একজন মজলূম মুসলমানের আতর্নাদ শুনুন।
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ০২ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:৩০:৪৯ বিকাল
আমার গোটা লেখাটি সেই সকল ভাইদের জন্য যারা নিজেদের কে এখনো মুসলমান হিসেবে মনে করেন এবং মুসলমান হিসেবে শেষ নিঃশাস নিতে চান। যারা ভাবেন যে, মুসলমান হিসেবে এক মুহুর্ত্য বেচে থাকাও আল্লাহ পাকের এক বড় নেয়ামত, তারা মনোযোগ সহকারে আমার লেখাটি পড়–ন। যদি আমার লেখাতে কোন ভুল বা অসংগতি ধরা পড়ে তাহলে সংশোধন করে দিন। আল্লাহ আপনাকে এর প্রকৃত প্রতিদান দান করবেন। সাধারন কোন বাম,রাম বা নাস্তিককে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো। তারা আমরা লেখা থেকে কোন ফায়দা নিতে পারবেন না। তাদের কোন পরামর্শ আমরা জন্য জরুরী নয়।
লেখাটি শুরু করার আগে আমি প্রত্যেক মুসলানের কাছে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই। আমাদের চোখের সামনে থাকা কোন এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে মুসলমান হিসেবে ঘোষনা করেছেন এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করেন আল্লাহ পাকের হুকুম পালন করতে। হটাৎ করে কিছু লোক তাকে জোড় করে বা কোন প্যাচে ফেলে কাফের বানানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করছে এবং এই ব্যক্তিটি আপনাদের মতো মুসলমানদের কাছে আকুতি জানাচ্ছে আমাকে মুসলমান থাকতে দাও। আমাকে কুফরিতে বাধ্য করা হচ্ছে, তোমরা আমার সাহায্যে এগিয়ে আসো। আপনারা তখন কি করবেন, আপনার কি তাকে সাহায্য করবেন না ? আপনি কি বলবেন না যে, তাকে তার বিশ্বাস নিয়ে থাকতে দাও।
এটা কি আল্লাহ ও তার রাসুল (স) আমাদের জন্য ওয়াজিব করে দেননি যে, আমরা কোন মানুষকে ভুল করেও যদি কুফরি করতে দেখি তাকে ফিরিয়ে রাখবো, অথচ কাউকে জোড় করে কুফরি করতে বাধ্য করা হচ্ছে তখন তার ঈমানকে বাচাঁতে তার পাশে দাড়ানো কি আরো গুরুত্ব্যপুর্ন নয় এবং যারা তাকে কুফরি করতে বাধ্য করছে এবং যারা চায় সেই ব্যক্তিটি কাফের হয়ে তাদের কাতারে শামিল হোক তখন তার সাহায্য করাটা কি আমাদের জন্য ফরজ নয়। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের মধ্যে কেউ যদি বলে আগে দেখে নাও লোকটি কি দল করে, বা লোকটি কোন ধরনের তাহলে আপনারা কি তাকে জাহেল বা ইসলামের দুষমন মনে করবেন না ? এমন লোকের বিষয়ে কি আপনারা মনে করতে পারেন যে, সে সত্যিকারের মুসলমান ? আমার সামনে কোন মুসলমান ভাইকে জোড় করা হচ্ছে কাফের হওয়ার জন্য, কুফরি আকিদার ঘোষনা দেওয়ার জন্য এই দৃশ্য দেখে যারা চুপ করে বসে থাকে তাদের কে আপনি কি মুসলমান মনে করে ? আল্লাহর বিধানে কি এই লোকগুলো তার সত্যিকারের বান্দা হিসেবে দাবি করতে পারে ? এ অবস্থায় একজন মুসলমান কি করে চুপ করে বসে থাকতে পারে ?
আমি বিশ্বাস করি আমরা যতই পাপ করি না কেন, শয়তান আমাদের কে দুনিয়ার প্রবঞ্চনার ফাদে যতই ফেলুক না কেন, আমাদের মধ্যে কাফের আর মুশরিকদের দালালরা যতই বিভেদ দাড় করায় না কেন, আমরা আমাদের মজলূম ভাইদের পাশে দাড়াতে পারি দলমত ভুলে। আমরা আমাদের রক্তের প্রতিটি বিন্দু শেষ হয়ে যেতে পারে, আমাদের সকল শক্তী নিশেষ হয়ে যেতে পারে তবুও আমরা আমাদের কোন ভাইকে আমাদের চোখের সামনে কাফের বানাতে দিতে পারি না। এমন কোন ব্যক্তির জন্যতো নয়ই যে ঈমানদার থাকার জন্য আমাদের কাছে আকুতী জানাচ্ছে। আমরা আমাদের সব কিছু ত্যাগ করতে পারি কিন্তু ঈমান ত্যাগ করতে পারি না।
আমার এই উদাহারনটি সামনে রাখুন আর লক্ষ করে দেখুন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এবং ছাত্র শিবিরের মধ্যে লক্ষ লক্ষ লোক রয়েছে যারা নিজেদের মুসলমান হিসেবে মনে করে এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করে আল্লাহর হুকুম এবং তার রাসুলের (স) আদর্শ মেনে চলতে। তারা বিশ্বাস করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাই একমাত্র সার্বভৌমত্বের মালিক, সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তারা বিশ্বাস করে মানুষের জন্য বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য একমাত্র সংবিধান হচ্ছে কোরআন। তারা মনে করে উত্তম আদর্শ হচ্ছে হুজুর (স) এর আদর্শ। তারা তাদের কর্মীদের কে বলছে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে আইন এবং বিধান দাতা হিসেবে মেনে নেবেনা। আল্লাহর ও তার রাসুলের (স) হুকুম ছাড়া আর কারো হুকুম মেনে চলবে না। জীবনের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র আদর্শ তরিকা হচ্ছে মোহাম্মদ (স)। এই প্রত্যেকটি আকীদা বিশ্বাস সরাসরি কোরআনের ঘোষনা এবং আল্লাহর নবীর শিক্ষা। যার স্বপক্ষে হাজারও আয়াত এবং হাদিস রয়েছে। উপরোক্ত আকীদার অধিকারী না হলে কারো পক্ষেই মুসলমান থাকা সম্ভব নয়। এমন সব আকীদা বহন করে একটি দল তার কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তারা তাদের গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারাকে সেই আকীদা বিশ্বাসের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও তাদের বিচার বিভাগ সহ নির্বাচন কমিশান বলছে তাদের কে এই আকিদা বিশ্বাস থেকে সরে আসতে হবে। তাদের কে বলতে হবে মানুষই সকল ক্ষমতার উৎস, কোরআন নয়, বাংলাদেশের সংবিধানকে একমাত্র অনুসরন যোগ্য সংবিধান হিসেবে মেনে নিতে হবে। ইসলামী মূল্যবোধ নয়, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। মুসলীম জাতি হিসেবে নয়, বাঙ্গালী জাতি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে হবে। সরকার বাধ্য করছে তাদের কে সে সকল বিশ্বাস থেকে সরে আসতে যেগুলো বিশ্বাস করার ওপরে কারে মুসলমান থাকা আর না থাকা নির্ভর করে। সরকার কুট কৌশলের মাধ্যমে চাচ্ছে জামায়াত যেন তার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নেয় যাতে তাদের আকীদা বিশ্বাস কুফরিতে রূপ নেয়, এবং স্বাভাবিক ভাবেই তথন তাদের লক্ষ-কুটি সমর্থক কুফরিতে লিপ্ত হবে। কারণ কোরআন এবং সুন্নায় ঘোষিত আকীদার বিরোধী কোন চিন্তা চেতনা লালন করা এবং তা প্রচার করা সম্পর্ন রুপে কূফরি কাজ এরূপ করলে কারো ঈমান থাকে না।
এভাবে জামায়াত ইসলামীর সকল কর্মী বাহিনীকে বাধ্য করা হচ্ছে যাতে তারা কুফরি করে। একটি দলের গঠনতন্ত্রে যদি কুফরি থাকে তাহলে গোটা দলের কর্মী বাহিনী কুফরিরত হিসেবে বিবেচিত হবে। তারা কখনো মুসলমান হিসেবে দাবি করতে পারবে না। তাইতো সরকার চাচ্ছে জামায়াতের গঠনতন্ত্র যেন কুফরি হয়। তা কিভাবে করছে একটু জেনে নিন। এই সুযোগ নিয়ে জামায়াত বিরোধী কতিপয় হক্কানী লেবাশদারী দল দাবি করতে পারবে যে, জামায়াত তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস বাতিল করে দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের সংকল্পকে ত্যাগ করেছে। এই গ্রুপটি ইতিমধ্যে তাদের প্রোপাগান্ডা শুরু করে দিয়েছে। যদিও এদেশের প্রতিটি ইসলামী দলের গঠনতন্ত্র ও কর্মপদ্ধতি সরাসরি জামায়াত শিবিরের থেকে কপি পেষ্ট করা। কিন্তু তারা সেটা সরকারী সহযোগীতায় চেপে যাচ্ছে এবং জামায়াত কে এবং তাদের কর্মী সমর্থক দের কে কুফরি আকীদার ঘোষনা দিতে বাধ্য করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের নামে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রত্যেকটি দলের গঠন তন্ত্র সংশোধনের জন্য চিঠি দিয়েছে এবং প্রতিটি ইসলামী দলের মতো জামায়াত ইসলামীর গঠনতন্ত্রও সংশোধন করার জন্য সময় নির্ধারন করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশান খুব ভালো করেই জানে যে, একটি দলের গঠন তন্ত্র তার দলের আকীদা বিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করে এবং সেটা পরিবর্তন করতে হলে দলের সর্বোচ্চ ফোরামের আলোচনা করা দরকার হয়ে পড়ে। বর্তমানে জামায়াতের কেদ্রিয় মজলিশে শুরার অধিবেশন করার মতো পরিস্থিতিতে জামায়াত নেই। তাদের অফিসগুলোতে সরকারের টাকায় কেন তালা ঝুলছে, কেন্দ্রিয় নেতাদের অধিকাংশ এখন জেলে। সারা বাংলাদেশের জেলা অফিসগুলো পুলিশের পাহারায়। বেশির ভাগ নেতা কর্মী এবং রোকনরা জেলের মধ্যে রয়েছেণ। এই পর্যায়ে জামায়াত কে গঠন তন্ত্র সংশোধন করার জন্য চিঠি দেয়া এবং তা না করলে নিবন্ধন বাতিল করে দেয়ার হুমকি যে সরকারের একটি কুটকৌশল তা বুঝতে আর বাকি নেই। সেই সাথে এটাও প্রমান হয়ে গেল যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনও সরকারের প্রভাব দোষে দুষ্ট এবং কোন অবস্থায়ই নিরপেক্ষ নয় এবং তাদের দ্বারা কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়।
তাছাড়া যেকোন দল তার আকীদা বিশ্বাস এবং মতাদর্শ কায়েম করার জন্যই আন্দোলন সংগ্রাম করে। কোন ব্যক্তির বিশ্বাসের স্বাধীনতা স্বয়ং আমার আল্লাহ তায়ালাও হস্তক্ষেপ করেন নি। এবং যারা মানুষের এই মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে তাদের কে তিনি তাগুত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। হযরত মুসা আ এর সময় গোটা বনি ঈসরাইলকে বাধ্য করা হয়েছিল ফেরাউনের আইনের আনুগত্য করতে এবং তাদের বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে তাদের কে কুফরিতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং তাদের কে এক প্রকার বন্দি জীবনে রেখে দেয়া হয়েছিল বিধায় আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় পয়গাম্বর মুসা আ কে সেখানে পাঠিয়েছেন যাতে বনী ঈসরাইলকে আজাদ করতে পারেন। আজকে যারা লক্ষ লক্ষ জামায়াত কর্মীর বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তাদের কে জোড় করে কুফরি আকীদা বিশ্বাস লালন করতে বাধ্য করে তাদের জন্য কি কোন মুসলমানের মুসার (আ) ভুমিকা নিতে মন চায় না ?
এ অবস্থায় জামায়াত কি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে সেই সকল ধারা বাতিল করে দেবে যা আমাদের ঈমান এবং আকীদা বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে রচিত ? দেশের অনেক মোনাফিক এবং ইসলামের দুষমনরা তাদের প্রত্রিকায় এ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট করা শুরু করে দিয়েছে। এগুলোকে পুজি করে কিছু মোনাফেক তাদের ব্লগ ও ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট দেয়া শুরু করেছে। তাদের ভাবখানা এমন যে, জামায়াতের আকীদা বিশ্বাস বদল করতে পারলেই বুঝি তাদের কলিজা ঠান্ডা হবে। আমি জানি না জামায়াতের উদ্ধর্তন দায়িত্বশীলরা কোন পথে এই সমষ্যার সমাধান করবেন। আল্লাহ তাদের কে সহিহ হেকমত অবলম্বন করে বাতিলের হাত থেকে তাদের ঈমানকে হেফাজত করার তৌফিক দান করুন।
কিন্তু এখানে একটি কথা সবাইকে স্বিকার করে নিতে হবে যে, জামায়াতের বর্তমান এই পরিস্তিতি গোটা দুনিয়ার মানুষের কাছে বিশেষ করে বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য এক চরম ঈমানী পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ দেশের যারা নিজেদের কে মুসলমান হিসেবে মনে করেন তাদের কে জানতে হবে জামায়াত ইসলামী গঠন তন্ত্র থেকে কোন কোন ধারা গুলো সরকার পরিবর্তন করতে চাচ্ছে। এবং মুসলমানদের কে এও জানতে হবে যে কি কারনে এই ধারা গুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমি এ দেশের যুবকদের জন্য কিছু তথ্য উপস্থাপন করলাম যাতে তারা বিভ্রান্তির কবলে না থেকে হকের পথ অনুসরন করতে পারে। এ দেশের শত শত মুসলমানকে কুফরি আকীদা বিশ্বাস লালন করতে যারা বাধ্য করে তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের জান মাল দিয়ে সংগ্রাম করার প্রস্তুতি নিতে হবে। বাংলাদেশের মুসলমানরা যদি এই ফেতনায় নিজেদের দায়িত্ব্য ও কর্তব্য ঠিক মতো উপলদ্ধি করতে না পারে তাহলে হয়তো আমাদের ওপর সেই ধরনের আযাব আসতে পারে যা এসেছিল আমাদের পূর্ববর্তী নবীদের উম্মাতের ওপর। আজকে যদি জামায়াত কে বাধ্য করা হয় কুফরি আকীদা বিশ্বাস লালন করতে হয়তো জামায়াত হুদায়বিয়ার শিক্ষা থেকে হেকমত খাটিয়ে তা মেনে নিবে কিন্ত তাদের অন্তরে সেই বিশ্বাসই থাকবে যা তারা বিশ্বাস করে। আমরা জানি যে হোদাইবিয়ার সন্ধির সময় হুজুর (স) তার নামের পরে রাসুলল্লাহ শব্দটি কেটে দিয়েছিলেন। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন এই ফেতনা থেকে জামায়াতকে হেফাজত করেন এবং তাদের সঠিক ভূমিকা নিতে সাহায্য করেন। এবং এদেশের মুসলমানদের কেও সঠিক ভূমিকা নিয়ে তাদের হাজারো মুমিন ভাইদের ঈমান বাচানোর আন্দোলনে শরীক হতে পারে সেই বুঝ এবং তৌফিক দান করুন।
একজন নয় হাজারো লক্ষ মুসলমান ভাই আমার আপনার কাছে আর্তনাদ করে আহ্বান জানাচ্ছে যে, আমাদের কে মুসলমান থাকতে দাও, আমাদের কে কুফরি করতে বাধ্য করো না। যারা আমাদের কে কুফরি করতে বাধ্য করছে তাদের বিরুদ্ধে তোমরা আমাদের সঙ্গী হও। আপনি কি চান না আপনার কোন মুসলমান ভাইয়ের ঈমান বাচানোর আর্তনাদে সাহায্য করতে ? আল্লাহ আমাদের কে সাহায্য করুন।
লেখাটি ফেসবুকে এমন সময় দিয়েছিলাম যখন নিবার্চন কমিশান জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বার বার চিঠি দিয়েছিল এবং জামায়াতও বাধ্য হয়ে কিছু সংশোধনী এনেিেছল। কিন্তু বর্তমানে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দিয়ে রায় দিয়েছে। জামায়াত বিরোধী উকিলরা বার বার দাবি করেছেন যে, জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংবিধান বিরোধী। হাইকোর্টও সেই যুক্তি মেনে নিয়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা সাধারন মুসলমানরা কি একবারও ভেবে দেখেছি যে, আসলে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আমাদের কে কি বলতে আর কি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সাধারন মুসলমান পাঠকদের জন্য আমি জামায়াতের গঠনতন্ত্রটি ভালো করে পড়ার অনুরোধ করছি এবং বিজ্ঞ কোন আলেমের সরাপন্ন হয়ে জানার চেষ্টা করতে অনুরোধ করবো যে, উল্লেখীত আকিদা ছাড়া কোন ব্যক্তি মুসলমান থাকতে পারে কি না। যেই তরিকত ফেডারেশান এবং জাকের পার্টি এসব ধারার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের কর্মী বাহিনীকেও জানতে হবে যে, তাদের দলের নেতারা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বিকার করেন কিনা ?
বিষয়: বিবিধ
১৯৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন