বিতর্ক কখন কিভাবে, কোন বিষয় নিয়ে করত হয়, আমরা মনে হয় ভুলে গেছি।
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ০২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪৪:৫৩ দুপুর
ঘুম থেকে জেগে দেখি ফজরের ওয়াক্ত প্রায় শেষ হওয়ার পথে। বউকে বললাম, আজকে ফজরের সুন্নাত পড়ার দরকার নেই, দ্রুত ফরজ দু রাকায়াত পড়ো। বউ পুরাই ক্ষ্যাপা ! সুন্নাতকে নিয়ে এত হেলাফেলা করছো কেন, সুন্নাত পড়লে দোষ কি ? আরে ভাই, সুন্নাতকে হেলাফেলা করতে কে বললো। বলেছি, এখন ফরজ পালনের সময় নেই, সেখানে সুন্নাত নিয়ে ভাবছো কেন ? ফজর নিয়ে ভাবো !
বাস্তবতা হচ্ছে, অধিকাংশ লোকের ধর্ম বিশ্বাসে আবেগের খুটি অনেক মজবুত হলেও,জ্ঞানের ভিত্তি অনেক দুর্বল। সামান্য বিষয়ে বিস্তর বিতর্কে যাওয়ার আগে চিন্তাও করে না যে, বিষয়টি কতটা গুরুত্বপুর্ণ। রাস্তাঘাটে, চায়ের দোকানে কোন এক সুযোগে ধর্ম সম্পর্কিত কোন বিষয়ে আলোচনা করুন যেটা নিয়ে চরম বিতর্ক চলছে। দেখবেন, কত কিসিমের মুফতির স্বাক্ষাত পেয়ে যাবেন।
এসবের অন্যতম কারণ হলো, আজকালের ওয়াজ মাহফিলের অধিকাংশ বক্তার এজেন্ডা হলো প্রতিপক্ষের গোষ্টি উদ্ধারের নামে ফিকহী, আক্বীদাগত মতবিরোধে আম পাবলিককে জড়িয়ে নেওয়া। অথচ কথা ছিলো বিতর্ক চলবে জ্ঞানীদের মধ্যে, তাও সীমিত পরিসরে, উপযুক্ত জায়গায়। আর আম পাবলিক শুধুমাত্র অনুশরণ করবে এবং বিতর্ক থেকে নিজেদের স্বযত্নে এড়িয়ে গিয়ে অন্য ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
সেদিন মসজদের ভিতরে হটাৎ করে এক যুবকের সূরা ফাতেহার শেষে আমিন বলে চিৎকার করে উঠে। আমিন বলা না বলার বিষয় নয়। হটাৎ করে কথা নেই বার্তা নেই একজন যুবক যদি এতটাই উচ্চস্বরে আমিন বলে চিৎকার করে উঠে যে, লোকেরা মনে করতে পারে তাদেরকে উত্তেজিত করার জন্যই এটা করা হয়েছে তাহলে ফেতনার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে।
এসবের কারণ হচ্ছে সামান্য বিষয়কে অতিমাত্রায় গুরুত্ব্য দিয়ে জাতিয় সমস্যায় রুপান্তরিত করে এমন এক ভাব ধরা যে এটা না হলে সব শেষ হয়ে গেলো। অতঃপর জড়িয়ে পড়ো সেই বিতর্কে এবং সাথে রাখো আম পাবলিককে যাতে বিতর্কের বহুবিধ প্রভাব যেন মসজিদ মাদ্রাসা আর মহল্লাতেও পড়তে শুরু করে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন