লাইলাতুল কদর এবং প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ০১ আগস্ট, ২০১৩, ১২:০৯:২০ দুপুর

লেখাটি আমার ফেসবুক থেকে কপি করে দিলাম। এডিট করার সুযোগ হয়নি। একুশে রমাদানের রাত্রে লিখেছিলাম। আজকের দিনেও এটাই প্রযোজ্য।

খোজ নিয়ে দেখুন আজকে দেশে অধিকাংশ মসজিদের দরজার বন্দ রয়েছে। বড় জোড় কয়েকজন এমন রয়েছে যারা ই’তিকাফ করতে মসজিদে অবস্থান নিয়েছেন। ই’তিকাফ কারিরা ঘুমাচ্ছে নয়তো চুপে চুপে ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত আছে। কোথাও কোন সারা শব্দ নেই। মসজিদের ইমামদের কে ঘোষনা দিতে শুনলাম না যে, আজকে শবে কদরের রাত হতে পারে তাই আপনারা মসজিদে আসুন বিশেস আলোচনার মাহফিল হবে। শবে কদরের মর্যদায় আমরা কতটুকো যতœবান তার উত্তম নমুনা হচ্ছে আমাদের বর্তমান কর্মপদ্ধতি। এর জন্য দায়ি কারা ? কারা সাতাশ রাত্র কে খাস করে দিল কদরের জন্য ? আমরা সাধারন জনগন নাকি আলেমরা।

আলেম অথবা আাধা আলেম হাফেজদের ইমাম বানানো হয় অথচ তাদের অধিকাংশরা জাহেলদের মতো করে সাধারন মানুষকে রসম মুখি বানাচেছন। ইখলাস শিখাতে পারছে না। নিজেরাও কদরের মর্যাদা দেয় না, সাধারন মানুষকেও কদর সম্পর্কে বিভ্রান্ত শিক্ষা দিয়ে থাকে। গতানুগতিক ভাবে তাকালে বিষয়টিতে কোন খুত পাওয়া যায় না কিন্তু গভির দৃষ্টিতে তাকালে আমরা দেখতে পাবো যে, আমাদের কতিপয় দুনিয়া লোভী আলেম কিভাবে সাধারন মানুষের সামনে ইসলাম কে রসম কেন্দ্রিক ধর্মে রুপান্তরিত করছেন। কদরের রাতে ধরা বাধা দোয়া আর আলোচনার পরে বিশেষ চাদা কালেকশানের ধুম পরে যায়। বাদ ফজর এমন ভাব ধরা হয় মনে হয় যেন শবে কদর কে বাংলাদেশের আলেমদের জন্য রমাদানের সাতাশ তারিখে খাস করে দেওয়া হয়েছে। কদর যেন একটি রাত্রের জন্য নিদিষ্ট। মাঝে মাঝে চরম বিরক্ত হই। কিন্তু কথা বলতে পারি না। এমনিতেই এদেশের আলেমরা সবাই চরম পন্থা অবলম্বন করেন। নিজেদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান কে তারা চরম ভাবে হেয় করতে থাকেন এবং এটাকে নিজেদের সিলসিলা বানিয়ে নেন।

কেউ হয়তো বলতে পারেন যে, আলেমরা তো বলেই দিয়েছেন যে, কদরের রাত নির্দিষ্ট নয়, সেটা রমাদানের বেজোড় রাত্রিতে খোজ করতে হবে। তাহলে আলেমদের দোষ দিয়ে লাভ কি ? দোষতো আমাদের, আমরাই রসম খুজে বেড়াই। আমি তাদের কে কেবল এটুকো বলতে চাই যে, আলেমরা যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব্য মোতাবেক সত্য কথা বলে থাকেন তাহলে তারা কেন বাকি দিনগুলোর মতো সাতাশ তারিখেও একই কর্মপন্থা অবলম্বন করেন না ? তারা কেন সাতাশ রোজায় ঘোষনা দিয়ে বয়ান করতে শুরু করেন। আলেমরা যদি ঠিক থাকতেন তাহলে সরকারী ছুটি কিভাবে সাতাশ তারিখে নির্ধারন হয়। কখনো শুনেছেন যে, একজন আলেমও দাবি করেছেন এমন কথা যে, কদরের জন্য বেজোর রাত্রিগুলোর জন্য ছুটি প্রদান করা উচিত। শুনেননি। বরং আামাদের রাষ্টিয় ভাবে শিখানো হচ্ছে কদর হচ্ছে সাতাশে রমাদান। এসব কিছু হয়েছে আমাদের আলেমদের রসম প্রিতী আর সত্য উচ্ছারনে নির্লিপ্ত থাকার কারনে। এর জন্যে তাদের কে কঠিন জবাবাদিহী করতে হবে।

দ্বীনের মধ্যে বিকৃতির উত্থান ঘটে দুনিয়াদার আলেম দ্বারা এবং সত্যিকারের আলেমদের নির্লিপ্ততা সেখানে বৈধতার সিল মেরে দেয়। কোন সাধারন মানুষ একটি বেদয়াত এর প্রচলন করেছে বা দ্বীনের মধ্যে কোন বিৃকতির চেষ্টা করেছে এমন কোন নজির নেই। আল্লাহর রাসুল স বলেছেন, আমার উম্মাতের জন্য আমি সব থেকে বেশি ভয় করছি দুনিয়াদার আলেমদের ্বিষয়ে। আজকের যুগে হুজুুর স এর আশংকা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হচ্ছে। মসজিদের ইমামতি আর মাদ্রাসার চাকুরির লোভে, ইসলামী ফাউন্ডেশানের সামান্য সুযোগ সুবিধা হাড়ানোর ভয়ে আমাদের আলেমরা নিজেদের মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন। আল্লাহ পাক তাদের কে হেদায়েত না দিলে এই দেশে ইসলামের ভবিষ্যত খুবই অন্ধকার। সাধারন মানুষ যখন সহিহ হাদিস শুনানো হয়, তখন তারা জবাব দেয় আমাদের মসজিদের হুজুর কি এসব জানেন না। শেষ যুগে এসে কত হাদিস তৈরি হবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File