‘মাছি’ প্রসঙ্গে বিশ্বনবীর (সা.) সেই কথাটিই মেনে নিল আধুনিক বিজ্ঞান
লিখেছেন লিখেছেন জুনাইদ হোসেন সবুজ ২৫ জুলাই, ২০১৫, ১০:৪৭:১১ সকাল
আজকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে নাজিল হওয়া আল কোরআনয়ের বিশ্লেষন করে মানুষ মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছেছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ১৪০০ বছর আগে মাছি প্রসঙ্গে যে কথাটি বলেছিলেন তা আমাদের আধুনিক বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে। বুখারী ও ইবনে মাজাহ হাদীসে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
:
ﺇﺫﺍ ﻭَﻗَﻊَ ﺍﻟﺬُّﺑﺎﺏُ ﻓِﻲ ﺇﻧَﺎﺀِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻓَﻠْﻴَﻐْﻤِﺴْﻪُ ﻓَﺈﻥَّ
ﻓِﻰ ﺃﺣَﺪِ ﺟِﻨَﺎﺣﻴْﻪِ ﺩَﺍﺀً ﻭَﻓﻰ ﺍﻟْﺄﺧَﺮِ ﺷِﻔﺎﺀ ( ﺭﻭﺍﻩ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ)
অর্থ : যদি তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পতিত হয় সে যেন উক্ত মাছিটিকে ডুবিয়ে দেয়। কেননা তার একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে, আর অপরটিতে রয়েছে রোগনাশক ঔষধ"(বুখারী)।
আমাদের মাঝে এমন কি কেউ আছে যে উক্ত রোগের জীবানুগুলো দেখেছে? আমাদের কেউ কি উক্ত রোগ নাশক ঔষধ অবলোকন করেছে? অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : নিশ্চয়ই তা রয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। সেখানে রোগ রয়েছে মানুষ তা জানতো না। তারা দেখতে পায়, মাছি তার দুই ডানা দিয়ে উড়ে যায়। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কিছুই জানতো না যে, তার
ভিতরে কল্যাণ রয়েছে, না অকল্যাণ রয়েছে।
জ্ঞান বিজ্ঞানের যখন অগ্রগতি হলো, যখন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জীবানু সম্পর্কে জ্ঞানের অগ্রগতির মাধ্যমে বর্ণিত হচ্ছে যে, মাছি মানুষের শত্রু“, সে রোগ জীবানু বহন করে এবং স্থানান্তরিত করে। মাছির ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই যদি হয় তাহলে কিভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোগ জীবানু বহনকারী মাছিকে ডুবিয়ে নেয়ার আদেশ করলেন?
এ বিষয়ে কিং আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাদ ডক্টর ওয়াজিহ বায়েশরী এই হাদীসের আলোকে মাছিকে নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা চালান। জীবানুমুক্ত কিছু পাত্রের মাধ্যমে মাছির বাজার থেকে কয়েকটি মাছি ধরে নিয়ে জীবানুমুক্ত টেষ্ট টিউবের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখেন। তারপর নলটি একটি পানির গ্লাসে উপুড় করেন। মাছিগুলো পানিতে পতিত হওয়ার পর উক্ত পানি থেকে কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সেই পানিতে অসংখ জীবানু রয়েছে।
তারপর জীবানুমুক্ত একটি সূঁচ দিয়ে মাছিকে ঐ পানিতেই ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সেই পানিতে আগের মত আর জীবানু নেই, বরং কম। তারপর আবার ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে আবার পরীক্ষা করেন। এমনি ভাবে কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখেন যে, যত বার মাছিকে ডুবিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন ততই জীবানু কমেছে অর্থাৎ ডক্টর ওয়াজীহ এটা প্রমাণ করে দিখিয়েছেন যে, মাছির একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে এবং অপরটিতে রোগনাশক ঔষধ রয়েছে। সৌদী আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত অষ্টম চিকিৎসা সম্মেলনে কানাডা থেকে দু’টি গবেষণা-রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যাতে বর্ণিত ছিল, মাছিতে এমন কোন বস্তু রয়েছে যা জীবানুকে ধ্বংস করে দেয়। শাইখ মোস্তকা এবং শাইখ খালীল মোল্লা এই বিষয়ে জার্মান ও ব্রিটেন থেকে রিসার্চগুলো ধারাবাহিক সংগ্রহের মাধ্যমে একটি বই বের করেছেন যার মূল বিষয় ছিল :
ﻓﺈﻥ ﻓﻰ ﺃﺣﺪ ﺟﻨﺎﺣﻴﻪ ﺩﺍﺀً ﻭَﻓﻰ ﺍﻟْﺂﺧﺮ ﺷﻔﺎﺀ
(ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ )
অর্থঃ নিশ্চয়ই মাছির একটি ডানায় রয়েছে রোগ, আর অপরটিতে রয়েছে রোগ নাশক ঔষধ। (বুখারী)
মাছি যখন কোন খাদ্যে বসে তখনযে ডানায় জীবানু থাকে সে ডানাটি খাদ্যে ডুবিয়ে দেয়। অথচ তার অপর ডানায় থাকে প্রতিরোধক ভাইরাস। যদি মাছিকে ডুবিয়ে দেয়া হয়
তাহলে প্রতিরোধক ভাইরাস খাদ্যের সঙ্গে মিশে মারাত্মক জীবানুগুলিকে ধ্বংস করে দেয় এবং খাদ্য স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অনুকুল থাকে। নতুবা এই খাদ্যই জীবানুযুক্ত হয়ে মানব ধ্বংসের কারণ হতে পারে। সেই চৌদ্দশত বছর পূর্বে এই ক্ষুদ্র জীবানু দেখার শক্তি মানুষের ছিল না। অথচ রাসূল (স সেগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং সে সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং ঐ বিপদজনক দিক বর্ণনা করেছেন যা আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। সেই জাহেলী যুগে এই আশ্চায্যিত তথ্য কে তাঁকে জানিয়ে দিলেন? এটা কি নবীজির নবুয়াতের প্রমাণ রাখেনা??
বিষয়: বিবিধ
১৭৪০ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ওয়াক থু..............
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তাকে বেন করা হোক। যার এত নিক ।
A study by University of Florida scientists has documented five more bacteria species carried by house flies – and all of them can cause illness in humans.
The bacteria cause illnesses ranging from food poisoning to respiratory infections.
The researchers collected house flies from rear entrances and trash bins at four restaurants. Twenty flies were collected from each location in sterile containers and taken back to the lab.
Read more : Click this link
A study by University of Florida scientists has documented five more bacteria species carried by house flies – and all of them can cause illness in humans.
The bacteria cause illnesses ranging from food poisoning to respiratory infections.
The researchers collected house flies from rear entrances and trash bins at four restaurants. Twenty flies were collected from each location in sterile containers and taken back to the lab.
Read more- Click this link
যে ভাইরাসগুলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে সে গুলো মনে হয় টি২ ফায ভাইরাসের মত কাজ করে ।
একদা আমরা কয়েক বাংলাদেশী পরিবার পিকনিক করার জন্য একটি লেকের ধারে মাদুর পেতে বসেছিলাম। খাদ্য মেলার জো তো ছিলনা, খাদ্যের পেকেটের উপর মাছি হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। মিনারেল পানির বোতলের ছোট মুখ দিয়ে বেশ কিছু মাছি ঢুকে পড়েছিল।
ছোট্ট শিশুরা মায়ের দুধ পান করে শেষ করতে না করতে ঠোটের উপর মাছির দঙ্গল আক্রমন করে। চোখের কোনায় কান্নার পানিতে মুহুর্তে মাছি আক্রমন করে।
বাস্তবতা তো আমরা দেখেছি, কেউ না দেখে থাকলে তা ভিন্ন কথা। মাছির কারণে যদি খাদ্য বন্ধ করতে হয়, কিংবা ফেলে দিতে হয়, তাহলে আরব দেশের সকল গ্রাম বহু কাল আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
একদা আমরা কয়েক বাংলাদেশী পরিবার পিকনিক করার জন্য একটি লেকের ধারে মাদুর পেতে বসেছিলাম। খাদ্য মেলার জো তো ছিলনা, খাদ্যের পেকেটের উপর মাছি হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। মিনারেল পানির বোতলের ছোট মুখ দিয়ে বেশ কিছু মাছি ঢুকে পড়েছিল।
ছোট্ট শিশুরা মায়ের দুধ পান করে শেষ করতে না করতে ঠোটের উপর মাছির দঙ্গল আক্রমন করে। চোখের কোনায় কান্নার পানিতে মুহুর্তে মাছি আক্রমন করে।
বাস্তবতা তো আমরা দেখেছি, কেউ না দেখে থাকলে তা ভিন্ন কথা। মাছির কারণে যদি খাদ্য বন্ধ করতে হয়, কিংবা ফেলে দিতে হয়, তাহলে আরব দেশের সকল গ্রাম বহু কাল আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন