একজন মেধাবী খুন এবং আমার ভিন্নধর্মী বিশ্লেষণ
লিখেছেন লিখেছেন জুনাইদ হোসেন সবুজ ১০ আগস্ট, ২০১৫, ০৯:৫২:৩৩ রাত
নিলয় চট্টোপাধ্যায় । বয়স ২৭ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ।
প্রতিটি বাবা মায়ের স্বপ্ন থাকে তার সন্তান একদিন বড় হবে, দেশের মানুষের সেবা করবে , নিজেদের দারিদ্রতা ঘোচাবে , বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে । সন্তানকে তাই শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সংগ্রামে নিজেকে বিলিয়ে দেয় প্রতিটি বাবা মা।
নিলয়ের বাবা মাও হয়তো তার ব্যতিক্রম নয়।
তাইতো নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে সন্তানটিকে ভর্তি করেছিলেন প্রাচ্যের অক্সেফোর্ডে । হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীকে টপকে নিলয় স্থান করে নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ।
কিন্তু কথায় আছে না, সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে । ঠিক তেমনি খারাপ সঙ্গে পড়ে গিয়েছিল নিলয় । হয়তো ইচ্ছে করে অথবা নিজের অনিচ্ছাতে । সিগারেট থেকে শুরু , শেষকালে মদ । একদিনে নিলয় নাস্তিক হয় নি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রতিটি শিক্ষক দিনের পর দিন তার মস্তিস্কে নাস্তিকতা ঢুকিয়েছে । তার হাতে তুলে দিয়েছে লেনিন, কাল মার্ক্সের বানী । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাস্তিক এবং প্রগতিশীল সংগঠনগুলো বাধ্য করেছে নিলয়কে প্রগতিশীল হতে ।
নিলয়ের পরিবার চেয়েছিল নিলয় বিসিএস ক্যাডার হবে । এ জন্য বাড়ি থেকেও চাপ দিত নিলয়কে । ঠিক সে সময় নিলয় ঘুরে বেড়াত প্রগতিশীল আশামনি কিংবা শাহবাগিদের আড্ডাখানায় । মদের নেশায় ডুবে থাকত সে । ক্রমাগত ভাবতে বসেছিল বাংলাদেশের সকল মানুষ হয়তো তার এই আদর্শকে ধারন করবে । যে নিলয়ের হবার কথা ছিল দেশ রক্ষার এক অকুতোভয় সৈনিক , সে নিলয় হয়েছিল এখন প্রগতিশীল মুক্তমনা । যার মেধার ফলে বাংলাদেশের কোটি মানুষ উপকৃত হত , সেই নিলয় বাংলাদেশের কোটি মানুষের মনে আঘাত দিয়ে খুন হল অত্যন্ত হিংস্রভাবে ।
নিলয়ের বাবা মার স্বপ্ন পূরণ হল না । সন্তানের বিসিএস ক্যাডার হবার স্বপ্নটি নিভে গেল দপ করে । যে সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত বলে বাবা মায়ের গর্বের অন্ত ছিল না, সেই সন্তান মৃত্যুর আগে লিভ টুগেদার করত এক শাহবাগি নষ্টার সাথে , ভাবতেই বাবা মায়ের উজ্বল মুখটা কালো হয়ে যায় নিমেষে।
তবে কি এই আমাদের নিলয় , যাকে আমার বুকের দুধ খাইয়ে তিল তিল করে বড় করেছি , মা ভাবে একা বসে ।
সন্তান মদ খাবে, বিড়ি খাবে তাকে খেতে দেখলে, এই ভয়ে নিলয়ের বাবা কোনদিন বাড়িতে মদ আনে নি, পকেটে সিগারেট রাখে নি , আর তার নিলয় আজ এই অপকর্মের কারনে খুন হবে , ভাবতেই বাবা দাঁতে দাঁত চাপে ।
নিলয়কে নিয়ে সবার স্বপ্ন শেষ । নিলয়কে কি মৌলবাদীরা খুন করেছে ?
না, নিলয়কে খুন করেছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল সংগঠনগুলা । নিলয়ের বাবা মায়ের স্বপ্নকে চুরমার করেছে ।
বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেছে এক মেধাবী সন্তান হতে ।
নিলয়ের বাবা মা এই প্রগতিশীলদের ক্ষমা করবে না । বাংলাদেশ এই প্রগতিশীলদের ক্ষমা করবে না ।
শাস্তি চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের এবং সংগঠনগুলোর , যারা এইভাবে শত শত নিলয়দের ধ্বংস করে দিচ্ছে । তাদের মেধাকে নিয়ে জুয়া খেলছে । আর নিলয়কে হত্যার দিকে এগিয়ে দিয়েছে ।
হ্যা , আমি নিলয় হত্যার বিচার চাই । বিচার চাই । ।
লেখা - #বুদ্ধিদীপ্ত_সমালোচক
বিষয়: বিবিধ
১১৭৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঢাবি এখন আর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড না । এটা হচ্ছে সেক্সফোর্ড । হেন কোন জঘন্য কাজ নেই যেটার সূতিকাগার ঢাবি নয় ।
দর্শন বিভাগের ছাত্র হয়ে সে কিন্তু ইসলামকেই বেছে নিয়েছে সমালোচনা করার জন্য । ছুরি তরকারি কাটতে ব্যবহার করা হয় আবার খুন করতেও । এতে কি ছুরির প্রস্তুত কারককে দোষ দেওয়া ঠিক হবে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন