বাচ্চাদের কথোপকথন
লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ১২ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:০২:৪৩ দুপুর
এক
সমবয়সী খালাতো ভাই-বোন ঝগড়া করছিলো। কারণ ছোটজন বড়জনের সবচেয়ে প্রিয় খেলনাটা নষ্ট করে ফেলেছিল। বড়জন রাগ করে বলল, তুমি আমার রুমে ঢুকবে না কখনো। আর খেলনায় তো হাত দিবেই না।
-আমি রুমেও ঢুকবো। খেলনাতেও হাত দিবো। কি করবে তুমি?
-তোমাকে আমি জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেবো।
-(হাসতে হাসতে)তুমি আমাকে উঁচুই করতে পারবে না। ফেলবে কিভাবে?
-তাহলে তুমি নিজেই নিজেকে জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দাও।
দুই
ছেলেকে নিয়ে মা সুপার মার্কেটে যাচ্ছিলেন। কোনভাবেই মাকে রাজী করাতে পারলো না গাড়ি দিয়ে যাবার জন্য। কিছুক্ষণ মুখ ভার করে সাথে সাথে হাঁটলো তারপর বলল, হাঁটাও একটা ব্যায়াম তাই না মা?
-খুব ভালো ব্যায়াম।
-মা হাঁটলে কি মানুষ শুকিয়ে যায়?
-হাঁটলে শরীরের মেদ কাটে তাই অনেকেই শুকায়।
-মা আমার দিকে তাকাও। দেখো আমি কতো শুকনা। বেশি হাঁটলে আমি তো আরো শুকিয়ে যাবো। শুকাতে শুকাতে যদি কাঠির মতো হয়ে যাই তাহলে তো একদিন ঠাস করে ভেঙ্গে যাবো। এজন্যই তো আমি হাঁটতে চাচ্ছি না।
তিন
বাবা বসে কাজ করছিলেন ছেলে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা তোমার সাথে আমার জরুরী কথা আছে।
-তোমার জরুরী কথা মানেই তো অদ্ভুত কোনকিছু।
-আজকে আমি অদ্ভুত কথা বলবো না বাবা।
-আচ্ছা তাহলে বলো শুনি তোমার জরুরী কথা।
-বাবা মানুষের শরীরে কি ইলেকট্রন আছে?
-থাকলে?
-থাকলে কি খেলে আমার শরীরে ইলেকট্রন বাড়বে বলে দাও।
-ইলেকট্রন বাড়ানোর উদ্দেশ্য কি?
-ইলেকট্রন বাড়িয়ে আমি ইলেকট্রিক ম্যান হয়ে যাবো। তারপর পৃথিবীর সব দুষ্টু বাচ্চাদের ইলেকট্রিক শক দেবো। সবার আগে দেব আমার ক্লাসের সালমানকে। প্রতিদিন আমার টিফিন খেয়ে ফেলে সালমান।
শিশু মানেই আনন্দময়তার বৈচিত্র্যময় স্বপ্নিল ভুবন
জাগিয়ে দেয় মনে প্রশান্তির হাজার রঙয়ের স্বপন
হতাশা যখন মনে করে অদ্ভুত অনুভূতির সঞ্চার
আলো হয়ে শিশু করতে পারে সকল আঁধার বহিষ্কার।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন