সালামের প্রচলন অতি সহজ এবং উত্তম কাজ।
লিখেছেন লিখেছেন গাজী হাসান ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:১৮:৪৮ সন্ধ্যা
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত।রাসুল (স) বলেছেন,মুমিন না হওয়া পর্যন্ত তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।আর তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তোমরা মুমিন হতে পারবেনা।আমি কি তোমাদেরকে এমন কথা বলবো না যা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করবে ? তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন কর। সাহীহ মুসলীম।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা থেকে বর্নিত, এক ব্যক্তি এসে রাসুল সঃ কে জিজ্ঞেস করলেন, ইসলামের কোন আমলটি উত্তম? রাসুল সঃ বললেন, তুমি লোকদের খাবার খাওয়াবে আর পরিচিত – অপরিচিত সবাইকে সালাম দিবে। সাহীহ বুখারী।
উপরে উল্লেখিত প্রথম হাদিসটিতে আমাদের জন্য কিছু ম্যাসেজ আছে।ম্যাসেজগুলো শুরু হয়েছে শেষের দিক থেকে আর শেষ করা হয়েছে প্রথম করণীয় কাজ দ্বারা।(এখানে রাসুল সঃ এর কথা বলার একটা আর্ট লক্ষ্য করা যায়)
একজন মুমিনের শেষ গন্তব্য হতে হবে জান্নাত। তাই তিনি (রাসুল সঃ) বলছেন-
তোমরা জান্নাতে যেতে চাও? তোমাকে মু’মিন হতে হবে।
মু’মিন হতে চাও? নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করো
(নিশ্চয়ই ভালোবাসা হতে হবে আল্লাহ’র জন্য)
আর ভালোবাসা সৃষ্টি করতে চাও? সালামের ব্যপক প্রচলন ঘটাও।
২য় হাদিসটিতে “সালাম” কে বলা হয়েছে ইসলামের উত্তম কাজগুলোর একটি। অথচ কতইনা সহজ এই উত্তম কাজটি করা।
“সালাম” হচ্ছে সমগ্র বিশ্ব মুসলিমের জন্য মহান আল্লাহ’র শিখানো সম্ভাষন। “সালাম” সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা আমার উদ্দেশ্য নয়। বরং ব্লগারদের একটা উপেক্ষিত বিষয় থেকে আমার এই উপলব্ধি। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি করি তাদের অনেকেই ইসলামকে যথাসাধ্য অনুসরন করে চলার চেষ্টা করি।মূলত তাদের নিমিত্তেই এটি লিখা।
ব্লগে আমি নতুন। কিন্তু যে বিষয়টা ইতিমধ্যে আমাকে নাড়া দিলো তা হচ্ছে, আমরা যারা লিখি তারা সবাই মন্তব্য করি আবার মন্তব্যের জবাব দেই। অথচ অধিকাংশ ভাই-বোনেরা তাদের এই কথোপকথনের শুরুতে এই সম্ভাষনটুকু (আসসালামুআলাইকুম) ব্যবহার করি না।
কেন আমাদের এই কৃপনতা? এতে কি মন্তব্যের বা জবাবের কোন ছন্দপতন ঘটবে? না কি অশোভন দেখাবে?
আমি কেন পারবোনা আমার এক মুমিন ভাই/বোনের কল্যান কামনা করতে মহান রাব্বুল আলা’মীনের কাছে ! ইসলামের শিক্ষাই তো কল্যান কামনা ! ইসলাম তো শুধুই কল্যানময় ! তাহলে কেন আমরা পরস্পর কল্যান কামনা থেকে দূরে!
আমার কাছে মনে হয় আমরা এঁকে অপরের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা যে ভালোবাসা হবে শুধুমাত্র আল্লাহ’র জন্য সেই ভালোবাসা সৃষ্টিতে ব্যর্থ। আমাদের কথোপকথন,লিখা,ভালোবাসা, মুমিনের শর্ত পর্যন্ত পৌছাতে পারেনা।তাই সালামের ব্যপক প[রচলন টা করতে কিংবা দেখতে অস্বাভাবিক লাগে।
আমি যদি আমার ভাই/বোনটির জন্য আল্লাহ’র দরবারে শান্তি কামনা করি,নিরাপত্তা কামনা করি তাহলে তাঁর দ্বারাও আমি আল্লাহ্ রব্বুল আলা’মীনের কাছে তেমন শান্তি,নিরাপত্তার প্রার্থী হতে পারবো।ফলে ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।হিংসা,পরশ্রীকাতরতা,বিদ্বেষ কমবে।
(তবে ভালোবাসাটা নিশ্চয়ই হতে হবে একমাত্র আল্লাহ’র জন্য,লোক দেখানোর জন্য নয়।)
মহান আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ইসলামের একটি উত্তম কাজ,ভালোবাসা বৃদ্ধির কাজ,মু’মিন হওয়ার কাজ তথা জান্নাতে যাওয়ার একটি কাজ সর্বদা চালিয়ে যাওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন