চরমোনাই আসলে চায় কি ?

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ০৮ জুলাই, ২০১৩, ১১:১৯:০৫ রাত

সম্প্রতি পীর সাহেব কেবলা বাব দাবি করেছেন যে, ৫ তারিখে হেফাজতের লোকজন মার খাওয়ার জন্য বি এন পি আর জামায়াত শিবিরের লোকেরা দায়ী। জামায়াত শিবিরের চালে নাকি হেফাজতের কর্মীরা ৫ তারিখে শাপলা চত্তরে অবস্থান নিয়েছে। হুজুর কেবলার কাশফ মিশ্রিত বয়ান শুনে অনেকে খুশি হলেও, আল্লামা বাবু নগরী ও জুনায়েদ সাহেবের বয়ান শুনে মানুষ বুঝতে পারছেন যে, পীর কেবলা রাজনীতি করতে গিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। এতে করে তার কলবে কোন দাগ পড়ে থাকলে এখনি তার কয়েক হাজার ইল্লাল্লাহর জিকির করা দরকার। জিকির ছাড়া তার আবার চলেই না। তিনি যুক্তি দিয়ে প্রমান করেছেন যে রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা নিতে খালেদা জিয়া হেফাজতের পক্ষে কথা বলেছেন এবং তিনি বার বার দাবি করছেন যে, বি এন পি তের দফার এক দফাও মেনে নেবে না। জামায়াতের কাছে তো তিনি কিছুই আশা করেন না। তার মতে জামায়াতের কাজ হলো ক্ষমতার জন্য নারীর আচলে ডুকে যাওয়া। আর নবী রাসুল,সাহাবাদের সমালোচনা করা।

গত কিছু দিন আগে তিনি চাঁদপুরে এক ভাষনে এসব খিস্তিখেউর বলেছেন। সাধারন মানুষ শুনে কেবল হেসেছেন। আমাদের মসজিদের মুয়াজ্জিন সাহেব তার অন্ধ ভক্ত ছিলেন, তিনিও তওবা করছেন। তিনি অবাক হয়েছেন এই কথা শুনে যে, হেফাজতের নেতারা জামায়াতের কথায় রাত্রী যাপন করেছেন।তার আক্ষেপ হলো যে, হেফাজতের প্রোগ্রামে আমিও ছিলাম। হুজুর যেভাবে মিথ্যা কথা বললেন তাতে তার সম্পর্কে লোকজনের কথাই সত্য বলে মনে হয়। আমাদের মুয়াজ্জিন সাহেব তওবা করেছেন শুনে মাদ্রাসার ছাত্ররাও খুশি হয়েছেন যেহেতু তিনি খুবই ভালো মানের কর্মী ছিলেন।সাধারন ছাত্ররা এখন চরমোনাইর নাম শুনলেই ফুশে উঠে।

চরমোনাইর মিথ্যাচারের নমুনা দেওয়ার ইচ্ছে ছিলনা কিন্তু বিশেষ কারনে আজকের এই আর্টিকেল টি প্রকাশ করতে হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে চরমোনাইর পেজে একটি শ্লোগান লিখা হয়েছে। নো হাসিনা নো খালেদা, ইসলাম ইজদা বেস্ট। শ্লোগানটি শুনতে খুব ভালো মনে হলেও এর ভিতরে কি পরিমান শয়তানী বিরাজ করছে তার নমুনা দেওয়ার ইচ্ছে আছে। কোন ইসলাম পন্থী দল যদি এই মুহুর্ত্যে বলে নো হাসিনা নো খালেদা, তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি হেফাজতের আলেমদের হত্যার বিচার চাননা। তিনি চান যে কোন উপায়ে মহাজোটকে ক্ষমতায় বসাতে।

আঠার দলিয় জোট ক্ষমতায় আসলে তের দফা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে এমন আশা সম্ভবত হেফাজতের নেতারাও করেনা। তের দফা বাস্তবায়ন আলেমদের কেই করতে হবে। অবশ্যই সেটা ইসলামী দলগুলোকে ক্ষমতায় বসিয়ে করতে হবে। আঠারো দলিয় জোট ক্ষমতায় আসলে ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে এমনটিও নয়। ফারাক কেবল এতটুকো হবে যে, আলেম ওলামারা স্বাভাবিক ভাবে দ্বীনের প্রচার প্রশার করতে পারবেন। কোন অনৈতিক হাঙ্গামার মুখোমুখি হবেন না। এতে এদেশের ইসলামী শক্তিগুল...ো গন মানুষের কাছে যাওয়া সুযোগ পাবেন। নিজেদের ভাবনা গুলো সহজে শেয়ার করতে পারবেন। মহাজোটের আমলে তো সেটা কল্পনারও বিষয় নয়। কোরআন শরীফ সাথে রাখার অপরাধে যখন কোন যুবককে জেলে দেওয়া হয় আর পুলিশের সিজার লিষ্টে লেখা হয় কিছু জিহাদী বই পাওয়া গেছে তখন সেই শাষন আমলকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা নারী নেতৃত্ব্যের মতো বিষয় থেকেও খারাপ নয কি ?

আঠার দলিয় জোট ক্ষমতায় না এসে মহাজোট ক্ষমতায় আসলে শুধু হেফাজত কেন কোন ইসলামী দলই শান্তিতে থাকতে পারবে না। যেটুকো সুবিধা ভোগ করতে পারবেন সেটা চরমোনাইর পীর সাহেব এবং কতিপয় মাজারপুজারী বেদয়াতের ধারক ও বাহকরা। এদের উৎপত্তিতে এমনিতেই স্বাধারন মানুষের আকীদা বিশ্বাসে দারুন অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। এরা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতার সামান্য ছোয়া পায় তাহলে বেদয়াত প্রসারে কোন কমতি রাখবে না। তখন সেসবের বিরুদ্ধে বলার কোন লোকই খুজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে চরমোনই ছাড়া কোন ইসলামী দল ও সংগঠন কে রাস্তায় দাড়াতে দেওয়া হয়না। গনতন্ত্রের নামে আওয়ামী টেবলেট কেবল মাত্র জাহান্নাম মঞ্চের শাহবাগী আর নারী নেতৃত্ব্যের নামে ধুয়া তুলে আলেমদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো চরমোনইর ভাগেই জুটছে। কর্মসুচী পালনের স্বাধীনতা কেবল এই দুই গ্রুপের মধ্যেই সিমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। হয়তো হাসিনার দৃষ্টিতে চরমোনইর ইসলামই একমাত্র হক্কানী ইসলাম। এই কারনেই সম্ভবত তিনি আঠার দলিয় জোটের সমালোচনায় মুখর থাকেন। মহাজোটের সমালোচনা করার ভিতর কি স্বার্থকতা থাকতে পারে যখন তাদের কল্যানে আলেমদের আন্দোলনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।

এরশাদের আমলে একবার আটরশিকে এতটা প্রমোট করা হয়েছিল যে, টেলিভিশন খুললেই আটরশির লোকের বয়ান শুনা যেত। এই কারনে আটরশির কিছু জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিল এবং তাদের খানকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। আমি অধমেরও সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। অথচ আজকে আটরশির সেই ঝাকঝমক আর নেই। বর্তমান আটরশির ওরশ গুলোতে তেমন লোকের দেখা মিলেনা। সাধারন লোক যায়না বললেই চলে। এ সব কথা বলার কারণ হচ্ছে যে, শয়তানী শক্তির সাহায্য নিয়ে পথ চলা দল ও মত কে এদেশের মুসলামনরা বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে। হয়তো মাঝখানে কিছুটা সময় তারা আরামে কাটিয়েছে আর কি। কিন্ত ভবিষ্যতে ফলাফল তাদের প্রতিকুলে গেছে। এটা ইতিহাসের শিক্ষা।

কেন যেন চরমোনাইর নেতারা হেফাজত কে আঠার দলের কাছ থেকে দুরে সরিয়ে নিতে চান। এতে কেবল মহাজোট উপকৃত হবে এমনটাই নয়, বরং নাস্তিকদের সহযোগীরা আরো শক্তিশালী হবে। অনেকে বলেন, পীর সাহেব নারী নেতৃত্ব্যের বিরোধীতা করেন বলেই এসব বলেন। আমার সেটা মনে হয় না। আজকে বি এনপির নেতৃত্ব্যে যদি তারেক রহমানও এসে যান তখনও আমরা একই কৌশল অবলম্বন করবো। যত পারা যায় নাস্তিকদের কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে আলেমদের হাত কে শক্তি শালী করা। হেফাজতের বর্তমান কৌশল অত্যান্ত বিবেচনা সুলভ। পাচঁটি সিটির নির্বাচনে হেফাজত কর্মীরা প্রকাশ্যে আঠারো দলিয় জোটের পক্ষে কাজ করেছে। এতে নাস্তিকরা উপলদ্ধি করতে পারছে যে, আলেমদের কে তারা নিজেরাই বোকার মতো খালেদার জোটে ডুকিয়ে দিয়েছে। এর খেশারত আওয়ামী লীগকে যেমন দিতে হচ্ছে তেমনি সকল দলগুলোর জন্যও সতর্ক বার্তা হিসেবে কাজ করবে যে, আলেমদের সাথে বেয়াদবি করে কোন আপাই ক্ষমতায় টিকতে পারবেন না।

এখানে আকেটি বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ক্ষমতার সিড়ি হিসেবে বর্তমান আলেমরা যতটা কার্যকর বলে মনে হচ্ছে আসলে ততটা নয়। কারণ হচ্ছে আলেমরা বহুদলে বিভক্ত। তাদের সাংগঠনিক শক্তি এবং স্থিতিশীলতা নেই। এই পর্যায়ে কেবল জোশের বশে স্বিদ্বান্ত নেওয়া আর নারী নেতৃত্ব্যের ফতোয়া বিলি করা অত্যান্ত সন্দেহ জনক কাজ বৈকি। মুসলিম উম্মাহ যতক্ষন না এমন পর্যায়ে পৌছে যে, তারা নিজেরাই ক্ষমতার উপলক্ষ হতে পারে ততক্ষন শক্তিশালী কোন ব্যক্তি বা দলের সাথে সম্পর্ক রাখা কোন অবস্থায় আকীদার খেলাফ নয়। আবিসিনিয়ায় হিজরত কালিন সাহাবাদের কে কেবল এই কারনে সেখানে হিজরত করতে বলা হয় যে, সেই দেশের বাদশাহ অতান্ত সুবিচারক এবং ন্যায়পরায়ন। আবিসিনিয়ার বাদশা মুসলমান ছিলেন না। তার সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে সাহাবারা সেখানে দ্বীনের বিজ বপন করেন এবং পরবর্তিতে আবাসিনিয়ার বাদশা নিজেও মুসলামন হয়ে যান।

বর্তমানে আঠারো দলিয় জোটের মধ্যে অবস্থানরত ইসলামী দলের নেতারা উপলদ্ধি করছেন যে, হাসিনার চাইতে আলেমদের ক্ষেত্রে বা ইসলাম বিরোধী কোন কর্মসূচী দিতে খালেদা জিয়া কিছু হলেও অতিরিক্ত ন্যায়পরায়ন থাকবেন। অতএব হাসিনার চাইতে খালেদা আলেমদের জন্য স¤পূর্ণ নিরাপদ বলে বিবেচিত হচ্ছেন। এ সত্যকে অস্বিকার করার কোন মানে নেই। কারণ অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গিয়ে বেগম খালেদা বুঝতে পারছেন যে, সাধারন ধর্মপ্রাণ মুসলামনরাই তার দলের নিয়ামক শক্তি। পুর্বে নাস্তিকরা তাকে যেভাবে প্ররোচিত করার সুযোগ পেয়ে মুসলমানদের বিরুদ্দে বিশেষ করে আলেমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছেন তারই ফলে তাকে ছিয়ান্নব্বই তে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। এ কারনেই বর্তমানে খালেদা জিয়া শাহবাগীদের কে সরাসরি নষ্ট ছেলে বলে বিবৃতি দিয়ে নাস্তিকতাকে পরিহার করে আলেমদের কাতারে দাড়িয়েছেন। তার দল হেফাজতের কর্মকান্ডকে প্রকাশে সমর্থন দিচ্ছে। তের দফার বিষয়ে বি এন পির ধীরে চলা নীতির যথেষ্ট কারণও আছে। বিদেশী মিডিয়াগুলো জানতে পারছে যে, হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এবং তাদের সব দাবি দাওয়া মেনে না নিলেও অধিকাং দাবি দাওয়ার পক্ষে উভয় দলই আছে। এ কারনে বি এন পি তের দফার বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করছে না।

আজকে বি এন পির নেতৃত্ব্যে যিনি আছেন তিনি পদাধিকার বলে আঠারো দলের নেত্রী। খালেদা জিয়াকে যদি আমরা আলেমদের জন্য সহনশীল এবং ন্যায় পরায়ন ভাবি এবং নাস্তিকদের জন্য কঠোর ভাবি তাহলে আগামীতে মহাজোটের ন্যায় ইসলাম বিরোধী শক্তির উত্থান ঠেকাতে সিটি নির্বাচন গুলোর মতো ইসলাম প্রিয় সকল মানুষের ঐক্য এখন বিবেকের দাবি। যে কোন মুল্যে আগামি নির্বাচনে হাসিনাকে পরাজিত করে আলেমদের হত্যার বিচার করতে হবে। অন্যথায় এদেশের আলেমদের মধ্যে কতিপয় পা চাটা চাটুকার ছাড়া হকের কথা বলার মতো লোকও খুজে পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়বে। আজকে হাসিনার মদদে যে সকল হক্কানীরা হাসিনার সহযোগীতা নিয়ে মাঠ গরম করছেন আর নারী নেতৃত্ব্যের ফতোয়া নিয়ে ময়দানে ঘুরে বেড়াচেছন, সেদিন তাদের অফিস গুলোতেও আজকের জামায়াত শিবিরের অফিসের মতো তালা দেওয়া হবে না এমন আশংকা উড়িয়ে দেওয়ার কোন কারণ নেই। এরকম মনে তারা করতে পারেন যারা আওয়ামী চরিত্র সম্পর্কে জেনে শুনে রাত কানা সেজেছেন অথবা নিজেদের প্রতিদন্ধিকে হাসিনার হাতে নিঃশেষ করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখে পুলক্তি হচ্ছেন। তারা হয়তো বোকার সাগরে বাস করছেন নতুবা নিজেরা নিজেদের জন্য গর্ত খুড়ে নিয়েছেন।

আগামী তে আঠার দলিয় জোট ক্ষমতায় এলে তের দফা বাস্তবায়ন হবে কিনা, ইসলামের কোন উপকার তাদের দিয়ে হবে কিনা, অথবা ইসলামী দলগুলোকে কোন সমর্থন দেবে কিনা সেটা মুল্যায়ন করার সুযোগ আসবে আঠার দল ক্ষমতায় আসার পরে। অনুমান করে আমরা এমন কথা বলতে পারি না যে, আঠারো দল বা তাদের মধ্যকার ইসলামী দলগুলো বি এন পির কাছ থেকে কিছু আদায় করতে পারবে না। যদি কেবল এই অনুমানের ওপর ভিত্তি করেই আঠারো দলের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হয় তাহলে সাধারন কর্মী ও জনগনের ভেবে দেখা দরকার যে, বর্তমানে আলেমদের এমন জন সমর্থন আছে কিনা যেই সমর্থন দিয়ে তারা ঐক্য বদ্ধ হয়ে নির্বাচনের জয় লাভ করে ঘরে ফিরতে পারবে। কেবল মাত্র হুজুগ আর আবেগের ওপর ভর করে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে বাহবা কুড়ানো যায় কিন্ত দায়িত্ব্যশীল হওয়া যায় না।

আমাদের কে মনে রাখতে হবে যে, হেফাজতের সাথে আঠারো দলের সখ্যতা তারাই নষ্ট করতে চান যারা মনে প্রানে মহাজোটের কল্যাণ কামনা করেন। এসব দালালদের চেহারা আর মিষ্টি কথায় সাধারন জনগন বিশ্বাস করেনা এর প্রমান পাওয়া গেছে বিগত পাচটি সিটি নির্বাচনে। তবুও আমাদের ইসলাম পন্থি ভাই দের কে হুশিয়ার থাকতে হবে যাতে ইসলামের কল্যাণকামী সেজে কেউ যেন আমাদের মধ্যে বিভেধ সৃষ্টি করে নাস্তিকদের সহযোগী হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসতে না পারে। অনেকে বলেন আমরা কারো পক্ষেই নাই। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে নাস্তিকরা কি বলছে আমরা কারো পক্ষেই নাই। তারা বরং জোড়ে শোরে আওয়াজ তুলছে যে, আঠারো দলিয় জোট ক্ষমতায় আসা মানে হচ্ছে মুক্তচিন্তার মরন। আর তারা আদা জ্বল খেয়ে মাঠে নেমেছে হাসিনা কে পুনরায় ক্ষমতায় বসিয়ে তাদের বাকি কাজগুলো সেরে ফেলতে। তারা কোন রাখঢাক না করেই হাসিনার পক্ষ নিয়েছে।

অতএব আঠারো দলিয় জোটের বিরুদ্ধে নাস্তিকরা যেমন আদাজল খেয়ে নেমেছে তেমনি মহাজোটের বিরুদ্ধেও ইসলাম পন্থীদের আদা জল খেয়ে নামতে হবে। এ কথা বলার সুযোগ নাই যে, আমরা কারো সাথে নাই। ইসলামের ছদ্মবেশ ধারন করা কোন দল বা ব্যক্তি যখন বলবে আমরা কোন দলেই নাই, তখন ধরেই নিতে হবে এই দলটি মহাজোটকে ফায়দা দিতে চাচ্ছে। কারণ আঠারো দলিয় জোট হাড়ার মানেই হচেছ নাস্তিকদের ক্ষমতায় বসানো। মহাজোটের পক্ষে কাজ করার এর চাইতে উত্তম পন্থা আর কি হতে পারে। এসব কুট কৌশল এ দেশের সাধারন জনগন বুঝতে পারে। ভাবিষ্যতে এরকম কোন চক্রান্তের সাথে জড়িত যে কোন ব্যক্তি তিনি যত বড় আলেমই হোন না কেন তাকে ইসলামের দুষমন হিসেবে আখ্যয়িত করে ইতিহাসের পাতায় জায়গা দেওয়া হবে

বিষয়: বিবিধ

৩৭২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File