আমার কোন মন্তব্য নাই।
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ০১ জুলাই, ২০১৩, ১১:৪৬:৪২ রাত
১. আমরা অত্যান্ত উদ্ভেগের সাথে লক্ষ করছি যে, খালেদা কে ক্ষমতায় আনার জন্য কিছু আলেম ওলামা মাঠ গরম করছেন। এটা কোন মতেই হতে দেওয়া হবে না-
২. খালেদার লেজুরবৃত্তি করে মার খেয়েছেন, এখনো পথে আসেন। ইসলামের কথা বলেন, একমাত্র ইসলামই মুক্তির পথ।
৩. চরমোনাই একমাত্র হক্কানী দল যারা ইসলামের জন্য কাজ করছে, অন্যরা (হেফাজত, জামায়াত) গোলাপী বেগমের আচলের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন ছাড়া অন্য কোন দল বর্তমানে ইসলামের জন্য কাজ করছে না।
উপরের মন্তব্য গুলো চরমোনাইর পীর সাহবের ভাই আকে পীর মুফতি ফয়জুল করিমের।
গত শুক্রবার চাঁদপুরের ইদগাহ মাঠের এক জনসভায় তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তার প্রতিটি কথা অনরেকর্ড রয়েছে। স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার কোন আলেম কে দেখা যায়নি তাদের প্রোগ্রামে। আগের মতো সাধারন ছাত্ররা অংশ নেয়নি। উপস্থিতির কমতি দেখে দায়িত্ব্যশীলরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও সারা জেলা থেকে লোক জড়ো করে নেওয়া হয়েছে। পীরসাহেবর বক্তব্যের কোথায় হাসিনার পতনের কথা না শুনে লোকজন বলাবলি করছিল তারা আসলে কোন দলের বিরুদ্ধে কথা বলছে। পীর সাহেব কেবল মাত্র ইসলামী সরকারের কথা বলেছেন। কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে আলেমদের এই মুহুর্ত্যে কোন ঐক্য নেই, নেই সরকার গঠনের সক্ষমতা। সেই ক্ষেত্রে তারা কি করবে এই বিষয়ে তিনি অত্যান্ত পরিস্কার ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাদের কোন ক্ষতি নেই। অন্যদিকে তাদের নেতাদের বক্তব্যে প্রমানিত হয়েছে যে, আঠার দলিয় জোটের সরকার আসলে জামায়াত প্রতিষ্টিত হবে এই আশংকা তারা করছেন। এসব বক্তৃতা শুনে আঠার দলিয় নেতাদের কয়েকজন প্রশ্ন করেন তাহলে তারা কি হাসিনার সরকার কে সহায়তা করার জন্যই আঠার জোটে বিরুদ্ধে বলছেন। জামায়াতের ওপর কৃত জুলুমকে বৈধতা দিলেন পীর সাহেব ও তার দল এমন মন্তব্য করলেন স্থানীয় জামায়াত নেতারা।
অন্যদিকে চরমোনাইর কিছু মুরিদও অত্যান্ত ক্ষোভের সাথে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যে, এই দুঃসময়ে ওলামাদের বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করা হুজুরের ঠিক হয়নি। হাসিনার অত্যাচার জুলূম থেকে পরিত্রানের একমাত্র পথ হচ্ছে আপাতত তাকে বিদায় করা। এর পরে ঠিক করা যাবে আলেমরা কি করবে। চরমোনাই পরিচালিত স্থানীয় এক মাদ্রাসা মোহতামেম যিনি হেফাজতের কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি অত্যান্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, ভবিষ্যতে এই দলের সাথে কাজ করা যাবে কিনা তাই ভাবছি। একবার হেফাজতের বিরুদ্ধে কথা বলে তিনি কওমী আলেম এবং ছাত্রদের অন্তর থেকে উঠে গেছেন। এখন আবার এমন মন্তব্য করে তিনি আসলে কি বুঝালেন ঠিক বুঝলাম না।
এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় স্থানী এক আলীয়া মাদ্রসার মুহাদ্দিসের সাথে তিনি বলেন যে, পীর সাহেবের পুরো বক্তৃতা জুড়ে কেবল খালেদার বিরুদ্ধে এবং তাদের গুনকির্তনই ছিল। দেশের এই কঠিন মুহুর্ত্যে কিভাবে হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যাবে সেই বিষয়ে তিনি নেতাকর্মীদের কে কোন নির্দেশনা দেননি।
ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম যশোরী অত্যান্ত পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন যে, খালেদাকে ক্ষমতায় আনার স্বপ্ন কখনো পূরণ হতে দেওয়া হবে না। এই মুহুর্ত্যে খালেদার সাথে আতাত করার মানে হলো জামায়াত কে প্রতিষ্টিত করে দেওয়া। জামায়াত যে খাদের নিচে পড়েছে সেখান থেকে তাদের তুলে আনার চেষ্টা করছেন কওমী কিছু দুনিযা লোভী আলেম। তিনি চরমোনাইর পীর সাহেবকে আল্লাহর অলী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রত্যেক নেতার কথাবার্তায় হেফাজতের রিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন সমালোচনা ছিল। তারা তাদের বক্তব্যের কোথাও শাপলা চত্তরের গনহত্যার বিচরা দাবি করেননি। এই বিষয়ে তাদের কারো মুখ থেকে একটি কথাও বের হয়নি।
সকল বিরোধী দল যেখানে প্রোগ্রাম করার অনুমতি পায়না সেখানে চরমোনাইকে কেন অনুমতি দেওয়া হলো জানতে চাইলে পুলিশের এক কর্মকতা সাংবাদিকদের বলেন যে, স্বরমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে তাদর কে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, চাঁদপুরে বি এনপির নেতারাও সভা সমাবেশের অনুমতি চাইলে পাননা, পুলিশ বিভিন্ন ভাবে টাল বাহানা করে। ওয়াজ মাহফিলের ভেনু এবং বক্তাদের নামও ঠিক করে দেয় পুলিশ প্রষাসন এমন অভিযোগ করেছেন কওমী আন্দোলনের সাথে জড়িত কওমী নেতারা। তারা প্রশ্ন করেন যে, কোন সুতার টানে কেবল মাত্র চরমোনাইর জন্য গনতন্ত্রের দরজা খোলা রাখা হয়েছে। আমি কেবল মাত্র রিপোর্ট করলাম। মন্তব্য করার দায়িত্ব্য আপনাদের। জেলার সকল পত্রিকায় এই নিয়ে মিশ্র পতিক্রিয়া ছাপা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন