আওয়ামী লীগ আর ঈমানদার মুসলমানদের প্রত্যক্ষ যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ০২ মার্চ, ২০১৩, ০৮:৫৯:২৩ রাত
কোরআনের কয়টি আয়াত দিয়ে শুরু করতে চাই। যদিও কিছু মানুষের এই সকল কিতাবী আলোচনায় মোটেও উৎসাহ নেই। শাহবাগের ময়দানে ঘন ঘন যাতায়াতের কারনে এই রোগ দেখা দিয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবুও আমি এই ভাবেই শুরু করতে পছন্দ করছি। আল্লাহপাক বলেন-
“ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল যিনি মহাপরাক্রমশালী এবং নিজের সত্তায় নিজেই প্রশংসিত , যিনি আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্বের অধিকারী ৷ আর সে আল্লাহ সবকিছু দেখছেন ৷
যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম - নিপীড়ন চালিয়েছে , তারপর তা থেকে তওবা করেনি , নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা - পোড়ার শাস্তি ৷” সূরা বুরুজ-৮-১০।
ঈমানদার মুসলমান এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের সাথে এই যুদ্ধে ইনশায়াল্লাহ মুমিনরা বিজয়ী হবে, চাই সে যতই দুর্বল ঈমানদার হোক না কেন। আল্লাহর ওয়াদা মিথ্যে হতে পারে না। যদি কেউ মনে প্রশ্ন করেন যে, আওয়ামী লীগ যারা তারা কি মুসলমান নয় ? তাদের উদ্ধেশ্যে আমাদের সুস্পষ্ট ঘোষনাও তাই যা কোরআন আমাদের কে শিখিয়েছে। আল্লাহপাক তার মোহকাম আয়াতে আমাদের কে সর্তক করে দিয়েছেন যে, যারা সত্য প্রতিভাত হবার পরেও বাকা পন্থা অবলম্বন করে থাকে তারা মোমিন নয়। এসকল জালেমরা ইসলামের দুষমন। অন্যদিকে ঈমানদার দের সঙ্গ ত্যাগ করে কাফের এবং নাস্তিকদের কে সমর্থন করার পরে যারা নিজেদের কে মুসলমান মনে করে বাইশ হাত পাগড়ি পড়ে বায়তুল মোকাররম নামাজ পড়তে গিয়েছে তাদের উদ্ধেশ্যেও আমাদের একই ফতোয়া কার্যকর হবে। নাস্তিকদের কে যারা শহীদ বলে এবং এদের কে যারা অর্থ, বিত্ত এবং মানসিক শক্তি দিয়ে সমর্থন করে তারা যত চিল্লা দেক, আর যতই আল্লামা শায়েখ পদবি ধারন করুক, তারা কম্মিন কালেও ঈমানদার নয়। এদের ঈমান স¤পূর্ণ মেকি। এদের যত আমল রয়েছে তার সবই উড়ন্ত ছাই করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তিতে তওবা করে নিজেদের কর্মধারা কে স¤পূর্ণ ভাবে সংশোধন না করা পর্যন্ত তাদের সাথে আতিœয়তার সম্পর্ক করা, তাদের জানাজা আদায় করা এবং তাদের যে কোন দাওয়াত এবং ইসলামী কর্মকান্ডে শরীক হওয়াও কুফরির লক্ষন হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে কোন ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ যদি সম্ভব মনে করেন তাহলে তাদের কে বাদ দিয়ে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করুন। নাস্তিক এবং তাদের সহযোগীদের কে নিয়ে একই কাতারে নামাজ আদায় করে যারা পুলকিত তাদের জন্য কোরআন এবং সুন্নাহতে যথেষ্ট সর্তক বার্তা রয়েছে।
এতদিন আমাদের আলেমরা যে ভুল করেছেন তার খেশারত দিতে হচ্ছে সাধারন দুর্বল মুসলমানদের কে। আলেমরা কুফরী শক্তির সাথে শুধু আতাত করে খ্যান্ত হননি, তাদের কুফরি কে বাকা অর্থে প্রকাশ করে তাকে গোপন করার অপরাধ করছেন। ধর্মনিরপেক্ষ কোন ব্যক্তি মুসলমান হতে পারে না এই সত্যকে তারা বিভিন্ন বাহানা বাজির মাধ্যমের সাধারন মাুনষের কাছে গোপন করেছেন। নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ্য বা দলীয় স্বার্থ্য,ে সামান্য একটি মাদ্রাসা হেফাজত করতে গিয়ে কুফরীরত ব্যক্তি বা দলের সাথে আপোষ করেছেন। শুধু মাত্র কোরআন এবং সুন্নাহর ঘোষনাকে সরাসরি অর্থে সাধারন মানুষের সামনে উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়া কারনে আজকে ধর্মহীন শক্তির এত আস্ফালন।
