আওয়ামী লীগ সবাইকেই ব্যবহার করে এরপর ছুড়ে ফেলে দেয় !
লিখেছেন লিখেছেন বাচ্চা ছেলে ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৩৫:০৩ রাত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অন্যতম প্রবীন একটি রাজনৈতিক দল। এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার মূল কৃতিত্ব এই দলের। স্বাধীকার আন্দোলন থেকে শুরু করে সশস্ত্র সংগ্রাম- প্রতিটি পর্যায়ে এই দল বা এই দলের বিপুল সংখ্যক জনশক্তির সক্রিয় অংশগ্রহন ছিল। দেশ স্বাধীনের পর জনগনের ভাত ও ভোটের অধীকার রক্ষার সংগ্রামেও এই দলের ভুমিকা তাৎপর্যপূর্ন। কিন্তু ইতিহাসে আওয়ামী লীগের একটা ভিন্ন মূল্যায়নও আছে।
আওয়ামী লীগ তার সব আন্দোলনের ক্ষেত্রে শত্রু-মিত্র বাছাই বা সেই সব আন্দোলনের কৌশল নির্ধারন করেছে নিজেদের সুবিধামতই। এখানে তার কোন ছিল না কোন নীতিবোধ, ছিলনা কোন আদর্শিক দায়বদ্ধতা। তৎকালীন পাকিস্তান সৃষ্টির পর, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেন ম্যানসনে পূর্ব পাকিস্তানের নিপীড়িত অধিবাসীরা ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ’ ভেঙ্গে গড়ে তোলেন ‘অল পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ’। দলের প্রথম সভাপতি নিযুক্ত হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন জনাব শামসুল হক। ভাসানী ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ৮ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয় । সেই কাউন্সিল অধিবেশনেও সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানী । ভাসানী ১৯৫৭ সালের ১৮ই মার্চ আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন । অন্যদিকে, জনাব শামসুল হক পূর্ব পাকিস্তানের সরকার বিরোধী রাজনীতিতে তিনি ছিলেন প্রথম সারির নেতা। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৫৩ সালে কারামুক্তির পর ঘরোয়া ষড়যন্ত্রের পরিণতিতে আওয়ামী লীগ তাঁকে বহিষ্কার করে ; যার ফলশ্রুতিতে তিনি চিরকালের জন্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এই বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতার নাম ক্রমশ: বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার, তাঁর মস্তিস্ক বিকৃতি, নিখৌঁজ হওয়া এবং অকাল মৃত্যুর রহস্য অধ্যাবধি উন্মোচিত হয় নি। একজন রাজনীতবিদ যাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বিভাগ-পূর্ব ভারতবর্ষে এবং যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তার পরিনতি হলো খুবই দু:খজনক। অর্থাৎ প্রথম কমিটির কারোরই কোন স্থান আওয়ামী লীগে হয়নি। বরং নির্মমভাবে তাদের সড়ে যেতে হয়েছে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, পূর্ব-পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত উন্নাসিক দৃষ্টিভঙ্গী, বিভিন্ন ন্যায্য দাবী দাওয়া পূরনে অস্বীকৃতি এবং ভাষার ক্ষেত্রে মুসলিম লীগ সরকারের নীতির বিরোধিতায় মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ, শেখ মুজিবুর রহমান নিযুক্ত হন সহ সাধারণ সম্পাদক (মতান্তরে যুগ্ম সম্পাদক) হিসাবে। একই সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানেও পীর মানকি শরীফ এর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই দুই দল একীভূত হয়ে পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এর আহবায়ক নিযুক্ত হন । সোহরাওয়ার্দী উর্দুভাষী ছিলেন এবং তিনি মারা যান কোন এক রহস্যময় কারনে ১৯৬৩ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উর্দু নামধারী এই দলটি তার নাম, নীতি ও নেতৃত্ব পরিবর্তন করেছে তার সুবিধামতই, জনগনকে ধোঁকা দেয়ার জন্য।
পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুদের দলে ভেড়ানোর জন্য ‘সেক্যুলার’ বা ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৯৫৩ সালে এক কাউন্সিল সভায় ‘অল পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ’ থেকে অপ্রাসঙ্গিক মনে করে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। ফলে নতুন নাম ‘অল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা লাভের পর সঙ্গত কারণেই এই রাজনৈতিক দলের নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’।
দলটির নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তিন ভাষার তিনটি শব্দের মিশ্রণ। ‘বাংলাদেশ’ নিখাদ একটি বাংলা শব্দ, ‘আওয়ামী’ হচ্ছে উর্দু শব্দ (যার অর্থ জনগণ বা জনতা। মূল শব্দ আওয়াম, অর্থাৎ জাতি) এবং ‘লীগ’ হচ্ছে ইংরেজি শব্দ (যার অর্থ মৈত্রী বা দল)। কথায় আছে, স্বামীর নাম মুখে আনলেও ভাসুরের নাম উচ্চারণ করা রীতিমতো অশোভনীয়, এমনকি বেয়াদবি। অথচ ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলাকে কবর দিয়ে যারা আমাদের উপর জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের মাতৃভাষার শব্দ ‘আওয়ামী’ আজও আমরা আমাদের প্রধান এবং অন্যতম রাজনৈতিক দলের নাম থেকে মুছে ফেলতে পারিনি ।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও দলীয় কাঠামোতে গুনগত পরিবর্তন আসে। খন্দকার মুশতাকের নেতৃত্বে যে আওয়ামী লীগের নেতারা পরবর্তীতে সরকার গঠন করেন, তাদের ব্যপারেও বর্তমান আওয়ামী নেতৃবৃন্দের খুবই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারা অনেকেই মুশতাককে পাকিস্তানপন্থী বলেন এবং ৭৫ এর পট পরিবর্তনের জন্য তাকে দায়ী করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পাকিস্তানপন্থী এই নেতাকে বঙ্গবন্ধু কেন ১৯৭১ সালের পর থেকে ৭৫ পর্যন্ত দলে রাখলেন, সরকারে গুরুত্বপূর্ন পদ দিলেন এই ব্যপারটি কেউ ঘাটেনা। আসলে, প্রকৃত ব্যপার হলো, খন্দকার মুশতাকের কর্মকান্ডকে পরবর্তী নেতৃত্ব মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিজেদের অবস্থান ও স্বার্থের কারনে উল্টো তাকে গালি দিতেও কার্পন্য করেনি। শুধু মুশতাক নয়, আওয়ামী লীগ একই সাথে আব্দুল মান্নান, আব্দুল মমিন, দেওয়ান ফরিদ গাজী, আতাউর রহমান খানের মত প্রবীন নেতৃবৃন্দকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে। আবার রহস্যময় কারনে মেনে নিয়ে দলে গুরুত্বপূর্ন পদ দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার সময়কার সেনা প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহকে, যার অধীনস্থ অনেক সেনারাই ঐ অভ্যুত্থানে অংশ নেয়। একইভাবে মেনে নেয়া হয়েছে বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান একে খন্দকারকে যিনি বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী। আর সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো, মুশতাক সরকারকে শপথ পড়ান যে ক্যাবিনেট সচিব, এইচ.টি. ইমাম তিনি এখন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। শুধু তাই নয়, এই ইমাম সাহেবই গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল ম্যাকানিজম নির্ধারনে ভুমিকা রাখেন। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর সাহস করে যেই ব্যক্তি প্রথম সেই নির্মম ঘটনার প্রতিবাদ করেন সেই বাঘা সিদ্দিকী তথা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, তারও জায়গা হলো না আওয়ামী লীগে। তিনি এখন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করেন। গলায় গামছা পেচিয়ে টিভি টকশোতে এবং পত্রিকার কলামে এখনও নিরন্তর প্রশংসা করে যান বঙ্গবন্ধুর।
বিগত ওয়ান এলিভেনের পর সংস্কারপন্থী-হাসিনাপন্থী- এই দুই গ্রুপে ভাগ হয় আওয়ামী লীগ। সাবজেল থেকে মুক্ত হয়ে হাসিনা সবাইকেই দলে টানলেন কিন্তু তথাকথিত সংস্কারপন্থীদের কাউকেই মন্ত্রীসভায় বা দলের কাউন্সেলে ঠাই দিলেননা। পরীক্ষিত এই নেতাদের তালিকায় আছেন, আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও আব্দুল জলিল। এরমধ্যে জলিল হলেন সেই ব্যক্তি যিনি মান্নান ভুইয়ার সাথে সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন এবং দলীয় নির্দেশনায় ৩০ এপ্রিলের ট্রামকার্ড ঘোষনা দিয়ে ব্যপক আলোচিতও হয়েছিলেন। অথচ এই মানুষটি কত অসহায় এখন আওয়ামী লীগে। দোষ তার একটিই আর তা হলো লন্ডনে এক টিভিতে তিনি সাক্ষাতকারে বলে ফেলেছিলেন যে, বর্তমান মন্ত্রীসভার অনেকেই ডিজিএফআই থেকে নিয়মিত ভাতা পান।
আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনের আগে খেলাফত মজলিশের সাথে একটি চুক্তি করে। সেখানে তারা ইসলাম বিরোধী আইন না করারও প্রতিশ্রুতি দেয়। আবার তীব্র সমালোচনার মুখে সেই প্রক্রিয়া থেকে সরেও আসে দলটি। অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এহেন সাম্প্রদায়িক আচরন প্রত্যাশিত নয়। এতে বোঝা যায়, ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক যে চেতনার কথা আওয়ামী লীগ বলে অসংখ্য মুক্ত চিন্তার মানুষকে আকর্ষন করে- এই চিন্তাটিও আওয়ামী লীগের সাদামাটা ভাবনা- দৃঢ় কোন বিশ্বাস নয়।
আওয়ামী লীগ আজ যত জামায়াত বিরোধী কথা বলছে, তার কোনটিই তারা ১৯৯৬ সালের আগে জামায়াতকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করার সময় বলেনি। শুধু তাই নয়, মাগুরা উপ-নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও করে। আজ বিএনপিও একই বিষয়ে আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি- এই দুই দলকে কেউ যদি প্রশ্ন করতো- কে এই কেয়ারটেকার কনসেপ্টের প্রবক্তা? তাহলেই এই দুই দলের সুবিধাবাদী রাজনীতির অনেকটাই জনগনের সামনে প্রমান হয়ে যেত। কেননা, এই কেয়ারটেকার কনসেপ্টের প্রবক্তা হলেন জামায়াতের সাবেক আমীর এবং বর্তমান যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত গোলাম আজম।
এবার আসা যাক যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসংগে। এই বিচারের ব্যপারে বুদ্ধিমান ও রাজনৈতিক বোদ্ধাদের ব্যপারে বরাবরই শংকা ছিল। সকলের মতেই এই বিচারটি রাজনৈতিক। বেশীরভাগেরই ধারনা ছিল এবং অনেকেই এখনও বিশ্বাস করেন যে, এই বিচারের ব্যপারে আওয়ামী লীগ কখনোই আন্তরিক ছিলো না। তাদের ধারনা যে, শেষমেষ জামায়াতের সাথে সমঝোতায় যাবে আওয়ামী লীগ। যারা এইটা মানতেন না, তারা নিশ্চয়ই আব্দুল কাদের মোল্লার রায় দেখে এখন মানবেন। সামনে যে এই ধরনের রায়েরও পুনরাবৃত্তি হবেনা, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
এবার আসা যাক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রসংগে। ইতোমধ্যে এই ট্রাইবুনাল যথেষ্ট বিতর্কিত হয়েছে। এই ট্রাইবুনালের অধিকাংশ প্রসিকিউটর দলীয় মানসিকতার। বিচারকদের বিরুদ্ধেও ডিফেন্সের অভিযোগ আছে যে, তারা এর আগে ঘাদানিক বা গনতদন্ত কমিশনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলেন। এই বিচারে দলীয় চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে এই কথাগুলোও ডিফেন্স বরাবরই বলে আসছে। এই কথা পাত্তা দেয়া হয়নি আগে কেননা কথাগুলো জামাতিরা বলছে। কিন্তু এই ব্যপারগুলোর যে সত্যতা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে স্কাইপে বিতর্ক উন্মোচন হওয়ার পর তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। বাইরে থেকে জিয়াউদ্দিন সাহেব যে বিভিন্ন বিষয় তৈরী করে পাঠাতেন এবং অভিযুক্তদের ব্যপারে যে ট্রাইবুনাল বিচারকদের রিজার্ভেশন আছে, তাও বোঝা গেছে সেই সংলাপ থেকে। এটা খুব একটা দোষনীয় বা অপ্রত্যাশিত নয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষেরা যে এ ধরনের মানসিকতা লালন করবেন, এটাও অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু আমার কথা অন্য জায়গায়। এখানেও আমি আওয়ামী লীগের দোষ দেব সর্বাগ্রে। প্রথম কথা হলো, সরকারে থেকে তারা ইচ্ছে করলে কিছুটা কম বিতর্কিত লোক নিয়ে এই ট্রাইবুনাল তৈরী করতে পারতো। দ্বিতীয়ত, বিচারপতি নাসিম ক্ষতিকারক যত কথাই বলুক, একটা জিনিষ খুব স্পষ্টত বোঝা যায় স্কাইপে কথাবার্তা থেকে। তা হলো তিনি এই বিচারের ব্যপারে খুবই আন্তরিক ছিলেন। তাই এই ট্রাইবুনালকে বিতর্ক মুক্ত রাখতে তিনি স্বেচ্ছায় গুটিয়েও নিয়েছিলেন নিজেকে। অথচ এই স্কাইপে সংলাপ থেকেই আমরা জানলাম, আওয়ামী লীগ কখনোই তাকে বিশ্বাস করতো না। মন্ত্রীদের অযাচিত চাপ সহ্য করারও দাবী করেছেন বিচারপতি নাসিম। অথচ আওয়ামী লীগ বিচারপতি নাসিমের পিছনের সব অবদানের কথা ভুলে গিয়ে তাকে সরিয়ে দিতেও এক মুহুর্ত দেরী করেনি।
পরিশেষে আমি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রত্যাশী মানুষকে এই কথাই শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ এই ট্রাইবুনালের ক্ষেত্রেও তাদের পুরনো সুবিধাবাদী নীতিরই প্রয়োগ করেছে। আওয়ামী লীগ দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক শামসুল হকের ক্ষেত্রে ছুড়ে ফেলে দেয়ার যে ট্রেডিশন শুরু করে, তা বিচারপতি নাসিম পর্যন্ত তারা অব্যহত রেখেছে। আর মুক্তচিন্তার মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক নীতির যে চর্চা আওয়ামী লীগ শুরু করে, এই ট্রাইবুনালও সেই একই কৌশলেরই ধারাবাহিকতা। সাধু সাবধান!! সময় মত আবার ভোল পাল্টাবে আওয়ামী লীগ।
বিষয়: বিবিধ
১২৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন