এ কে খন্দকারের ১৯৭১ ঘরে বাইরে

লিখেছেন লিখেছেন ফারুক ফেরদৌস ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৯:০৫ বিকাল

এ কে খন্দকারের ১৯৭১ ভেতরে বাইরে বইটির কিছু অংশ পেলাম। ২২ পৃষ্ঠা। বইটি ২২ পৃষ্ঠা তো হওয়ার কথা না। অনলাইনে অনেক খুঁজেও এর বেশি কিছু পেলাম না। ২২ পৃষ্ঠাই এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মূল্যবান দলিল হয়ে থাকবে বইটি -সন্দেহ নেই। যতটুকু পড়েছি- আমার পূর্ব অধ্যয়নের আলোকে মনে হয়েছে, একাত্তরের প্রকৃত চিত্রই এ কে খন্দকার অকপটভাবে বর্ণনা করেছেন । তবে পাকিস্তান অটুট রাখার প্রচেষ্টার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর ক্ষোভের সাথে আমি একমত হতে পারিনি। একাত্তরের ইতিহাস পড়তে গিয়ে সব সময় আমার মনে হয়েছে, একাত্তরের গোলযোগের মধ্যে বঙ্গবন্ধুই সবচে’ পরিশুদ্ধ ব্যক্তি -যিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সততার সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছেন। সফল হননি প্রতিপক্ষের মোনাফেকির কারণে। ইয়াহিয়া মোনাফেকি করেছেন। ভুট্টো মোনাফেকি করেছেন। পশ্চিম পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তারা মোনাফেকি করেছেন। র-এর সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রেখে মোনাফেকি করছিলেন আওয়ামী লীগের তাজউদ্দীনের মত অনেক নেতা ও ছাত্রলীগের চার রত্নসহ বিপ্লবী অংশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যুদ্ধ ও রক্তপাত এড়াতে চেয়েছেন। ২৫ মার্চের আগে স্বাধীনতার ঘোষণা না দেয়ার জন্য এ কে খন্দকার বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ২৫ মার্চের আগ পর্যন্ত আসলে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণও যুদ্ধ চায়নি। পাকিস্তানের বিভক্তি চায়নি। আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছিলো স্বায়ত্তশাসনের কথা বলে। ২৫ মার্চের গণহত্যার পরই সাধারণ পর্যায়ে স্বাধীনতার দাবি উঠেছে । কথাটা বলেছেন আবুল মনসুর আহমদ। তার ভাষায়, ‘২৫শে মার্চের আগে বাংলাদেশের একজন মানুষও পাকিস্তানের বিভক্তি চায়নি। আর ২৫শে মার্চের পর বাংলাদেশের একজন মানুষও পাকিস্তানের সাথে থাকতে চায়নি।' (আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর)

বিষয়: রাজনীতি

১২৯৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

268273
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৩
আল্লাহর সন্তুষ্টি লিখেছেন : "" ২৫ মার্চের গণহত্যার পরই সাধারণ পর্যায়ে স্বাধীনতার দাবি উঠেছে । কথাটা বলেছেন আবুল মনসুর আহমদ। তার ভাষায়, ‘২৫শে মার্চের আগে বাংলাদেশের একজন মানুষও পাকিস্তানের বিভক্তি চায়নি। আর ২৫শে মার্চের পর বাংলাদেশের একজন মানুষও পাকিস্তানের সাথে থাকতে চায়নি।' (আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর) ""

আপনি ঠিক বলেছেন,

এজন্যই তো শেখ-মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই,

যা পরবর্তীতে মেজর-জিয়া দিয়েছিল ,
তাইতো স্বাধীনতার ঘোষক = মেজর-জিয়া

ভালো লাগলো
ধন্যবাদ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
212028
ফারুক ফেরদৌস লিখেছেন : যখন সময় হয়েছে তখনই ঘোষণা এসেছে। ঘোষক মেজর জিয়াই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পচিশে মার্চের আগে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে অপরাধ করেননি। আওয়ামী লীগাররা এই বাস্তবতাটা স্বীকার করতে চায় না।
268280
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫০
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পড়লাম। ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০১
212029
ফারুক ফেরদৌস লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
268285
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
ফারুক ফেরদৌস লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
268459
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৩
নানা ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ।
এই বইটা ২২ পৃষ্ঠাই।
আরো পড়ুন....
বিডিআর হত্যাকান্ডের সেই গোপনীয় অধ্যায়
মেজর ডালিমের আত্মকাহিনী
মতিউর রহমান রেন্টুর "আমার ফাঁসি চাই"
বাংলাদেশঃ রক্তের ঋন
১৯৭১:ভেতরে বাহিরে
তাজউদ্দীন আহম্মদ, নেতা ও পিতা
চুদুরবুদুর ব্লগ
Click this link
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:৪৫
212828
ফারুক ফেরদৌস লিখেছেন : না। বইটা প্রায় আড়াইশো পৃষ্ঠা। পরে পেয়েছি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File