ভালো ও মন্দের ব্যাপারে শিশুদের দৃষ্টি উন্মোচন......

লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৭:০০ রাত



ভাইয়ার পাঁচ বছর বয়সি জমজ দুই পুত্রের চেহারা যেমন একদম আলাদা একে অন্যের থেকে স্বভাবেও দুইজন সম্পূর্ণ ভিন্ন! নুবাঈদ চঞ্চল, ছটফটে, মেজাজি, এলোমেলো এবং খুবই দুষ্টু স্বভাবের! আর নুসাঈব শান্ত, চুপচাপ, গোছানো, কেয়ারিং এবং খুবই পাকা পাকা কথা বলা স্বভাবের! দুই ভাইয়ের পছন্দ-অপছন্দও আলাদা আলাদা! ভাইয়ার গাছপালা ভীষণ পছন্দ। এই স্বভাবটা নুসাঈব পেয়েছে। প্রকৃতির কোলে কোলে থাকলে খুব পছন্দ করে। নুবাঈদ এর উল্টো। সে বাগানে যায়ই গাছপালার শান্তি ভগ্ন করতে। দেখা যায় নুবাঈদ বাগানে খেলার সময় টান দিয়ে একটা ফুল বা গাছের পাতা ছিঁড়ে ফেলেছে। নুসাঈব ছুটে গিয়ে গাছে হাত বুলিয়ে আদর মেশানো কন্ঠে গাছের নাম ধরে বলবে, তুমি ব্যথা পেয়েছো? আহারে... তোমাকে আদর। নুবাঈদ ছোট মানুষ তো তাই বেশি বেশি দুষ্টুমি করে। তুমি রাগ করো না কেমন! আমি পাপাকে বলে দেব যেন নুবাঈদকে বকে দেয়। তোমাকেও যেন এসে সরি বলে। তুমি পানি খাবে? আচ্ছা তোমাকে পানি এসে দিচ্ছি। এই হচ্ছে আমাদের দুই সোনা পুটুলের অবস্থা!

একে সাথে হলেই দুই ভাই খুটখাট শুরু করে দেয়। আজ নুবাঈদ বসে ড্রইং করছিল। নীল রঙ শেষ হয়ে গেলে নুবাঈদ পাশে বসে থাকা নুসাঈবকে বলল, যাও তো রুম থেকে আমাকে নীল কালারের পেন্সিল এনে দাও। নুসাঈব নিজের ড্রইং নিয়ে ব্যস্ত ছিল তাই যেতে রাজী হলো না! নুবাঈদ তখন তেড়ে এলো নুসাঈবকে মারতে। ভাইকে তার দিকে তেড়ে আসতে দেখে নুসাইব ‘আউজুবিল্লাহ হি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ বলে ফু দিতে শুরু করলো নুবাঈদের দিকে। নুবাঈদ চোখ বড় বড় করে বলল, তুমি আমাকে ফু দিচ্ছো কেন? নুসাঈব বলল, শয়তান করায় বলেই মানুষ দুষ্টু কাজ করে। মারামারি অনেক দুষ্টু কাজ। তুমি আমাকে মারতে এসেছো কারণ এখন শয়তান তোমার মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। পাপা বলেছে শয়তানের দুষ্টামি থেকে রক্ষা পেতে আমাদের কে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। সেজন্য আমি ‘আউজুবিল্লাহ হি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ বলে তোমাকে ফু দিয়ে দিচ্ছি। যাতে শয়তানের দুষ্টমি থেকে আল্লাহর তোমাকে সাহায্য করেন। তাকে শয়তান বলেছে ভেবে নুবাঈদ ঝাঁপিয়ে পড়লো নুসাঈবের উপর।

ভাইয়া ছুটে এসে দুই পুত্রকে আলাদা করলেন। নুবাঈদ রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলল, আমাকে শয়তান বলেছে। আমি শয়তান না। আমি ফেরেশতা। নুসাঈব প্রবল ভাবে মাথা নাড়তে নাড়তে বলল, আমি তোমাকে শয়তান বলিনি তো। শয়তান তোমার ভিতরে ঢুকে তোমাকে দিয়ে দুষ্টূ কাজ করাতে চাচ্ছিলো। আমি তাই দোয়া পড়ে শয়তানকে তাড়িয়ে দিয়েছি। নুবাঈদ তখন কিছুটা শান্ত হলো। এক মূহুর্ত চুপ থেকে সেও ‘আউজুবিল্লাহ হি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ বলে নুসাঈবকে ফু দিয়ে বলল, তুমি আমার কথা শোনোনি। আমাকে রঙ পেন্সিল এতে দাওনি। এটাও দুষ্টু কাজ। শয়তান তোমার মধ্যে ঢুকে ছিল বলে তুমি এই দুষ্টূ কাজটি করেছো। আমি ফু দিয়ে দিয়েছি এখন শয়তান চলে গেছে। যাও আমাকে নীল রঙের পেন্সিল এসে দাও। নুসাঈব এক মূহুর্ত দ্বীধা করলো এরপর রুমে গিয়ে রঙ পেন্সিল এসে দিলো নুবাঈদকে। ভাইয়া দুই পুত্রকে জড়িয়ে ধরে আদর করে বললেন, মাশাআল্লাহ তোমরা দুইজনই আজ অন্নেক ভালো কাজ করেছো! এভাবে সবসময় নিজের সাথে সাথে একে অন্যের কাছ থেকেও দুষ্টু শয়তানকে তাড়িয়ে দিতে আল্লাহর সাহায্য চাইবে। পাপার মুখ দেখে প্রশংসা শুনে তো দুইজনই একদম গদগদ হয়ে গেলো।

দুই বাবা সোনার ঘটনাটি টাইম মেশিন হয়ে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল তিন বছর অতীতে। ইউরোপের এই বৈরী পরিবেশে শরীয়তের আলোকে সন্তানদেরকে গড়ে তুলতে চান এমন কয়েকটি পরিবারকে নিয়ে একটি ফ্যামেলি প্রোগ্রাম করতাম আমরা নিয়মিত। বাচ্চাদের শরীয়তের আলোকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানান ধরণের ইভেন্ট ছিল আমাদের সেই প্রোগ্রমে। ছোট বাচ্চাদেরকে গল্প আকারে কিংবা ছোট ছোট প্রশ্নাকারে শেখালে ওরা মজা যেমন পায় তেমনি শিখতেও পারে দ্রুত। আমরা এমন অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছিলাম ইসলামের মূল বিষয় সমূহকে ঘিরে। যেমন, তোমার সৃষ্টিকর্তা কে? পৃথিবীর সকল মানুষকে কে সৃষ্টি করেছেন? গাছ গাছালী এবং ফল ফলাদি কে সৃষ্টি করেছেন? সকল কাজ কোন দিক থেকে শুরু করতে হয়?যে কোন কাজ করা,যাওয়া,খাওয়া,পড়া,শোয়া, শুরু করতে হয় কি বলে?কেন সকল কাজের শুরুতে আমরা বিসমিল্লাহ বলবো? ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন প্রশ্নে প্রশ্নে ওদেরকে শয়তান সম্পর্কেও জানিয়েছিলাম। বুঝিয়ে বলেছিলাম শয়তান কিভাবে কুমন্ত্রণা দেয় মনে। কিভাবে মানুষকে দিয়ে দুষ্টু কাজ করায়! কিভাবে ভালো কাজ থেকে বিরত রাখে! সাথে সাথে এটাও বুঝিয়ে বলেছিলাম আমরা, কেন ভালো কাজ করতে হবে, কেন দুষ্টু কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। নিজের সাথে সাথে অন্যদেরকেও ভালো কাজ করার পরামর্শ দিতে হবে, দুষ্টু কাজ করা থেকে বিরত করতে হবে।

শয়তান সম্পর্কে বাচ্চাদের সাথে প্রোগ্রাম করে আসার পর তো সব বোনদের বাসা থেকে ফোন আসতে শুরু করলো। কেউ বলল, আপু কি শেখালেন আমার ছেলে তো সারাদিন ফাইটিংয়ের উপরেই থাকে অদৃশ্য শয়তানের সাথে! আরেকজন বললেন, একটু পরপরই শুনি আমার মেয়ে বিড়বিড় করে ‘আউজুবিল্লাহ হি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ পড়ছে। জিজ্ঞেস করলে জবাব দেয়, শয়তান যাতে আমার কাছে আসতে না পারে তাই আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছি। অবশ্য আমার নিজের ঘরের অবস্থাও একই রকম ছিল। নাকীব কখনো ছুটে এসে বলতো, আম্মুতা জানো একটু আগে কি হয়েছে? শয়তান এসে আমাকে খুবই দুষ্টু একটা কাজ করতে বলেছিল। আমি শয়তানকে ইচ্ছে মত মেরে গুড়াগুড়া করে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছি। আবারো কখনো ওর রুম থেকে প্রচন্ড ক্যারাটে প্র্যাকটিসের শব্দ ভেসে এলে কি হচ্ছে জানতে চাইলে জবাব দিতো, আম্মুতা শয়তানকে মারছি আমি। বাচ্চারা নতুন কিছু শিখলে প্রথম প্রথম যা হয় আরকি। তবে অন্য আর সব কিছুর চেয়ে এই ব্যাপারটায় খুব জোড়ালো প্রভাব ছিল বাচ্চাদের সবার মধ্যে। তারা অনেক সাবধান হয়ে গিয়েছিল দুষ্টুমির ব্যাপারে। টুকটাক মিথ্যা যা বলতো সেটার পরিমাণ আরো কমে গিয়েছিল। ভালো কাজের আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল।

আবারো অনুভব করেছিলাম যে, বাচ্চারা আসলে অনেক নরম, কোমল ও পবিত্র মনের অধিকারী। ভালোর প্রতি, কল্যাণের প্রতি ওদের মানসিক ও আত্মিক টান সহজাত। ওরা সুন্দর থাকতে, সুন্দর দেখতে এবং সুন্দর কিছু করতে পছন্দ করে। ওদের মনের ভেতরটা আসলে বিশাল বড় সাদা এক ক্যানভাস। যে রঙয়ের আঁচড়ই সেই ক্যানভ্যাসে পড়ে ওরা মুগ্ধ হয়ে সেটাকে অবলোকন করে। তারপর পাশে পড়ে থাকা সেই রঙয়ের তুলিটাই তুলে নেয় নিজে কিছু আঁকার জন্য। তাই বাচ্চাদের সামনে কোন কিছুকে উপস্থাপন করার সময় সতর্কতার প্রয়োজন খুব খুব খুব বেশি। বিশেষ করে শরীয়তের বিধি-নিষেধ, জীবনের চলার পথের কল্যাণকর ও অকল্যাণ বিষয়সমূহ, ভালো কোনটা, মন্দ কোনটা ইত্যাদি সবকিছু খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে হবে। এবং ছোটবেলা থেকেই নিজের সাথে সাথে অপরকেও ভালো কাজে উৎসাহিত ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারেও দায়িত্ব পালনের শিক্ষা দিতে হবে। ছোটবেলাতেই যদি ভালো কিছু করার পথের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী এবং মন্দ পথকে আকর্ষনীয় ও সহজ করে সামনে পেশ কারী শয়তান সম্পর্কে সাবধানতার অবলম্বন করতে এবং সেই ব্যাপারে প্রভুর কাছে সাহায্যে প্রার্থনা করার শিক্ষার বীজ বুনে দেয়া যায় শিশুদের মনে! এবং সেই বীজকে বিকশিত করার লক্ষ্যে পরিমিত যত্ন নেয়া হয়, আগাছা দূরীভূত করা হয়! তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো ও মন্দ সম্পর্কে মোটামুটি স্পষ্ট ও সঠিক ধারণা নিয়ে শিশুরা বড় হতে এবং সেই অনুযায়ী জীবনকে পরিচালনা করতে শিখে যাবে ধীরে ধীরে!

বিষয়: বিবিধ

২৩৩৬ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

295337
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:১২
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামাউআলাইকুম! Love Struck মাশা আল্লাহ Thumbs Up

আমার আফনানও প্রায় সারাক্ষন অদৃশ্য শত্রুর সাথে ফাইটে থাকে! এই বুঝ এবং চিন্তা ধারা ওদের সর্বরকম শয়তানর ওয়াসওয়াসা এবং গোমরাহী থেকে হিফাজত করুক! আমীন

অনেক সুন্দর লিখেছো আপিয়া!জাযাকিল্লাহু খাইর Praying Angel Rose
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১২
238806
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম! আপুনি দেখেন আমি কত্তো ফাটাফাটি একখানা মন্তব্য করিয়াছি। Cool Cool Cool
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২৭
239111
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। Happy কতই না ভালো হতো যদি আমরাও এমন ফাইট করতে পারতাম অদৃশ্য শয়তানের বিরুদ্ধে। অনেক শুকরিয়া আপুনি। Love Struck Love Struck
295342
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:২৮
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : Fighting with invisible evil! Wow! Zajhakallah khairan. Happy
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২৮
239112
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকেও তাওফীক দিন শয়তানের বিরুদ্ধে এমন ফাইট করার। আমীন। বারাকাল্লাহু ফীক। Praying Praying
295355
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১১
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : শব্দের তুলিতে তুমি যখন শিশুদেরকে আঁকো...! তখন ইচ্ছে করে মনের গ্যালারীতে পরম যতনে সাজিয়ে রাখি সেই চিত্রটিকে...... Love Struck Tongue Bee Big Grin Rolling on the Floor

১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২৮
239113
আফরোজা হাসান লিখেছেন : মন্তব্যেও অন্যেরটা কপি করো??!! Surprised Surprised Surprised ছিঃ আরু ছিঃ Tongue
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:৪৬
239135
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
239269
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : কপিইতো করেছে চুরিতো আর করেনি তাই না আরু?Tongue Rolling on the Floor
295360
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
শিশুদের যদি সত্যিই শিক্ষাদেওয়া হয় শয়তান থেকে দুরে থাকার তারা তার চেষ্টা করে। কিন্তু এখনকার বেশিরভাগ পিতা-মাতা রাই স্কুলে ভাল নম্বর এর জন্য নকল করাকেও প্রশ্রয় দেন্
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৩১
239114
আফরোজা হাসান লিখেছেন : বাবা-মায়েরাই তো ‘আউজুবিল্লাহ হি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ পড়তে ভুলে যান! সন্তানদেরকে আর কি শিক্ষা দিবেন। পিতা-মাতা আর সন্তানদেরকে ঘিরে অনেক করুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছি দেশ থেকে সাথে করে। Straight Face
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকেও তাওফীক দিন শয়তানের বিরুদ্ধে এমন ফাইট করার। আমীন।Praying
অনেক শুকরিয়া ভাইয়া। Happy
295365
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২৬
আফরা লিখেছেন : সন্তানকে ভাল দেখতে চাইলে আগে নিজেকে ভাল হতে হবে ভাল কাজ গুলো করতে হবে জানতে হবে তাই না আপু ---- আমি না জানলে বাচ্চাকে শিখাব কেমন করে তাই আপনাদের লেখাগুলো পড়ে আমি সব শিখে রাখতেছি ভবিষ্যতে কাজে লাগাব ।ইনশা আল্লাহ ।দুয়া করবেন আপু আমার জন্য আমি একটু দুষ্ট তো যেন ভাল হয়ে যাই ।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
238891
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন :
আমি না জানলে বাচ্চাকে শিখাব কেমন করে তাই আপনাদের লেখাগুলো পড়ে আমি সব শিখে রাখতেছি ভবিষ্যতে কাজে লাগাব ।ইনশা আল্লাহ ।দুয়া করবেন আপু আমার জন্য আমি একটু দুষ্ট তো যেন ভাল হয়ে যাই ।
Love Struck Love Struck Thumbs Up Loser Chatterbox Day Dreaming Time Out Time Out Time Out Praying Praying
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৩৭
239115
আফরোজা হাসান লিখেছেন : পিতা-মাতা সন্তানদের তরে রাহ'বার, আলোকবর্তিকা! পিতা-মাতা নিজেরা ভালো কাজ করলে, ভালো পথে চললে সন্তানদের উত্তম মানুষ হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় ইনশাআল্লাহ!
আমি তো জানি আফরা অন্নেক সোনা সোনা একটি মেয়ে। তবে দুষ্টুমিও একটু আধটু করা উচিত। আমিও একটু একটু দুষ্টুমি করি তো তাই একটু দুষ্টু টাইপ ছেলে-মেয়েদেরকে অনেক পছন্দ করি। Love Struck
আফরা অনেক সুন্দর লিখে শুনেছি কিন্তু পড়ার সময় সুযোগ করতে পারিনি নানান কারণে। ইনশাআল্লাহ পড়বো শিঘ্রীই। ভালো রাখুন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তোমাকে সর্বদা। আমীন। Praying Praying
295389
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:০৯
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন :
Give Up Loser আমি এসেগেছি আপুণি Loser Give Up
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৩৯
239116
আফরোজা হাসান লিখেছেন : এখন পড়াশোনা করে হোমওয়ার্ক জমা দাও! Time Out Time Out Time Out
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৮
239233
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : হোমওয়ার্ক এর নাম ধরলেই আমার জ্বর আসে! Crying Crying মনে হচ্ছে এখনও জ্বর আসতেছে! Crying Crying
295396
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আপু উপ্রের ফাঁকিবাজকে একটা লাটি দিয়া পিটা করলে খুব খুশি হবো। Good Luck Good Luck HappyTime Out Time Out Time Out
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
238892
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ৭নং এর ফাঁকিবাজটা ভীষণ বিরক্ত করে, না পড়েই কমেন্ট করে শুধু! Time Out Time Out At Wits' End At Wits' End Time Out Time Out Not Listening Not Listening ও কে দুইটা লাটি দিয়া পিটা করলে খুব খুশি হবো! Big Grin Big Grin Bee Bee
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৩৯
239117
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ফাঁকিবাজ তো দুইজনই। Waiting Waiting Waiting
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
239247
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Crying Crying Crying Crying Crying
295503
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৪
ভিশু লিখেছেন : বাচ্চাদের মুগ্ধ করে মন কেড়ে নিয়ে ওখানে ভালোর শিকড় গেড়ে শয়তানবিরোধী করার টেকনিকগুলো খুব সুন্দর। জাযাকাল্লাহ খাইর।
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪৭
239118
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আসলে বাচ্চারা তো মুগ্ধ হবার জন্য তৈরি হয়েই বসে থাকে যেহেতু মুগ্ধ হওয়াটা ওদের স্বভাবজাত। আমরাই শেখানোর ও বোঝানোর সঠিক পদ্ধতি জানি না। আমাদের ভুলেই বেশির ভাগ সময় ওরা ভুল পথে চলে যায়! অথচ সেই দায় নিজের উপর না টেনে আমরা ওদের উপরই চাপিয়ে দেই।

