লংমার্চ এবং কয়েকজন পরাশ্রয়ীর অপপ্রচার
লিখেছেন লিখেছেন ফারুক ফেরদৌস ০৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:২৭:০৭ সকাল
শাহবাগে গৃহপালিত জাগরণ এবং সেটা নিয়ে পরিকল্পিত আগ্রাসী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক জনগণ হয়রান হয়ে ভাবছিলেন, এবার কি হবে? গুটিকয়েক কলম-সন্ত্রাসী বিকৃতমন দালালের কাছে কি জিম্মি হয়ে থাকবে মুসলমানের বাংলাদেশ? কথিত মুক্তিযুদ্ধ ধোঁয়ার কাছে ইসলামের পরাক্রান্ত চেতনা কি হেরে যাবে? কোথাও আশার আলো নেই। মানুষ স্তব্ধ হয়ে আকাশের দিকে তাকাচ্ছিল বারবার। পরম করুণাময় চোখ তুলে তাকালেন। যথা সময়ে ইসলামদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষক সরকার কে সত্যিকার গণজাগরণের মুখোমুখি হতে হলো। আর অনেক কাঠ খড় পুড়িয়েও যা সম্ভব ছিলনা, তাই সম্ভব করে দিলো শাহবাগীরা। পুরো ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলো ইসলাম ও দেশদ্রোহী দালালদের সব চক্রান্ত আর অপকর্মের বিরুদ্ধে। হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ইসলামে মূল্যবোধে বিশ্বাসী, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বিশ্বাসী আপামর জন সাধারণ এখন ঐক্যবদ্ধ। হেফাজতের আন্দোলন পুরো বাংলাদেশের আন্দোলন। এই আন্দোলনের বিরোধিতা যারা করছে, ইসলামের লেবেল গায়ে লাগিয়ে যেসব পরাশ্রয়ী ব্যাবহারে জীর্ণ ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে ঐক্যবদ্ধ ইসলামী শক্তিতে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, জনগণ এদেরকে ইসলামদ্রোহীদের দালাল হিসেবে চেনে। এরা দেশ জনগণ এবং ইসলামের শত্রু।
গতকাল খবরে শুনলাম জিয়াউল হক নামে একজন ‘হাফেজ মাওলানা’ বলেছেন, ‘শয়তান ছাড়া কেউ ইসলামের হেফাজতের কথা বলতে পারে না।’ শুনে হতবাক হতে হলো। শয়তানও বোধহয় তার দালালির স্পর্ধা দেখে লজ্জা পেয়েছে। কিছুদিন আগে এই কথিত হাফেজ মাওলানাকে একটি অনুষ্ঠানে দেখার ‘সৌভাগ্য’ হয়েছিলো। ঐ অনুষ্ঠানে কোরান শরিফের আয়াত পড়ে তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, কোরানেই নাকি বলা আছে নবীর অবমাননার প্রতিবাদ করা যাবেনা। এক শ্রেণীর মিডিয়া এসব ভাড়াটেদের উদ্ভট বক্তব্য গুরুত্বসহ প্রচার করছে।
বিষয়: রাজনীতি
৯৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন