মিডিয়ার নতুন নাটক : প্রানভিক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন জুনাইদ হোসেন সবুজ ২১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৩০:০৬ বিকাল
পরিবারের সদস্যদের এবং আইনজীবীদের সাক্ষাৎ করতে না দিয়ে - এটা সরকারের নির্লজ্য মিথ্যাচার। ক্ষমা চাইলে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে অথবা আইনজীবীদের মাধ্যমে চাইবেন। ওরা আমাদের হীনমন্য করে দিতে চায়। সবাই একযোগে ভয়েজ তুলুন সরকারের এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। আর কিছুক্ষনের মধ্যে ওনার ছেলে মাবরুর ভাই-স্টেটমেন্ট দিবেন..
সাথে সাবধান করে দিতে চাই সরকারের এইসব দাদাল মিডিয়াকে, মিথ্যা খবর প্রচারে বিরত থাকার জন্য। আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ আগেই পরিবারের কাছে বলেছিলেন রাষ্ট্রপতি একজন আইনজীবি, আমি তাঁর কাছে একটি পত্র লিখতে চাই। সেটা আমার আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করে দেওয়া হবে। তিনি সেই পত্রে রাষ্ট্রপতিকে লিখতে চান কিভাবে তাঁর উপর বিচারের নামে অবিচার হয়েছে। আলী আহসান মুজাহিদ সেই পত্র দিতে চেয়েছিলেন আইনজিবীদের সাথে দেখা করার পরে। এখনও কাওকে দেখা করতে দেওয়া হলোনা কিভাবে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন চলে আসলো? আর যদি কিছু তিনি নিজ থেকেই কারা কর্তৃপক্ষের কিছু দিয়েই থাকেন সেটা ছিল রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া তাঁর উপর অবিচারের কথা মালা...
আরে বেটা, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ কে সেটা চিনোস?? যে কৈশোর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এক আল্লাহ্র উপর নিজেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরিবার সন্তান সব কিছুর থেকে ইসলামী আন্দোলন তাঁর কাছে বড়। সারা জীবন প্রানে লালন করেছেন শাহাদতের তামান্না। সেই নেতার সামনে শাহাদাতের এমন একটি সুযোগ আসার পরেও তিনি কিভাবে সেটা দূরে ঠেলে দিতে পারেন?? আহম্মকের দল, যারা ইসলামী আন্দোলন করে তাঁদের প্রধান লক্ষই থাকে শাহাদাত...
তাঁর পরিবার ও আইনজিবীদের সাথে দেখা করার কথা থাকলেও এখন তাঁর সেই সুযোগ দিচ্ছেনা। তাহলেই সেই চিঠির কপি বাহিরে চলে আসার সম্ভাবনা চলে আসে। সেটা ঠেকাতে ও মুজাহিদ সাহেবেকে অপমানিত করতে তাঁর দেওয়া চিঠিকে প্রাণ ভিক্ষা বলে প্রচারনা চালাচ্ছে জানোয়ার গুলো ...
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মিডিয়ার দাবী, কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, আলী আহসান মো: মুজাহিদ প্রান ভিক্ষার আবেদন করেছেন। সব মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করে প্রচার করছেন। কিন্তু কেউ বলছেন না, যে কারা কর্তৃপক্ষের নাম কি? আইজি প্রিজন? ডিআইজি প্রিজন, তাদের, জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার? কে?? কে? সোর্স এর নাম উল্লেখ না করে কিভাবে তারা এই রিপোর্ট প্রকাশ করছেন??
আইনজীবীরা দেখা করতে চাইছেন, তাদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। আর এখন তৃতীয় আরেক পক্ষ আমার বাবার বরাত দিয়ে বলছেন তিনি প্রান ভিক্ষার আবেদন করেছেন, এটাও কি বিশ্বাসযোগ্য?? আমার পিতার বক্তব্য হয় তার আইনজীবী নয় তার পরিবার বাইরে জানাবেন, কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকারী লোক নয়।
প্রতিবার আমাদের নেতাদের নিয়ে এই মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়। এর আগে শহীদ কামারুজ্জামানের কাছে দুই ম্যাজিস্ট্রেট গিয়েছিল বলে সকল মিডিয়া জানিয়েছিল। অথচ শেষ সাক্ষাৎ শেষে তার ছেলে হাসান ইকবাল জানিয়েছিলেন তার পিতার কাছে কোন ম্যাজিস্ট্রেট যায়নি।
যে মানুষগুলো দ্বীনের পথে লড়তে লড়তে ফাঁসির মঞ্চের দিকে হাসতে হাসতে চলে যাচ্ছেন তাদের নিয়ে শেষ সময়ে এসেও কেন এই মিথ্যা প্রচারনা??
যদি তারা মনে করে এই সব মিথ্যা অপপ্রচার করে আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে বা কোনভাবে আমাদের নেতাদের হেয় করবে তাহলে আমরা বলবো তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। মিথ্যা অপপ্রচার আমাদের আন্দোলনের পথের সংগী? ওরা যত মিথ্যা বলবে, সত্যের পথে আমাদের লড়াই তত বেশী জোরদার হবে ইনশাল্লাহ।
মুজাহিদ সাহেবের ছেলে
মন্তব্য করতে লগইন করুন