সম্মানিত শিক্ষকদের গায়ে ছাত্রলীগের এসিড নিক্ষেপ!!!!! ও পুলিশের মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ!!!!!

লিখেছেন লিখেছেন হুসাইন ১১ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৮:২৫:৪৯ সকাল

দেশে এসব কি হচ্ছে!



এতদিন দেখে এসেছি সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন দমাতে নির্যাতনের যতো রকম কলা কৌশল আছে তার সবটুকু পুলিশ ও ছাত্রলীগের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে দ্বিধা করেনি। জামায়াত শিবিরের আচমকা হামলার মুখে পুলিশের তথাকথিত পেরে না উঠার কারণে আমাদের পুলিশ মন্ত্রী ছাত্রলীগ যুবলীগের দারস্থ হলেন। সাথে সাথে আহবান জানালেন পুলিশের পাশাপাশি তাদেরকে রাজপথে নামতে। আর সেই আহবানের ধারাবাহিকতাই নিরপরাধ বিশ্বজিৎকে পৈশাচিক কায়দায় মেরে ছাত্রলীগ মন্ত্রী সাহেবকে ঠিকই বুঝিয়ে দিয়েছিল হ্যাঁ আমরা আছি রাজপথে। যাহোক পরবর্তীতে মিডিয়ার সমালোচনার ঝাঁঝ সহ্য করতে না পেরে অনেকটা নিরুপায় হয়ে সরকার কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। তার মানে এই নয় সরকারের প্রতি রুষ্ট হয়ে মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে ছাত্রলীগ রাজপথ থেকে তাদের গুরুদায়ীত্ব পালনে ইস্তফা দিয়েছে। সম্মানিত শিক্ষকদের উপর পুলিশের মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপের সাথে সাথে ছাত্রলীগের এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সে দিকটিই তুলে ধরে নি?



শিবির ঠেকাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগের অবৈধ অস্ত্রের সিনেমা স্টাইলের অ্যাকশনের ঘটনাটি সেই সময় মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় তুলেছিল। এরপর বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড। প্রথম ঘটনার টার্গেট শিবির হলেও দ্বিতীয় ঘটনার শিকার বিশ্বজিৎ কিন্তু শিবির ছিলোনা। তবে তার নিরপরাধ মুখায়বে ছাত্রলীগ সেদিন কোন্‌ আতঙ্কিত জুজুর ছায়ামূর্তি দেখেছিল যার জন্য ২০০৬ এর আটাশে অক্টবরে পিটিয়ে জামায়াত শিবির নিধনের কায়াদায় তার উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল সেটা না বললেও বুদ্ধিমান ব্যক্তি মাত্রই অনুধাবন করতে সক্ষম। না জানি এখন আন্দোলনরত শিক্ষকদের মুখায়বের দিকে তাকিয়ে সরকার ও ছাত্রলীগের উপর সেই অদৃশ্য আতঙ্কিত জুজুর প্রেত্তাত্তা আবার ভর করেছে কিনা। যার জন্য তাদের কেও এধরণের ন্যাক্কারজনক হামলার মুখমুখি হতে হয়েছে।

রাজপথে দেশের সম্মানিত শিক্ষকদের যখন এভাবে নির্যাতন ও লাঞ্চিত করা হয় তখন এসব দৃশ্য দেখে আমাদের কোমলমতি শিশুদের মনে কী ধরণের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এটা ভাবার মতো বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তি যদি সরকারের মধ্যে থাকতো তাহলে এধরণের ঘটনা ঘটার কথা নয়। এই সরকারের বেশীরভাগ মন্ত্রীদের কার্যক্রমে পর্বতসম ব্যার্থতার চিহ্ন সকলের সামনে সহজে দৃশ্যমান বস্তু হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও অন্তত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ছিলেন কিছুটা ব্যাতিক্রম। মন্ত্রনালয়ের কর্মকান্ডের পরিচালনায় তার সাফল্যের স্বীকৃতি ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে উচ্চারিত হতে শুরু হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে তার মন্ত্রনালয়ের অধীনের সাথে অনেকটা সংশ্লিষ্ট একটা ইস্যুতে শিক্ষকদের যেভাবে অপদস্থ হতে হলো তার সাথে তিনি নিজের দায়ভারকে সরিয়ে রাখতে পারেননা। ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের দ্বারা সিলেটের এমসি কলেজের ঐতিহ্যবাহী হল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মন্ত্রীসাহেব চোখের পানি ফেলে তাদের পাপ লাঘব করতে পারলেও এখন শিক্ষকদের গায়ে এসিড ছুড়ে সেই সোনার ছেলেরা আবার নতুন করে যে পাপের পুনরাবৃত্তি করলো সেটা মোচনের জন্য তিনি এবার কী ভূমিকায় থাকেন সেটিও দেশবাসী এহেন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেখার আশা পোষন করে।

সূত্রঃ

শরৎমেঘের ব্লগ থেকে

বিষয়: বিবিধ

৮৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File