়ে মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম...কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়েই বলছি-আপনি অসাধারণ গল্পকার। অতি অসাধারণ গুল্প বুনন...দোয়া রইলো।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০০
212118
ইক্লিপ্স লিখেছেন : আপনার মন্তব্যে লজ্জা পেলুম সেই সাথে অনেক খানি উৎসাহিত হলুম। দোয়া নিয়ে সব সময় সাথে থাকবেন।
১৯
268441
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৯
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : দীর্ঘ্য লম্বা খাম্বা লেখা দেখলেই ভয় পাই তারপরও প্রিয় লিখকের লেখা পড়লে বুঝতে পারবো সুখ দুখের শৈপ্লিক উপস্থাপন...আপনি পাকা লেখিকা বলার প্রয়োজন রাখেনা তবে মতন্তব্যে আপনিও কিছুটা ক্রিপন....।

সে জীবন সুখ কি বুঝিবে-যে জীবনে দুঃখ নেই
সুখ জিনিসটা পানসে স্বাদের-দুঃখটা সুখ স্বপ্নের
সুখী জীবনে সঙ্গোপনে ঘুন পোকারা ঘর বাঁধে
আস্তে আস্তে নীল অনলে-দুখের বিরিয়ানি রাঁধে
মানুষ কাঁদে হায় সুখ হায় সুখ বলে-সুখ যে লুকানো দুখেরই চাদর তলে...শুধু চলে সুখের সন্ধানে...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
212328
ইক্লিপ্স লিখেছেন : হু খুব সুন্দর বলেছেন। আসলে আজকাল আগের মত ব্লগে আসা হয় না। তাই খুব একটা মন্তব্যও করতে পারি না। তবে ব্লগে আসলে অবশ্যই চেষ্টা করব আপনার পোষ্টে যেতে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২০
269463
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
বিন হারুন লিখেছেন : শোভনের দু:খগুলো পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল.ছাত্রী-শিক্ষকের শ্রদ্ধা-স্নেহগুলো হৃদয়ের অজান্তে একদিন ভালবাসায় রূপ নেয়. তবে এখানে যাতে কোন দূর্ঘটনা না ঘটে অর্থাত শ্রদ্ধা-স্নেহ'র বেশি অতিক্রম না করে সেদিকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব শিক্ষকের. নয়তো সেই শ্রদ্ধা একদিন অসম্মানের কারণ হয়.
ধন্যবাদ সুন্দর গল্পের জন্য Rose Rose
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৯
213954
ইক্লিপ্স লিখেছেন : ভালো বলেছেন।

সুন্দর থাকুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File