বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা -
লিখেছেন লিখেছেন বাচ্চা ছেলে ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:০০:৫৬ বিকাল
গোয়েন্দা শব্দটার সাথে প্রায় সবাই পরিচিত। শব্দটি শুনলেই মনের মধ্যে একটা এ্যাডভেঞ্চার কাজ করে । প্রতিটি দেশই তাদের নিজস্ব আত্মরক্ষার্থে একটি গোয়েন্দা সংস্থা গঠন করে থাকে। পাঠকদের জন্য এবারের আলোচনার বিষয় বিশ্বকাপানো বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের কর্মপদ্ধতি-উদ্দেশ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন একটি বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) (Central Intelligence Agency) (CIA). যার দায়িত্ব হলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উচ্চপদস্থ নীতিনির্ধারকদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন গঠিত অফিস অফ স্ট্র্যাটেজিক সার্ভিসেস (OSS)-এর উত্তরসূরি হিসেবে সিআইএ প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সিআইএ গঠন করা হয়। এর কাজ ছিল যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করা।
সিআইএর প্রাথমিক কাজ হচ্ছে বিদেশি সরকার, সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করা এবং তা জাতীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে তা সরবরাহ ও পরামর্শ প্রদান করা। এছাড়াও বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্তহত্যা, বৈদেশিক নীতিনির্ধারণে সহায়তা, কাউন্টার টেররিজম, নিজস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরি, বিদেশি কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি, শত্রু এজেন্টদের সন্ধান, সাইবার ওয়ারফেয়ার পরিচালনা, নতুন প্রযুক্তি সংগ্রহ, ক্যান্ডেস্টাইন অপারেশন, ড্রোন আক্রমণ, গুপ্ত কারাগার পরিচালনা, বিশ্বের বড় করপোরেশনগুলোর নীতিনির্ধারণের চেষ্টা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্পিওনাজ। যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাংলি, ভার্জিনিয়ার জর্জ বুশ সেন্টার ফর ইন্টেলিজেন্সে এর সদর দফতর। সিআইএর কয়েকটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে: মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিভাগ MENA, দণি এশিয়া বিভাগ OSA, রাশিয়ান ও ইউরোপিয়ান বিভাগ OREA, এশিয়া প্যাসিফিক, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকা বিভাগ (APLAA)। সংস্থাটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এমএসএস, এফএসবি ও আল-কায়েদা।
ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার মোসাদকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ও দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। ১৯৪৯ সালের ১৩ ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত মোসাদের ইংরেজি নাম হচ্ছে (Institue for Intelligence & Special Operations)। এই সংস্থাটিকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি রহস্যজনক ও চাঞ্চল্যকর গল্প রয়েছে। এডলফ হিটলারের নাৎসি বাহিনী প্রায় ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করে। এরপর ইহুদি সম্প্রদায় নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের প্রকল্প গ্রহণ করে। নতুন বাসভূমি হিসেবে ইহুদি, খ্রিস্ট ও ইসলাম ধর্মানুসারীদের কাছেও পবিত্র ভূমি হিসেবে পরিচিত প্যালেস্টাইনকেই বেছে নেয় তারা। তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভয়াবহ পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এ কাজে ব্যবহার করা হয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে। সংস্থাটির কর্মকান্ড ঘিরে বিতর্কের কোনো শেষ নেই। এর সদর দফতর ইসরায়েলের তেলআবিবে। এদের নেটওয়ার্ক সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত। মোসাকদের MOTO হচ্ছে: Where there is no guidance, a nation falls but in an abundance of counselors there is safety. তাদের পদক্ষেপ সমূহের মধ্যে অন্যতম হল, বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্তহত্যা, বৈদেশিক নীতি-নির্ধারণে সহায়তা, কাউন্টার টেররিজম, নিজস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরি, বিদেশি কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি, শত্রু এজেন্টদের সন্ধান, সাইবার ওয়ারফেয়ার পরিচালনা, নতুন প্রযুক্তি সংগ্রহ, ক্যান্ডেস্টাইন অপারেশন, ড্রোন আক্রমণ, গুপ্ত কারাগার পরিচালনা, বিশ্বের বড় বড় করপোরেশনের নীতিনির্ধারণের চেষ্টা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্পিওনাজ ইত্যাদি। তবে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হলো, এমএসএস, এফএসবি, এমআইএসআইআরআই, হিজবুল্লাহ, হামাস।
ব্রিটিশ বা যুক্তরাজ্য সরকারের বৈদেশিক গুপ্তচর বিভাগের নিয়ন্ত্রণকারী গোয়েন্দা সংস্থা হলো সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এমআই সিক্স। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা হিসেবে এমআই ফাইভ। সরকারি যোগাযোগের প্রধান দফতর বা জিসিএইচকিউ, প্রতিরা সংস্থা বা ডিআইয়ের সাথে একযোগে কাজ করে। সংস্থাটি জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স কমিটি বা জিআইসির নিয়ন্ত্রণে থেকে নির্দিষ্ট নির্দেশনার মাধ্যমে কাজ করে থাকে। গত ১৯৯৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত এমআই সিক্স নামটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায়নি। সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এসআইএস বা এমআই সিক্স বর্তমানে ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির প্রধান ভূমিকা পালন করছে। ১৯০৯ সালে উইলিয়াম মেলভিল নামক সিক্রেট সার্ভিস ব্যুরোর এক কর্মকর্তা এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন জার্মান সাম্রাজ্যের কর্মকান্ডের ওপরই সবিশেষ মনোযোগ দিয়েছিল এ সংস্থাটি। বিদেশি গুপ্তচরবৃত্তি এবং অভ্যন্তরীণ গুপ্তচরবৃত্তি করে তারা জার্মান সাম্রাজ্যের নৌবাহিনীর সামরিক শক্তিমত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী ছিল। এর দফতর হলো লন্ডনের ভক্সহল ক্রস-এ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সংস্থাটির দুটি শাখাই প্রশাসনিকভাবে রূপান্তরিত হয়ে ডাইরেক্টরেট অব মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স সেকশন সিক্স (এমআইসিক্স) হয়ে যায়। এমআই সিক্স হিসেবে পরিচিতি পায় সংস্থাটি।
চীনের গোয়েন্দা সংস্থাটি মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি এমএসএস (MSS) নামে পরিচিত। এমএসএস এর সদর দফতর চীনের রাজধানী বেইজিং-এ অবস্থিত। সংস্থাটি ১২টি ব্যুরোতে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। সংস্থাটির মূল দায়িত্ব হচ্ছে বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্তহত্যা, বর্ডার সার্ভেইল্যান্স, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, কাউন্টার টেররিজম, নিজস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরি, বিদেশি কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি, শত্রু এজেন্টদের সন্ধান, কাউন্টার রেভিউল্যুশনারি কার্যক্রম দমন, সাইবার ওয়ারফেয়ার পরিচালনা, নতুন প্রযুক্তি সংগ্রহ, বিশ্বের বড় করপোরেশনগুলোর নীতিনির্ধারণের চেষ্টা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্পিওনাজ।
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার মূল নাম ফেডারেলনায়া সুলঝবা বেজপাসনোস্তি রাশিস্কয় ফেডেরাটসি (এফএসবি)। ১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুনিয়া কাঁপানো গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি এর পূর্বসূরি। কেজিবি’র পূর্ব নাম ছিল চেকা। এফএসবি’র সদর দফতর রাশিয়ার মস্কো শহরের ল্যুবিয়াঙ্কা স্কোয়ারে। এফএসবির সাহায্যকারী বা সহায়তাকারী সংস্থার নাম গ্রুপ। সংস্থাটির রয়েছে মোট ১০টি বিভাগ। মূল দায়িত্ব হলো, বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, বৈদেশিক কূটনীতিকদের ওপর নজরদারী, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্তহত্যা, বর্ডার সার্ভেইল্যান্স, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, কাউন্টার টেররিজম, নিজস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
জার্মানির বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার নাম বুন্দেসন্যাচরিচটেনডিয়েনস্ট (বিএনডি)। জার্মনির এই ফেডারেল গুপ্তচর সংস্থাটি ১৯৫৬ সালের ১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পূর্বসূরী হলো, জার্মানির সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
জার্মান স্বার্থের প্রতি হুমকির আগাম সতর্ক বার্তা সরকারকে জানিয়ে দেয় এবং হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। টেলিফোনে আড়িপাতা ও ইলেকট্রনিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, ডবি¬উএমডি বিস্তার, প্রযুক্তির সব ধরণের অবৈধ হস্তান্তর, সংঘবদ্ধ অপরাধ, অস্ত্র ও মাদক পাচার, মানি ল্যন্ডারিং, অবৈধ অভিবাসন ও তথ্য যুদ্ধের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। জার্মানির বৈদেশিক গুপ্তচরবৃত্তিতে একমাত্র সংস্থা হওয়ায় সামরিক ও বেসামরিক উভয় ধরণের গুপ্তচরবৃত্তি করে থাকে তারা।
ফ্রান্সের প্রভাবশালী বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার নাম ডাইরেক্টরেট জেনারেল ফর এক্সটারনাল সিকিউরিটি (ডিজিএসই)। ১৯৮২ সালের ২ এপ্রিল বৈদেশিক তথ্য সংগ্রহ ও গুপ্তচরবৃত্তির জন্য এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদেশে গুপ্তচরবৃত্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় আধা সামরিক ও প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডিসিআরআইয়ের (দ্যা সেন্ট্রাল ডাইরেক্টরেট অব ইন্টেরিয়র ইন্টেলিজেন্স) পাশাপাশি এই সংস্থাটি কাজ করে থাকে। দেশের সামরিক ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বিদেশী সূত্র থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করাই তাদের প্রধান কাজ।
ভারতের প্রভাবশালী বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার নাম রিসার্চ এ্যান্ড এ্যানালাইসিস উইং (আরএডব্লিউ)। এই সংস্থাটি বর্তমান সময়ে ‘র’ হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভারতের নয়াদিল্লিতে এই সংস্থাটির সদর দফতর অবস্থিত। ব্রিটিশের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার কিছু কাল পরেই ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের মারাত্মক ঘাটতি থাকার প্রেক্ষাপটে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এ সংস্থাটির প্রধান কাজ হলো বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা, সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং গোপন অভিযান পরিচালনা করা। এ ছাড়াও ভারতীয় পররাষ্ট্র নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ দিতে বিদেশী সরকার, সংস্থা ও ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা তাদের দায়িত্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পূর্বে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক গুপ্তচরবৃত্তির কর্মকান্ড পরিচালনা করতো।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নাম অস্ট্রেলিয়ান সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এএসআইএস)। ১৯৫২ সালের ১৩ মে এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় এ সংস্থাটির সদর দফতর করা হয়। বৈদেশিক গুপ্তচরবৃত্তি, প্রতিপক্ষের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করে তার খোঁঁজ-খবর রাখা এবং অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাজে এ সংস্থাটি সহযোগিতা করে থাকে। এ সংস্থাটির মূল কাজ হলো, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা।
পাকিস্তানের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থাটির নাম হলো, ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)। এটি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা।
অতিসম্প্রতি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্বসংস্থা জাতিসংঘ তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে রাখ-ঢাক না রেখেই উল্লেখ করা হয়েছে, বেনজির হত্যাকান্ডের বিষয়টি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের জানা ছিলো। এর ফলে ঐ দেশের সেনা, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা সবাই দূরে সরে ছিল। তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেনি বা দায়িত্ব পালনের চেষ্টাও করেনি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করলে বেনজীর হত্যাক্যাণ্ড এড়ানো সম্ভব ছিল বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে। যুক্তরষ্ট্র ও বিশ্বসংস্থা জাতিসংঘ এসব কথা উচ্চারণ করলেও, আইএসআই’র সহায়ক শক্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ। বর্তমানে জঙ্গি আক্রমণে পাকিস্তান বিপর্যুস্ত। প্রতিদিনই পাকিস্তানের কোনো না কোনো স্থানে জঙ্গি হামলা বা গুলি-বিস্ফোরণে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। পাকিস্তানি বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে বশে আনার চেষ্টা পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক সরকার। এক্ষেত্রে তারা বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। পদক্ষেপ সমূহের মধ্যে রয়েছে, সংস্থাটিকে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা, সেনাবাহিনীর মধ্যে গোয়েন্দা কার্মকান্ডে তাদের মুখ্য কাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কর্মকান্ডকে জোরদার করা, আইএসআই’র ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের নেতৃত্বে পরিবর্তন করে সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ সংস্কার করা। আইএসআই সম্পর্কে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য ধারণা হলো, এই সংস্থাটি (আইএসআই) এখন পর্যন্ত জঙ্গী মদদদাতার ভূমিকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
(সংগৃহিত)
বিষয়: বিবিধ
৩৪১৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এক সময় বলা হত যেদেশে যত সালফার, সেইদেশ তত শিল্পউন্নত। আর আজ বলা হয় “যে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা যত দক্ষ, সেদেশ তত উন্নত এবং শক্তিশালী”। অনেক অনেক ধন্যবাদ বাচ্চা ছেলে।
এগুলি গোয়েন্দা সংস্থা নয় গুপ্তচর সংস্থা। গোয়েন্দাগিরি এবং গুপ্তচরগিরির মধ্যে মেীলিক পার্থক্য রয়েছে। গোয়েন্দা অপরাধ বা ঘটনার কারন সন্ধান করে। আর গুপ্তচর শত্রুপক্ষের গোপন তথ্যের সন্ধান করে কিংবা সেই তথ্য রক্ষা করতে কাজ করে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন