জার্সি বিভ্রাট !! রম্য গল্প !!

লিখেছেন লিখেছেন বাচ্চা ছেলে ০১ মে, ২০১৯, ০৭:১৭:৪৭ সন্ধ্যা



হাবু আর গাবু দুই আপন ভাই। কিন্তু হলে কী হবে - তাদের মধ্যে বিস্তর ফারাক। হাবু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আর গাবু একজন পাকিস্তানী ভুত। তো আসছে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তারা স্পোর্টস শপে গেছে জার্সি কিনতে। অবশ্যই হাবু কিনলো বাংলাদেশের জার্সি আর গাবু পাকিস্তানের।

কিন্তু এরপর শুরু হোল সমস্যা। দুটি জার্সি পার্থক্য করা যায় না বললেই চলে - একইরকম সবুজ। এখন কারটা কার জার্সি বোঝা যাবে কীভাবে? অনেক চিন্তা করে এবং খুঁজে পেতে গাবু একটা পার্থক্য বের করলো। সে হাবুকে বললো: "দেখ তোর জার্সিটায় কোনও কলার নেই আর আমারটায় কলার আছে। এবার হোলো তো? এটা মনে রাখলেই হবে। কলার নেই, কলার আছে ব্যাস।"

এভাবে সব ঠিকঠাক চললো। কিন্তু এরপর বিপত্তি। উঠানে কাপড় শুকাতে দেয়া হয়েছিলো। সেখান থেকে গাবুর জার্সি নিচে পড়ে গেল। একটা ছাগল হারামজাদা এসে ঠিক কলারের জায়গাটাই খেয়ে ফেললো। অগত্যা ব্যাক টু দা প্যাভিলিয়ন।

এখন কী করা যায়? হাবুর মাথায় একটা আইডিয়া আসলো। সে একটি পার্মানেন্ট মার্কার এনে তার জার্সিতে ছোট্ট করে একটি এইচ আর ভাইয়ের জার্সিতে একটি জি লিখে দিলো। যাক, এবার আর ভুল হবার স্কোপ নেই।

আবার জামা ধুয়ে আনার পর অবশ্য দেখা গেল দুই জার্সিই যেই কে সেই। মার্কারের নামগন্ধও নেই। দেশি ভেজাল মার্কারকে যতটা পার্মানেন্ট ভাবা হয়েছিলো ততটা পার্মানেন্ট সে না। ফলে এই ফন্দিও ভেস্তে গেল।

এখন? গাবু বললো: "ভাই এক কাজ করি। আমার জার্সি থাকবে আলনায় আর তোরটা ড্রয়ারে। সবসময় এভাবেই থাকবে। তাহলেই তো আর ভুল হবার জো নেই।" হাবু তো খুবই খুশি। নাহ, ভাই রাজাকার হলে কী হবে, মাথায় এলেম আছে। তো সেভাবেই রাখা হোলো জার্সিদুটোকে।

দুদিন পর আবার বিপত্তি। হাবু আর গাবুর মা তো এত কাহিনী জানেন না। তিনি বহুদিনের পুরোনো আলনাটা এক গরীব আত্মীয়কে দিয়ে দিলেন আর গাবুর পাকিস্তানি জার্সি রাখলেন হাবুর বাংলাদেশী জার্সির সাথে। হাবু গাবু দুজনেই বাইরে ছিলো। বাসায় এসে কান্ড দেখে মাথায় হাত।

দুই ভাই উপায় না পেয়ে জার্সি দুটো খাটের ওপর মেলে বিষণ্ণ হয়ে বসে আছে।

এভাবে কতক্ষণ গেলো কেউ জানে না। শেষমেষ মরিয়া হয়ে হাবু বলে উঠলো:

"গাবু তোর জার্সিতে বড় করে লেখা আছে পাকিস্তান আর আমারটায় বাংলাদেশ। ব্যস এটুকুই! এইটুকু মনে রাখতে কি আমাদের খুব কষ্ট হবে?"হাবু আর গাবু দুই আপন ভাই। কিন্তু হলে কী হবে - তাদের মধ্যে বিস্তর ফারাক। হাবু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আর গাবু একজন পাকিস্তানী ভুত। তো আসছে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তারা স্পোর্টস শপে গেছে জার্সি কিনতে। অবশ্যই হাবু কিনলো বাংলাদেশের জার্সি আর গাবু পাকিস্তানের।

কিন্তু এরপর শুরু হোল সমস্যা। দুটি জার্সি পার্থক্য করা যায় না বললেই চলে - একইরকম সবুজ। এখন কারটা কার জার্সি বোঝা যাবে কীভাবে? অনেক চিন্তা করে এবং খুঁজে পেতে গাবু একটা পার্থক্য বের করলো। সে হাবুকে বললো: "দেখ তোর জার্সিটায় কোনও কলার নেই আর আমারটায় কলার আছে। এবার হোলো তো? এটা মনে রাখলেই হবে। কলার নেই, কলার আছে ব্যাস।"

এভাবে সব ঠিকঠাক চললো। কিন্তু এরপর বিপত্তি। উঠানে কাপড় শুকাতে দেয়া হয়েছিলো। সেখান থেকে গাবুর জার্সি নিচে পড়ে গেল। একটা ছাগল হারামজাদা এসে ঠিক কলারের জায়গাটাই খেয়ে ফেললো। অগত্যা ব্যাক টু দা প্যাভিলিয়ন।

এখন কী করা যায়? হাবুর মাথায় একটা আইডিয়া আসলো। সে একটি পার্মানেন্ট মার্কার এনে তার জার্সিতে ছোট্ট করে একটি এইচ আর ভাইয়ের জার্সিতে একটি জি লিখে দিলো। যাক, এবার আর ভুল হবার স্কোপ নেই।

আবার জামা ধুয়ে আনার পর অবশ্য দেখা গেল দুই জার্সিই যেই কে সেই। মার্কারের নামগন্ধও নেই। দেশি ভেজাল মার্কারকে যতটা পার্মানেন্ট ভাবা হয়েছিলো ততটা পার্মানেন্ট সে না। ফলে এই ফন্দিও ভেস্তে গেল।

এখন? গাবু বললো: "ভাই এক কাজ করি। আমার জার্সি থাকবে আলনায় আর তোরটা ড্রয়ারে। সবসময় এভাবেই থাকবে। তাহলেই তো আর ভুল হবার জো নেই।" হাবু তো খুবই খুশি। নাহ, ভাই রাজাকার হলে কী হবে, মাথায় এলেম আছে। তো সেভাবেই রাখা হোলো জার্সিদুটোকে।

দুদিন পর আবার বিপত্তি। হাবু আর গাবুর মা তো এত কাহিনী জানেন না। তিনি বহুদিনের পুরোনো আলনাটা এক গরীব আত্মীয়কে দিয়ে দিলেন আর গাবুর পাকিস্তানি জার্সি রাখলেন হাবুর বাংলাদেশী জার্সির সাথে। হাবু গাবু দুজনেই বাইরে ছিলো। বাসায় এসে কান্ড দেখে মাথায় হাত।

দুই ভাই উপায় না পেয়ে জার্সি দুটো খাটের ওপর মেলে বিষণ্ণ হয়ে বসে আছে।

এভাবে কতক্ষণ গেলো কেউ জানে না। শেষমেষ মরিয়া হয়ে হাবু বলে উঠলো:

"গাবু তোর জার্সিতে বড় করে লেখা আছে পাকিস্তান আর আমারটায় বাংলাদেশ। ব্যস এটুকুই! এইটুকু মনে রাখতে কি আমাদের খুব কষ্ট হবে?"

বিষয়: বিবিধ

৭১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File