একজন বিতর্কিত আনোয়ার হোসেন
লিখেছেন লিখেছেন জুনাইদ হোসেন সবুজ ০৩ মার্চ, ২০১৩, ১০:২০:২২ সকাল
আজন্ম আওয়ামীবিরোধী এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা থেকে উত্খাত করার স্বপ্নে বিভোর অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এখন আওয়ামী লীগেরই বড় তোষামদকারী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণচোরা শিক্ষক হিসেবে পরিচিত এই আনোয়ার হোসেন এতোটাই আওয়ামীবিদ্বেষী ছিলেন যে, ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বিভিন্ন প্লাটফর্মের মধ্যে আওয়ামীবিরোধী শিবির হিসেবে পরিচিত বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের এক সময়ের শুধু নেতাই ছিলেন না, হালুয়া-রুটিরও ভাগ নিয়েছিলেন সেখান থেকে; হয়েছিলেন সিন্ডিকেট সদস্যও।
পরে ভোল পাল্টে গ্রহণ করেন নীল রঙ। ত্যাগ করেন সাদা। এরপর বনে যান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিরোধিতায়। শিক্ষক হয়েও আজন্ম অস্ত্র ও বারুদ এবং রক্তের গন্ধ শোঁকার বিকৃতরুচির এই মানুষটি বিপ্লবের মোড়কে উগ্রপন্থা আর সন্ত্রাসবাদী অনুগামী-অনুসারী ছিলেন।
স্বাধীনতার পর থেকেই এই গোষ্ঠী সন্ত্রাসবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর স্বল্পসময়ের জন্য জাসদ জেনারেল জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। গণবাহিনী অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে তত্কালীন সরকার কর্নেল তাহেরসহ জাসদ নেতাদের গ্রেফতার করে। কর্নেল তাহেরকে মুক্ত করার কৌশল হিসেবে আনোয়ার হোসেন ও তার ভাই ওয়ারেস হাসান বেলালসহ জাসদের গণবাহিনীর সদস্যরা ঢাকায় নিযুক্ত তত্কালীন ভারতীয় হাইকমিশনার সমর শেনকে অপহরণের ব্যর্থ চেষ্টা করে।
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদী নিজের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শোনার পর আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলতে শুরু করলে ‘কুত্তার বাচ্চা চুপ, একদম চুপ’ বলে তেড়ে যান এই আনোয়ার হোসেন। তিনি শিক্ষক এবং একজন ভিসি হয়েও বস্তিবাসী ও গণিকালয়ের মানুষের ভাষায় গালাগাল করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন মুফাসসেরে কোরআনকে। সব আইন-কানুন, রীতি-নীতি, নৈতিকতা, সভ্যতা-ভব্যতাকে বৃদ্ধাঙলি দেখিয়ে বিচারপতিদের সামনেই এ ধরনের আচারণের ঘটনায় সাধারণ মানুষ হতবাক, লজ্জিত, বিস্মিত ও স্তম্ভিত।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/03/03/190388#.UTLGHfWxfIU
বিষয়: বিবিধ
১০৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন