একটি মেয়ের জন্য…!!
লিখেছেন লিখেছেন বাচ্চা ছেলে ০৪ মে, ২০১৫, ০৭:৫৫:০৪ সন্ধ্যা
স্পেনের জালিম সম্রাট রডরিক তার আঞ্চলিক গভর্ণর কাউন্ট জুলিয়ানের মেয়ে ফ্লোরিডার সম্ভ্রমহানি করে! কন্যার এমন অপমান সহ্য করা সব পিতার পক্ষেই কঠিন। তাই একদিন এসে হাজির হলেন ন্যায়বিচারক হিসেবে খ্যাত আফ্রিকার গভর্ণর মুসা বিন নুসাইরের কাছে। এক অসহায় পিতার মুখে নির্মমতার কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন মুসা। ক্রোধে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের বিশ্বস্ত সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদকে জরুরী তলব করে বললেন, রডরিককে হটিয়ে সমগ্র স্পেন জয় করতে। সেদিনই স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তারিক বাহিনী...
গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কাছে দেবল [বর্তমান করাচী] থেকে একটি চিঠি এসেছে। দেবলের রাজা দাহির মুসলিম বণিক কাফেলাকে আটক করেছে। একটি বন্দী মেয়ে সেই চিঠিতে লিখেছে: "মুসলমানদের তলোয়ার যদি ভোতা না হয়, তারা যেনো আমাদের ডাকে সাড়া দেয়!" অসহায় মেয়েটির চিঠি পড়েই দাড়িয়ে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন হাজ্জাজ। নিজের জামাতা ও ভাইয়ের ছেলে মুহাম্মদ বিন কাসিমকে বললেন, যত দ্রুত সম্ভব সিন্ধু জয় করতে!
মসনদে বসে আছেন আব্বাসি খলীফা মু'তাসিম বিল্লাহ। পানি পান করার জন্যে গ্লাস হাতে নিয়েছেন সেই মুহুর্তে এক ব্যক্তি ছুটে এল দরবারে। হে আমীরুল মুমিনীন! সীমান্তে রোমানরা আক্রমণ করেছে। ঘটনা মন দিয়ে শুনছিলেন খলীফা। বর্ণনার একপর্যায়ে ঐ ব্যক্তি বলল, আমি দুর থেকে শুনেছি "হাশেমি এক বন্দী নারী আর্তনাদ করে বলছিল, "খলীফা মুতাসিম বিল্লাহ.. তুমি কোথায়?" এটা শুনেই খলীফা পানির গ্লাস ছুড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, 'লাব্বাইক' [হাজির]। নিজেই দ্রুতগতিতে ছুটলেন সীমান্তের দিকে, পেছনে হাজার হাজার সৈন্য। কিন্তু ততক্ষণে বন্দীদের নিয়ে রোমানরা তাদের দূর্গে পৌঁছে গেছে। একমুহুর্তও থামলেন না খলীফা, একই গতিতে সীমানা পেরিয়ে সরাসরি হামলা করে বসলেন রোমানদের। তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গ 'আমুরিয়া' দখল করে সকল বন্দীদের উদ্ধার করে নিজ এলাকায় ফিরে এলেন।
স্পেনের শাসক মনসুর আল-হাজিবেরর চোখে ঘুম নেই। তিনি খবর পেয়েছেন, তার সীমান্তের বাইরের একটি গীর্জায় এক মুসলিম নারী বন্দি অবস্থায় আছে! অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন হামলার। মেয়েটিকে উদ্ধারে যুদ্ধের মতো প্রস্তুতি নিলেন। সমস্ত শক্তি একত্রিত করে হটাৎ আক্রমণ করে বসলেন...!
মুসলমান শব্দের অর্থ বুঝতে ঘটনাগুলি দিলাম। এরা ছিলেন মুসলিম শাসক! আজ যখন আবু গারিব থেকে ফাতেমার চিঠি আসে, আফিয়া সিদ্দীকির মরণ চিৎকার শোনা যায়: আমরা বধির! মিশরে হাফেজা আসমা বেলতাগী প্রকাশ্যে খুন হয়, সাদিয়া মুবীন আমাদেরকে ডাকে: আমরা নীরব। ভিকারুন্নেসা, বিশ্ববিদ্যালয় গুলি থেকে যখন আমাদের বোনেরা লজ্জা হারিয়ে করুণ স্বরে ভাইদের ডাকে, যখন চৌরাস্তায় তাদের লাথি মারা হয়: তখন আমরা নারীবাদী। নিজের বোনকে উলঙ্গ দেখেও যারা রাজনীতি খোঁজে, টিভি বা খেলা দেখে উল্লাস করে- তাদের বস্র থাকবে কি? সৃষ্টির ইতিহাস তা বলেনা! ..আমরা মুসলমান বটে!
(Collected)
বিষয়: বিবিধ
১৪৪০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার একজন প্রিয় ব্লগারের লিখা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন