কেন কুরআন তিলাওয়াতকে রিংটোন দিবোনা
লিখেছেন লিখেছেন গাজী হাসান ২৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৬:২৩:৪৩ সকাল
আজকে এক ব্লগা'র ভাই সাজিদ একটি পোষ্ট দিয়েছেন (পবিত্র কোরান পাঠকে রিংটোন হিসাবে ব্যবহার না করার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি)।
সেই পোষ্টের মন্তব্যে অনেকই মন্তব্য করেছে বিভিন্ন ধরনের। আসলে আমি কোন ফতোয়া দিতে চাইনা কেননা ফতোয়ার যোগ্যতা অনেক দুরের ব্যপার।তবে কিছু কথা সংক্ষেপে তুলে ধরতে চাই এতে যদি কেউ উপকৃত হন।
পৃথিবীর তাবত ভাষায় স্থান অনুযায়ী (জ্যোতি চিহ্ন) থামা নাথামার একটা ব্যাপার আছে।যদি বাক্যের থামার জায়গায় যাওয়ার আগেই থেমে যাওয়া হয় তাহলে অর্থ ভিন্ন হয়ে যায়।আমরা যখন মোবাইলে রিং হয় তখন কিন্তু এই বিষয়টা খেয়াল করা সম্ভব হয়না।অন্য ভাষায় অর্থ একটু আধটু উল্টো হলেও তেমন ক্ষতি হবে না।কিন্তু আরবী তথা কুরআনের ক্ষেত্রে অবশ্যই গর্হিত হবে।কখনো কখনো ঈমান বিরোধী,আকীদা বিরোধী অর্থও হয়ে যেতে পারে।আমরা যারা আরবী জানি না তাদের ব্যপারে তো কথাই নাই আর যারা জানি তাদের পক্ষেও বাক্য শেষ করে ফোন রিসিভ করবেন এতটা সচতেন কিংবা সাবধানতা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। আমরা কয়েকটা উদাহরন দেখলে আশাকরি আরো স্পষ্ট হবে বিষয়টা।যেমন,
বাংলায়- আপনি যদি বলেন,এখানে থুথু ফেলবেন আর এ সময়ে সাউন্ড বন্ধ হলো (অর্থাত ফোন রিসিভ করলেন)তাহলে অর্থ কি দাড়াবে।অথচ থুথু ফেলবেন (না) পর্যন্ত বলা উচিৎ ছিলো।এমন অনেক উদাহরন আপনারা নিজেরাই খুজে বের করতে পারবেন।
স্প্যানিশে যদি বলি,(তে দিগ সাল) আর সাউন্ড থেমে গেলো।অর্থ হবে আমি বলছি লবন।অথচ বাক্যটি ছিলো (তে দিগ সাল দে আকি) অর্থাৎ এখান থেকে বের হও।এমন অনেক ভাষার কথা বলা যাবে তবে কলেবর বৃদ্ধি না করে মূল আলোচনায় যাই।
আরবী-যেমন আপনার মোবাইলে আযান হচ্ছে।আশহাদু আল লা ইলাহা বলার সাথে সাথে আপনি ফোন রিসিভ করলেন।অর্থ হবে আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি কোন ইলাহ নাই(ঈমান নিয়ে টানাটানি যদি স্বেচ্ছায় বলেন)।অথচ বাক্য ছিলো আশহাদু আল লাইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই।যেমন সুরা আর রহমানের তিলাওয়াত শুনছেন।পড়া হচ্ছে কুল্লুমান আলাইহা ফান আর ফোন রিসিভ করে ফেল্লেন।অর্থ হবে সকল কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।সমস্ত তাফসীরকারকরা বলছেন।এখানে থামতে পারবেন না।কারন পরবর্তি আয়াতে বলা হয়েছে একমাত্র আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত ছাড়া সকল কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।(আপনার আকীদা নিয়ে টান দিবে)।আবার তিলাওয়াত হচ্ছে কুল আউজুবি রব্বিন/রব্বিল আর রিসিভ করে ফেললেন।অথচ রব্বিন/রব্বিল বলতে কোন শব্দ নাই।হয় বলতে হবে কুল আউজুবি রব্বিন্নাছ/রব্বিলফালাক-অথবা কুল আউজুবি রব্ব অতঃপর আন্নাফ/আল ফালাক।এভাবে আরো মারাত্নক মারাত্নকভাবে অর্থের বিকৃতি ঘটতে পারে শুধুমাত্র জায়গামতো না থামার কারনে।সময় থাকলে হয়তো আরো কিছু উদাহরন দিতাম।তবে বুদ্ধিমান পাঠকদের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট বলে মনে করছি।আশাকরি সবাই বুঝবেন।
আবারো বলছি এটা কোন ফতোয়া না,কুরআন শোনার কোন প্রতিবন্ধক না,কোন বিতর্কও না।শুধু মাত্র সত্য উপস্থাপন।বিশেষ করে কুরআনের ক্ষেত্রে।মহান আল্লাহ আমাদের সকল কে কবুল করুন।আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন