Good Luckগল্পঃঅচৈতন্য চান্দ্র বিষাদ

লিখেছেন লিখেছেন ইক্লিপ্স ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৫৪:৪৪ দুপুর



আশরাফ সাহেব ঘুমের ঘোরে হঠাৎ চিৎকার করে ওঠেন। অস্ফুট কন্ঠস্বরে চাপা গোঙানি! ধড়ফড় করে ক্ষিপ্রগতিতে অশ্বদৌড়ে ব্যস্ত যেন বুকের ভেতর হৃদপিণ্ড! এস এ নোডের সবগুলো স্পন্দনগুলো বুকের পাঁজরে একের পর এক ধাক্কা দিয়ে জানাচ্ছে প্রতিবাদ! ''না কিছুতেই না, এ হতে পারেন না! আমি তোর কোন ক্ষতি করি নি! তুই আমাকে মারিশ না! প্লিজ.........প্লিজ! তুই আমাকে মারিস না'' কিন্তু ছোট্ট শিনশিনে দেহের মেয়েটা তার কোন কথা শুনছে না। আট দশ বছরের বালিকার গায়ে যেন অশরীরী ভর করেছে! অসীম শক্তি আজ তার লিকলিকে হাতের মাংশপেশীতে! সে সমানে ছুরি দিয়ে আশরাফ সাহেবের বুকে আঘাতের পর আঘাত হেনেই চলেছে! তিনি কোন মতে উঠে দৌড়াতে থাকেন! শরীরের সব লোনা জল চুইয়ে চুইয়ে অসীম ক্লান্তি শুষে নিয়ে তাকে ভিজিয়ে করছে ঘর্মাক্ত! শার্ট চটচটে হয়ে বুকের সাথে লেগেছে! তিনি ছুটছেন, তীব্রগতিতে শরীরের সব শক্তি দিয়ে ছুটছেন! কিন্তু বিপত্তি ঘটালো বাঁকা রাস্তার মোড়ে জড়সড় হয়ে পড়ে থাকা একটি রক্ত মাখানো ওড়না! ওড়নাটা কেন যেন তার খুব চেনা মনে হচ্ছে! মনে হচ্ছে তিনি নিজেই বাজারে থেকে এটা কিনে এনেছিলেন! কিন্তু এতে এত রক্ত কেন? তবে কি সত্যি সত্যি তিনি কাউকে খুন করেছেন? তিনি পা ফোঁসকে পড়ে যান। আর মেয়েটি দৌড়ে এসে তার বুকের উপর দাঁড়িয়ে বলে ,''স্যার ওঠেন তো দেখি! পারলে, ওঠেন! স্যার ওঠেন!''

''স্যার, ও স্যার, স্বপ্ন দেখেন নাকি? ও স্যার ওঠেন!''

ডিম লাইটের ধীমাচে আলোয় চোখ মেলেন আশরাফ সাহেব! উদ্বিগ্ন চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে তার বাড়ির কাজের মেয়ে ছন্দা!

আশরাফ সাহেব ওঠে আমতা আমতা করে শুধু বলেন ,''ছন্দা, এক গ্লাস পানি দে!''

ছন্দা পানি আনতে চলে যায়।

আশরাফ সাহেব এখনো ঘামছেন। স্বপ্নের ঘোর কিছুতেই মাথা থেকে যেতে চাইছে না! কি অদ্ভুত! তিনি তার বাড়ির কাজের মেয়েটিকেই স্বপ্ন দেখেছেন! স্বপ্নে তিনি তাকে রেপ করেছেন! তাই ছন্দা তাকে খুন করতে ছুরি হাতে দৌড়াচ্ছিল! স্বপ্ন অনেক সময় মানুষের অবচেতন মনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে খুব সূক্ষ্মভাবে উঁকি দেয়া চিন্তার প্রতিচ্ছবি! তবে কি তিনি মনে মনে একটা বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে কামনার উদ্বেলিত ভাবনায় রাত্রি যাপনের কথা ভেবেছেন! আশরাফ সাহেব লজ্জায় কুঁকড়ে যান! না এটা সম্ভব না! অন্তত তার মত মানুষ দিয়ে তো না ই। তিনি এত জঘন্য চিন্তা কিছুতেই মনে লালন করতে পারেন না। অবচেতনভাবেও না। তবে এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি? এটা কি তাকে ভবিষ্যৎ দেখাচ্ছে? আশরাফ সাহেব একবার স্বপ্ন বিষয়ক বেশ কিছু বই পড়ে ছিলেন। কখনো কখনো মানুষের স্বপ্ন সত্যি হতে পারে। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন তার মৃত্যুর ঘটনা আগে থেকেই স্বপ্নে দেখেছিলেন। হিটলার বাংকারে ঘুমিয়ে স্বপ্নে দেখেছিলেন একটা ফরাশী গোলা এসে তার বাংকারের উপর পড়েছে। স্বপ্নটা এতই জীবন্ত ছিল যে তিনি তৎক্ষণাৎ ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে বাংকারের বাহিরে চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর একটা গোলা আঘাতে বাংকার ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। এতে সবাই মারা পড়ে, শুধু হিটলার বেঁচে যায়!

ছন্দা পানি নিয়ে আসে। তিনি তার হাত থেকে গ্লাস নিয়ে এক চুমুকে গিলে ফেলেন। তারপর কিছুটা শান্ত হয়ে আবার ঘুমাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘুম আসতে চায় না! তিনি ওঠে গিয়ে ছাঁদের রেলিং ধরে দাঁড়ান খোলা আকাশের নিচে। চোখ আঁটকে যায় পূর্ণিমার চাঁদটার দিকে। চাঁদটা আজ অনেক জৌলস নিয়ে জ্বলছে যেন পৃথিবীকে জানান দিতে চাচ্ছে তার দীপ্তিময়তার আভিজাত্য! আশরাফ সাহেব সে দিকে তাকিয়ে স্বপ্নের ঘোর মাথা থেকে নামাতে চান! কিন্তু স্বপ্নটা যেন নিকোটিনের মত আচ্ছন্ন করে রাখতে চায়!

এমন সময় পেছনে থেকে কে যেন আচমকা ডাকলেন ,''আশরাফ সাহেব!''

তিনি চমকে পিছনে ফিরে তাকান। নিঃশব্দে তার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে পাশের ফ্ল্যাটের গণি মিয়া। সে নেশায় বুদ! উস্ক খুস্ক চুল, ঘন ঘন পকেট হাত দিয়ে মদের বোতল ছুঁয়ে খুশিতে সব দাঁত বিকশিত করে নিচ্ছেন তৃপ্তির ঢেকুর! ''আশরাফ সাহেব, চাঁদ দেখেন নাকি?''

তিনি শুধু আস্তে করে মাথা নেড়ে বলেন হু। এই লোকের সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। বেশির ভাগ সময়ই সে স্বাভাবিক সেন্সে থাকে না। বহু দিন ধরে মদ খেতে KORSAKOFF PSYCHOSIS এ ভুগছে! এখনি হয়ত বলে বসবেন জোছনা রাতে আকাশ থেকে জ্বীন নামে। তিনি দেখেছেন!

তার চিন্তায় বাঁধা দিয়ে আবারো গণি বলল,''আশরাফ সাহেব! ভালোই তো শান্তিতে আছেন! আপনার বউ মরছে। আসলে সৌভাগ্যবানদের বউ মরে। দেখেন আমার কপাল! বউ মাইরা হাত ফুলায় দিছে।'' তিনি তার হাতের কব্জিতে ফোলা অংশ শার্টের হাতা গুটিয়ে আশরাফ সাহেবকে দেখান।

আশরাফ সাহেব দীর্ঘ শ্বাস ছাড়েন। মাঝে মাঝেই গণি মিয়ার তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। গণি মিয়া কোন আয় রোজগার করেন না বরং ঘরের টাকা নিয়ে মদ কিনে নষ্ট করেন। শুধু একটা বাড়ি ছিল বলে রক্ষা। বাড়ি ভাড়ার টাকায় সংসার চলে। নয়ত অনেক আগেই তাদের পথে বসতে হত।

আশরাফ সাহেব গণিকে ছাঁদে একা রেখে নিচে চলে আসেন। মনের এই বিমর্ষ অবস্থায় একটা আধা উম্মাদের প্রলাপ শুনে মাথার চাপ বাড়িয়ে লাভ নেই। ঘরে এসে দেখেন ছন্দা ড্রয়িং রুমের ফ্লোরে বিছানা পেতে ঘুমাচ্ছে। এই মেয়েটা কত দিন না করেছি এখানে ঘুমাস না। কিন্তু না! সে রাত জেগে টিভি দেখে এখানেই ঘুমিয়ে পড়বে।আশরাফ সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন কালই ছন্দাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিবেন। প্রায় এক বছর আগে ছন্দার বাবা মা অনেকটা জোর করেই ছন্দাকে তার বাড়িতে কাজে দিয়ে যায়। ছন্দার মা বাসা বাড়িতে কাজ করে। বাবা রিক্সা চালায়। ছন্দার আরো পাঁচ ভাই বোন আছে। এতজনের খরচ চালাতে তার গরীব বাবা মা হিমসিম খাচ্ছিল।

পর দিন সকালের ফুরফুরে হাওয়া আর কুসুম রোদের উজ্জ্বল আভাতে রাতের সেই বীভৎস স্বপ্নের কথা আশরাফ সাহেবের আর মনে থাকে না। ছন্দার হাতের এক চা খেয়ে তরতাজা অনুভব করেন। স্বাভাবিক চিন্তা ফিরে পান। সামান্য একটা স্বপ্নের জন্য একটা গরীব মেয়েকে আবার সেই নির্মম দারিদ্রতার মধ্যে ঠেলে দেয়ার চিন্তাকে নিছক ছেয়েমানুসী মনে হয়। তিনি নিশ্চিন্তে যান ভার্সিটির ক্লাস নিতে। তারপর আবার ফুরফুরে মেজাজে ফিরে আসেন।

কিন্তু বিপত্তি হয় পরদিন রাতে! আবারো একই স্বপ্ন! তারপর প্রায় একটা নির্দিষ্ট সময় পর পরই তিনি একই স্বপ্ন দেখতে থাকেন! কি বীভৎস! বারে বারে একই স্বপ্ন দেখার কি কারণ হতে পারে! একটা মেয়ের বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ, তারপর খুন! সভ্য সমাজে একেবারে অচিন্তনীয়! আর তার মত মানুষের জন্য অকল্পনীয়ও বটে! তিনি জীবনে কোন দিন কোন খারাপ কাজ করেন, ঘুস খান নি, মিথ্যা বলেন নি, স্ত্রী মারা যাবার পর দ্বিতীয় বিয়ে পর্যন্ত করেন নি। দুই দুই বার ভার্সিটি থেকে সেরা শিক্ষকের সম্মাননা পেয়েছেন। ভার্সিটির ছেলে মেয়েরা তাকে পছন্দও করে। তাদের যে কোন সমস্যায় তিনি কাউন্সিলিং করেন। তবে এখন নিজের কাউন্সিলিং করতে গিয়ে তিনি মানসিক ব্যাধি গ্রস্থ হয়ে পড়ছেন! আশরাফ সাহেব ঠিক করেন পর দিনই সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাবেন।

সাইকিয়াট্রিস্ট আশরাফ সাহেবের মেন্টাল স্ট্যাটাস পরিমাপ করেন। রিপোর্ট নর্মাল। তার শর্ট টার্ম, ইন্টার মিডিয়েট টার্ম, লং টার্ম সব মেমোরি ইনটেক। হেলুসিনেশন, ডিলিউশন, ডিসওরিয়েন্টেশন, ডিপ্রেশন সব কিছু অনুপস্থিত। শুধু দুঃস্বপ্নের কারনে বেশ উদ্বিগ্ন। ডাক্তার তাকে কিছু এন্টিএংজিওলাইট ড্রাগ দিয়ে নিয়মিত খেতে বলেন।

কিন্তু এই ড্রাগেও কোন কাজ হল না। আবার সেই স্বপ্ন! একদম হুবুহু! তিনি ঘুমের ঘোরের আতংকে চিৎকার করে ওঠেন। ছুটে আসে ছন্দা! ''স্যার আবারো দুঃস্বপ্ন দেখছেন!''

-হু

-স্যার আমারে কি কওন যায়?

- নারে ছন্দা! এই স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবে না!

-স্যার কারে নিয়া দেখছেন সেইটা কি কওন যায়?

তিনি কিছুক্ষণ ছন্দার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। তার বড় বড় ডাগর চোখের মমতায় আশ্বস্ত হন। তারপর বললেন ''তোকে নিয়ে।''

-স্যার তাইলে এক কাম করেন। আপ্নে আমারে আপনার পালক মেয়ে বানায় ফালান। আমি আপনার মেয়ে হয়ে গেলে আর স্বপ্নে আমারে দেখলে ডরাইবেন না।''

ছন্দা হি হি করে হাসে। আশরাফ সাহেব ছোট্ট মেয়েটার নিষ্পাপ হাসিতে স্বস্তি খুঁজে পান। তার স্ত্রীর সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুর সময়কার অপরিপুষ্ট নবজাতকটি যেন তাকে বাবা বলে ডেকে ওঠে!

''ছন্দা তুই আমার মেয়ে হবি? পারবি আমাকে বাবা বলে ডাকতে।''

-ছন্দার মুখে লজ্জার হাসি।

আশরাফ সাহেব পর দিন ছন্দার জন্য নতুন জামা কাপড় কিনে আনেন। তার রুমের পাশে একটি বড় রুম গুছিয়ে তোলেন সদ্য এডপ্টেড মেয়ের জন্য। ভাবছেন উকিল ডাকিয়ে এফিডেভিটও করে নিবেন। তার মৃত্যুর পরে তার সব বিষয় সম্পত্তির মালিক যেন ছন্দা হতে পারে। ছন্দার বাবা মাও খুশি হবে নিশ্চয়ই। তাদের অভাবের সংসারে মেয়েটি তো বোঝা!

আশরাফ সাহেব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন তিনি সেই স্বপ্নটি আর দেখছেন না! বেশ সুখেই কেটে যাচ্ছিল তাদের বাপ মেয়ের সংসার!

মাস ছয়েক পর......

-বাবা জানো আজ রাত দুইটায় নাকি চন্দ্র গ্রহণ হবে! পুরো চাঁদটাকে গ্রাস করে নিবে কালো ছায়া। খোলা চোখেই নাকি দেখা যাবে!

-তাই নাকি!

-হু! এমন চন্দ্র গ্রহণ নাকি আগামী ছিয়াত্তর বছরেরও দেখা যাবে না!

-তাই! তাহলে এক কাজ কর! আজ বাসায় বাপ বেটি মিলে পার্টি দেই। দু জনে মিলে পোলাও মাংশ রান্না করি। তারপর রাতে এক সাথে ছাঁদে মাদুর বিছিয়ে চন্দ্র গ্রহণ দেখবো আর ভুড়ি ভোজ করব! দাঁড়া আমি বাহির থেকে দুই বোতল কোক কিনে আনি।

ছন্দা খুশি হাত তালি দিয়ে ওঠে।

আশরাফ আর ছন্দা প্লান মত রাতে খাবার নিয়ে ছাঁদে ওঠে! বিশাল বড় এক পূর্ণিমা চাঁদ যেন আলোর জোয়ারে ভাসাচ্ছে পৃথিবী! এই চাঁদের সব আলো খুব সহসাই কালো অপচ্ছায়ায় ঢাকা পড়ে যাবে! আশরাফ সাহেবের ভাবতে ভালো লাগে না! যত রাত এগোচ্ছে কেমন যেন আতংক গ্রাস করছে! কিন্তু ছন্দা খুব খুশি! সে গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে গ্রহণ দেখার!

এমন সময় পাশে এসে দাঁড়ান গণি মিয়া! মদের বোতল আশরাফ সাহেবের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে খাবেন নাকি এক চুমুক?''

আশরাফ সাহেব বিরক্তিতে মাথা নাড়েন। গণি মিয়া তার অলক্ষ্যে নিশ্চুপে তার বোতলের কোক ফেলে দিয়ে মদ দিয়ে পূর্ণ করে দেয়।! তার মুখে বিজয়ীর হাসি!

ঠিক রাত বারোটার দিকে চাঁদে গ্রহণ লাগে! আস্তে আস্তে পৃথিবী ঘিরে নেমে আসে ভয়ংকর কালো অন্ধকার! আশরাফ সাহেব তেষ্টায় কোকের বোতলে চুমুক দেন! তবু তেষ্টা যেন আজ কিছুতেই মিটতে চাইছে না! তিনি এক চুমুকে পুরো বোতল শেষ করে ফেলেন! মাথায় ঘোর লাগে! চোখের সামনে সাঁ সাঁ করতে থাকে পৃথিবী! এমন সময় একটি মেয়েলি কন্ঠ বলে ওঠে ,''দেখো দেখো চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে গেছে। গ্রহণ পুরণ হয়েছে তাই না?'' আশরাফ সাহেব তাকিয়ে দেখেন তার মৃত স্ত্রী স্বর্ণা এসে দাড়িয়েছে পিছনে! আধো আলো আধো ছায়ায় অপরুপ রূপসী লাগছে তাকে!

স্বর্ণা তুমি ফিরে এসেছো! তুমি চলে যাবার পরে আমি কত কেঁদেছি! আমাকে ছেড়ে আর যেও না স্বর্ণা! তিনি শক্ত করে তার স্ত্রীর হাত চেপে ধরেন সে যেন পালিয়ে যেতে না পারে!

তখন রাত দুই টা! চাঁদের গ্রহণ সম্পূর্ণ!

খুব ভোরে গণি সাহেবের স্ত্রীর চিৎকারে ঘুম ভাঙে তার। পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছন্দার নিষ্প্রাণ দেহ!

একমাস পর,

আশরাফ সাহেব পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। থেকে থেকে চিৎকার করে ওঠেন ,'''না কিছুতেই না, এ হতে পারেন না! আমি তোর কোন ক্ষতি করি নি! তুই আমাকে মারিশ না ছন্দা! প্লিজ.........প্লিজ! তুই আমাকে মারিস না''

বিষয়: বিবিধ

২৯৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File