ঐশীদের ফিরিয়ে আনা

লিখেছেন লিখেছেন মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী ২৪ আগস্ট, ২০১৩, ১০:০৬:১৭ রাত

বেশ কিছুদিন আগে এক রিক্সাওয়ালা মামার কাছ থেকে শুনেছিলাম একটি ঘটনা।

ঘটনাটি হল, রিক্সাওয়ালা মামা এক বড়লোকের মেয়েকে প্রতিদিন রিক্সায় করে কলেজে নিয়ে যেত। মেয়েটার ড্রেস আপ ছিল আধুনিক মানে পাশ্চাত্যের ধাঁচের। মামা যখন রিক্সা চালাত তখন নানা বিষয় ভাবত সুন্দরী সেই মেয়ের সম্পর্কে। কিন্তু তার ভাবনা সে পর্যন্তই। অনেকদিন ধরেই তাকে আনা নেওয়া করত সে। তবে একদিন ঘটে যায় এক ঘটনা। সেদিন দুই বান্ধবী উঠেছিল তার রিক্সায়। সেদিন তারা কলেজে না গিয়ে মামাকে নিয়ে যায় এক রেস্টুরেন্টে। মামা বিব্রত বোধ করে। তারপর মামাকে যখন দামী একটা সেলুনে নিয়ে গিয়ে সেভ করায় তখনও বেশ হতভম্ব হয়ে যায় মামা। মেয়েটির কথা না শুনলে রিজার্ভ ভাড়া হারানোর ভয়ে ইতস্ততঃ ভাবে সেভ করে মামা। কিন্তু বিপত্তি দেখা যায় যখন তাদের বাসায় পৌঁছে দিতে গেল। মেয়ে দুটি কৌশলে মামাটিকে যৌনাচার করতে বাধ্য করে। তারপর কোনদিন আর মেয়েটিকে আনা নেওয়া করে নি সে। এটা তার জীবনের খুবই খারাপ একটি অভিজ্ঞতা।


ঘটনাটি একদম বাস্তবিক। আর তাই আমি নিশ্চিত আমাদের দেশে ঐশীর মত মেয়ে আরো আছে এবং তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন ব্যাপার হল, আমরা কিভাবে এই বিপথগামী ঐশীদের ফিরিয়ে আনতে পারি? শুধু দিনের পর দিন ঐশীদের খারাপ বলে আর অবিভাবকদের দোষারোপ করে গেলেই কি আমরা একটা মেয়েকে ঐ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারব?

এসব বিষয় আসলেই চলে আসে মূল্যবোধের কথা। কিন্তু আমরা কতজনই বা সে বিষয়ে সচেতন। আসলে এর সমাধান সহজ নয়, কারণ মূল্যবোধের বোধদয় সবার মাঝে ব্যাপক ভাবে ফিরিয়ে আনা কোন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও সম্ভব নয়। আপনি যদি ভাবেন এবং ভাবতে ভাবতে সমাধান খোঁজেন তাহলে বুঝবেন এখানে মাত্র একমাত্র সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান আছে। আর সেই সমাধান হচ্ছে "ধর্ম শিক্ষা"। ধর্ম যাই হোক না কেন, যাই থাকুক না কেন, একজন ধর্মভীত মানুষের মনে মূল্যবোধ থাকবেই। সে মূল্যবোধ থেকেই সে শালীন হতে শিখবে। অনেকে ধর্মের ধরা-বাধা নিয়মকে বলে থাকে মানসিক নির্যাতন। আসলে আমরা যা করি তার সবটাই ধরা-বাধা। সেজন্যই আপনি পাখির মত আকাশে উড়তে পারবেন না। আপনার চিন্তা-ভাবনাও সীমাবদ্ধ। ধার্মিকদের চিন্তা-ভাবনা যেমন সীমাবদ্ধ তেমনি নাস্তিকেরাও কয়েকটি ভাবনার ভিতরই আবদ্ধ থাকে।

ঐশীদের ফিরিয়ে আনতে হলে সমাজের কিছু পরিবর্তন আবশ্যিক। সমাজের গোড়া থেকে সে পরিবর্তন না করলে তা এই বৈশ্বিক সমাজে সে পরিবর্তনের ফল পাওয়া যাবে না। এটা একদমই সহজ কাজ নয়। নারীদের উদাসীনতা রোধে তাদের নিজেদেরকেই সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৭১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File