এমন মুক্তিযোদ্ধা কে কি শ্রদ্ধা করা যায়।
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ১২ জুলাই, ২০১৩, ০৫:৫১:১৪ বিকাল
খাটি কপি পেষ্ট-----------------------------------------
মেধা নাই তো, তাই আরেক জনের কোটা থেকে উদ্ধার করা। নব্য মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য এই সামান্য কোশেশ বলতে পারেন। ভালো লাগলে একজন কে বলূন, আর খারাপ লাগলে হাজার জনকে আমন্ত্রন জানান।
।
।
মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের লোকেদের দেখছি কোটা বিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে ব্যাপক মিথ্যাচার করতেছে। বারবার দোহাই দিচ্ছে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের নাকি গালি দিয়েছে। এ জঘন্য মিথ্যাচারের পেছনে কাজ করে দুর্বল যুক্তি। তবে আমরা পাল্টা যুক্তি দিলে ওরা কি বলবে? তাদের কি মনে আছে অতিরিক্ত যুক্তির জবাবটা সংসদে কিভাবে দেয়া হয়েছিল?
আওয়ামী লীগ কথায় কথায় বলে শেখ মুজিব জাতির পিতা। এটাকে সাক্ষী মেনেই রানু জানতে চাইলেন মহান পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার যে জয়নাল আবদিন ফারুককে শুয়রের বাচ্চা বললো এতে শেখ মুজিবের কী পরিচয় দাড়ালো। এই বিষম যুক্তির সামনে আসরে আর যুক্তি চইেন সংসদে।
এখন যারা কোটা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে এতো যুক্তি দিচ্ছেন তাদেরকে চেপে ধরলে কী বলবেন তারা?
কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেছে বলেই মুক্তিযুদ্ধের পরে তার কৃতকর্মের দায় দেশের মানুষ নিতে পারে না। কারণ-
১. শেখ মুজিবকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করেছিলো। তারা এতই নিষ্ঠুর ছিলো যে শেখ রাসেলের মত শিশুকেও হত্যা করেছিল। নারীদের প্রাণ হরণের মতো কাপুরুষতা করেছিলো সেই মুক্তিযোদ্ধারা। এই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা পোষণা করতে পারি না।
২. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বীরত্ব, দক্ষতা ও যোগ্যতা দেখিয়েছেন খালেদ মোশাররফ। তার সহযোদ্ধা ছিলেন আরেক বীর সেনাপতি হায়দার। তাদের সকালের নাস্তা করার সময় ধরে নিয়ে হত্যা করায় জড়িত ছিলেন একজন সেক্টর কমান্ডার ও তাদের দোসর মুক্তিযোদ্ধা সেনারা। আমরা খালেদ-হায়দারের খুনী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করতে পারি না।
৩. শহীদ জিয়ার উপর গুলি চালিয়েছেন যারা, তারা সবাই মহান মুক্তিযোদ্ধ ছিলেন। এমন একজন মুক্তিযোদ্ধা এখনো সমাজে বিচরণ করেন আর পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করতে চান। এই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা পোষণ করতে পারি না।
৪. শেখ মুজিবকে হত্যার সময় অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন নি শফিউল্লাহ। তিনি দায়িত্ব পালন না করার এনাম স্বরূপ বিদেশে রাষ্ট্রদূতের আরাম নিয়েছেন। এই কাপুরুষ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ নেই।
৫. দেশের লাখ লাখ মানুষের টাকা ধান্দাবাজি করে মেরে দেয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সচিব জেনারেল হারুণ। তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা থাকতে পারে না।
এবং...
১৯৭১ এর পরে যেসব মুক্তিযোদ্ধা অযোগ্য, অদক্ষ ও মেধাহীন সন্তান জন্ম দিয়ে রাষ্ট্রে বৈষম্য, দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অযোগ্যতা সৃষ্টিকারী কোটাপদ্ধতির পক্ষে দাড়ান তার প্রতি আমাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই।
সবাইকে মনে রাখতে হবে স্বাধীনতার পরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রজনন ক্ষমতার ব্যবহার ও সন্তান যোগ্য করতে না পারার দায় জনগণ নেবে না।
-By-Khomenee Ehsan
(Basher Kella)
(লেখাটি আমার নয়, তাই এর প্রতি প্রতিমন্তব্য পাওয়া যাবে না। আমি লেখাটি বাশের কেল্লা থেকে কপি পেষ্ট করছি তাদের জন্য যারা ফেসবুকের সব স্টেটাস দেখার সুযোগ পাননা।
যার যা ইচ্ছে বলতে পারেন। কোন সমষ্যা নাই।)
বিষয়: বিবিধ
১৫২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন