সচিন মেসিরা যদি ইসলাম গ্রহন করতো !!

লিখেছেন লিখেছেন বাচ্চা ছেলে ২১ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:৫৭:৪৮ দুপুর

একজন ইসলাম প্রিয় মানুষের সাথে কথপকথন –

: সচিন মেসি যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতো এবং বুঝতো তাহলে ইসলামের প্রসার অনেক ঘটতো।

:তাই নাকি?

: বিশ্বে সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান ধর্মটি হচ্ছে মুহম্মদ (সা) প্রচারিত ইসলাম ধর্ম।

: হুম

: কিন্তু যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করছে তারাই অভিযোগ করছে যদি তারা মুসলিমদের এহেন অবস্থায় দেখতো ইসলাম গ্রহনের পূর্বে তাহলে সম্ভবত তা গ্রহন করতে চাইতো কিনা সন্দেহ। তারা পড়ে জেনে বুঝে তারপর ইসলাম গ্রহন করেছে। আর আমাদের মত মুসলিমরা সব গোয়ার।

একজন ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া মানুষের কথা বলছি। শ্রী দুর্গাপ্রসাদ দেশমুখ (ভারত) পরবর্তীতে মুসলিম নাম নেন দাউদ খান। আগ্রার জনপ্রিয় হিন্দী দৈনিক ‘হিন্দু সেনানী’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ছিলেন।

তিনি বলেন, “ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পর আমাকে কি ধরনের সামাজিক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে এটা আমি বুছি। ইতিমধ্যেই চারদিক থেকে হুমকি আসতে শুরু করেছে। কয়দিন আগেও যারা সমীহ করে কথা বলত, আজ তারা যেন অপরিচিত হয়ে গেছে। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। আমার ইসলাম গ্রহন কোন আকস্মিক হুজুগের ব্যাপার নয়। অনেক পড়াশোনার পরই আমি ইসলামের ছায়াতলে এসে আশ্রয় লাভ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। ”

তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন তিনি ইসলাম গ্রহন করলেন? এ সম্পর্কে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন,

“আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান ভারতে সর্বাপেক্ষা বেশি বিপন্ন মনুষ্যত্ব। একটা ঘ্রণ্য জাত্যাভিমানের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে এদেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ দ্রুত নিশ্চিত ধ্বংসের পথে অগ্রহর হচ্ছে। এ লোকগুলি নিম্নবর্ণের হরিজন নামে পরিচিত। এরা নিজেদের হিন্দু ধর্মের অনুসারী রূপে পরিচিত করেও নিম্নতম ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত। মন্দিরে প্রবেশ করে আরাধ্য দেবতার পায়ে একটা ফুলের অর্ঘ্য নিবেদন করার অধিকার থেকেও এরা বঞ্চিত। ফলে সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও এরা এমন এক পর্যায়ে অবস্থান করছে যে, অনেক ক্ষেত্রে জীবনকে সুন্দরভাবে উপলব্ধী করার সুযোগ থেকেও এরা বঞ্চিত।

আমি সচেতনভাবেই বিশ্বাস করি যে, এ অগনিত অসহায় জনগোষ্টীকে একমাত্র ইসলামই মুক্তি দিতে পারে। আমি লক্ষ্য করেছি, হরিজনদের মধ্যে যারা খ্রিষ্টধর্ম গ্রহন করেছিল, এক-দুই পুরুষ অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও ওদের সেই অচ্ছুৎ পরিচয় দূর হয়নি। মানসিক দিক দিয়েও ওরা খুব একটা উন্নত হতে পারেনি। বরং একটা হীনমন্যতা বোধে তাড়িত হয়েই ওরা এখনও অনেকটা অপাংক্তেয় জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

অপরদিকে ইসলামী সমাজ যে কোন জনগোষ্টি থেকে আগত তাদের একজন মুসলমান ভাইকে সমমর্জাদায় বুকে জড়িয়ে ধরতে দ্বিধা করে না। ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পূর্ব পরিচয় যেন বিলুপ্ত হয়ে যায়। যদি কারও মনে সংশয় থাকে, তবে মিনাক্ষীপুরম গিয়ে দেখে আসতে পারেন। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে সেখানে যারা ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিলেন, আজ তাদের দেখলে, তাদের আচার প্রত্যক্ষ করলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে, এ লোকগুলিই মাত্র ৫/৬ বছর আগে জীবনে অচ্ছুৎ রূপে গ্রহন হত।”

তিনি আবেগ জড়িত কন্ঠে বলেন, “বিশ্বাস করুন, আমি দীর্ঘ চিন্তা-ভাবনা এবং সবকিছু দেখা-শোনার পরই ইসলামে দীক্ষিত হয়েছি। কালেমা পাঠ করার পর থেকেই আমি মনে যে নতুন বল এবং উত্তাপ অনুভব করছি, সেটা প্রকাশ করাই হবে আমার প্রধান কাজ। আমি আমার মত লক্ষ লক্ষ মানসিক দ্বিধাগ্রস্থ বুদ্ধিজীবীর কাছে ইসলামের দাওয়াত তুলে ধরতে চাই।

বর্তমান ভারতীয় মুসলিম সমাজের সর্বাপেক্ষা বড় সমস্যা হচ্ছে শক্তিশালী তথ্য মাধ্যমের অভাব। আমি এ ময়দানের একজন কর্মী। তাই আমার অভিজ্ঞতা আপাতত মুসলমানদের এ প্রয়োজনটুকু মিটানোর ক্ষেত্রেই নিয়োজিত করতে চাই। ইতিমধ্যেই আমার মনে এ বিশ্বাস দৃঢ়মূল হয়েছে যে, মহান আল্লাহ তাঁর দ্বীনের জন্য কিছু কাজ করার তওফীক আমাকে অবশ্যই দিবেন।”

বিষয়: বিবিধ

৭২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File