অনৈতিক কোটা পদ্ধতির যত হিসাব-নিকাশ
লিখেছেন লিখেছেন মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী ০৯ জুলাই, ২০১৩, ১০:১৭:৩৪ রাত
বেশী কথা বলার সময় নেই। শুধু উদারভাবে হিসাবটাই দেব। বাংলাদেশে বি সি এস-এ মোট কোটা আছে ৫৬% যার ৩০% মুক্তিযোদ্ধা, ১০% মহিলা, ১০% জেলা, ৫% উপজাতি এবং ১% প্রতিবন্ধী কোটা।
এখন দেখুন এই কোটা পদ্ধতি কতটা অনৈতিক এবং সংবিধানের চাকুরীর সমতা নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। প্রথমে আসি মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে। বাংলাদেশে মোট মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যা ২ লাখ। যেহেতু কোটা পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিনাতনিরাও বংশীয় সুত্রে আবদ্ধ। তাই আমি এ সংখ্যাকে ১০ দ্বারা গুন করলাম। তাহলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে থাকে ২০ লাখ মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার ১.২৫%।
এবার আসি জেলা কোটায় এবং মহিলা কোটায়। জেলা কোটা থাকলে মূলত সে সব জেলারা বেশী সুযোগ পায় যে সব জেলায় জনসংখ্যা বা ছাত্র বেশী তারা কম মেধাবী হলেও। আর আমার মনে হয় না, বাংলাদেশের কোন চাকুরীর বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া থাকে মহিলাদের সেখানে তাদের অগ্রাহ্য করা হবে। বরং চাকুরীর ভাইভাগুলোতে তারা কিছুটা সুনজরেই থাকে। তাই মহিলা কোটা দেবার দরকার কি? যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে মহিলাদের আরো যোগ্য করে গড়ে তুলুন এবং মেধাবী করুন।
বাংলাদেশে মোট উপজাতি ২০ লাখের কিছু বেশী, যা মোট জনসংখ্যার ১.২৬% মাত্র। আর প্রতিবন্ধী ১৬ লাখের কাছাকাছি, যা মোট জনসংখ্যার ১%।
তাহলে আমরা বুঝতে পারছি মোট কোটার যুক্তিকতা, (১.২৫+১.২৬+১.০০)%=৩.৫১%।
এটা সাধারন অর্থে। এবার ধরুন আমরা সম্মান প্রদর্শন করে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ৫ গুন বেশী সুবিধা দিলাম। তাহলে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা হয় ৬.২৫%।
তাহলে মোট কোটা হয় (৬.২৫+১.২৬+১.০০)%=৮.৫১%।
দেখুন আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিলেও মোট কোটার পরিমাণ ১০% -এর কম। আমি ভাবছি এতদিন কিভাবে শিক্ষিত এ ছাত্ররা এটাকে সহ্য করে আসছে। আমরা ৯০% বাঙ্গালী কোটা চাই। ১.২৬% অবাঙ্গালী যদি ৫% কোটা পায়, তাহলে ৯৭% (মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী বাদে) বাঙ্গালী কেন ৯০% কোটা পাবে না। আমরা ৯৭% বাঙ্গালী মেধাবীদের দেখতে চাই কর্মক্ষেত্রে। চুপ থাকবে ৩%, তোমাদের অনেক দিয়েছি।
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন