আওয়ামী ব্রুটালিটি 1971 পিরিওড

লিখেছেন লিখেছেন বাচ্চা ছেলে ২৭ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:১৩:২৮ দুপুর

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের পরে আওয়ামী লীগ দ্বারা সংঘটিত বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ।

চট্টগ্রাম শহর

• ২৬- ৩০ মার্চ : শহরটি আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সদস্যদের নিয়ন্ত্রনে ছিল, যারা শহরের ভিতরে অবস্থিত কলোনী ও তার আশপাশে ব্যাপক হারে লুটতরাজ, হত্যাকান্ড ও সেখানে অগ্নিসংযোগ করেছিল। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম অফিসে একটি সহ সেখানে বেশ কয়েকটি জবাইখানা স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে নারী পুরুষ ও শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে ঐসব হতভাগ্যের টুকরা টুকরা করে কাটার আগে শরীর থেকে শিরিঞ্জ দ্বারা রক্ত টেনে নেয়া হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ১০,০০০-১২,০০০)

• ২৭ শে মার্চ ওসমানিয়া গ্লাস ওয়ার্কস : কারখানার পশ্চিম পাকিস্তানী কর্মচারীদের অত্যাচার করা হয়েছিল এবং হত্যা করা হয়েছিল। (নিহত ১৭ জন)

• ১৯ শে এপ্রিল ইস্পাহানী জুট মিলস ও তার পাশ্ববর্তী এলাকা : অপহরন করা হয়েছিল। (হতাহতের সংখ্যা ১০০০)

• ২৭/২৮ এপ্রিল হাফিজ জুট মিলস : মিল এলাকায় হামলা করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছিল। মিল মালিকের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। কয়েকজন শিশু যারা পালাতে সক্ষম হয়েছিল তারা ছাড়া ভবনে অবস্থানরত বাকি সকলে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল। (বিশ্বাস করা হয় যে সেখানে নিহতের সংখ্যা ১৫০ জন)

• ২৬-৩০শে এপ্রিল কর্ণফুলী পেপার ও রেয়ন মিলস : ব্যাপক হারে লুটতারজ অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল। মহিলাদের বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল ও পরে উদ্ধা করা হয়েছিল। ঐসব নারীদের উপর নিশংস ও ধর্ষনের গল্পগুলো অবর্ণনীয় ছিল। (নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০০০)

• ২৭-৩০ শে এপ্রিল রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটিতে অবস্থানরত সকল পশ্চিম পাকিস্তানকে ধরা হয়েছিল ও তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে নিসৃংশতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ৫০০ জন)

যশোহর

• ২৯-৩০ শে মার্চ ঝুমঝুমপুর কলোনী : ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলর্সের বিদ্রোহী সদস্যরা সেখানকার গোটা বিহারী সম্প্রদায়কে হত্যা করেছিল। নারী ও শিশুদের নড়াইলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নদীপথে প্রায় ৪০০-৫০০ বিহারী মহিলাকে ভারতে অপহরন করে নিয়া হয়েছিল। মানুষের মাথার খুলি ও শরীরের অন্যান্য অংশ ঐ এলাকায় যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। (প্রায় ৩০০০ জন নিহত ও ২০০০ জন নিখোঁজ)

• ২৯/৩০ মার্চ রামনগর কলোনী : আতংকিত লোকজন ঝুমঝুমপুর কলোনী থেকে এখানে আশ্রয় নিলে রামনগর কলোনীতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল (নিহতের সংখ্যা ১৫০ জনেরও অধিক, ৪৪৮ জন পরিত্যক্ত শিবিরে আশ্রয় পেয়েছিল)

• ৩০ শে মার্চ তারাগঞ্জ কলোনী : আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও ইপিআরের বিদ্রোহী সদস্যরাও সম্পুর্ণ কলোনীতে বেপরোয়া হত্যাকান্ড চালিয়েছিল। অল্প কয়েজন প্রাণে বেছে গিয়েছিল। সেখানকার সকল বাড়ি ঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। (নিহত প্রায় ৫০০ জন, ৪০০ জন নিখোঁজ)

• ৩০শে মার্চ – ৫ই এপ্রিল মোবারকগঞ্জ : নারী পুরুষ ও শিশুদের অত্যাচার করা হয়েছিল এবং তাদের উপর হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল। তাদের বাড়ি ঘর লুটতরাজ করে পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ২০০ এর অধিক, ১০ জন হাসপাতালে ও ২৭ জন আশ্রয় শিবিরে)

• ৩০শে মার্চ - ৫ই এপ্রিল কোটচান্দপুর : নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়েছিল ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। (নিহত প্রায় ২০০ জন, ৫ জন আহত ও ৫৫ জন আশ্রয় শিবিরে যান)

• ৩০ শে মার্চ তাশফিডাঙ্গা : পূর্বেই চিহ্নিত অনেক বাড়িঘরে হামলা করেছিল বিপ্লবী কাউন্সিলের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা এবং বয়স্ক নারী অপহরন করা হয়েছিল। (নিহত প্রায় ২০০ জন, ৭২ জন আশ্রয় শিবিরে)

• ৩০ শে মার্চ – ১০ই এপ্রিল নড়াইল : এখানে পাঠানরা ছিল যারা তাদের হত্যাকান্ডের মুল নিশানা ছিল। সমগ্র নড়াইলের পাঠানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। নিহত পাঠানদের মধ্যে ছিল নারী, পুরুষ ও শিশুরা। (নিহতের সংখ্যা ৬০- ৭০ জন)

• ২৫ শে মার্চ – ৪ঠা এপ্রিল ঝিনাইদহ সাব ডিভিশন : আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা অসংখ্য বাড়িঘর লুট করেছিল ও অগ্নিসংযোগ করেচিল। এখানে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছিল। (নিহত ২৫০ জনেরও বেশি, ৫০ জন নিখোঁজ ও ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে)

খুলনা

• ২৮/২৯ শে মার্চ খুলনা শহর/ ক্রিসেন্ট জুট মিলস/ খালিশপুর ও স্টার জুট মিলস, চাদনী মহল : খুলনা আওয়ামী লীগ আধা সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। এরাই সংগঠিত হয়ে খুন ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। আওয়ামী লীগের এই প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত আধাসামরিক বাহিনী বাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানের তথাকথিত দালাল বলে অবাঙ্গালীদের উপর নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়েছিল। গিলোটিন পদ্ধতিতে হত্যা করার পূর্বে তাদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার করা হয়েছিল। নিরপরাধ নারী ও শিশুদের ঘর থেকে রাস্তায় টেনে এনে হত্যা করা হয়েছিল। নদীর পানিতে ভেসে থাকা বেঁচে যাওয়া হতভাগ্যদের পূনারায় তুলে তাদের পেট চিরে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে নদীর পানি লাল বর্ণ ধারণ করেছিল। মিলের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধি হয়েছিল, বেশ কিছু মিল কর্মকর্তা প্রচুর অর্থের বিনিময়ে প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। (নিহত প্রায় ৫০০০ জন)

• ২৮/২৯ শে মার্চ পিপলস জুট মিলস, খালিশপুর, খুলনা : ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা বয়সের বাছ বিচার না করে নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়েছিল ( নিহত ৪৬৭ জন)

• ২৮/২৯ শে মার্চ নিউ কলোনী, খালিশপুর : প্রায় দশ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী সম্পূর্ণ কলোনী ঘিরে ফেলেছিল। এরপর পুলিশের বিদ্রোহী সদস্যরাও এতে যোগ দিয়ে প্রায় ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে গুলি চালিয়ে অসংখ্য লোক হত্যা করেছিল। (নিহত ৩০০ জন)

• ৩০ শে এপ্রিল সাতক্ষীরা সাবডিভিশন, খুলনা : একজন পশ্চিম পাকিস্তানী সাবডিভিশন অফিসার (এসডিও) ধরে বন্দি করা হয়েছিল। ঐ এলাকায় ব্যাপক লুটতরাজ অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকান্ড চালোনো হয়েছিল। (নিহত ১০০০ জন)

কুষ্টিয়া

• ২৯শে মার্চ – ১০ই এপ্রিল কুষ্টিয়া শহর : ইপিআর এর বিদ্রোহী সদস্য, উগ্র আওয়ামী লীগ সমর্থক ও স্থানীয় দুর্বত্তরা বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর উপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করেছিল। এই সন্তাসী কর্মকান্ড তের দিন স্থায়ী হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ১০০০-১৫০০ জন)

• ২৬ শে মার্চ – ১লা এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া : বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্তানীদের ঘেরাও করে হত্যা করা হয়েছিল। মহিলাদের উপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছিল। একজন পশ্চিম পাকিস্তানী সাবডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) কে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল ও তার গর্ভবতী স্ত্রী বেদম প্রহার করা হয়েছিল। (নিহত ৫০০ জন, নিখোজ ১০০ জন)

• ২৩শে এপ্রিল জকির কান্দি, কুষ্টিয়া : বিদ্রোহী ইপিআর সদস্য ও স্থানীয় উগ্রপন্থীরা কলোনীতে হামলা করেছিল। কলোনীতে ব্যাপকহারে লুটতরাজ চালানোর পর অগ্নি সংযোগ করা হয়েছিল। সেখানে কেহই জীবিত ছিল না। মহিলাদের ধর্ষন করা হয়েছিল ও পরে সকলকে হত্যা করা হয়েছিল। মহিলাদের স্তন ছিল কাটা ও পেট চিরা অবস্থায় মৃত দেহগুলি পাওয়া গিয়াছিল। (নিহত প্রায় ৫০০ জন)

• ৩০ শে মার্চ- ১৩ই এপ্রিল মেহেরপুর, কুষ্টিয়া : দপ্তাহ ধরে মেহেরপুরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে হত্যাকান্ড অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষন চলেছিল, নিহত ৪০০-৬০০ জন, নিখোজ ২০০ জন এবং ১০ জন হাসপাতালে)

বগুড়া

• ২৬শে মার্চ- ২৩ শে এপ্রিল বগুড়া শহর : আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবকরা জেল ভেঙ্গে দুস্কৃতিকারীদের মুক্ত করে তাদের দ্বারা আতঙ্কসৃষ্টি ও লুটতরাজ ও ধ্বংসযজ্ঞের ন্যায় কর্মকান্ড করার সুযোগ করে দিয়েছিল। ৭০০০ নারী, পুরুষ ও শিশুদের গাদাগাদি করে জেলের ভিতরে নিয়ে সেখানে ডিনামাইট দ্বারা বিষ্ফোরন ঘটনার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে সেনাবাহিনী পৌছে তাদের উদ্ধার করেছিল, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ব্যাপক হত্যাকান্ড, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের কথা জানা সম্ভব হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ২০০০ জন)

• ২৬শে মার্চ- ২২শে এপ্রিল নওগা/শান্তাহার : বিহারীদের চলাফেরারর রাস্তা আওয়ামী লীগের দুস্কৃতিরা বন্ধ করে দিয়েছিল। ব্যাংক লুট করা হয়েছিল। যুবতী নারীদের ধর্ষণ করার পর তাদের গুলি করে হত্যা করার পূর্বে উলঙ্গ করে প্যারেজ করানো হয়েছিল। সারা শহরে মৃতদেহ যত্রতত্র পড়েছিল, অনেককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। কাউকে কাউকে গুলি করে মারার পূর্বে তাদের হাত পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেখানকার বেঁচে যাওয়ারা জানিয়েছিল যে, মা’দের তাদের সন্তানদের রক্ত পান করানো হয়েছিল। শহরের বিহারী জনসংখ্যার প্রায় সম্পুর্ণই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। (নিহত ১৫,০০০ জন)

• আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের উগ্রপন্থীরা দুসপ্তাহ ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছিল সেনাবাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রন না নেয়া অবধি। (নিহত প্রায় ২০০ জন)

• ২৩শে মার্চ – ১০ই এপ্রিল সিরাজগঞ্জ : দুষ্কৃতিকারীরা ৩৫০ জন নারী, পুরুষ ও বাচ্চাদের একটি বিল্ডিং এ আটকিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেখানে আটকে থাকা প্রায় সকলেই নিহত হয়েছিল।

• ১০ই এপ্রিল পাকসি : রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দাদের শান্তি কমিটি গঠনের অজুহাতে একত্রে ডেকে নিয়ে স্থানীয় হাইস্কুলে একত্রিত করে বিল্ডিংয়ে অগ্নিসংযোগ করে সকলকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। (নিহত প্রায় ১০০০ জন)

রংপুর

• ২৩- ৩১শে মার্চ সৈয়দপুর : শত শত ঘরবাড়ি তাদের বাসিন্দাসহ আগুন দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। (নিহত সংখ্যা ১০০০ জন)

• ২৩ শে মার্চ- ১লা এপ্রিল নীলফামারী : এখানে অবস্থানরত অবাঙ্গালীদের অর্ধেকেরও বেশি পৈশাসিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। (নিহত প্রায় ২৭০০ জন)

দিনাজপুর

• ২৮শে মার্চ- ১ লা এপ্রিল দিনাজপুর টাউন : ইপিআর বিদ্রোহের সাথেই নৃশংসতা আরম্ভ হয়েছিল এবং এর পরই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। নারী, পুরুষ ও বাচ্চাদের জবাই করা হয়েছিল, হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন বৃদ্ধা ও শিশু রেহাই পেয়েছিল। অনেক মৃতের মাথা গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ৪০০ যুবতীকে হিন্দুস্থানে অপহরন করে নেয়া হয়েছিল। (নিহত প্রায় ৪০০০ জন)

• ২৮শে মার্চ-২৩শে এপ্রিল ঠাকুরগাও : ইপিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করেছিল এবং বিহারী জনসংখ্যার অধিকাংশই নিশ্চিহ্ন হয়েছিল। মহিলারা ব্যাপকভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ও গর্ভবতী মহিলাদের বেয়নেট দিয়ে পেট চিরে বাচ্চা বাহির করে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। অনেককে উলঙ্গ করে রাস্তায় হাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। (নিহত প্রায় ৩০০০ জন)

• পাবর্তীপুর, পঞ্চড়র, চরকাই (বর্তমান বিরামপুর), ফুলবাড়ী ও হিলি : আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক ও বিদ্রোহী ইপিআরদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল রেলওয়ে কলোনীগুলো। তারা গ্রেনেড, হালকা মেশিনগান ও ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কলোনীর বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করেছিল এবং তারপর ধর্ষন ও নির্বিচারে হত্যা করেছিল। (বেঁচে যাওয়াদের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায় যে সেখানে ৫০০০ এর অধিক নিহত হয়েছিল)

রাজশাহী

• ২৮শে মার্চ – ১৬ই এপ্রিল : পুলিশ ও ইপিআর বাহিনী বিদ্রোহ করেছিল। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা সেখানে তাদের সাথে যোগ দিয়ে বেপরোয়া খুনাখারাবী শুরু করেছিল। সেনাবাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রন নিয়েছিল ১৬ই এপ্রিল ১৯৭১। নাটোর ও সারদা থেকেও হত্যাকান্ডের সংবাদ পাওয়া গিয়েছিল। (নিহত প্রায় ২০০০ জন)

• ২৭শে মার্চ- ১৮ই এপ্রিল চাপাইনবাবগঞ্জ : বিদ্রোহী ইপিআর সদস্যরা ভারতীয় অনু্প্রবেশের সহায়তায় নবাবগঞ্জ জেলখানা ভেঙ্গে কয়েদীদের মুক্ত করে তাদের সহায়তায় অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করেছিল। একজন কেরানীকে বাংলাদেশ স্বীকার না করার ন্য কোমর অবধি মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছিল। তাকে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে ছিল এবং পরে হত্যা করা হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ১০০০ জন প্রায়)

কুমিল্লা

• মার্চ- ১৪ই এপ্রিল ব্রাহ্মনবাড়িয়া ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল বিদ্রোহী ইপিআর এর কোম্পানী কমান্ডারের নির্দেশে অটোমেটিক রাইফেল দ্বারা বিহারী নারী, পুরুষ ও শিশুদের ধরে হত্যা করার পূর্বে জেলে পুরে রাখা হয়েছিল। ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় বিহারী নারী, পুরুষ ও শিশুদের ধরে ধরে জেলে আটক রাখা হয়েছিল। (নিহত প্রায় ৫০০০)

ময়মনসিংহ

• ২৭ মার্চ ময়মনসিংহ সেনানিবাস : বিদ্রোহী ইবিআর ও ইপিআর সদস্যরা আবাসিক ভবন ও ব্যারাকে তাদের পশ্চিম পাকিস্তানী সহকর্মী কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যদেন বিশ্রামরত অবস্থায় হত্যা করেছিল।

• ১৬/১৭ই এপ্রিল ময়মনসিংহ শহর : অবসরপ্রাপ্ত ইপিআর সদস্যরা মেশিনগানের সাহায্যে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে হামলা করে সেখানে আশ্রয়গ্রহনকারী ১৭ জন অস্থানীয়কে হত্যা করেছিল।

• ১৭-২০ই এপ্রিল শারথী পাড়া ও অন্যান্য কলোনী : উগ্র জনতা রাইফেল, তলোয়ার, ছোরা, লাঠি নিয়ে আক্রমন করে শংখীপাড়া ও ময়মনসিংহ শহরের আশেপাশের নয়টি কলোনীর অধিকাংশ পুরুষ মানুষকে হত্যা করেছিল। প্রায় ৫০০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। মহিলারা মসজিদ ও স্কুল বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী ময়মনসিংহ শহরে ২১শে এপ্রিল ১৯৭১ পৌছে তাদের উদ্ধার করেছিল।

(তথ্যসুত্র : ১৯৭১ সালের ৫ই আগষ্ট পাকিস্তান সরকারের শ্বেত পত্রের ৬৪-৬৯ পৃষ্ঠায় ছাপানো হয়েছে এবং ইস্ট পাকিস্তান ট্রাজেডি- এল ব্রাশবুক উইলিয়ামস, অধ্যাপক, সাংবাদিক

ডাউনলোড লিংক

বিষয়: বিবিধ

১৬৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File