বিশেষ মন্তব্য প্রতিবেদন : এ মরণ খেলা প্রতিহত করুন !

লিখেছেন লিখেছেন জান্নাতে যেতে চাও যারা ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৫৫:০১ বিকাল

আবারও সেই উদ্বেগ উতকন্ঠা দিয়ে কথাটা বলি,আমরা যাচ্ছি কোন্ দিকে, আমরা কি জানি আমাদের তরূন প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের কারা কোন্ কাজে কোন্ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ যাত্রার শেয় কোথায় ?

হ্যামিলনের বংশী বাদকের মতো বাশিতে একদল লেখক আর হাজার হাজার নর নারী শিশু কিশোর বা তার পিছু চলতে থাকলো পিছু নিতে নিতে এক সময় দেখা গেলো সবাই তাদের অজান্তে গিয়ে সাগরে ঝাপ দিয়ে মৃত্যুর কোলে হারিয়ে গেলো!

আন্দোলন সংগ্রাম মিছিল সবাবেশ কোন্ দেশে হয় না গণতান্ত্রিক সমাজে দাবী আদায়ের জন্যে শত শত বছর থেকে মানুষরা যুগে যুগে এগুলোকে তাদের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে;কিন্তু কোনো দেশে সে দেশেরই সংখ্যাগরিষ্ট মানুষদের ধর্মীয় বিশ্বাস , আল্লাহ রাসূল সর্ম্পকে জঘন্য বিষয়ে দাড়ানোর এমন কোনো ধ্বংসাত্নক প্রচেষ্টার কোনো নযীর আমাদের সময়ে অন্য কোথায়ও আছে বলে আমাদের মনে হয় না।

সাম্প্রতিককালে দেশে দেশে আমরা লক্ষ লক্ষ লোকের জনসমাবেশ দেখেছি, তিউনিশিয়া কায়রো, দামেস্ক, সানা, মানামা, আম্মান ইসলামাবাদ, দিল্লীতেও আমরা বিশাল বিশাল সমাবেশ দেখেছি। বিশেষ কিছু দাবী আদায়ের জন্যে আন্দোলনের নেতারা এসব সমাবেশ থেকে জনগণকে ডাক দিয়েছেন;কিন্তু এর কোনো একটি দেশেও বিপুল জনগোষ্ঠীর দাবী দাওয়াকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যে তাদের দ্বীন ঈমানে এতো বড়ো আঘাত কেউ করেনি, বিপুল জনগোষ্ঠীর আবেগ উচ্ছাসকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যে পর্দার অন্তরালে কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র করা হয়নি।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নতুন প্রজন্মের যে বিপুল পরিমাণ কিশোর কিশোরী তরূন তরূনী আজ জড়ো হয়েছেন তাদের ৮ হাজার মাইল দূরে বসে তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সর্ম্পকে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাইনা । ও যমীনে যারা বাস করছেন যারা ওখানে বসে সে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন এ দায়িত্ব তাদের। তারাই এ নিয়ে ভাববেন এই বিশাল সমাবেশের আড়ালে কোনো চিহ্নিত মহলের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের জন্যে কাজ করছেন কিনা সে ব্যাপারেও আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না এমন কি সেখানে অনুষ্ঠিত হিন্দু মুসলিম বোদ্ধ খৃষ্টান নারী পুরুষ কিশোরীদের বিনা ওজুতে জানাযায় ইসলামের একটি ফরয এবাদত নিয়ে যে ক্ষমাহীন ধৃষ্ঠতা ও ওধ্যত্ব দেখানো হয়েছে

আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি যার শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান - সে দেশে আজ ৯০ ভাগ মানুষের দ্বীন ঈমান নিয়ে জঘন্য বিষেদাগার করা হচ্ছে আমাদের মতো অনেকেই তা দেখে রীতিমতো আতংকিত হয়ে পড়েছে ।

ডেনিস কাটুনিষ্টের নবী বিদ্বেষী কাটুনের বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া আমরা দেখেছি। মার্কিনী ফিল্মমেকারের ইসলাম বিরোধী বিরোধী শর্ট ফিল্মের বিশ্বময় ঝড় আমরা দেখেছি, সম্পূর্ন অমুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও এখানকার বুদ্ধিজীবি সমাজ ও রাষ্ট্রতন্ত্রের ভুমিকা আমরা দেখেছি , নবী মোহাম্মদের অনুসারী না হয়েও তারা এ ছবির নির্মাতার বিচার করেছে; কিন্তু আমাদের দেশে যারা কতিপয় দূর্বত্ব ব্লগার যারা দাবী করে তাদের ব্লগের কারনেই আজ ঢাকায় এ বিপুল পরিমান নতুন প্রজন্মের মানুষরা জড়ো হয়েছে- তাদের ব্লগে ইদানিং যে কুৎসিত ও অরুচিকর বক্তব্য দিয়েছে তার ব্যাপারে শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম দেশের সরকার প্রধান নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের ভুমিকা কি এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, যে দেশের সরকার প্রধান তাসবীহ হাতে লক্ষ মুসলমানের জাতীয় এজতেমায় যান সে দেশে তার চোখের সামনে প্রিয়নবীর নামে সে সব চরম বিদ্বেষ ও কুতসিত লেখা বেরিয়েছে তার বিরুদ্ধে তিনি কি ব্যবস্থা নেবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়; কিন্তু এমনি এক নবী বিদ্বেষী ব্যক্তির জন্মস্থানে যখন শুনি রাষ্ট্রীয় টাকায় কয়েক কোটী টাকা ব্যয় করে ৭তলা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে তখন নানা কারনেই বিষয়টা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আসে। আমরা অবশ্যই আশা করবো এই শোনাকথাটা মিথ্যা হোক যে কুলাংগার আমার নবীকে গাল মন্দ করেছে সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ মানুষের চরিত্র নিয়ে কথা বলেছে তার বিচার না করে তাকে পুরস্কৃত করা কয়েক যুগ পর হলেও কাউকে না কাউকে এর জবাব দিতে হবে ।

আমরা এর আগেও বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী তৎপরতার বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা আমাদের উদ্বেগে বলেছি আমাদের শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে প্রতিনিয়ত যেভাবে প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়া আল্লাহ তার রাসূল ও ইসলামের বিরুদ্ধে লেখালেখি , টকশো ও প্রচার প্রপাকান্ডা চলে প্রথিবীর কোনো অমুসলিম দেশেও তার শতভাগ ঘটনা ঘটেনা, কোরআন বিরুদ্ধ আইন বানানো হয়েছে, সরাসরি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক বিধিবিধানে তথাকথিত মুসলমানরাই যাদের অনেকের কপালেই সাজদার দাগ তারা সই করেছেন, একদিকে সামাজ্য থেকে ইসলামের বীজ উপড়ে ফেলা হচ্ছে, কোরআন হাদীস, পর্দা পুশিদা বিয়ে তালাক উত্তরাধিকার আইনকে ব্যাংগ করে উপহাস করে আরেকটি ধর্মীয় জামাতের কয়েক লাখ লেখকের সামনে তাসবীহ হাতে নেতা নেত্রীরা হাযির হচ্ছে ! এ এক আজব দেশ আমাদের !

আমরা বিনয়ের সাথে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ও বিচার বিভাগকে আবারো এই র্স্পষকাতর বিষয়টি ভেবে দেখতে বলবো মনে রাখতে হবে দলীয় রাজনীতির ভোট নির্বাচন মিছিল হরতাল আন্দোলন সমাবেশ একটি ক্ষণস্থায়ী ব্যাপার! বড়োজোড় আগামী ১০/১৫ বছর ;কিন্তু আল্লাহ তায়ালা নবী রাসূল কোরআন হাদীস জান্নাত জাহান্নাম চিরন্তন, সুতরাং এই চিরন্তন সত্যের ব্যাপারে তাদের আরো সর্তক হতে হবে। ইতিহাসের পাতা থেকে তাদের শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে চলে কেউই রেহাই পায়নি, আদ সামূদ ফেরাউন ও লুতের জাতিদের আল্লাহর আযাব থেকে কেউই বাচাঁতে পারেনি সময় থাকতে আমরা তাদের সাবধান হতে বলি ।

বলবো কেননা কোনো জনপদে আল্লাহর গযব এলে তা নিদৃষ্ট কোনো গোষ্ঠীতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এর চরম মূল্য দিতে গিয়ে গোটা জাতিই একদিন আল্লাহর যমীন থেকে বিলীন হয়ে যাবে ।

বিষয়: বিবিধ

১৩০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File