ওলামা মাশায়েখরা নিজেদের অনৈক্যকে এমন পর্যায়ে এনেছেন যে, সামান্য পদপদবির জন্য যখন তখন একটি দল ঘোষনা করতে কুন্ঠা বোধ করেন না। এ কারনে আজকে মুসলমানরা কঠিন মুহুর্ত্য অতিক্রম করছে। আওয়ামী লীগ এবং নাস্তিক দের মোকাবেলার এই কঠিন মুহুর্ত্যে সাধারন জনগনের সামনে প্রকৃত সত্যকে সরাসরি ভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে উপস্থাপন করতে হবে। কোন আলেম যদি নিজের চাকুরী হাড়ানোর ভয়ে অথবা নিজের মাদ্রাসা হেফাজতের উসিলা দেখিয়ে প্রকৃত ফতোয়া গোপন করতে চেষ্টা করেন তাহলে তিনিও জালেমদের সহযোগী হিসেবে হাশরের মাঠে উপস্থিত হবেন এবং খোদা তায়ালার দেয়া জ্ঞান এবং প্রকৃত সত্য গোপন করার অপরাধে কঠিন আযাবের মুখোমোখী হবেন।
এসব কথা কোন সাধারন মানুষের নয় স্বয়ং কোরআনের অসংখ্য আয়াত এবং সহিহ হাদিস আমাদের কে আশ্বস্ত করেছে। কোন কোন কম জোড় ঈমানদার অথবা মোনাফেক মনে করতে পারেন যে, এই সকল কথা বার্তা কেবল জামায়াত ইসলামীর নেতাদের কে বাচাঁনোর জন্য করা হচ্ছে বা তাদের দলিয় স্বার্থ্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তাহলে তিনিও গোমরাহীর গহ্বরে পতিত হবেন। কেননা জামায়াত বিরোধীতা যারা করছে তারা প্রকাশ্য নাস্তিক বা তাদের সহযোগী। এ অবস্থায় নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিলে জামায়াতের উপকার হবে মনে করে চুপ থাকলে তিনি মুলত নাস্তিকদের সহযোগী হবেন। জামায়াত ইসলামীর কর্মীরা তাদের নেতৃবৃন্দের ওপর সংগঠিত জুলুমের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন। তাদের সাথে করা জুলমকে যারা মৌন সমর্থন করেন তাদের মতো কিছু হযরতরা ছাড়া আলহামুদুল্লিাহ দুনিয়ার সকল আলেম ওলামার জামায়াত শিবিরের কর্মসুচীতে একাতœতা প্রকাশ করছেন।
অন্যদিকে সহিহ সনদে আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, হুজুর স কোন এক যুদ্ধে সাহাবাদের কে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন যে, আজকের রাতে আমাকে কে পাহারা দিতে পারো। সাহাবাদের মধ্যে দুজন অগ্রগামী এসে বললেন আমরা রয়েছি। (হাদিসের সনদের পূর্ণ অংশ নয়, আংশিক মাত্র)। এ জাতীয় আরো বহু রেওয়াত রয়েছে যেখানে প্রমানিত হয় যে, ইসলামী আন্দোলনের আমীরের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধ করা স¤পূর্ণরুপে জায়েজ। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্ব্যকে শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলন করার কারনে মিথ্যে মামলায় ফাসী দেওয়ার মতো অপরাধ যারা করে তাদের সাথে যুদ্ধ করা কোন অবস্থায় শরীয়াত বিরোধী নয়।
যে সকল ওলামায়ে সু’রা ওয়াজ করার জন্য শাহবাগের নাস্তিক চত্তরে গিয়েছেন তাদেরও কোরআনের সেই আয়াতের দিকে নজর দেয়া জরুরী ছিল যেখানে আল্লাহ পাক কাফের এবং মোনাফিকদের বিরুদ্ধে কঠোর হবার হুকুম দিয়েছেন। তাদের উচিত ছিল নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে কোরআনের পক্ষে থাকা। অথচ ইতিহাসের পুনার্বৃত্তি করে তারাও জালেমের পক্ষাবলম্বন করে নিজেদের ঈমান এবং আমলের ঘোষনার সাথে সরাসরি বেঈমানী করেছেন।
কিছু কিছ মাশায়েখ রয়েছেন যারা জামায়াত ইসলামী কে ইসলামী দল বলে মানেন না। তাদের ইজতেহাদী বিরোধকে পুজি করে নাস্তিক কমুনিস্টরা কিভাবে দলিল দিচ্ছে তার একটি উদাহারন দেই। সেদিন নাস্তিক সংগঠন কমিউনিস্ট নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সহ আরো অনেকে দারুন সব ফতোয়া দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হলো আমাদের হক্কানী পীর সাহেবদের দরবার শরীফ (?) থেকে প্রকাশিত কিতাবের হাওলা। তারা জামায়াত বিরোধীতায় এসব কিতাবের হাওলা দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করছেন যে, জামায়াত আসলে কোন ইসলামী আন্দোলন নয়, বরং তারাই আসলে ইসলামের দুষমন।
নাস্তিকরা যাদের ফতোয়ার কিতাব বোগলে করে ঘুরে বেড়ায় তাদের জন্য আমরা করুনা হচ্ছে। হাশরের মাঠে তারা এর কি জবাব দিবেন। তারা কি বলতে পারবেন যে, সামান্য ফিকহী মাসায়ালায় মতবিরোধ করে তুমি কাউকে ইসলামের দুষমন বানিয়ে দিয়েছো এবং সেই ফতোয়া আবার কাফেরদের হাতে তুলে দিয়ে নিজেকে ঈমানদার দের আমীর ঘোষনা করছো কিভাবে। সামান্য দাড়ি টুপী নিয়ে তুমি নিজেদের মধ্যে বিভেধ উস্কে দিয়েছো কার স্বার্থ্যে । আমরা আশা করি সেদিন এর কোন সদুত্তর তারা দিতে পারবেন না, কিন্তু সাধারন জনগন ততক্ষন অনেক বড় ভুলের খেশারত দিয়ে ফেলবেন। নিজেদের গোত্র আর সিলসিলার যে ভয়াবহ বিরোধ তারা লালন করছেন এর মোকাবেলায় জামায়াত একশত নাম্বার পেতে পারে।
উদাহারন হিসেবে দেখুন। আমাদের প্রিয় নবী (স) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ডাকে এক অভুতপুর্ব মিছিল সমাবেশ হয়ে গিয়েছিল। প্রত্যেকটি মসজিদের ইমামরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী সাধারন মানুষের বিবেক এবং ঈমানী শক্তিতে নাড়া দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে তারা আগ্রহ নিয়ে মিছিল সমাবেশে হাজির হয়েছেন। অথচ এর কয়দিন পরেই তারা আর কোন কর্ম সুচী দিতে পারেননি, পরুন্তু তারা আবার নূতন আরেকটি জোটের ঘোষনা দিয়েছেণ। আমি বুঝতে পারলাম না যে, আহমেদ শাফি সাহেবকে তারা পীর মানে, অথচ তার নেতৃত্ব্যেও সকল কওমী ওলামারা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে পারছে না কেন। কেন তারা নামে বেনামে এত দল সংগঠন করে নিয়েছেন। কি প্রয়োজন আছে এসবের।
কওমী ঘরনার মুরব্বিরা যখন জামায়াত বিরোধীতায় সুর মিলান তখন আমার হাসি পায়। আমি তাদের কে বার বার একটি প্রশ্ন করে থাকি। তোমাদের আকীদা বিশ্বাস এবং আমল এত উন্নত মানের হওয়ার পরে তোমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে একটি দল গঠন করো, জোট নয়। তার পরে জনগনের সামনে এর কর্মসুচী ঘোষনা করো। যদি তোমাদের কর্মসূচীতে এখলাস থাকে ইনশায়াল্লাহ জামায়াতের হাজারো কর্মীকে তোমরা পাশে পাবে। অথচ সেটা না করে দুদিন পরে পরে জোট গঠন করে কি ফায়দা নিতে চাও। জামায়াত বিরোধীতায় এত ঐক্যমত থাকলে তোমাদের দলীয় এক্যমত হয় না কেন।
আরো একটি বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলাম কায়েমের জন্য কোন জনপদের সকল মানুষের ঈমানদার হয়ে যাওয়া শর্ত নয়। বা কমজোড় ঈমানদার থাকতে পারবে না এমনও নয়। ইসলামী সরকার হলে সবাই কে নেতৃত্ব্যে দিতে হবে না। যারা নেতৃত্ব্যে থাকবেন তাদের কে যে ভাবে তৈরি হতে হবে, সাধারন কর্মীকে সেই মানে নেওয়ার চিন্তাও করা যেতে পারে না। অথচ শর্ত হচ্ছে ইসলামী হুকুমাত কায়েম হওয়ার পরে তাকে সমর্থন করার মতো এবং এর হেফাজত করার জন্য পর্যাপ্ত লোক প্রয়োজন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, জামায়াত ইসলামীর অসংখ্য নেতাকর্মী কি ইসলামী খেলাফতের সহযোগী হবার যোগ্যতাও রাখেন না ? নাকি আমাদের মাশায়েখদের কাছে শাহবাগের আন্দোলনের কর্মীদের চাইতেও নিকৃষ্ট জামায়াত কর্মীরা। কত গোমরাহী মুলক ফতোয়া দিয়েছেন আমাদের এক হক্কানী (?) পীর সাহেব। তিনি বলেছেন, জামায়াত করার চাইতে আওয়ামী লীগ করাও উত্তম। এখন এই উত্তম আর অধমের ফয়সালা স্বয়ং আল্লাহ পাক করে দিয়েছেন। যদি তাদের চোখ খুলতো তাহলে কতই না উত্তম হতো। উত্তম আর অধম চিনার ক্ষমতা বা জ্ঞান যাকে আল্লাহ দেননি তাদের কাছে ইসলামী আন্দোলনের ঝান্ডা নিরাপদ নয়, বরং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অন্যদিকে বর্তমান কওমী আলেম ওলামারা জামায়াত বিরোধীতায় যদিও সুর কিছুটা নমনিয় করেছেন এবং বিভিন্ন কর্মকান্ডে জামায়াত কে আমন্ত্রন জানিয়েছেন কিন্তু কওমী ওলামাদের মধ্যে গাপটি মেরে থাকা ওপারের কিছু দালাল এখনো সক্রিয় আছে জামায়াত বিরোধীতার ধূয়া তুলে আলেমদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করার।
ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় যে, আমাদের আলেম ওলামা এবং পীর সাহেবদের পদ পদবির লোভ বার বার ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রকে কলুশিত করেছে। এই মুহুর্ত্যে প্রয়োজন আলেম ওলামাদের সিসাঢালা ঐক্য। কোন অবস্থায় একথা মনে করা যাবে না যে, এই সকল আন্দোলনে জামায়াত সুবিধা নিতে পারে। অনেক বেয়াক্কলরা মনে করেছেন যে, তারা একাই একশ। অনেকের খায়েশ ছিল জামায়াত কে আন্দোলন থেকে ঘাঢ় ধরে বের করে দিয়ে একা একা আন্দোলন করার। জামায়াত তাও মেনে নিয়েছে কেবল মাত্র হকের স্বার্থ্যে। কিছুদিন পরে তাদের আন্দোলনে ভাটা পড়েছে। অথচ মাঠে আছে কেবল মাত্র জামায়াত। এই লেখা শেষ হবার পরে হয়তো দেখা যাবে বি এন পির নেতা কর্মীরাও মাঠে নেমে গেছে। কিন্তু আলেমদের সেই একই অবস্থা থাকবে। ওপারের নির্দেশ মেনে নাও। মাদ্রাসা হেফাজতের কাজে মন দাও। নবীর সম্মান আর খেলাফত কায়েমতো তসবিহ তাহলীলের বদৌলতে হয়ে যাবে। কি দরকার এসব ফেতনায় জড়ানোর। আল্লাহ যদি এবার আলেমদের কে হেদায়েত না দেন তাহলে এদেশের মুসলসমানদের কপালে আরো খারাবি অপেক্ষা করছে। নাস্তিকরা মাত্র শাহবাগ দখল করেছে। কোথায় কি করতে হবে আর কি করা যাবে না তার হুকুমও শাহবাগের নাস্তিকরা দিচ্ছে। সেদিন আমাদের মসজিদে এসে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসে ইমামকে হুমকি দিয়ে বলেছেন যে, মসজিদের বেশিক্ষন বয়ান করা যাবে না। বয়ান করলেও শাহবাগ বিরোধী কিছু বলা যাবে না। নামাজের পরে মসজিদের মুসল্লিরা কোন মিছিল করতে পারবেন না। হয়তো আর কিছু দিন পরে প্রতিটি মসজিদের মিম্বর নাস্তিকদের দখলে থাকাটাও অবাক করার মতো বিষয় হবে না। আল্লাহ আমাদের কে হেফাজত করুন।
বিষয়: রাজনীতি
১৪১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন