বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একের পর এক ছাত্র নিহত, দায় কার ??
লিখেছেন লিখেছেন জুনাইদ হোসেন সবুজ ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:৫২:১৭ দুপুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী বাদুর ঝোলা হয়ে বিআরটিসি বাসে করে ক্লাসে আসে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় নেই পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা।
তাই প্রতিনিয়তই ঘটছে এই ধরনের দূর্ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিন্দুমাত্র নজরদারি নেই।
গত বৃহষ্পতিবার সাভার রোডের বাস থেকে আহত হয়েছিল মিশুক নামের নবম ব্যাচের বানিজ্যিক বিভাগের এক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় বাস থেকে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর করুন মৃত্যু হয়েছে।
বাসগুলোর প্রায় প্রতিটিই ফিটনেসবিহীন। শিক্ষার্থীর চাপে প্রায়শয়ই রাস্তায় থাকা স্পীড ব্রেকারের সাথে সংঘর্ষ খায় প্রতিটি বাস। এই অবস্থা চলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি দেশ ও জনগনের কল্যানের কথা চিন্তা করে প্রতিনিয়ত টকশোতে সুন্দর সুন্দর কথা বললেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন কথা তাকে বলতে শোনা যায় না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল নেই, আবাসিক ব্যবস্থা নেই, পর্যাপ্ত ক্লাস নেই। গবেষনাগার নেই। তার উপর এখন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে প্রতিকূল পরিবহন ব্যবস্থা।
প্রায় প্রতিদিনই কেও না কেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে পড়ে আহত হচ্ছে।
এছাড়াও একটি অন্যতম কারন রয়েছে "ভাইগিরি" । জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বাসে এক একটি করে ভাইদল রয়েছে। যারা বাসকে নিয়ন্ত্রন করে। নিজেরা তারা বাসের নিচতলায় থাকা মেয়েদের সিট দখল করে রাখে। ফলে অনেক মেয়েকেই দূর দূরান্তে দাড়িয়ে কস্ট করে যেতে হয়। এছাড়াও কিছু উচ্ছৃংখল ছেলেরা বাসের উপরে জায়গা থাকলেও অতিউতসাহী হয়ে বাসের নিচে ঝুলতে থাকে। একারনেও অনেক সময় ছিটকে পড়ে বাস থেকে। যার দায় সেই বড়ভাইদের উপর বর্তায়।
এভাবে একের পর এক দূর্ঘটনায় সাধারন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবাই আতংকিত। কত বাবা মায়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে এই ঘটনাকে গুরুত্বহীনভাবে নেয়ায়।
অচিরেই প্রশাসন এই বিষয়ের সমাধান করবে, প্রয়োজনে বাসের সংখ্যা বাড়াবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন