জুতা কাহিনী; জুতার একাল-সেকাল
লিখেছেন লিখেছেন মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০১:২৯:১০ দুপুর
এখনকার দিনে একজন সভ্য মানুষ জুতা ছাড়া চলতে পারেন না। জুতা বাদে কেউ এখন বাইরে যেতেও লজ্জা অথবা বিব্রত বোধ করেন। এই জুতার পিছনে আছে অনেক ইতিহাস। এই পাদুকার কথা উল্লেখ আছে ইসলাম, হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থে। কখনো কখনো খালি জুতাকে শোকের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয় পশ্চিমা দেশগুলোতে। অবশ্য আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে এটাকে নিচু দৃষ্টিতে দেখা হয়। যেমন "গরু মেরে জুতা দান" প্রবাদে জুতাকে নিম্ন গুরুত্বের জিনিস বোঝানো হয়েছে। কিন্তু এ উপমহাদেশের রাজা-রাজড়ারা সব সময় স্বর্ণখচিত জুতা ব্যবহারের করত বলে জানা যায়।
কিন্তু এই জুতা অথবা পাদুকার উন্নতি এক দিনে হয় নি। যুগে যুগে বিভিন্ন মানুষের প্রচেষ্টার কারনে আমরা এখন আধুনিক জুতা ব্যবহার করতে পারি। আধুনিক জুতার গঠনশৈলী অনেক জটিল। একটি নতুন মডেলের জুতা তৈরি করতে একজন জুতা প্রকৌশলীকে দিনের পর দিন গবেষণা করতে হয়।
আসুন এবার আমরা দেখি এ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া সবচেয়ে পুরাতন জুতাটি। এটির সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৩৮ সালে। উত্তর-পশ্চিম আমেরিকার ফোরট রকে এটির সন্ধান পাওয়া যায়। এটি আনুমানিক ১০,৫০০-৯,৩০০ বছর আগের জুতা।
এই জুতাটি চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয় নি। এ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন চামড়ার জুতাটি পাওয়া যায় আর্মেনিয়ায়। এটি ৫,৫০০ বছর আগেকার বলে ধারনা করা হয়।
বর্তমানে জুতা তৈরিতে চামড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম সিনথেটিক জিনিস ব্যবহার করা হয় যেগুলো পায়ের ত্বকের কোন ক্ষতি করে না। চামড়ার অপর্যাপ্ততা এবং অধিক চাহিদার জন্য পরবর্তীতে অনেক গবেষণা করে এসব সিনথেটিক জিনিসের ব্যবহার শুরু হয় পর্যায়ক্রমে।
বিষয়: বিবিধ
২২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন