হায়রে সোনার বাংলাদেশ, আর কত নিচে যাবো ?
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ০১ জুলাই, ২০১৩, ০৬:১৩:৪৬ সন্ধ্যা
গত কাল পাশের একটি মহল্লায় গেলাম। মহল্লাটি এক সময় অপরাধের আস্তানা ছিল। চর অঞ্চলের নদী ভাংতি মানুষগুলো এখানে এসে ঘর বাড়ি নির্মান করে এক প্রকার বস্তির মতো বানিয়ে ফেললো। এক সময় পাকিস্তানের কিছু মানুষ এই অঞ্চলে বসবাস করার কারনে একে রিফিউজি কলোনী বলে ডাকা হয়। অসামজিক কর্মকান্ড আর নেশার আস্তানা হলো এটি। এর ভিতর দিয়ে এখন বিশাল এক রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম শুনতে পেলাম কয়েকজন মহিলা কি নিয়ে ঝগরা করে খুবই বিশ্রি ভাষায় একে অপরকে গালাগাল করছে। একজনের গালি শেষ না হতেই আরেক জন গালা গাল শুরু করে দেয়। প্রত্যেক বার গালাগালের ভাষা আপডেট হতে থাকলো। এরা নাকি ঝগরাটে মহিলা। এদের কে আঞ্চলিক ভাষায় বাউদ্ধা বলা হয়। এসব নাকি তাদের রোজকার বিষয়। এই নিয়ে পাঠকদের কে কিছু বলার নাই। এটা কোন ট্রপিক হতে পারে না। কিন্তু যেই কারনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হলো তার কারণটি হচ্ছে এই-
“একজন মহিলা আরেক জনকে বলতেছে-তই ত হাসিনার মতো কথায় কথায় মিছা কথা কস, বরং হের থাইক্ক্যাও খারাপ, তোরে বিশ্বাস করে যে সে একটা......।”
আমার সাথে থাকা মসজিদের ইমাম সাহেব তিনি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালেন, দেখলে আমি এর আগেই তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা দুজনে এতটা অবাক হয়েছি যে, তা ভাষায় প্রকাশ করতো পারবো না। রাস্তার দুটি ঝগরাটে মহিলা আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে গালির উপলক্ষ বা লক্ষে পরিণত করে নিজেকে তার থেকেও উত্তম ভাবছে এটা ভাবতে আমার নিজের প্রতি কেমন যেন ঘৃনা বোধ জেগে গেল। আমরা কেমন দেশে বাস করছি। আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের সম্মান ধরে রাখতে সচেষ্ট না হন তাহলে সেটা কেবল ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর জন্যই লজ্জার বিষয় নয়, এটা দেশের জন্য, দেশে রাজনীতির জন্য লজ্জাকর, দেশের নাগরিক হিসেবে আমার জন্যও লজ্জাস্কর। আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চাইতে যখন নিজ দলের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান তখন তারা জনগনের মন থেকে সম্নান হাাড়িয়ে ফেলেন। এসব হচ্ছে তার ফলাফল।
সম্প্রতি সংসদে একজন আরেকজন কে যেভাবে গালাগাল করে, বিভিন্ন মহল্লার ভাষাও সেটা কে হার মানিয়েছে। কে কোন জাতের পতিতা সেটার খোলাশা এখন সংসদেও হচ্ছে। কয়দিন পরে হয়তো বাউদ্ধা মহিলারা এই বলে গালি দিতে শুরু করবে যে, তুই একটা সংসদ। আমাদের সংসদ সদস্যদের উচিত হবে এখনই নিজেদের কর্মপনথা শুধরে নেওয়া। নইলে ভবিষ্যতে তারাও গালির উপলক্ষ হয়ে যাবেন। আমি ভাবছিলাম যে রেকর্ড করে রাখি। কিন্তু দেখলাম মোবাইলের মেমরি কার্ড পিসিতে রেখে দিয়েছি।
আমার এই কথার জন্য আমাকে যেন আসামী করার চেষ্টা করা না হয়। কারণ হচ্ছে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত দেখতে চাই। তাকে তার কারনে কেউ গালাগালীর উদাহারন বানাক সেটা কোন অবস্থায় কামনা করি না। এটুক ব্যাখ্যা না দিলে হয়তো আমাদের জজ সাহেবরা আবার কোনটা থেকে কোনটা বুঝবেন কে জানে। মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছি বলেই তো ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হলাম।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন