শিখার শেষ চিঠি

লিখেছেন লিখেছেন বাচ্চা ছেলে ০৭ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:০৯:২২ দুপুর

‘মনোজ এখন আমাকে এড়িয়ে চলছে। মাত্র দু মাস আগে আমাদের পরিচয় এবং প্রেম। আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসতাম। ওর জন্য আমি সবকিছু ত্যাগ করেছি। মনোজ আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আর এখন বলছে এসবই নাকি সে মজা করার জন্য করেছে। সে কীভাবে আমার সঙ্গে এমন করতে পারলো! আমি একেবারে নি:স্ব হয়ে গেছি। আমার আর বাঁচতে ইচ্ছে করছে না।’

নবম শ্রেণীর ছাত্রী শিখা এভাবেই মৃত্যুর পূর্বে সুইসাইট নোট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। চৌদ্দ বছরের এই কিশোরী শিখাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠায় এম মনোজ কুমার নামের এক ছেলে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ফেসবুকে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। শিখার নিজের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ক্যাফেতে মনোজের সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যেতে থাকে। প্রেমের এক পর্যায়ে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। নিজের ফ্লাটে শিখাকে আমন্ত্রণ জানায় মনোজ। মনোজের সঙ্গে দেখা করতে গেলে জোরপূর্বক শিখার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সে। শিখা মনোজকে বিয়ে করবে বললে মনোজ তা শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। সে বলে,‘ আরে, আমি তো স্রেফ মজা করেছি।’ সে শিখাকে সবকিছু ভুলে যেতে বেলে। মনোজের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে সে।

শিখার মধ্যে হতাশা কাজ করছিল তা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার মত সিদ্ধান্ত সে নিয়েছিল যদিও তার দুনিয়ায় আরো অনেক দিন স্বাভাবিকভাবে বাঁচার অধিকার ছিল। সমাজে এহেন দৃশ্য এখন হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু এর সমাধানকল্পে আমরা অভিভাবকরা কতটুকু সচেতন বা কর্তব্যবোধ পালন করছি। মনোজরা কেন এতটা দু:শাসহ পায় অট্টহাসি দেয়। এইসব মনোজদের শিখার মৃত্যুই কাম্য। যা দেখে আরো দশটা মনোজ ভয় পেয়ে যায়।

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File