সোনার ছেলেরা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা, we are proouud for you.

লিখেছেন লিখেছেন জুনাইদ হোসেন সবুজ ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ১০:০৫:৪০ সকাল

ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে দিন দিন ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনটি। সাধারণ শিক্ষার্থী, ভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী কিংবা পথচারী কেউই এখন আর রেহাই পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। নিরাপদ নন শিক্ষকরাও। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাদের পেটাচ্ছে নির্দয়ভাবে। ছাত্রলীগের আক্রমণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সরকারি-বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগ ক্যাডারদের সশস্ত্র মহড়া, হামলা, সংঘর্ষ নিত্যদিনকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ভর্তি-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দখল-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে কিংবা নিজেদের মধ্যে খুনোখুনিতে লিপ্ত হচ্ছে। সরকারের শেষ বছরের শুরুতেই ছাত্রলীগের এই লাগামহীন সন্ত্রাসে অশান্ত হয়ে পড়ছে দেশের প্রায় সব শিক্ষাঙ্গন। আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে এখন উচ্চশিক্ষার পাদপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

সর্বশেষ শনিবার বিকালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা শিক্ষক লাউঞ্জে হামলা চালায়। এতে ৩০ জন শিক্ষক আহত হন। লাঞ্ছিত হন আরও ৪০ জন শিক্ষক। এর দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনটি। এ সময় মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি, শিক্ষকদের ওপর এসিড পর্যন্ত ছুড়ে মারে ছাত্রলীগ। এর আগের দিন বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশ করে ইন্টার্নি চিকিৎসক ও ছাত্রীদের মারধর এবং কয়েকজনের শ্লীলতাহানি করে তারা। বিগত চার বছরে ছাত্রলীগ দেশের প্রায় সব কটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারশ'র বেশিবার সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটায়। সশস্ত্র এসব ঘটনায় অন্তত ২৪ জন নির্মম খুনের শিকার হন। আহত হন সহস াধিক নেতা-কর্মী ও পুলিশ। পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে হত্যা করে সাম্প্রতিক সময়ের সব পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।

জানা গেছে, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস বন্ধে প্রশাসন, দল, এমনকি সংগঠনটির কেন্দ্র থেকে বার বার কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিলেও তা কোনোভাবেই কাজে আসছে না। সরকার গঠনের পর পর তাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক নেত্রীর পদ ছাড়েন। কিছু দিন শান্ত থাকলেও ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে গেছে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে বেড়েছে সেশনজট। উচ্চশিক্ষাঙ্গন অস্থিতিশীল হওয়ায় শিক্ষাজীবন হয়ে পড়েছে বিপন্ন।

দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের ভাবিয়ে তুলেছে। তবে সাবেক ছাত্রনেতাসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একের পর এক অপকর্ম করেও শাস্তি থেকে পার পেয়ে যাওয়াই মূলত বর্তমান সংকটের কারণ। প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্র থেকে বার বার কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেওয়া হলেও এর বাস্তবায়ন হয় সামান্যই। আর হলেও সাময়িক বহিষ্কার কিংবা সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যক্রম স্থগিতের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ নির্বাচনী ইশতেহারে সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, সেশনজটমুক্ত উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়েছিল মহাজোট সরকার। তবে খোদ আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা মনে করেন, নিয়ন্ত্রণহীন ছাত্রলীগের কারণেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ গত রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যেখানেই ছাত্রলীগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নিচ্ছে যথাযথ ব্যবস্থা। তিনি বলেন, 'আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল ও ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত চালানো হচ্ছে।' ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, 'এখানে শিক্ষক সমিতির সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও তারা ক্লাস করাতে চান না। যেমন ঘটেছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। এখানে ছাত্রদের কোনো দাবি ছিল না। শিক্ষক-রাজনীতি ও তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।'

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটির রিপোর্ট পেলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত চার বছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় ২৪ মেধাবী ছাত্র নির্মম হত্যার শিকার হন। এ সময় ছাত্রলীগ-প্রতিপক্ষ সংগঠন কিংবা ছাত্রলীগ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ হয়েছে অন্তত ৪০০ বার। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, কুষ্টিয়া ইসলামী, বাংলাদেশ প্রকৌশল (বুয়েট), জগন্নাথ, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কুমিল্লা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, চট্টগ্রাম মেডিকেল, ঢাকা ডেন্টাল, ঢাকা পলিটেকনিক, রাজশাহী পলিটেকনিক, সিলেট এমসি, পাবনা টেক্সটাইলসহ জেলা-উপজেলার ছোট-বড় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষের কারণে ৭০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্ধারিত সময়ের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়। কখনো আধিপত্য বিস্তার, হল দখল, চাঁদাবাজির টাকা ভাগবাটোয়ারা, টেন্ডারবাজি, নিয়োগবাণিজ্য কিংবা পদ্মা সেতুর টাকা উত্তোলন, কখনো বা অন্য কোনো অপকর্ম নিয়ে সংঘটিত হয়েছে সশস্ত্র সংঘর্ষ। ক্যাম্পাসগুলোতে এ সময় খই ফোটার মতো গুলিবিনিময় হয়, কিংবা রামদা নিয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

কুষ্টিয়া ইসলামী : শনিবারের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন ছাত্রলীগের কাছে জিম্মি। সংগঠনটির ক্যাডাররা আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়ে শিক্ষক-লাউঞ্জে ভাঙচুর চালায়। মারধর করে শিক্ষকদের। এর আগে ১৯ নভেম্বর একই কায়দায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে প্রথম দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকেন চরম আতঙ্কে। গত বছর ছাত্রলীগের তালিকা অনুযায়ী কর্মচারী নিয়োগ না করায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ২৬ দিন বন্ধ ছিল। দেড়শ'র মতো পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সচল গাড়ি ভাঙচুর করে।

বেগম রোকেয়া : বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এসিড নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। উপাচার্যের পক্ষ নিয়ে তারা এ হামলা চালায়। তাদের এসিড-সন্ত্রাসে দগ্ধ হন পাঁচ শিক্ষক। তাদের মধ্যে ড. তুহিন ওয়াদুদ ও ড. মতিউর রহমান এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলায় আহত হন ছয় শিক্ষকসহ ১৮ জন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ : কলেজটির শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজানুর রহমান মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক সুমন প্রধানের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ইন্টার্নি চিকিৎসক ও ছাত্রীদের মারধর, অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং কয়েকজন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় আহত হন ১০ ছাত্রী ও ইন্টার্নি চিকিৎসক।

ঢাকা পলিটেকনিক : এ মাসেই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : ৩০ সেপ্টেম্বর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : এখানে সংঘর্ষের আগে ছাত্রলীগ ঢাকঢোল পিটিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে সহায়তা নেওয়ার নামে চাঁদা তুলতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুস সোবহান নিজে ৫০০ টাকা চাঁদা দিয়ে ছাত্রলীগের চাঁদা তোলা অভিযান উদ্বোধন করেন। এর পর চাঁদার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আবদুল্লাহ আল হাসান ওরফে সোহেল রানা নামে একজন খুন হন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ২৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে রক্তপাত ঘটায় ছাত্রলীগ। উপাচার্যপন্থি ছাত্রলীগের গ্রুপটি লাঠি, রড, লোহার পাইপ দিয়ে সংস্কৃতিকর্মী ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। এর আগে ১১ জানুয়ারি ছাত্রলীগ ক্যাডাররা পিটিয়ে হত্যা করে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়েরকে। একইভাবে প্রতিপক্ষ ছাত্রদের পিটিয়ে হলের তিনতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়, ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া ও বোমাবাজি চালায় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।

শাবিপ্রবি : ৫ সেপ্টেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ নিয়ে ছাত্রলীগ অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।

বুয়েট : ২ সেপ্টেম্বর বুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। তারা প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুরও করে।

এমসি কলেজ : সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এ কলেজ মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবির হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ঢুকে বিক্ষোভ করে এবং একপর্যায়ে হোস্টেলের পাঁচটি কক্ষের তিনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

রংপুর থেকে শাহজাদা মিয়া আজাদ জানান, জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত এক বছরে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হামলা চালায় চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল, হাসপাতাল ও তিনটি ছাত্র সংগঠনের ওপর। তাদের হাতে আহত হয়েছেন সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষক, সরকারি দফতরের কর্মচারী এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ১০২ জন। এসিডদগ্ধ হন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষক। এসব ঘটনায় মামলা হলেও নেতা-কর্মীরা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের অপকর্মের দায়ভারও নেন না জেলা কমিটির নেতারা।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে জাসদ ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন ২৫ জন। ১৮ অক্টোবর পীরগাছা ডিগ্রি কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আখতারের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানমঞ্চ ও অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর করে। ১৬ সেপ্টেম্বর ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি গ্রহণ করার অভিযোগে কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর এবং অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রাফিউর রহমান রাফির নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা হুমকি দেওয়ায় শিক্ষকদের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ মোকসেদ আলী। ২৮ ফেব্রুয়ারি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর মোরশেদ হোসেনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিতে ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান শিশিরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা। প্রতিবাদ করায় তারা ছাত্রদলের ১৫ নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। ৫ জানুয়ারি বিশ্ব্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। এ সময় তাদের হাতে আহত হন সাংবাদিকসহ ১২ জন। চাকরির কোটা না দেওয়ায় গত বছর ১৯ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশফাকুল হক খন্দকার পুলকের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে গিয়ে গালাগাল করে। প্রতিবাদ করায় তাদের হাতে আহত হন হাসপাতালের ১২ কর্মচারী

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File