বর্তমানে যে অবস্থা তাতে প্রত্যেকটা বন্ধনে আবদ্ধ হবার আগে কোর্স করে নেয়াটা জরুরি হয়ে গিয়েছে। সার্টিফিকেট না থাকলে বিয়ে করা যাবে না, সন্তান নেয়া যাবে না এমন সিস্টেম চালু করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে আসলে। Straight Face
ধন্যাবাদ আপনাকে। ভালো রাখুন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে। Praying Praying
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:৪৫
239134
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : সার্টিফিকেট না থাকলে বিয়ে করা যাবে না, সন্তান নেয়া যাবে না এমন সিস্টেম চালু করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে আসলে।Surprised Tongue Rolling on the Floor হিহিহিহি...তোমাকে সাইকোলজি পড়তে দেয়াই ঠিক হয়নি! দিনকে দিন সাইকো হয়ে যাচ্ছো। Skull Skull
295606
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো আনন্দ বাড়ির তারাদের কথাগুলো শুনে। ওদের শিখানোর জন্য আপনাদের টেকনিকগুলোও খুব সুন্দর মাশাআল্লাহ Star Rose Good Luck
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪৯
239120
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ!Happy অনেক শুকরিয়া আপু। দোয়া করবেন ওদের সবার জন্য। ভালো রাখুন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে। Praying Praying
১০
295659
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২৭
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : " আম্মুতা জানো একটু আগে কি হয়েছে? শয়তান এসে আমাকে খুবই দুষ্টু একটা কাজ করতে বলেছিল। আমি শয়তানকে ইচ্ছে মত মেরে গুড়াগুড়া করে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছি। আবারো কখনো ওর রুম থেকে প্রচন্ড ক্যারাটে প্র্যাকটিসের শব্দ ভেসে এলে কি হচ্ছে জানতে চাইলে জবাব দিতো, আম্মুতা শয়তানকে মারছি আমি। "

হা হা হা !!হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে গেলাম !!! আপুনি দুয়া রাখবে, আল্লাহ্‌ তা'আলা যদি তাওফিক দেন, নাকীব সোনার মত আমিও যেন আমার স্টুডেন্ট দের কে শয়তানের সাথে কারাতে করার মত করে তৈরি করে দিতে পারি!! আমিন

অনেক অনেক বেশি জাঝাকিল্লাহ খইর, শুকরিয়া! Good Luck Good Luck
২০ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:১২
239313
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আসলে শিশুদের কাছে কোন কিছু গ্রহণযোগ্য তখনই হয় যখন তারা সেটা মধ্যে যুক্তি খুঁজে পায়! আনন্দময় উপস্থাপন কিন্তু শিশুদের যুক্তিকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে। ওদেরকে যে কোন জিনিসের পেজেটিভটা আগে বোঝাতে হবে। যেমন ধরো, আল্লাহর শাস্তি নয় আগে পুরুষ্কারের কথা বলতে হবে শিশুদেরকে। ভয়-ভীতি দিয়ে কিছু শেখানো ও পালন করানোর চাইতে, জান্নাতের অফুরন্ত নিয়ামতের স্বপ্ন দেখিয়ে খুশি মনে কাজ করতে উৎসাহিত করাটাই উচিত।
অনেক অনেক দোয়া রইলো তোমার আর তোমার ক্ষুদে স্টুডেন্টদের জন্য। Praying Praying Love Struck Love Struck
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫২
239545
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : EXACTLY !!! আবারো জাঝাকিল্লাহ খইর উপকারী সাজেশানের জন্যে! তোমার আর নাকীব সোনামণির জন্যেও অনেক দুয়া রইলো! ফীয়ামানিল্লাহ! Good Luck Praying
১১
320889
১৮ মে ২০১৫ রাত ১০:০৬
আবু ফারিহা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ......। অনেক অনেক শিক্ষনীয় অাপু। যাযাকাল্লাহ..............

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File