একটি শিশুর আর্তনাদ-১

লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ১১ মে, ২০১৫, ১০:৪৪:২৯ রাত



টেবিলে কিছু একটা রাখার শব্দ শুনে তন্দ্রা ছুটে গেলো অধরার। কফির মিষ্টি ঘ্রাণ নাকে এসে লাগতেই চোখ খুলে তাকালো। ধূমায়িত কফি দেখেই শরীর ও মনকে জাপটে ধরে থাকা তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব কিছুটা যেন শিথিল হয়ে এলো। মাথা তুলে তাকালো সহকর্মীর দিকে। কফি রেখে ততক্ষণে নিজের জায়গায় গিয়ে বসে তার দিকেই হাসিমুখে তাকিয়ে আছে শাহরিন।

কফির জন্য এক লক্ষ শুকরিয়া। সেমিনার টক রেডি করতে গিয়ে সারারাত ঘুমাতে পারিনি। এখন ঘুমে মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলাম না। হাসি মুখে বলল অধরা।

শাহরিন হেসে বলল, ‘একটি শিশুর আর্তনাদ’! তোমার বিষয় নির্বাচনটা ঠিক বুঝে আসছে না আমার।

এই আর্তনাদটা আসলে ছোট্ট কোন শিশুর আর্তনাদ নয়।

তাহলে?

আমাদের সবার মনের মাঝেই ছোট্ট একটা শিশু বাস করে সেটা তো জানোই। এই আর্তনাদ আসলে সেই শিশুর। অর্থাৎ, পরিণত মানুষের মনের মাঝে বসে থাকা সেই শিশু যে কোন না কোন ভাবে বঞ্চিত হয়েছে তার শৈশব থেকে। শৈশবের হাসি, আনন্দ, উল্লাস থেকে। যা কিনা প্রতিটি শিশুর অধিকার থাকে। একটু ভেবে দেখো একটা শিশুর চাহিদা কতটুকু থাকে? বাবা-মার সাথে আনন্দঘন সময় কাটানো, মাঝে মাঝে বেড়াতে যাওয়া, পছন্দের খেলনা, চকলেট, আইসক্রিম, কারণে অকারণে ছোট ছোট উপহার। এই তো তাই না? সবসময় বাবা-মার পক্ষে হয়তো এই চাহিদাগুলো পূরণ করা সম্ভব হয় না। সেই কারনটা যদি বাবা-মা বুঝিয়ে বলেন সন্তানদেরকে তাহলে ছোটবেলায় কষ্ট বা মনখারাপ করলেও, বড় হবার পর সেটা উপলব্ধি করতে পেরে স্বস্থি খুঁজে পায় মনে। কিন্তু বুঝিয়ে না বলার কারণে মনে তৈরি হয় গোপন কষ্ট ও অভিমান। যখনই বাবা-মার আদর ভালোবাসায় সিক্ত কাউকে দেখে তাদের মনে বেজে ওঠে হাহাকার ঘেরা আর্তনাদ।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে শাহরিন বলল, এমন আর্তনাদ তো আমার মনেও কিছুটা আছে। বাবার আদর কাকে বলে? বাবারা কি সন্তানকে আদর করে? কিভাবে করে? বুকে জড়িয়ে ধরে কখনো? কপালে কি আদর এঁকে দেয়? বাবা মাথায় হাত বুলালে কেমন লাগে? নাহ কিছুই জানি না আমি। এই ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতাই যে নেই আমার। নিজের শৈশব আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও এমন একটি মুহুর্ত আমি খুঁজে পাই না যেখানে বাবা আমাকে আদর করেছেন। আমাকে কোন উপহার দিয়েছেন, কোথাও বেড়াতে নিয়ে গিয়েছেন। কারণ বাবার ছেলের শখ ছিল। কিন্তু আমি মেয়ে। তাও আবার পাঁচ নাম্বার মেয়ে।

সদা হাসিখুশি, প্রাণবন্ত সহকর্মীর মুখ থেকে কথাগুলো শোনার পর কিছুটা থমকে গেলো অধরা। বলার মত কোন শব্দই খুঁজে পেলো না। শুধু মনেহলো ‘জীবন কারো তরেই নয় সাজানো ফুল বাগান! নিজ নিজ পরীক্ষায় সবাইকে হতে হয় পেরেশান! ছোট ছোট দুঃখ-সুখে ঘেরা প্রতিটি মনের ভুবন! আনন্দ-হাসি উল্লাসের ভিড়ে লুকানো থাকে অদেখা কন্দন!’ তাই হয়তো মনের কোণে জমানো কষ্ট নিয়েও অন্যের মনের ক্ষতগুলোতে সহমর্মীতার পরশ বুলিয়ে যেতে চেষ্টা করে শাহরিন।

অনেকটা ক্ষণ নীরবতার পর শাহরিন বলল, সত্যি অনেক দরকারি একটা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছো তুমি। আমারো মনেহয় যে বাবা-মাকে মানসিকভাবে কাছে পেলে জীবনের অপ্রাপ্তি গুলোও অনেক সহজে মেনে নেয়া সম্ভব হয়। কিন্তু বাবা-মার সাথে মানসিক দুরুত্ব জীবনের প্রাপ্তিগুলোকেও ফিকে করে দেয়।

একদম ঠিক বলেছো। আমার যেমন সবসময় আপ্রাণ চেষ্টা থাকে আমার সন্তানদের মানসিক ও আত্মিক বিকাশের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার। শারিরীক যে কোন সমস্যা চোখে দেখা যায় কিন্তু মানসিক অবস্থা দেখা যায় না বলেই বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজন হয় বেশি। যেমনটা বলা হয় যে, শিশুদের মন কাদা মাটির মত, পানির মত, মোমের মত ইত্যাদি। অর্থাৎ, যে পাত্রে রাখা হবে শিশুরা সেটারই আকার ধারণ করবে। কিংবা এভাবেও বলা যায় যেমন খুশি তেমন আকারে গড়া সম্ভব শিশুদেরকে। তাই সতর্ক থাকি কোন ভাবেই যাতে আমার কোন ভুলের কারণে ব্যহত না হয় সন্তানদের সঠিক আকার গঠন। কিন্তু নানান ধরণের ব্যস্ততার কারণে মাঝে মাঝে খেয়াল করতে পারি না ছোট ছোট অনেক বিষয়। তাই বাচ্চাদের সাথে যাতে কোন রকমের দুরুত্ব তৈরি হয়ে না যায় সেজন্য আমি ডায়েরি বেছে নিয়েছি। মানে হচ্ছে ওদেরকে একটা ডায়েরি কিনে দিয়েছি শুধু সেইসব কথা লেখার জন্য যা বলতে চেয়েও নানা কারণে আমাকে বলতে পারে না সময়, সুযোগ বা পরিস্থিতির কারণে।

শাহরিন হেসে বলল, বাহ বেশ মজার তো!

অধরাও হেসে বলল, হুম! এই পদ্ধতিটার উদ্ভাবক আমার ছোট পুত্র। ওর বয়স যখন পাঁচ বছর তখন একদিন একটা কারণে একটু বিরক্ত হয়েছিলাম ওর উপরে। দুষ্টুমির জন্য একটু বকে দিয়ে আমি রান্নাঘরে চলে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি সে তার হোয়াইট বোর্ডটা ঠেলতে ঠেলতে রান্নাঘরে নিয়ে আসছে। রান্নাঘরের দরজা দিয়ে বোর্ডটা ঢুকিয়ে দিয়েই চলে গেলো। আমি কাছে গিয়ে দেখলাম বোর্ডে যে তার মনের অভিমানী শব্দমালা লিখেছে ছবি আর শব্দের সংমিশ্রণে। অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়েছিল আমার তখন। মনে হয়েছিল বকে দেবার আগে উচিত ছিল দুষ্টুমি করাটা কেন ঠিক হয়নি সেটা বুঝিয়ে বলা। এবং ওকেও নিজের পক্ষে কথা বলতে দেয়া। বেশ কয়েকদিন আগে যেমন একটা ডকুমেন্টরি দেখছিলাম আমি জমজ বাচ্চাদের উপরে। একে অন্যের সাথে জোড়া লাগানো জমজ বাচ্চাদের ছবি দেখে আমার মেয়ে বলল, মামণি কতই না ভালো হতো যদি তুমি আর আমি এমন হতাম। তাহলে তুমি সারাক্ষণ আমার সাথে সাথে থাকতে। ব্যস্ততার সময়ও আমাকে তোমার সাথে রাখতেই হতো। ঐ মুহুর্তে হাসলেও পরে আমি এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছি মেয়ের সাথে। ওকে বুঝিয়ে বলেছি আমার ব্যস্ততার কারণ এবং এরপর থেকে চেষ্টা করি আরো কিছুটা সময় বেশি কাটাতে বাচ্চাদের সাথে।

কেন পৃথিবীর সব বাবা-মায়েরা এমন হয় না বলো তো অধরা? কেন সন্তান জন্ম দেয়া আর ভরণ পোষণেই সীমাবদ্ধ থাকে বাবা-মার চিন্তা ভাবনা। খুব খুব কষ্ট হয় যখন পেশেন্টরা বাবা-মা আর পরিবারের সদস্যদেরকে ঘিরে তার মনের মধ্যে জমে থাকা অভিমানী কথাগুলো বলে অশ্রু ভেজা চোখে। মনে পড়ে যায় নিজের অপ্রাপ্তি আর নিরানন্দে ঘেরা এলোমেলো শৈশবের কথা। তুমি ঠিক বলেছো যখনই বাবা-মার আদর ভালোবাসায় সিক্ত কাউকে দেখি আমার মনে বসে থাকা শিশুটা আর্তনাদ করে উঠে। যখন আমার হাজবেন্ডকে দেখি আমাদের মেয়েকে আদর করতে, ভালোবাসতে। অনুভব করি নিজের জীবনে বাবার আদর-ভালোবাসার অভাব।

আমার দেখা অনেক মানুষের ভেতর থেকেই এই আর্তনাদটা শুনতে পেয়েছি আমি। সেজন্যই এই বিষয়টাকেই বেছে নিয়েছি আমি।

আর কিছু না বলে চুপচাপ নিজের কাজে মনযোগ দিলো শাহরিন। অধরা বুঝতে পারছে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে ও কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে বলেই শাহরিন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। নিজের ভেতরটাও ভারী হয়ে এলো অধরার।এমন নিরাশার আঁধার কালো পর্দা টেনে নিশ্চুপ বসে থাকা মনগুলোকে যখন দেখে ইচ্ছে করে বিজলীর মতো প্রচন্ড গর্জন করে চারিদিক আলোকিত করে ঝলসে উঠতে। হতাশার ঘোর অমানিশা ছিন্ন ভিন্ন করে ভঙ্গ করে দিতে নিস্তব্ধতা। ধূ ধূ মরুভূমির মত ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া ধূলো ধূসরিত পিপাসাক্ত হৃদয়গুলোতে ঝরঝর শ্রাবণও ধারা হয়ে ঝরে যেতে ইচ্ছে করে যে পর্যন্ত না মিটে যায় শুষ্কতার ছাপ। ঘুণপোকার কুড়ে কুড়ে খাওয়া ক্ষতে বুলিয়ে যেতে ইচ্ছে করে আশা জাগানিয়া পরশ......

বিষয়: বিবিধ

২২৪১ বার পঠিত, ৪৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

319460
১১ মে ২০১৫ রাত ১০:৫০
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : -----Thumbs Up দখল Thumbs Up -------
১১ মে ২০১৫ রাত ১০:৫৬
260567
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : তুমি কোথা থেকে আসলে??????????????Crying

আমি ভেবেছিলাম আমি ফাস্টুWaiting
১১ মে ২০১৫ রাত ১১:২২
260569
আবু জান্নাত লিখেছেন : না পড়েই দখন? আচ্ছা কার জন্য দখল করেছেন? আপনার হযরতের লেটেষ্ট নিউজ কি? @আওনWaiting Waiting
১২ মে ২০১৫ রাত ০১:০৪
260583
আফরোজা হাসান লিখেছেন : পড়াশোনা না করে যারা দখলবাজী করে তাদেরকে কি শাস্তি দেয়া যায় সেই ব্যাপারে অতি শিঘ্রীই বোর্ড বসানো হবে। Waiting Waiting Waiting
319462
১১ মে ২০১৫ রাত ১০:৫৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম আপিয়াআাআাআা!

বড় হয়ে যাওয়া আমরা সবাই, আমাদের মাঝে লুকিয়ে থাকা সেই শিশুটির আর্তনাদ সঠিক জ্ঞানের এবং দিক নির্দেশনার অভাবে আমরা - আমাদের আশেপাশের স্বজনরা যেনো শুনতেই পান না ! আর তাই তো ক্রমশ বাড়ছে আভ্যন্তরিন সমস্যাগুলো । জরুরি বিষয়টি নিয়ে কলম ধরার জন্য শুকরিয়া!

অন্নেক অন্নেক খুশী লাগছে তোমার লিখাটি ব্লগাকাশে জ্বলজ্বল করতে দেখে!জাযাকিল্লাহু খাইর! Love Struck Bee Rose Music Good Luck Praying Angel
১২ মে ২০১৫ রাত ০১:০৭
260584
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ...Happy

কচি প্রাণের আর্তনাদ ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে থাকে সমগ্র জীবন জুড়ে। পিতা্-মাতাদের সচেতন হওয়াটা তাই অতি অবশ্যক।

অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে আবারো ফিরে আসতে পেরে আমারো ভীষণ ভালো লাগছে আপি। Love Struck Love Struck Love Struck
319467
১১ মে ২০১৫ রাত ১১:২০
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপু, বহুদিন পর আপনার পোষ্ট, শিশুদের মনবিজ্ঞান নিয়ে চমৎকর লিখেছেন। জাযাকিল্লাহ খাইর।
আপু! ছোট ভাই হিসাবে আপনার কাছে প্রত্যাশা খাকবে, গল্প চরিত্রের নামগুলো যদি ইসলামীক নাম বাচাই করে দেন, তাহলে ভালো হয়। কারণ পাঠকমহলে গল্পচরিত্রের নামগুলোর প্রতি আলাদা এক টান অনুভব করে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
১২ মে ২০১৫ রাত ০১:১৩
260585
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ...Happy সুন্দর পরামর্শের জন্য অনেক শুকরিয়া। ইনশাআল্লাহ আমি খেয়াল রাখবো পরবর্তী গল্প গুলোতে। এই গল্পের মূল চরিত্রটি নিয়ে আরো অনেক গুলো গল্প লেখা হয়েছে। তাই এটা চেঞ্জ করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে আমার জন্য। তাহলে প্রতিটা গল্পই চেঞ্জ করতে হবে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। Happy
319472
১১ মে ২০১৫ রাত ১১:৪৪
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : শুধু শিশুদের না, মাঝে মাঝে বড়দের আর্তনাদ ও শুনতে হয় আপু।ছিলেন কই এতদিন? Crying আশা জাগানিয়া সিরিজ নিয়ে ব্লগে উপস্থিতির জন্য শুভেচ্ছা রইলো Big Hug Love Struck Rose
১২ মে ২০১৫ রাত ০১:১৬
260586
আফরোজা হাসান লিখেছেন : এই গল্পটিও মূলত সেইসব বড়দের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শিশু মনেরই আর্তনাদ। Straight Face

অনেক অনেক বেশি ব্যস্ততা যাচ্ছে আপু। ইচ্ছে থাকা স্বর্ত্বেও তাই আসতে পারি না আপনাদের সাথে দেখা করতে। আজ তো সাদিয়া আপুনি একরকম হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে এলো বলতে পারেন। Don't Tell Anyone

অনেক ভালো লাগছে আপনাকে দেখে। অনেক শুকরিয়া আপু। Love Struck Love Struck
১২ মে ২০১৫ রাত ০৩:২৩
260608
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : তোমার ব্যস্ততার টুকি টাকি অবসরে মিস করিতে চাই না আপুনি!@ আফরোজা Love Struck
১২ মে ২০১৫ রাত ০৩:২৪
260609
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : তোমার ব্যস্ততার টুকি টাকি অবসরে মিস করিতে চাই না আপুনি!@ আফরোজা Love Struck বৃত্তাপু - ভালো করেছি না ওকে জ্বালাতন করে নিয়ে এসেছি!
১২ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৩
260707
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : মাঝে মাঝে বড়দের আর্তনাদ ও শুনতে হয় আপু। Crying Crying Crying Crying Crying Crying Crying এর মানে কি? Rolling Eyes Rolling Eyes
১৩ মে ২০১৫ রাত ০১:০১
260772
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : খুব ভালো করেছেন আপুBig Hug সুন্দর, শিক্ষনীয় পোস্টের মাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিতির জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সাদিয়া আপুLove Struck ভালো লাগছে অনেকদিন পর সবাইকে একসাথে দেখে।ফাতিমা মরিয়ম আপুকেও দেখা যায়না Sad
১৩ মে ২০১৫ রাত ০১:০১
260773
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : পোস্টের মত মন্তব্যও দেখছি পুরাটা পড়েননা হ্যারিFrustrated
319474
১১ মে ২০১৫ রাত ১১:৫২
আবু জান্নাত লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটি স্টিকি করার দাবী রাখে। মডুমিয়াদের সদয় অবগতি কামনা করছি।
১২ মে ২০১৫ রাত ০১:১৭
260587
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া। জাযাকাল্লাহ....Happy Good Luck Good Luck Happy
১২ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
260727
আবু জান্নাত লিখেছেন : কাজ হয়েগেছে আপু মনি। আমি এখন মনের সূখে গান গাই..
Bee Bee Bee Bee :b
Cheer Cheer Cheer Cheer Cheer
Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
Chatterbox Chatterbox Chatterbox Chatterbox Chatterbox
Rose Rose Rose Rose Rose
১২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৪৩
260740
আফরোজা হাসান লিখেছেন : Happy Happy Happy Happy
১৩ মে ২০১৫ রাত ০১:১৪
260778
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : স্টিকি হয়ে প্রমানিত হইলো আবু জান্নাত ভাই মডু! Smug Talk to the hand
১৩ মে ২০১৫ রাত ০৩:১২
260792
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আবু জান্নাত ভাই "মডু"। তথ্যটা জানাইয়া জাতিকে উপকৃত করার জন্য সাদিয়া আপুনিকে Time Out Time Out Time Out
১৩ মে ২০১৫ সকাল ১১:২২
260832
আবু জান্নাত লিখেছেন : লজ্জা দিলেন সাদিয়াপু।
১৩ মে ২০১৫ সকাল ১১:২৩
260833
আবু জান্নাত লিখেছেন : প্রিয়ন্তি আপু আবার হাতুড়ি নিয়ে এল Crying Crying Crying Crying
319503
১২ মে ২০১৫ রাত ০৩:১৫
লুকোচুরি লিখেছেন : আপুউউউউউউ তুমিও কতদিন পর এলে, আমিও কতদিন এলাম ব্লগে। লেখা পরে পড়ব ইন শা আল্লাহ্‌। Happy
১২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৪৩
260741
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ঠিকআছে ইনশাআল্লাহ। Love Struck
319521
১২ মে ২০১৫ সকাল ০৮:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চিন্তা করছি!!!
আমরা পারিবারিক সম্পর্ক কে কিভাবে নামিয়ে ফেলেছি আর্থিক হিসাবের মধ্যে।
১২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৪৫
260742
আফরোজা হাসান লিখেছেন : হুম! আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলো ভেতর থেকে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ঘুণপোকা কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে ফেলছে সমস্ত মিষ্টতা...

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। Happy
319578
১২ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:১৫
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : লুকোচুরি লিখেছেন : আপুউউউউউউ তুমিও কতদিন পর এলে, আমিও কতদিন এলাম ব্লগে। লেখা পরে পড়ব ইন শা আল্লাহ্‌। 
১২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৪৫
260743
আফরোজা হাসান লিখেছেন : হুম! দুষ্টু পোলাও অনেকদিন পর এলো আমার ব্লগে। Happy
319579
১২ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! লেখিকা বোনের সাথে সহমত! অনুরোধ রইলো নিয়মিত হোন!
১২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৪৬
260745
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। অনেক অনীক শুকরিয়া আপু। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো নিয়মিত হতে।Happy
১০
319632
১২ মে ২০১৫ রাত ০৯:০২
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু । মুগ্ধতা ছড়ানো একটি পোস্ট! খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।Rose Rose Rose Rose
১২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৪৭
260746
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ।
আলহামদুলিল্লাহ। অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে। Happy
১১
319655
১২ মে ২০১৫ রাত ১০:৩৩
তাসনুভা লিখেছেন : valo achen ,apu
১৩ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২১
260881
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। স্বাগতম তোমাকে ব্লগে। Love Struck Love Struck Love Struck
১২
319660
১২ মে ২০১৫ রাত ১০:৫১
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

নিজেই পোস্ট দিলেন যে!
আপনার পাব্লিশার কোথায়?

জাযাকুমুল্লাহ



১৩ মে ২০১৫ রাত ০৩:১০
260789
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..Happy

আমি এখানে Skull উপস্থিত Loser
১৩ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২২
260882
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ...Happy
পাব্লিশার ঘরকন্নার কাজে ব্যস্ত থাকেন আজকাল। তাই নিজেই দিলাম। অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া। Happy
১৩ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৫০
260893
আবু সাইফ লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ

রত্নদুটিকে একসাথে পেলাম

আল্লাহতায়ালা জান্নাতেও যেন পাশাপাশি রাখেন
১৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৬
260904
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আমিন! আমিও যেনো থাকি আশেপাশেPraying
১৩
319679
১৩ মে ২০১৫ রাত ০১:১৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন! কিছু দিন ঝুলে থাকো এখন ব্লগাকাশে! Love Struck





এবং প্রিয় ফুল-




Rose Angel Bee Music Day Dreaming
১৩ মে ২০১৫ রাত ০৩:১১
260790
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : ভায়োলেট অর্কিডই তো নাই Tongue
১৩ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২২
260883
আফরোজা হাসান লিখেছেন : এত্তোগুলা শুকরিয়া আপ্পিমণি। Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck
১৪
319706
১৩ মে ২০১৫ সকাল ০৭:০৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এমন অনেক বিষয় থাকে যা সাধারণ মানুষ গুনাক্ষরেও ভাবে না, ভাবার প্রয়োজনও বোধ করে না, অথচ লেখকদের চোখেই বিষয়টি হয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, লেখার মাধুর্যতা দিয়ে পাঠককেও বিষয়টি উপলব্দি করাতে পারেন।

খুব ভালো লিখেছেন, অবশ্য বরাবরই ভালো লেখেন।

আমি গরীব ঘরের সন্তান, অভাবের কারণে বাবা মা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক দিক খেয়াল রাখতে পারেন নি, তা নিয়ে আমার কোন আর্তনাদ নেই, বরং এমন বাবা মা পেয়ে আমি গর্বিত, হয়তো প্রতিদিন সকাল বিকেল টেবিলে দুধের গ্লাস দিতে পারেন নি, কোন কারণে মানুসিক যন্ত্রণায় ভোগলেও বুঝতে না পেরে সান্ত্বনার বাণী শোনান নি এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা নেন নি, অথচ তাদের ছেলে আমি আজ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে আছি।

আপনি যথার্থ বলেছেন, অনেক মানুষ অন্যদের পরিত বাবা মায়ের আদর যত্ন দেখে নিজের বাবা মায়ের উদাসীনতার কথা মনে ভেতরের ছোট্ট শিশুটি আর্তনাদ করে মরে। সব বাবা মাকেই সন্তানের সকল অবস্থা বুঝার তাওফীক দান করুন।

সুন্দর লেখা পরিবেশনের জন্য ধন্যবাদ এবং স্টিকি পোস্ট হওয়ায় অভিনন্দন।
১৩ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২৬
260887
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! আসলে যারা বাবা-মায়েদের অবস্থাটা বুঝে মন থেকে মেনে নিতে পারেন তাদের মনে আর্তনাদ নয় বরং তৃপ্তিই থাকে। এটাই থাকা উচিত কিন্তু সেই বুঝটা তো আসলে সবার নেই। তাদের মনের কোনে এমন আর্তনাদ ভেসে বেড়ায়।
অনেক অনেক শুকরিয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য। Happy
১৫
320089
১৪ মে ২০১৫ রাত ০৯:৫৮
আবু জারীর লিখেছেন : শেখার আছে অনেক কিছু।
ভালো লাগল।
ধন্যবাদ।
১৬
320119
১৫ মে ২০১৫ রাত ১২:২৪
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : লেখাটি মন ছুয়ে যায়, নিজের মাঝে ভাবান্তর জাগে । আমিও তো মেয়ের বাপ, আমার মেয়েরাও কি এভাবে ভাবে ? বাবাকে নিয়ে ?
১৭
320146
১৫ মে ২০১৫ রাত ০১:৪৭
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ
১৮
320181
১৫ মে ২০১৫ সকাল ০৯:২৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মানুষের মন নিয়ে আপনার ব্যাখ্যা,ভানা সাংঘাতিক ধরনের সুপার। আপনি আসলেই বস। দারুনভাবে বর্ণনা তুলে আনেন একেবারে কোদাল দিয়ে কেটে.....জিতে রাহো....

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File